Muharram 1436 || November 2014

মুহাম্মাদ আলআমীন - কুতুবখালী, যাত্রাবাড়ি

৩২২৭. Question

 

আমার মামা এক ব্যক্তির নিকট পাঁচ হাজার টাকা আমানত রাখেন। সে তা যথাযথভাবে হেফাযত করে। কিন্তু কয়েকদিন পর তা চুরি হয়ে যায়। চোর আলমারির লক ভেঙ্গে টাকাগুলো নিয়ে গেছে। এরপর লোকটি মামাকে বিষয়টি জানিয়ে বলে, যেহেতু টাকাগুলো আমার কাছ থেকে চুরি হয়েছে তাই আমি তোমাকে প্রত্যেক মাসে অল্প অল্প করে তা পরিশোধ করে দিব। এরপর লোকটি তিন মাসে ২৫০০/- টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু এখন সে আর টাকা দিচ্ছে না। প্রশ্ন হল, তার জন্য কি বাকি টাকা পরিশোধ করা জরুরি? আমানতদাতা কি তার নিকট বাকি টাকা দাবি করতে পারবে?


 

Answer

আমানতের অর্থ যথাযথ সংরক্ষণের পর তা চুরি হয়ে গেলে আমানতগ্রহীতাকে এর জরিমানা দিতে হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির জন্য আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া জরুরি ছিল না এবং আপনার মামার জন্যও চাপ প্রয়োগ করে তার থেকে ঐ টাকা নেওয়া জায়েয হবে না। আর লোকটি যে ২৫০০/- টাকা পরিশোধ করেছে। দেখতে হবে সে ঐ টাকা কী বুঝে দিয়েছে? যদি মনে করে যে, ঐ টাকা আদায় করা শরীয়তের দৃষ্টিতে তার জন্য আবশ্যকীয় ছিল তবে সেক্ষেত্রে তাকে ঐ টাকা ফেরত দিতে হবে। আর যদি সঠিক মাসআলা জানার পরও সে সতঃস্ফূর্তভাবেই টাকাগুলো দিয়ে থাকে তবে তা খরচ করা আপনার মামার জন্য জায়েয হবে। আর অবশিষ্ট টাকা সে দিতে না চাইলে তার থেকে চাওয়া বা চাপ দিয়ে নেওয়া জায়েয হবে না।

-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩১৪; বেনায়া ১২/৪৩৪-৫; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৬৪

Read more Question/Answer of this issue