Rabiul Auwal 1440 || December 2018

মাসুম আহমাদ - হবিগঞ্জ, সিলেট

৪৬৪০. Question

আমাদের এলাকায় জামে মসজিদে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখে আসছি, শুক্রবার জুমার নামাযের সময় ইমাম সাহেব বয়ান করেন। বয়ানের পর চার রাকাত কাবলাল জুমা পড়তে বলেন। তারপর ইমাম সাহেব মিম্বারে বসা অবস্থায় সানি আযানের পূর্বমুহূর্তে মসজিদে দান বাবদ আসা মুরগী, ডিম, নারিকেল ইত্যাদি নিলামে তোলা হয়।

ঐ ধরনের কর্ম মসজিদের ভিতরে করা যাবে কি না? জানালে উপকৃত হব।

Answer

হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৭৯)

অন্য হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَبِيعُ أَوْ يَبْتَاعُ فِي المَسْجِدِ فَقُولُوا: لَا أَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَكَ.

অর্থাৎ তোমরা মসজিদে কাউকে বেচা-কেনা করতে দেখলে তাকে বল, আল্লাহ তোমার ব্যবসাকে অলাভজনক করুন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩২১)

ইমাম মালেক রাহ. সূত্রে বর্ণিত যে, আতা ইবনুল ইয়াসার রাহ.-এর পাশ দিয়ে মসজিদে ক্রয়-বিক্রয়কারী কোনো ব্যক্তি অতিক্রম করলে তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, তোমার সাথে কী আছে এবং তোমার উদ্দেশ্য কি? সে ব্যবসার উদ্দেশ্য প্রকাশ করলে তিনি তাকে বলতেন-

عَلَيْكَ بِسُوقِ الدُّنْيَا. فَإِنَّمَا هذَا سُوقُ الآخِرَةِ.

অর্থাৎ তুমি দুনিয়ার বাজারে যাও; কেননা মসজিদ তো কেবল আখেরাতের বাজার। (মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ৬০১)

উপরোক্ত হাদীস-আসারের আলোকে ফকীহগণ পণ্য নিয়ে এসে মসজিদে বেচা-কেনা করতে বারণ করেছেন। আর মসজিদে দানকৃত পণ্য বা মসজিদের মালিকানাধীন বস্তুর হুকুম একই। এছাড়া মসজিদের ভিতর মুরগী নিয়ে আসলে মসজিদ অপবিত্র হওয়ার আশংকা থাকে।

আর নামাযের পূর্বের সময়টি যিকির-আযকার এবং নামাযের জন্য বাহ্যিক ও আত্মিক প্রস্তুতির সময়। এ সময় নিলাম কাজে ব্যস্ত হওয়া খুবই অন্যায়। বিশেষত জুমার আযানের পর কেনা-বেচা করতে কুরআন মাজীদে নিষেধ করা হয়েছে। সে হুকুমেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نُوْدِیَ لِلصَّلٰوةِ مِنْ یَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا اِلٰی ذِكْرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الْبَیْعَ  ذٰلِكُمْ خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ.

হে মুমিনগণ!  যখন জুমার দিনে (জুমার) নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। [সূরা জুমুআ (৬২) : ০৯]

অতএব, আপনাদের মসজিদ কর্তৃপক্ষের এবং মুসল্লীদের জন্য জরুরি হল, মসজিদে উক্ত নিলাম বিক্রি থেকে বিরত থাকা। মসজিদের মালিকানাধীন বা দানকৃত কোনো কিছু বিক্রি করতে চাইলে জুমার পর মসজিদের বাইরে মসজিদের উঠান ইত্যাদিতে বিক্রি করবে। -তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২২৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩১২

হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৭৯)

অন্য হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَبِيعُ أَوْ يَبْتَاعُ فِي المَسْجِدِ فَقُولُوا: لَا أَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَكَ.

অর্থাৎ তোমরা মসজিদে কাউকে বেচা-কেনা করতে দেখলে তাকে বল, আল্লাহ তোমার ব্যবসাকে অলাভজনক করুন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩২১)

ইমাম মালেক রাহ. সূত্রে বর্ণিত যে, আতা ইবনুল ইয়াসার রাহ.-এর পাশ দিয়ে মসজিদে ক্রয়-বিক্রয়কারী কোনো ব্যক্তি অতিক্রম করলে তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, তোমার সাথে কী আছে এবং তোমার উদ্দেশ্য কি? সে ব্যবসার উদ্দেশ্য প্রকাশ করলে তিনি তাকে বলতেন-

عَلَيْكَ بِسُوقِ الدُّنْيَا. فَإِنَّمَا هذَا سُوقُ الآخِرَةِ.

অর্থাৎ তুমি দুনিয়ার বাজারে যাও; কেননা মসজিদ তো কেবল আখেরাতের বাজার। (মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ৬০১)

উপরোক্ত হাদীস-আসারের আলোকে ফকীহগণ পণ্য নিয়ে এসে মসজিদে বেচা-কেনা করতে বারণ করেছেন। আর মসজিদে দানকৃত পণ্য বা মসজিদের মালিকানাধীন বস্তুর হুকুম একই। এছাড়া মসজিদের ভিতর মুরগী নিয়ে আসলে মসজিদ অপবিত্র হওয়ার আশংকা থাকে।

আর নামাযের পূর্বের সময়টি যিকির-আযকার এবং নামাযের জন্য বাহ্যিক ও আত্মিক প্রস্তুতির সময়। এ সময় নিলাম কাজে ব্যস্ত হওয়া খুবই অন্যায়। বিশেষত জুমার আযানের পর কেনা-বেচা করতে কুরআন মাজীদে নিষেধ করা হয়েছে। সে হুকুমেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نُوْدِیَ لِلصَّلٰوةِ مِنْ یَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا اِلٰی ذِكْرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الْبَیْعَ  ذٰلِكُمْ خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ.

হে মুমিনগণ!  যখন জুমার দিনে (জুমার) নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। [সূরা জুমুআ (৬২) : ০৯]

অতএব, আপনাদের মসজিদ কর্তৃপক্ষের এবং মুসল্লীদের জন্য জরুরি হল, মসজিদে উক্ত নিলাম বিক্রি থেকে বিরত থাকা। মসজিদের মালিকানাধীন বা দানকৃত কোনো কিছু বিক্রি করতে চাইলে জুমার পর মসজিদের বাইরে মসজিদের উঠান ইত্যাদিতে বিক্রি করবে। -তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২২৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩১২

Read more Question/Answer of this issue