Shawal 1430 || October 2009

মুহাম্মাদ আলমগীর হুসাইন - বড় মসজিদ, মিরপুর, ঢাকা

১৭৬৫. Question

এক কিতাবে দেখতে পেলাম যে, রফে ইয়াদাইনের আমল প্রাথমিক অবস'ায় জারি ছিল। পরে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানসূখ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ রাফে ইয়াদাইন এখন মানসূখ। কিন' প্রশ্ন হল, রাফে ইয়াদাইনের হাদীস লেখার সময় ইমাম বুখারী রাহ. কি ঐ মানসূখ হাদীস জানতেন না? ইমাম শাফেয়ী রাহ. নিজ মাযহাবে এর প্রচলন করে গেছেন। তিনিও কি ঐ মানসূখের খবর জানতেন না? যদি জানতেন তবে রাফে ইয়াদাইন করার কি যুক্তি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।

Answer

নামাযের তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি কিছু তাকবীরের মধ্যে রাফে ইয়াদাইন করা না করা উভয়টিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো রাফে ইয়াদাইন করেছেন, কখনো করেননি। সাহাবা, তাবেয়ীন ও পরবর্তীদের মধ্যে উভয় পদ্ধতিরই অনুসারী ছিলেন। এরই সুত্র ধরে শাফেয়ী, হাম্বলী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইনের পদ্ধতি এসেছে। অপরদিকে হানাফী, মালেকী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইন না করার মতটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্ব স্ব স'ানে উভয় মতই শরীয়ত স্বীকৃত। কেননা দুটোরই উৎস সুন্নাহ। তবে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে কোনো ফকীহ কোনো একটিকে উত্তম ও অগ্রগণ্য মনে করেন। আর অন্যটিকে মনে করেন বৈধ ও অনুত্তম। আবার অন্য ফকীহ এর বিপরীত মত পোষণ করেন। বিশুদ্ধ মত হল, এর কোনোটিই মানসূখ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো একটিকে মানসূখ ঘোষণা দেননি। কতক ফকীহ যারা রাফে ইয়াদাইনের আমলকে মানসূখ বলেছেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, মুস-াহাব বা উত্তম হওয়াটা রহিত হয়েছে। মূল আমলের বৈধতা রহিত হয়নি। বলাবাহুল্য যে, এটি হল বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে একদল ফকীহর মত। অন্যান্য ফকীহদের মতও এরূপ হওয়া জরুরি নয়। অন্যরা একে মানসূখ (পূর্ববর্ণিত অর্থে) মনে নাও করতে পারেন। আর বাস-বে কোনো হাদীস মানসূখ হলে তা হাদীসের কিতাবে আনা যাবে না এ ধারণাও ঠিক নয়। অনেক হাদীসের হুকুম মানসূখ হওয়া সত্ত্বেও হাদীস সংকলকগণ নিজ নিজ সংকলনগ্রনে' তা উল্লেখ করেছেন। এতে অনেক ফায়দা রয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য ফায়দা হল, পূর্ববর্তীরা মানসূখ হাদীসটি উল্লেখ করার কারণেই পরবর্তীদের জন্য জানার সুযোগ হয়েছে যে, এর হুকুম মানসূখ। এ বিষয়ে বিস-ারিত জানতে চাইলে সদ্য প্রকাশিত বই ‘নবীজীর নামাযা’ ড. শায়খ মুহাম্মাদ ফায়সাল কৃত পৃ. ১৮০-১৮৮ পর্যন- পড়-ন

পড়-ন।-মাআরিফুস সুনান ২/৪৫৮; ফয়যুল বারী ২/২৫৮; নাসবুর রায়াহ ১/৩৯২; ফাতহুল মুলহিম ২/১১, ১৪; ইলাউস সুনান ৩/৮০, ৯০

Read more Question/Answer of this issue