মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন - রাহাত হুসাইন তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা, মিরপুর-১৩, ঢাকা
১৯৯১. Question
আমাকে একজন বলেছেন, পবিত্র কুরআনের যের, যবর, পেশ ও নুকতা খলীফা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নিজ হাতে লিখেছেন। এ কথাটি আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এত বড় অত্যাচারী শাসক এ মহৎ কাজের উদ্যোগ কীভাবে নিল? সত্যিই কি তিনি এই কাজ করেছেন?
Answer
হযরত উসমান রা. যে মুসহাফ তৈরি করেছেন তাতে হরফসমূহে নুকতা ও হরকত যের, যবর ও পেশ ছিল না। পরবর্তীতে কে এই মহৎ কাজটি করেছেন-এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে মতভেদ আছে। তবে আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ বলেন, এ সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত (যের, যবর ও পেশ) সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী রাহ. আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ রাহ. হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন। এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার রাহ. ও নাসর বিন আসেম রাহ.-এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়।
আলইতকান ২/৪১৯; সুবহুল আ‘শা ৩/১৬০-১৬১; আলবুরহান ১/২৫০; উলূমুল কুরআন পৃ. ১৯৫