মুহাম্মাদ আশরাফুজ্জামান - রায়েরবাগ, ঢাকা
১৮৬০. Question
আমার ব্যস্ততার কারণে কখনো দ্রুত নামায পড়তে গিয়ে রুকু সিজদায় তাসবীহ তিনবার পড়া হয় না; বরং কম হয়ে যায়। এতে নামাযে কোনো সমস্যা হবে কি? আবার কখনো জামাতে নামায পড়তে গিয়ে ইমামের সাথে রুকুতে শরিক হই। তখন দেখা যায় একবার বা দু’বার তাসবীহ পড়তেই ইমাম উঠে যান। তখন কী করণীয়?
Answer
রুকু সিজদায় কমপক্ষে তিনবার তাসবীহ পড়া সুন্নত। ইচ্ছাকৃত তিনবারের কম তাসবীহ পড়া সুন্নত পরিপন্থী। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর ঐ ব্যক্তি, যে নামাযে চুরি করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, নামাযে কীভাবে চুরি করে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নামাযের রুকু, সিজদা ঠিকভাবে আদায় না করা (ই হচ্ছে নামায চুরি করা) - মুসনাদে আহমদ ৩/৫৬। সুতরাং একাকী নামাযে এবং জামাতে উভয় ক্ষেত্রে অন-ত: তিনবার তাসবীহ পড়বে। তবে তিনবার পড়ার পূর্বেই যদি ইমাম উঠে যান তাহলে ইমামের অনুসরণের জন্য মুক্তাদীও উঠে যাবে। কারণ ইমামের অনুসরণ করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ইমামের সাথে যতবার তাসবীহ পড়া যায় তাই যথেষ্ট। তিনবার পুরো করা লাগবে না।
মুসনাদে আহমদ ৩/৫৬; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ২৮২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৯৪ ইমামের সঙ্গে রুকুতে শরিক হওয়া : ফাতাওয়া খানিয়া ১/৯৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৯৫