Shawal 1434 || August 2013

আবুল কালাম - নেত্রকোনা

২৯০৪. Question

আমাদের এলাকার এক ওয়ায়েয  বললেন, কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে প্রবেশ করে নামাযের জন্য অপেক্ষা করা অবস্থায় এ দুআটি পড়ে তাহলে তার অপেক্ষার সময়টি নামাযের মধ্যে গণ্য হবে। দুআটি হল :

أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.

 কিন্তু ইতিপূর্বে বিভিন্ন আলেমের মুখ থেকে শুনেছি যে, মসজিদে শুধু নামাযের জন্য অপেক্ষা করলেই অপেক্ষার সময়টি নামাযের মধ্যে গণ্য হয়ে যায়। সেখানে তো কোনো দুআ পড়ার কথা নেই।

বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

Answer

প্রশ্নোক্ত ওয়ায়েযের কথাটি ঠিক নয়। বরং এ ব্যাপারে আপনি আলেমগণ থেকে যা শুনেছেন তাই সঠিক। অর্থাৎ মসজিদে এসে বেহুদা কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে নামাযের জন্য অপেক্ষা করলেই নামাযের সওয়াব হতে থাকে।  এর জন্য উক্ত দুআ পাঠ করার শর্ত নেই। কেননা হাদীস শরীফে কোনো প্রকার দুআ পড়ার শর্ত ছাড়াই ঐ ফযীলতের কথা এসেছে। যেমন : সাহল বিন সাদ রা. বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি মসজিদে এসে নামাযের অপেক্ষা করবে (ঐ সময়টি) সে নামাযে আছে বলে গণ্য হবে।-সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৭৩৩

আর শুধু এ অপেক্ষার দ্বারাই উক্ত ফযীলত লাভ হলেও এর অর্থ এ নয় যে, ঐ সময় কোন যিকির-আযকার বা দুআ-দরূদ পড়া যাবে না; বরং চুপ-চাপ বসে না থেকে যিকির-আযকার ও তাসবীহ-তাহলীল পড়া উচিত। বিশেষত সুন্নাত আদায়ের পর হাদীস শরীফে যে সকল দুআ-দরূদ পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে তা পড়া উত্তম হবে। যেমন : একটি বর্ণনায় এসেছে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সুন্নত আদায়ের পর নিম্নোক্ত দুআটি তিনবার পড়তেন। সম্ভব হলে তখন সেটি পড়বেন দুআটি এই :

اَللّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ وَمُحَمَّدٍ صَلّىٰ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ.

মুস্তাদরাক হাকেম ৬৬৬৯

 

প্রকাশ থাকে যে, প্রশ্নে উল্লেখিত দুআটি একটি মাসনুন দুআ, যা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশের সময় পড়তেন। আর এ দুআ পড়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি এটি পাঠ করবে শয়তান তার ব্যাপারে ঘোষণা দেয় যে, এ ব্যক্তি গোটা দিনের জন্য আমার থেকে রক্ষা পেয়ে গেল।

-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৬৬

Read more Question/Answer of this issue