মুহাম্মাদ হুসাইন - মুসলিম বাজার, ভোলা
৪৭১১. Question
আমি ভার্সিটির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। টিউশনি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে প্রয়োজন পূর্ণ করার পর অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা করি। এভাবে ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে। তিন মাস আগে মামার একটি বিপদে সে টাকাগুলো তাকে ঋণ দিয়েছি। বর্তমানে আমার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো সম্পদ নেই। কুরবানীর আগের জুমায় খতীব সাহেব মাসআলা বলেছেন, কেউ যদি ৪০ হাজার টাকা বা সে পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। তার কাছে যদি নগদ টাকা না থাকে তাহলে কিছু সম্পদ বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে হলেও কুরবানী দিতে হবে।
প্রশ্ন হল, এ অবস্থায় আমার উপর কি কুরবানী ওয়াজিব? খতীব সাহেবের কথা অনুযায়ী আমাকে ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে হবে? দ্রুত মাসআলাটির সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
Answer
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য মামার কাছ থেকে এ পরিমাণ টাকা ফেরত চাওয়া যা দিয়ে আপনি একটি কুরবানী আদায় করতে পারবেন। যদি তিনি তা দেন তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। আর যদি তিনি তা না দেন আর আপনার কাছে কোনো জায়গা থেকে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা হস্তগতও না হয় তাহলে কুরবানীর শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। শেষ পর্যন্ত যদি কুরবানী দেওয়ার মত কোনো সম্পদ আপনার হাতে না থাকে তাহলে আপনাকে ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে হবে না। কেননা এক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। খতীব সাহেব যে মাসআলা বলেছেন তা প্রয়োজন অতিরিক্ত অন্য সম্পদ থাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া বাযযাযিয়াহ ৬/২৮৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬