Zilqad 1437 || August 2016

মিনহাজুদ্দীন - মহেশখালি

৩৭৭৯. Question

যদি ইমাম সাহেব কেরাতে আটকে যায় এবং এখনো নামায হয়ে যায় এ পরিমাণ পূর্ণ হয়নি তাহলে কি তিনি সে স্থান ত্যাগ করে অন্য জায়গা থেকে পড়তে পারবে? হেদায়া কিতাবের এ ইবারত থেকে জায়েয হবে বুঝা যায়-

ينبغي للمقتدي أن لا يعجل بالفتح وللإمام أن لا يلجئهم إليه، بل يركع إذا جاء أوانه أو ينتقل إلى آية أخرى .

মূলত আমার উদ্দেশ্য হল আরেকটা। তা হল, কেউ যদি কেরাতে এমন কোনো অশুদ্ধ পড়ে, যার কারণে নামায ভেঙ্গে যায় সে কি অন্যস্থান থেকে নতুনভাবে কেরাত শুরু করতে পারবে বা যে স্থানে আটকে গেছে এরপর থেকে?   কথা মনে করে যে, যা পড়েছি এবং অশুদ্ধ পড়েছি সব বাদ। যেন এখনো কেরাতই পড়িনি; বরং কেরাত এখন থেকে শুরু।


Answer

নামাযে কেরাত পড়তে গিয়ে আটকে গেলে এবং মাসনুন কেরাত পরিমাণ পড়া না হয়ে থাকলে তার জন্য লোকমা নেওয়াও জায়েয। তেমনিভাবে লোকমা না নিয়ে অন্যস্থান থেকে পড়াও জায়েয।

আর যদি মাসনুন কেরাতও পড়া হয়ে যায় তাহলে  লোকমা নেওয়া এবং অন্যস্থান থেকে পড়া উভয়টি মাকরূহ। এক্ষেত্রে অন্য জায়গা থেকে না পড়ে তৎক্ষণাৎ রুকুতে চলে যাবে।

অবশ্য খতম তারাবীহর বিষয়টি এ থেকে ভিন্ন।  এক্ষেত্রে লোকমা নিয়ে হলেও পড়া চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই।

উল্লেখ্যএ মাসআলার সাথে কেরাতের ভুলের মাসআলার কোনোই সম্পর্ক নেই। প্রশ্নে দুই মাসআলাকে মেলানো হয়েছে। কেননা বড় ছোট যে পরিমাণই কেরাত পড়া হোক তার কোনো জায়গায় নামায ভেঙ্গে যাওয়ার মতো ভুল হলে তা শোধরানো ব্যতীত অন্যস্থান থেকে পড়লেও নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মনে মনে ভাবা যেযা পড়েছি এবং অশুদ্ধ পড়েছি সব বাদ এ কথা ধর্তব্য হবে না। বরং ভুলের অংশ শুদ্ধ করে না পড়লে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।

-ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৩৭; ফাতহুল কাদীর ১/৩৪; শরহুল মুনইয়াহ ৩৬৪; রদ্দুল মুহতার ১/৬২৩, ৪৪১

Read more Question/Answer of this issue