আমীমুল ইহসান - রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলা
৪০১৫. Question
আমার এক মাসের এক দুগ্ধপোষ্য সন্তান রয়েছে। তার মা শারীরিকভাবে দুর্বল। রোযা অবস্থায় দুধ খাওয়ালে তার রোযা রাখতে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে সন্তান দুধই পায় না। মাঝে দুটি রোযা রেখে পরে ভেঙ্গে ফেলেছে। ডাক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বাচ্চাকে সাগু ও সেরেলাক খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু বাচ্চা এগুলো খেতে চায় না। এদিকে তার মা রোযাও রাখতে চায় ওদিকে সন্তানের সমস্যা হয়।
এক্ষেত্রে শরয়ী সমাধান জানালে আমরা কৃতজ্ঞ হবো। আর যে দুটি রোযা রেখে ভেঙ্গে ফেলেছে তার কাযা কাফফারা দিতে হবে কি না?
Answer
সন্তানের দুগ্ধদানের প্রয়োজনে তার মা রোযা ভাঙ্গতে পারবে। তবে রমযানের যে কয়টি রোযা রাখা না হয় তা পরবর্তীতে কাযা করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না।
এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আনাস ইবনে মালেক রা.-কে কিছু খেতে দিলে তিনি বললেন, আমি রোযাদার। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
اجْلِسْ أُحَدِّثْكَ عَنِ الصَّوْمِ أَوِ الصَّائِمِ، إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ، وَعَنِ الْمُسَافِرِ وَالْحَامِلِ وَالْمُرْضِعِ الصَّوْمَ أَوِ الصِّيَامَ.
তুমি বসো, আমি তোমাকে রোযা ও রোযাদার সম্পর্কে কিছু বলব, আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের অর্ধেক নামায কমিয়ে দিয়েছেন এবং মুসাফির, গর্ভবর্তী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্য রোযায় ছাড় দিয়েছেন। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৯০৪৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
تُفْطِرُ الْحَامِلُ وَالْمُرْضِعُ فِي رَمَضَانَ، وَتَقْضِيَانِ صِيَامًا، وَلَا تُطْعِمَانِ.
গর্ভবর্তী ও দুগ্ধদানকারিনী রমযানের রোযা ভাঙ্গতে পারবে। তবে পরে তা কাযা করে নিবে। রোযার বদলে (মিসকীনদেরকে) খাওয়াবে না। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৭৫৬৪)
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০২; ফাতহুল কাদীর ২/২৭২; রদ্দুল মুহতার ২/৪২২