Rabiul Akhir 1436 || February 2015

মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম - টাঙ্গাইল

৩৩০৪. Question

আমি ও আমার স্ত্রী উভয়েই নেসাবের মালিক। আমার শ্বশুর অনেক সম্পদের মালিক ছিলেন। কিন্তু তার সৎ ভাইয়েরা জালিয়াতি করে সব সম্পদ লুটে নেয়। পরবর্তীতে মামলা মোকদ্দমা করেও তার কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় আমার শ্বশুর ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারটি বেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো সম্পদই তার অবশিষ্ট নেই। পরিবারের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮ জন। এদের মধ্যে ৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাকি ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বড় ছেলে স্বল্প বেতনে শিক্ষকতা করে এবং মাত্র এক হাজার টাকা পরিবারে খরচ হিসেবে দেয়। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের অবস্থা ভাল। আমার শ্বশুরের আত্মীয়স্বজন আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তারা আমার শ্বশুর বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে দুই ঈদে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকে। সাহায্যের ধরন থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, তাদেরকে যাকাতের টাকা দ্বারা সাহায্য করা হয়।

আমার জানার বিষয় হল, আমরা যেহেতু উভয়েই নেসাবের মালিক তাই আমাদের জন্য শ্বশুর বাড়ির খাবার-দাবার কি বৈধ? সেখান থেকে আমাদেরকে কোনো কিছু দিলে তা নেওয়া যাবে কি? যদি না হয় তাহলে আমরা যদি সেখানে বেড়াতে যাই তখন আমাদের করণীয় কী?


Answer

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের জন্য যাকাত গ্রহণ করা জায়েয। তারা যাকাত হস্তগত করার পর এ থেকে আপনাদেরকে কোনো কিছু হাদিয়া দিলে কিংবা দাওয়াত করে খাওয়ালে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে। কেননা যাকাত গ্রহণের যোগ্য ব্যক্তি যাকাত হস্তগত করার পর তা তার নিজস্ব মাল হয়ে যায়। তা যাকাতের মালের হুকুমে থাকে না। অতএব তারা নিজেদের অন্যান্য সম্পদের মতো এই টাকা থেকেও ধনী-গরিব যে কাউকে দাওয়াত দিতে পারবে এবং ধনীদের জন্য তা গ্রহণ করা বৈধ হবে।

-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫০৯৭; ফাতহুল বারী ৫/২৪৩; শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৯৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/২০৩; উমদাতুল কারী ৯/৯২; বাযলুল মাজহূদ ৮/১৯৮; আলইসতিযকার ৫/৭৪; মানাসিক ৩৯৩

Read more Question/Answer of this issue