মুহাম্মাদ হাসান জামিল - বাঘেরবাজার, গাজীপুর
৩৩৫৮. Question
জনৈক ব্যক্তি সার্বিকভাবে দ্বীনদার ও সম্ভ্রান্ত। পরিবারের সবাই দ্বীন-ধর্ম বিশেষত পর্দা-পুশিদার ব্যাপারে খুবই সচেতন। বর্তমানে উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়েছে। হজ্বে যেতে হলে আইডি কার্ড ও পাসপোর্ট করতে হবে। এগুলোতে ছবি অত্যাবশ্যকীয়। ছবি যদিও কোনো মহিলার মাধ্যমে তোলা সম্ভব হবে কিন্তু পাসপোর্টের ছবি অনেক পরপুরুষের নজরে পড়বে। বিশেষ করে জেদ্দায় পাসপোর্টের ছবি দেখিয়ে তার বাহককে তালাশ করা হয়। মুফতী ছাহেবের খেদমতে আরজ এই যে, এসব বিবেচনায় উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর জন্য নিজে হজ্বে না গিয়ে বদলি হজ্ব করানোর সুযোগ আছে কি?
Answer
পর্দার বিধানের প্রতি যথাযথভাবে আমল করা এবং এ ব্যাপারে দৃঢ় মানসিকতা ও ঈমানী গায়রত ও জযবা প্রশংসনীয় বিষয়। একজন পর্দানশীন মুমিন নারীর জন্য তার চেহারা পরপুরুষের সম্মুখে অনাবৃত হওয়া এবং তার ছবি অন্যদের সামনে প্রদর্শিত হওয়া স্বভাবতই মনোকষ্টের কারণ। তবে পর্দা যেমন আল¬াহ তাআলার বিধান তেমনি হজ্বও তাঁরই গুরুত্বপূর্ণ ফরয হুকুম। বান্দার কর্তব্য হল, সর্বদা নিজের জযবা ও আবেগের উপর আল্লাহ তাআলার হুকুমকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আল্লাহ তাআলার হুকুমের সামনে নিজের যুক্তি ও আবেগকে সমর্পিত করা। এটিই প্রকৃত বন্দেগী। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত মহিলার উপর যেহেতু হজ্ব ফরয এবং নিজে হজ্ব করার মতো শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য তার আছে তাই তার নিজের হজ্ব নিজেকেই গিয়ে করতে হবে। পাসপোর্টের ছবি পরপুরুষ দেখবে-এই কারণে বদলি করানো জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে বদলি করালে তার ফরয হজ্ব আদায় হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, হজ্বের জন্য ছবিযুক্ত পাসপোর্ট করা এবং ছবি পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনে চেক-আপ হওয়া এসব কিছুই হজ্বের ব্যবস্থাপনাগত বিষয়। হজ্বে গমনেচ্ছু ব্যক্তির এসব বিষয়ে কিছুই করার থাকে না; বরং এখানে সে আইনগতভাবেই এসব কাজ করতে বাধ্য। তাই এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়ভার কর্তৃপক্ষের উপরই বর্তাবে।
-আল বাহরুর রায়েক ৩/৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৯৮