Rabiul Auwal 1436 || January 2015

মুহাম্মাদ আবদুল মালেক - ধানমন্ডি, ঢাকা

৩২৮৯. Question

আমার পিতার ইন্তেকালের সময় তার একজন স্ত্রী জীবিত ছিলেন। তবে পিতার জীবদ্দশাতেই তার আরো দুইজন স্ত্রী ইন্তেকাল করেন। পিতার মৃত্যুর সময় জীবিত স্ত্রীর এক ছেলে, মৃত স্ত্রী খোদেজা খাতুনের ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং অপর মৃত স্ত্রী তমিজা খাতুনের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে যান। তারা সবাই আমার পিতারই ঔরসজাত। ২০০৭ সালে ওয়ারিসদের মাঝে মিরাস বণ্টন করা হয়েছে এবং মৃতের অপর দুই স্ত্রী আগেই ইন্তেকাল করার কারণে তাদেরকে কোনো অংশ দেওয়া হয়নি।

কিন্তু কিছুদিন আগে একজন বললেন, উপরোক্ত দুই স্ত্রী মৃতের আগে ইন্তেকাল করলেও তারা মৃতের ওয়ারিস হবে এবং জীবিত স্ত্রীর সাথে তারাও মিরাস পাবে। আর তাদের অংশটুকু তাদের সন্তানরা লাভ করবে।

এর ফলে আমাদের মাঝে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ বিষয়ে শরীয়তসম্মত সমাধান কামনা করছি।

 


Answer

প্রশ্নোক্ত অবস্থায় মৃতের বর্তমান স্ত্রী এককভাবে মৃতের সমুদয় সম্পদের এক-অষ্টমাংশ পাবে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের (স্ত্রীদের) জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পদের এক-চতুর্থাংশ। আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের (স্ত্রীদের) জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পদের এক-অষ্টমাংশ; তোমরা যা অসিয়ত করবে তা দেওয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর।-সূরা নিসা (৪) : ১২

প্রকাশ থাকে যে, মৃতের পূর্বে কোনো ওয়ারিস মৃত্যুবরণ করলে সে মৃতের ওয়ারিস হয় না। কেননা ওয়ারিস ঐ ব্যক্তিকেই বলা হয়, যে সংশ্লিষ্ট লোকের মৃত্যুর সময় জীবিত থাকে। তাই এক্ষেত্রে মৃতের পূর্বে মৃত্যুবরণকারী দুই স্ত্রী স্বামীর সম্পদের অংশিদার হবে না। সুতরাং তাদের সন্তানদের জন্য মার অংশ দাবি করা অবৈধ হবে। প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী মৃতের সমুদয় সম্পদে তার জীবিত ওয়ারিসগণ নিম্নবর্ণিত হারে হিস্যা পাবেন-

১। স্ত্রী =  শতকরা ১২.৫ ভাগ।

২। প্রত্যেক ছেলে = শতকরা ৭.৯৫৪ ভাগ।

৩। প্রত্যেক মেয়ে = শতকরা ৩.৯৭৭ ভাগ।

সুতরাং এ অনুযায়ী সকলের মাঝে সম্পদ বণ্টন করা হয়ে থাকলে কারো জন্য আপত্তি করা ঠিক হবে না। আর এক্ষেত্রে পূর্বে মৃত্যুবরণকারীনী স্ত্রীদের জন্য অংশ দাবি করার শরয়ী বা আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

-সূরা নিসা (৪) : ১২; আহকামুল কুরআন জাসসাস ২/৮০; রদ্দুল মুহতার ৬/৭৫৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ৪/৩৬৪

Read more Question/Answer of this issue