মুহাম্মাদ কাউসার - কচুয়া, চাদপুর
১৫৮৫. Question
আমাদের দেশে অনেক সময় ফুটপাত বা নিম্ন মানের দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে পণ্যের দরকষাকষি হয়। ক্রেতা একটি দাম বলে কিন্তু দেখা যায় যে, ক্রেতা তার কাঙ্খিত দামে পণ্যটি না পেয়ে সেখান থেকে চলে আসে। কিছু দূরে আসার পর বিক্রেতা ঐ দামেই পণ্যটি নেওয়ার জন্য ক্রেতাকে ডাকতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতা ফিরে না আসলে তাকে বকাবকি পর্যন্ত করে থাকে। আমার প্রশ্ন হল, এরূপ ক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্রেতা ওই পণ্যটি ক্রয় করতে বাধ্য কি না? এবং ক্রয় না করলে সে ভৎর্সনার যোগ্য হবে কি না?
Answer
ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একপক্ষ পণ্যের মূল্য প্রস্তাব করার পর অপর পক্ষ তাতে সম্মত না হলে ঐ প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। তদ্রূপ একপক্ষ মূল্য প্রস্তাবের পর অপর পক্ষ সম্মত হওয়ার পূর্বে দুজনের কেউ প্রস্থান করলে বা অস্বীকৃতি জানালেও ঐ প্রস্তাব বাতিল গণ্য হয়।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের উভয় দিক পাওয়া গেছে। তাই ক্রেতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেছে। ফলে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়নি। সুতরাং পরবর্তীতে বিক্রেতা ঐ মূল্যে বিক্রির জন্য রাজি হওয়াটা তার পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব বলে বিবেচিত হবে। অতএব এখন ক্রেতা ঐ মূল্যে পণ্যটি ক্রয় করতে বাধ্য নয়; বরং এক্ষেত্রে সে পূর্ণ স্বাধীন। ঐ মূল্যে সে ক্রয় করতেও পারে এবং নাও করতে পারে। ক্রয় না করলে তাকে ভৎর্সনা করা বকাবকি করা অন্যায় হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩২৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭২; হিদায়া ২/২৩; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৫২৭