Rajab 1431 || July 2010

উম্মে আবদুল্লাহ - উত্তর মুগদা, ঢাকা

১৯৮৮. Question

ক) আমি শৈশবে গ্রামের বাড়িতে কাচারি ঘরের হুজুরের কাছে কুরআন তিলাওয়াত শিখেছিলাম। অতঃপর গত চার-পাঁচ বছর ঢাকায় সহীহ নূরানী পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে উক্ত পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করতে শিখি। এরপর হতে নামাযে ও নামাযের বাইরে নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করি। আমি বুঝতে পারছি যে, পূর্বের পদ্ধতি অশুদ্ধ ছিল। এখন আমার প্রশ্ন এই যে, পূর্বের পদ্ধতিতে আমি যে তেলাওয়াত করেছি সে বিষয়ে আমার কী করণীয়? সেভাবে পড়ার কারণে আমার নামায কি নষ্ট হয়েছে? জানালে উপকৃত হব। খ) আলহামদুলিল্লাহ, আমি যথাসাধ্য পর্দার বিধান মেনে চলতে চেষ্টা করি। কিন্তু গ্রামে গেলে চাচাতো বা মামাতে ভাইরা (বিশেষত যারা বয়সে ছোট) খোঁজ খবর নিতে আসে এবং কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে। আবার কখনো কখনো (বছরে হয়তো ২/১বার) তাদের কেউ কেউ ঢাকায় বেড়াতে আসে। তখনও একই অবস্থার উদ্ভব হয়। এ সকল অবস্থায় তাদের সাথে দেখা না করলে হয়তো আত্মীয়তার সম্পর্কই ছিন্ন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঘরে নামাযের সময় যেভাবে সতর ঢাকি সেভাবে কাপড় পরা অবস্থায় তাদের সাথে দেখা করা জায়েয কি না জানালে কৃতজ্ঞ হব।

Answer

ক) নামায সহীহ এবং কবুল হওয়ার জন্য বিশুদ্ধ তিলাওয়াত জরুরি। সুতরাং অন্তত ফরয কিরাত পরিমাণ শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখা ফরয। তবে যে বিশুদ্ধ কিরাত জানে না তার জন্য সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার আগ পর্যন্ত হুকুম এই যে, সে যতটুকু জানে তা দিয়েই নামায পড়তে থাকবে। আর যথাসাধ্য দ্রুত শুদ্ধ তিলাওয়াত শিখে নিবে। এক্ষেত্রে পূর্ণ শুদ্ধ হওয়া পর্যন্ত যত নামায পড়া হয়েছে তা যেহেতু তখনকার সামর্থ অনুযায়ী পড়া হয়েছে তাই তা আদায় হয়ে গিয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। পরবর্তীতে কিরাত শুদ্ধ হওয়ার পর সেগুলোর কাযা করা জরুরি নয়। তবে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি। অন্যথায় গুনাহ হবে। অতএব আপনার পূর্বের নামাযগুলো আদায় হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭৯; রদ্দুল মুহতার ১/৫৮১; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/১৬২ খ) চেহারাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। বিনা ওজরে বেগানা পুরুষের সামনে তা খোলা নিষেধ। আর আপনি যেহেতু আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের লক্ষে তার সন'ষ্টির উদ্দেশ্যেই পর্দা করছেন তাই বিষয়টি তাদেরকে বুঝিয়ে বললে আশা করি আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যা হবে না। এছাড়া প্রয়োজনে পর্দার আড়ালে থেকে (কোমলতা বর্জন করে) কুশলাদি বিনিময় ও প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবেন। আল্লাহর উপর ভরসা করে পরিপূর্ণ পর্দার চেষ্টা করুন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহর নুসরত পাবেন। সূরা আহযাব :৩২, ৩৩ ও ৫৯; আহকামুল কুরআন জাসসাস ৩/৩৭২; আদিল্লাতুল হিজাব পৃ. ২৪৪; আহকামুন নযর পৃ. ২৬০

Read more Question/Answer of this issue