ঈসা আবদুল্লাহ - নেত্রকোণা

৪২৭৪. Question

আমার একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপ আমার এক প্রতিবেশীর নিকট ৪০,০০০/- টাকায় বিক্রি করেছিলাম। তিনি ২০,০০০/- টাকা নগদ দিয়েছেন। আর বাকি ২০,০০০/- টাকা পরিশোধের জন্য দুই মাস সময় নিয়েছেন। কিন্তু দুই মাসে মাত্র ১৪,০০০/- টাকা পরিশোধ করতে পেরেছেন এবং এক মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন। ঘটনাক্রমে সেই মাসেই পারিবারিক কলহের মামলায় আসামী হয়ে আত্মগোপন করেন। এর কিছুদিন পর আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বলেন যে, আমি বাকি ছয় হাজার টাকা মনে হয় পরিশোধ করতে পারব না। তুমি চাইলে ল্যাপটপটি ৩০,০০০/- টাকায় কিনে নিতে পারো এবং তোমাকে পরিশোধ করা ৩৪,০০০/- টাকার মধ্যে ৪০০০/- টাকা রেখে বাকি ৩০,০০০/- টাকা আমার স্ত্রীর নিকট পৌঁছে দিও। ল্যাপটপটি আমার বাড়িতেই রাখা আছে। জানার বিষয় হল, আমি কি আমার ল্যাপটপটি তার নিকট হতে পুনরায় ক্রয় করতে পারব?

 

Answer

ল্যাপটপটির আংশিক মূল্য যেহেতু বাকি আছে তাই এ অবস্থায় বিক্রিত মূল্যের চেয়ে কমদামে আপনার জন্য ল্যাপটপটি ক্রয় করা জায়েয হবে না। লোকটি বাকি টাকা পরিশোধে অক্ষম হলে এবং আপনি ল্যাপটপ নিতে চাইলে গৃহিত পূর্ণ মূল্য ফেরৎ দিয়ে তা নিতে পারবেন।

-মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, হাদীস ১৪৮১২; আলমুহীতুল বুরহানী ৯/৩৮১; বাদায়েউস সনায়ে ৪/৪২৬; ফাতহুল কাদীর ৬/৬৮; আলবাহরুর রায়েক ৬/৮৩; রদ্দুল মুহতার ৫/৭৪

Sharable Link

মুহাম্মাদ খালেদ - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৪২৭৫. Question

আমাদের গ্রামে মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কখনো আমাদের গ্রামেরই দুই দলের মাঝে, কখনো অন্য গ্রামের দলের সাথে। তো খেলা শুরুর আগেই প্রত্যেক খেলোয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখে। খেলায় যে দল বিজয়ী হয় সেই দলকে পূর্ণ জমা টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। সকলের সম্মতিতেই এটি হয়। আমাদের জানামতে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সেদিন আমার ভার্সিটির এক দ্বীনদার বন্ধু বলল, এটি নাকি জায়েয নেই। তার কথা শুনে আমি একটু দ্বিধায় আছি। মুফতী সাহেবের কাছে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত জানতে চাই।

 

Answer

আপনার ঐ বন্ধু ঠিকই বলেছেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের থেকে টাকা নিয়ে তা বিজয়ী দল বা ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া নাজায়েয। এটি এক ধরনের কিমার তথা জুয়া। তাই এমনটি  করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে প্রতিযোগীদের বাইরের কেউ যদি বিজয়ী দল বা অন্য কাউকে পুরস্কারস্বরূপ কোনো কিছু দেয় তবে এই পুরস্কার দেওয়া ও গ্রহণ করা জায়েয হবে।

প্রকাশ থাকে যে, মুসলমানদের খেলাধুলা তথা শরীরচর্চা ও বিনোদন অবশ্যই শরীয়তসম্মত পন্থায় হওয়া আবশ্যক। শরীয়তসম্মত না হলে সে খেলায় কোনোভাবেই পুরস্কার দেওয়া বৈধ নয়। কেননা এতে নাজায়েয কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

-সূরা মায়েদা (৫) : ৯০; তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/১৪৬; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৭/৩৬৯; খুলাছাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৭১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০২

Sharable Link

মুহাম্মাদ মকবুল হোসেন - কলাতিয়া, কেরাণীগঞ্জ

৪২৭৬. Question

আমি ধানের ব্যবসা করি। নিজে কিছু ধান চাষ করি। আর ধান কাটার কয়েকদিন আগে যখন খেতে ধান পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন কিছু খেতের ধান গাছসহ ক্রয় করে নিই। কথা থাকে ১০/১২ দিন পর ধান কাটার সময় হলে ধান কেটে নেব। নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে দেই। আর সময়মত ধান কেটে নেই। এভাবে ব্যবসা করতে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে কি?

 

Answer

ধান হয়ে যাওয়ার পর জমিতে থাকা অবস্থায় গাছসহ তা ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। সুতরাং এভাবে ধান ক্রয় করে সময় হওয়ার পর তা কেটে নিলে কোনো সমস্যা হবে না।

-ফাতহুল কাদীর ৫/৪৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১০৬; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৮৪; শরহুল মাজাল্লা, আতাসী ২/৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৫৫৬; কেফায়াতুল মুফতী ১১/৯৫

Sharable Link

মাসরুর আদনান - লালমনিরহাট

৪২৭৭. Question

আমাদের এলাকায় ধানের উপর টাকা নেওয়ার প্রচলন রয়েছে। অর্থাৎ ধানের মৌসুমের শুরুতে চাষিরা নগদ টাকার প্রয়োজনে অগ্রিম ধান বিক্রি করে নগদ টাকা নেয়। আর ধান কাটার পর তা পরিশোধ করে। এলাকায় আমাদের একটি সমিতি রয়েছে। সে সমিতির টাকা থেকে আমরাও একজন হতে ৫০০ টাকা দরে ২০ মন ধান কিনেছিলাম। ধান কাটার পর তিনি আমাদেরকে ১০মন ধান দিয়ে বললেন, এবার ধান কম হয়েছে তাই পুরোটা পরিশোধ করতে পারবো না।

আমরা চাপ প্রয়োগ করলে সে বাকি ধানের পরিবর্তে একটি বকরীর বাচ্চা দিতে চাচ্ছে। যার আনুমনিক মূল্য ৬-৭ হাজার টাকা। আমাদের সমিতির সবাই বিষয়টিতে সম্মত রয়েছে।

জানার বিষয় হল, এভাবে ধানের পরিবর্তে বকরীর বাচ্চা নেওয়া জায়েয হবে কি না?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অবশিষ্ট ধানের পরিবর্তে বকরীর বাচ্চা নেওয়া জায়েয হবে না। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

مَنْ أَسْلَفَ فِي شَيْءٍ فَلَا يَصْرِفْهُ إِلَى غَيْرِهِ.

যদি কেউ কোনো পণ্য অগ্রিম মূল্য দিয়ে ক্রয় করে তাহলে  সে যেন ক্রয়কৃত পণ্যের পরিবর্তে অন্যকিছু গ্রহণ না করে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৬৮

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন,

إِذَا سَلّفْتَ فِي شَيْءٍ فَلَا تَأْخُذْ إِلّا رَأْسَ مَالِكَ أَوِ الّذِي سَلّفْتَ فِيهِ.

যদি তুমি অগ্রিম মূল্যে কোনো পণ্য ক্রয় কর তাহলে সে বস্তুটিই গ্রহণ কর অথবা (ঐ বস্তু দিতে সক্ষম না হলে) যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলে তা নিয়ে নাও। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৪১০৬)

অতএব, ধানের পরিবর্তে বকরী নেওয়া যাবে না। নিয়ে থাকলে তা ফেরত দিয়ে পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী ধানই নিতে পারবে। বিক্রেতা চাইলে বাজার থেকেও নির্ধারিত পরিমাণ ধান কিনে দিতে পারবে। আর ধান না নিলে মূল টাকাই ফেরত নিবে। এর বিনিময়ে অন্য কিছু নেওয়া বা অতিরিক্ত টাকা নেওয়া জায়েয হবে না।

-কিতাবুল আছল ২/৩৮১; আলমাবসূত, সারাখসী ১২/১৪৯; বাদায়েউস সনায়ে ৪/৪৩৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৮৬; আদ্দুররুল মুখাতার ৫/২১৯

Sharable Link

সুহাইল হায়দার - আদিতমারী, লালমনিরহাট

৪২৭৮. Question

আমি একজন অটো চালক। গ্রামে ভাড়ায় অটো চালাই। ভাড়া বাবদ মালিককে ৩০০ টাকা করে দৈনিক দিতে হয়। গরমের মৌসুমে আমাদের এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুত চলে যায়। যার কারণে অটোতে ভালভাবে চার্জ হয় না। তাই গ্রামের অটোচালকরা সকলে মিলে জেনারেটরের মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

জেনারেটরের মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার কারণে বিদ্যুতের তুলনায় অনেক বেশি খরচ হয়। এতে মালিকের ভাড়ার টাকা ও চার্জ-বিল পরিশোধের পর কামাই বলতে তেমন কিছু থাকে না।

তাই আমি আমার মালিকের সাথে এভাবে চুক্তি করেছি যে, জেনারেটরের চার্জ-বিল বাদ দিয়ে সারাদিনের কামাইয়ের যা অবশিষ্ট থাকবে তা আমরা সমান দুই ভাগে বণ্টন করে নিব। আমার প্রতি মালিকের আস্থা থাকায় তিনি এতে সম্মত হয়েছেন।

হুযুরের নিকট জানতে চাচ্ছি উক্ত পদ্ধতিটি কি বৈধ হবে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অটোমালিকের সাথে আপনার উক্ত চুক্তি বৈধ হয়নি। কেননা চালকের জন্য মালিকের সাথে লভ্যাংশ বণ্টনের চুক্তি করা বৈধ নয়। চালক যদি অটো ভাড়ায় নেয় তাহলে মালিক তার অটোর নির্ধারিত ভাড়াই পাবে। আর এর অতিরিক্ত যা থাকবে তা চালক পাবে। অতএব আপনার করণীয় হল, নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে অটো ভাড়া নেওয়া। দুই-এক মাস জেনারেটরের বিল দেয়ায় আপনার নিজের অনুমান হয়ে যাবে কত টাকা ভাড়া দিলে আপনার জন্য অটো চালানো লাভজনক হবে। সে হিসেবেই মালিককে রাজি করে অটো ভাড়া নিতে চেষ্টা করবেন।

প্রকাশ থাকে যে, এ ক্ষেত্রে অটোমালিক চাইলে আপনার সাথে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের ভিত্তিতেও চুক্তি করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবেন। আর অটোর সকল আয় মালিক পাবে।

-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৫০৯৫; কিতাবুল আছল ৪/১৪০; আলমাবসূত, সারাখসী ২২/৩৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৪; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা: ৪৫০

Sharable Link

আবু সাইফুল্লাহ - গাজীপুর

৪২৭৯. Question

এক কোম্পানী তাদের মাল বিক্রির জন্য ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। কোম্পানী জামানত সরূপ ডিলারদের নিকট হতে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) করে টাকা চেয়েছে। হিসাব করে দেখা গেছে পণ্য বিক্রির পর প্রত্যেক পণ্য হতে ডিলারের ৭ টাকা করে লাভ থাকবে। একজন ডিলার তার নিকট জামানতের টাকা না থাকায় আমার নিকট ৫০,০০০/- টাকা ঋণ চেয়েছেন। আমি তাকে বলেছি, টাকা দিতে পারি এই শর্তে যে, প্রত্যেক বিক্রিকৃত পণ্য হতে আমাকে ১ টাকা করে লাভ দিবেন।

আমি সম্মানিত মুফতী সাহেব হতে জানতে চাই উক্ত পদ্ধতিতে আমার টাকা দেয়া শরীয়তসম্মত হবে কি না? যদি না হয় তাহলে এমন কোনো পদ্ধতি আছে কি না, যে পদ্ধতিতে টাকা দিলে আমিও কিছু লাভবান হতে পারি।

 

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ডিলারের জামানতের জন্য ঋণ প্রদাণ করে বিনিময়ে লাভের নামে কিছু নেওয়া জায়েয হবে না। এটি সুস্পষ্ট সুদ ও হারাম বলে গণ্য হবে। তাই এ ধরনের চুক্তি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

-আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী ৫/৩৫০; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬

Sharable Link

সাজিদুল ইসলাম - হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ

৪২৮০. Question

আমি একদিন মুরগি জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলার পর একজনকে বললাম, ‘ভাল করে ধর’ জবাইয়ের পর উপস্থিত একজন বলে উঠল, বিসমিল্লাহ বলার পর কথা বলার কারণে বিসমিল্লাহ বাতিল হয়ে গেছে। আর নতুন করে বিসমিল্লাহ না বলে জবাইয়ের কারণে মুরগিটি খাওয়া হালাল হবে না। মুফতী সাহেবের কাছে জানার বিষয় হল, তার কথা কি ঠিক? এই মুরগিটি কি খাওয়া যাবে না?

 

 

Answer

না, ঐ ব্যক্তির কথা ঠিক নয়। উক্ত ক্ষেত্রে পুনরায় বিসমিল্লাহ না বললেও জবাই সহীহ হয়েছে এবং সে মুরগিটি খাওয়া যাবে। কারণ বিসমিল্লাহ বলার পর দু-একটি কথা বললে কোনো সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে জবাই সহীহ হবে। এছাড়া এখানে আপনি যে ছোট বাক্যটি বলেছেন তা ছিল জবাই সংক্রান্ত। ভিন্ন কোনো কথা বলেননি। অবশ্য জবাইকারী ব্যক্তি যদি বিসমিল্লাহ বলার পর দীর্ঘ সময় কথা বলে কিংবা ভিন্ন কোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় তাহলে এক্ষেত্রে নতুন করে বিসমিল্লাহ বলা জরুরি। আগের বলা ধর্তব্য হবে না।

-কিতাবুল আছল ৫/৩৯৮; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৬৯; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৬/৩০৭; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৬৮; রদ্দুল মুহতার ৬/৩০২

Sharable Link

খাইরুল বাশার - হোমনা, কুমিল্লা

৪২৮১. Question

মুহতারাম, ঈদের ক’দিন পূর্বে কুরবানীর জন্য একটি গাভী ক্রয় করি। কিন্তু পরে বুঝতে পারি যে, এটি গর্ভবতী এবং প্রায় প্রসব আসন্ন। ফলে অন্যান্য শরীকগণ এটা কুরবানী দিতে অপছন্দ করে। তাই আমরা অন্য একটি পশু ক্রয় করে কুরবানী করি। এখন জানার বিষয় হল, দ্বিতীয় পশু দ্বারা কুরবানী কি সহীহ হয়েছে? গর্ভবতী পশুর কুরবানীর বিধান কী? আর প্রথম পশুটা কি আমরা বিক্রি করতে পারব? জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

Answer

প্রসব আসন্ন গর্ভবতী পশুটি কুরবানী না করে ঠিকই করেছেন। কেননা এধরনের পশু কুরবানী করা মাকরূহ। আর এ অবস্থায় অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করা সহীহ হয়েছে। যেহেতু অন্য পশু কুরবানী করেছেন তাই এ পশুটি চাইলে বিক্রিও করতে পারেন বা নিজেরাও রেখে দিতে পারেন। তবে দ্বিতীয় পশুর মূল্য যদি প্রথম পশুর চেয়ে কম হয়ে থাকে তাহলে যে পরিমাণ টাকা কম হয়েছে সে পরিমাণ টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম হবে।

-আলমাবসূত, সারাখসী ১২/১৩; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৬৭; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬০; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৭৮

Sharable Link

আব্দুল আলীম - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৪২৮২. Question

জনাব, আমাদের দেশে এবং দেশের বাহিরেও অনেক লোককে দেখা যায় যে, তারা আবা পরিধান করে। অধিকাংশ ব্যবহারকারীকে দেখা যায় যে তাদের টাখনুর নিচে ঝুলে থাকে। অথচ আমরা জানি যে, টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা নিষেধ। আবা কি এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়?
 

Answer

আবাসহ সব ধরনের পোষাকই পুরুষের জন্য টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা নাজায়েয। একটি হাদীসে লুঙ্গি, জামা এবং পাগড়িকেও টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরতে নিষেধ করা হয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

الْإِسْبَالُ فِي الْإِزَارِ، وَالْقَمِيصِ، وَالْعِمَامَةِ، مَنْ جَرّ مِنْهَا شَيْئًا خُيَلَاءَ، لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

লুঙ্গি, জামা এবং পাগড়ির ক্ষেত্রে (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে পরার একই বিধান। যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি অহংকার বশত (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে পরবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে দৃষ্টি দিবেন না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪০৯১)

এছাড়া বিভিন্ন হাদীসেও এ ব্যাপারে কঠিন ধমকি এসেছে। তাই পুরুষের জন্য শরীরের কোনো কাপড় যেন টাখনুর নিচে চলে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

-মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ৩৩৯০; শরহে মুসলিম, নববী ১৪/৬২; আলইসতিযকার ৭/৩১৪; বযলুল মাজহুদ ১৬/৪২৪

Sharable Link