Zilhajj 1439 || September 2019

ডা. মফিজুর রহমান - বিজয়রামপুর, মণিরামপুর, যশোর

৪৫৫০. Question

হযরত মুফতী সাহেব (আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের খেদমতের সাথে দীর্ঘজীবী করুন) আমার কয়েকটি বিষয়ে জানার খুবই প্রয়োজন।

১. কোনো মুসলমানের জন্য  বিধর্মীর সাথে পার্টনার হিসেবে ব্যবসা করা জায়েয হবে কি? শরীয়ত এ সম্পর্কে কী বলে?

২. এক ব্যক্তি কারো থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন সাত কাঠা জমি বন্ধক রেখে। এরপর বন্ধকগ্রহিতা পুনরায় উক্ত জমি ঋণগ্রহিতার নিকট ফেরত দেন এই শর্তে যে, উক্ত জমি থেকে প্রতি বছর আমাকে পনের মন ধান দিতে হবে।

উল্লেখ্য, ঋণগ্রহিতা উক্ত জমিতে ধান চাষ নাও করতে পারেন। তবুও তাকে পনের মন ধান অথবা তার মূল্য দিতে হবে। পুরো বিষয়ে শরীয়ত কী বলে?

অনুগ্রহ করে মাসআলাগুলোর সমাধান দিলে খুবই  দয়া হয়। দ্বীনের উপর চলা আমার জন্য সহজ হবে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

Answer

 ১. কোন অমুসলিম বা বিধর্মীর সাথে যৌথভাবে ব্যবসা করা বা তাকে ব্যবসায় অংশীদার করা নাজায়েয নয়। তবে সর্বক্ষেত্রে বৈধতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীয়তের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখ্য যে, অমুসলিমদের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করতে কুরআনুল কারীমে বারণ করা হয়েছে। তাই একান্ত বাধ্য না হলে ব্যবসার মত গুরুত্বপূর্ণ কারবারে তাদেরকে অংশীদার না করাই উচিত। কেননা এর দ্বারা কিছুটা হৃদ্যতার সম্পর্ক হয়েই যায় এবং তাদের কৃষ্টিকালচারের প্রভাব পড়ে। -বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮২; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬১৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৩৯

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বন্ধকী জমির পরিবর্তে ১৫ মন ধান দেওয়ার চুক্তি করা বৈধ নয়। কেননা এক্ষেত্রে সে এ ১৫ মন ধান অতিরিক্ত নিচ্ছে ঋণের বিনিময়ে। আর কাউকে ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত নেওয়া সুদ। এ ধরনের কারবার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। -আননুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯৬; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৫৯৬

Read more Question/Answer of this issue