Jumadal Akhirah 1439 || March 2018

মাহমুদ হাসান - মুরাদনগর, কুমিল্লা

৪৩৭৫. Question

রমযানে যখন বিমানে সফর করা হয় তখন ইফতারের সময় নিয়ে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। কারণ, যে দেশ থেকেই সফর শুরু হয় এক সময় দেখা যায়, সে দেশের সময় অনুযায়ী সূর্যাস্ত হয়ে গেছে। কিন্তু বিমান যমিন থেকে কয়েক হাজার ফিট উপরে থাকায় স্পষ্টভাবেই সূর্য দেখা যায়। বিশেষ করে বিমান যখন পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে  যেতে থাকে। যেমন কেউ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিমানে উঠল। এক্ষেত্রে বিমান যেহেতু পশ্চিম দিকে যাচ্ছে তাই দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা সূর্য চোখের সামনে থাকে। অথচ বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সূর্যাস্ত হয়ে গেছে অনেক আগেই। এক্ষেত্রে বিমানের যাত্রীদের যদি সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাহলে দেখা যায় কখনো কখনো রোযার সময় প্রলম্বিত হয়ে ২০-২২ ঘণ্টাও হয়ে যায়। তাই হুযুরের কাছে জানতে চাচ্ছি, এ ধরনের অবস্থায় আমরা কখন ইফতার করব? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন
 

Answer

বিমানের যাত্রীগণ নিজেরা যখন সূর্যাস্ত হতে দেখবে তখনই ইফতার করবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিদেশের আকাশে থেকে বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ইফতার করা যাবে না এবং যে এলাকার আকাশের উপর বিমান আছে সেখানের স্থলভাগের হিসেবেও নয়। এক্ষেত্রে যদি রোযা ২০-২২ ঘণ্টারও হয়ে যায় তবুও সূর্যাস্ত না দেখে ইফতার করা যাবে না। তবে হ্যাঁ, কোনো ব্যক্তি যদি উক্ত অবস্থায় রোযা পুরা করতে গেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলে সে রোযা ভেঙে ফেলতে পারবে এবং পরে এ রোযার কাযা করে নিবে।

উল্লেখ্য যে, সফর অবস্থায় যদি সুবহে সাদিক শুরু হয় অর্থাৎ রাতের শেষ ভাগে যদি কেউ সফরে থাকে তাহলে শুরু থেকেই তার জন্য রোযা না রাখার সুযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে সে এর কাযা করে নিবে।

-বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৫; খিযানাতুল আকমাল ১/৩২৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/১৬৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪২০; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৯১

Read more Question/Answer of this issue