মুহাম্মাদ ইদরীস মিয়া - সেনবাগ, নোয়াখালি
৩৩০৭. Question
হজ্ব করার মতো কোনো আর্থিক সামর্থ্য আমার ছিল না। কিন্তু মনে হজ্ব করার খুব আগ্রহ ছিল। এরপর মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুম-এর হজ্ব সফরনামা ‘‘বাইতুল্লাহর মুসাফির’’ পড়ে আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। ফলে ২০১০ সালে আমার এক বন্ধুর সাথে হজ্বে যাই। আমার হজ্বের যাবতীয় খরচ সে বহন করেছে এ শর্তে যে, পরবর্তীতে সময়-সুযোগমতো তাকে আমি ঐ টাকা পরিশোধ করে দিব। হজ্ব করে আসার পর দুই বছরের মধ্যে আমি তাকে ঐ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। এখন আমার কাছে অনেক টাকা পয়সা আছে। এ বছর আমি আবার হজ্ব করতে চাচ্ছি। তাই হুযুরের নিকট জানতে চাই যে, আমার অস্বচ্ছল অবস্থায় আদায়কৃত হজ্ব কি ফরয হিসেবে আদায় হয়েছে? আর এ বছর আমি কোন হজ্বের নিয়ত করব, ফরয নাকি নফল হজ্বের? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
Answer
অস্বচ্ছল অবস্থায় কেউ ঋণ করে হজ্ব আদায় করলেও তা ফরয হিসেবেই আদায় হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঐ হজ্ব ফরয হিসেবেই আদায় হয়েছে। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে হজ্ব করলে তা নফল গণ্য হবে। তবে ঐ হজ্বের এহরামের সময় আপনি যদি সুনির্দিষ্টভাবে নফল হজ্বের নিয়ত করে থাকেন তা নফল হিসেবেই আদায় হয়েছে। ফরয হজ্ব আদায হয়নি। সামনে তা আদায় করে নিতে হবে।
-গুনইয়াতুন নাসিক ৩২; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৪; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪১; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৬