Jumadal Ula 1431 || May 2010

মুহাম্মাদ জুনাইদ খান - সুনামগঞ্জ

১৯৪০. Question

আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি কবরস্তানের জন্য এক বিঘা জমি ওয়াকফ করেন। বর্তমানে তিনি বেঁচে নেই। কিন্তু এলাকার কিছু লোক কবরস্তানের জন্য ওয়াকফকৃত এক বিঘা জমি থেকে একটি অংশ কবরস্তানের জন্য রেখে অবশিষ্ট জায়গায় একটি মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মাণ করে সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও ঈদের নামায পড়ে আসছে। আমার জানার বিষয় এই যে, ওয়াকফকারী তো এই এক বিঘা জমি কবরস্তানের জন্য ওয়াকফ করেছেন। এই জায়গায় মসজিদ ও ঈদগাহ তৈরি করা জায়েয হয়েছে কি? এবং যারা এতদিন সেখানে নামায পড়ে আসছেন তাদের নামাযের কী হুকুম? জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ওয়াকফকারী যেহেতু উক্ত এক বিঘা জমি কবরস্তানের জন্যই ওয়াকফ করেছেন তাই ঐ জমি কবরস্তান হিসাবে রাখা জরুরি। ঐ জমিতে মসজিদ বা ঈদগাহ বানানো জায়েয হয়নি। তাই বর্তমান যে জায়গায় মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে তা খালি করে দিতে হবে। তবে এতদিন যারা ঐ জমিতে নামায পড়ে এসেছেন তাদের নামায আদায় হয়ে গেছে। ঐ নামাযগুলো পুনরায় পড়তে হবে না।

আলবাহরুর রায়েক ৫/২৪৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৪০; তানকীহুল হামিদিয়া ১/১২৬; আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ২/২২৮; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৪৩৩

Read more Question/Answer of this issue