Shawal 1434 || August 2013

মুহাম্মাদ সালমান মানসুর - হোমনা, কুমিল্লা

২৮৯৫. Question

সাজ্জাদ সাহেব সরকারি চাকুরিজীবী এক ছেলের সাথে তার মেয়ে বুশরার বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু মেয়ে বলল, আমি এ বিয়ে করব না। সাজ্জাদ সাহেব মেয়ের কথা শুনে বললেন, তুমি যদি এ বিয়েতে রাযি না হও তাহলে আমার মরামুখ দেখবে। মেয়েটি বাবার এ কথা শুনে বিয়েতে রাযি হয়। সাজ্জাদ সাহেব মেয়েকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দেন। মেয়েটি এখন ঐ ছেলের সংসার করছে। প্রশ্ন হল, সাজ্জাদ সাহেব তো মেয়েকে এক ধরনের জোর করেই বিয়ে দিলেন। এভাবে জোর করে বিয়ে দেওয়ার কারণে কি উক্ত বিবাহ সহীহ হয়েছে? প্রমাণাদির আলোকে জানালে উপকৃত হব।

Answer

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু মেয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাযি হয়ে গিয়েছিল তাই উক্ত বিবাহ সহীহ হয়েছে। তবে পিতার জন্য এভাবে মেয়ের পছন্দের বাইরে পাত্রকে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। অভিভাবকদের কর্তব্য হল, বিয়েতে ছেলে-মেয়ের মতামতেরও মূল্যায়ন করা। আর মেয়েদেরও কর্তব্য হল, পিতামাতা তাদের জন্য উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন করলে অমত না করে তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নেওয়া।

 

হাদীস শরীফে এসেছে, একজন নারী রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা তার ভাতিজার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছেন, (অথচ বিষয়টিতে আমি রাযি নই) তখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি মেয়েটির ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিলেন। তখন মেয়েটি বলল, আমার পিতার এ কাজকে আমি সমর্থন করলাম। কিন্তু আমি তা এজন্য করেছি যে, যাতে করে মুসলিম নারীরা অবগত হয় যে, (তাদেরকে তাদের অমতে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে)  তাদের পিতাদের কোনো অধিকার নেই।

-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৭৪ (হাদীসটির সনদ সহীহ); হাশিয়াতুশ শিলবী ২/৪৯৫; রদ্দুল মুহতার ৩/২১; ফাতাওয়া আলওয়ালওয়ালিজিয়াহ ১/৩১১

Read more Question/Answer of this issue