Safar 14439 || November 2017

মুহাম্মাদ রাসেল মিয়া - আলীপুর, কেরানীগঞ্জ

৪২৩৪. Question

আমার একটি সেলুনের দোকান আছে। সেটি খুব সাধারণ মানের। সেদিন আমার পরিচিত একজন প্রস্তাব দিল, তোমার দোকানটি তো খুব সাধারণ। এতে উন্নত ও সুন্দর কোনো ব্যবস্থা নেই। আর আমার কাছে প্রায় লাখ খানেক টাকা আছে। সেটা দিয়ে দোকানটাকে সুন্দর করে ডেকোরেশন করে নাও। আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও ক্রয় করে নাও। তাহলে কাস্টমারও বেশি হবে এবং চার্জও বেশি নিতে পারবে। আর আমিও তোমার সাথে থেকে কাজ শিখতেও থাকলাম, করতেও থাকলাম। এরপর মোট ইনকামের ৪০ ভাগ নেবে তুমি আর ৬০ ভাগ আমি।

তার প্রস্তাব আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। আর এতে বর্তমানের চেয়ে ইনকাম বেশি হবে বলেই মনে হচ্ছে। আর আমি সব বিষয়ে হালাল-হারামের প্রতি লক্ষ রেখে চলার চেষ্টা করি। তাই মুফতী সাহেবের কাছে বিশেষ আবেদন, দ্রুত বিষয়টির সমাধান জানালে অত্যন্ত উপকৃত হব।

Answer

বর্তমানে প্রচলিত সেলুনগুলোর অধিকাংশ কাজ শরীয়ত পরিপন্থী। তাই এর থেকে উপার্জনের সিংহভাগই অবৈধ। তবে কেউ যদি শরীয়তের গ-ির ভেতরে থেকে বৈধভাবে চুল কাটার কাজ বা অন্য কোনো বৈধ কাজ করে এবং দাড়ি কামানোসহ অন্যান্য নাজায়েয কাজ থেকে বিরত থাকে তাহলে উপার্জন হালাল হবে। সেক্ষেত্রে তার টাকা দিয়ে ডেকোরেশন ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় করে আপনার দোকানে উভয়ে একত্রে কাজ করার চুক্তি করতে পারবেন। চুক্তির সময়ই উভয়ের লাভের অংশ নির্ধারণ করে নিতে হবে। তখন খরচ বাদে অর্জিত নীট মুনাফা থেকে উভয়ে নির্ধারিত হারে মুনাফার অধিকারী হবে।

উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উভয়ের একত্রে কাজ করার মাধ্যমে শরীকানা চুক্তি সম্পন্ন হবে। তবে এর কারণে সেলুনের আসবাবপত্র যৌথ মালিকানাধীন হয়ে যাবে না। বরং সেলুনের প্রত্যেকের খরচে কেনা বা বানানো জিনিসপত্র তার নিজেরই থাকবে। অতএব আপনারা কখনো পৃথক হয়ে গেলে নিজ নিজ সামানপত্র এককভাবে নিজেই নিতে পারবেন।

Ñআলবাহরুর রায়েক ৫/১৮১; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৬/২২৮; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা ১৩৯১; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩২১

Read more Question/Answer of this issue