মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম - দিনাজপুর

২৬১৪. Question

 

আমি কুরবানীর পশু খরিদ করার জন্য হাটে যাই। অসতর্কতাবশত একটি গরুর পায়ের নিচে পা পড়ে আমার পায়ের অগ্রভাগ মারাত্মক যখম হয়। ডাক্তার ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। তিনি ব্যান্ডেজ খোলা ও সেখানে পানি লাগাতে নিষেধ করেছেন। এ অবস্থায় আমি কীভাবে অযু করব?


 

Answer

প্রশ্নোক্ত অবস্থায় সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অযু-গোসলের জন্য এ ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করবেন এবং পায়ের অবশিষ্ট সুস্থ অংশটুকু সম্ভব হলে অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় ধুয়ে নিবেন। আর যদি তা ধুতে গেলে ব্যান্ডেজ ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে তার উপরও মাসেহ করবেন।

-সুনানে বায়হাকী ১/২২৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৫৭; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯০; শরহুল মুনইয়া ১১৬-১১৭; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৭

Sharable Link

মুহাম্মাদ রকিুবল ইসলাম - রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ

২৬১৫. Question

 

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব মাসআলা বলেছেন যে, তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তিনবার বলা মুস্তাহাব। কিন্তু অন্য এক আলিমকে বলতে শুনেছি, তিনবার বলা সুন্নত পরিপন্থী, বিদআত। জানার বিষয় হল, মূলত তাকবীরে তাশরীক তিনবার বলা সুন্নত, না মুস্তাহাব? সাহাবায়ে কেরাম কতবার তাকবীর বলতেন? তাদের থেকে তিন তাকবীর বলা প্রমাণিত আছে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।


 

Answer

 

৯ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ যিলহজ্ব আসরসহ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার তাকীবরে তাশরীক তথা- 

الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد. 

বলা ওয়াজিব। এই তাকবীর তিনবার বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। সাহাবায়ে কেরাম রা. কীভাবে তাশরীকের দিনগুলোতে তাকবীর বলতেন তা হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে একাধিকবার তাকবীরের কথা উল্লেখ নেই।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৮, ৫৬৯৯; আলআওসাত, হাদীস : ২১৯৮, ২২০০

তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, সাহাবায়ে কেরাম আরাফার দিন নামাযের পর উক্ত তাকবীর বলতেন।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৬

অবশ্য কোনো কোনো সাহাবী থেকে তাকবীরে তাশরীকের সাথে অন্য কিছু মিলিয়ে পড়ার বর্ণনাও পাওয়া যায়। যেমন হযরত ইবনে উমর রা. তাকবীরে তাশরীকের আগে তিনবার আল্লাহু আকবার বলতেন।-আলআওসাত, হাদীস : ২২০১

আর পূর্ণ তাকবীরে তাশরীক তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফিকহবিদগণও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেন না। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়।

 

-আলআওসাত, হাদীস : ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫

Sharable Link

মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ - মাধবপুর, হবিগঞ্জ

২৬১৬. Question

 

খতম তারাবীর ইমামতি করে বিনিময় বা হাদিয়া নেওয়া জায়েয় কি না? এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন দিলে জায়েয হবে কি না? কেউ কেউ বলেন, ফরয নামাযের ইমামতির বিনিময় গ্রহণ যখন জায়েয তাই খতম তারাবীর বিনিময় গ্রহণও জায়েয হবে। এছাড়া হাফেয সাহেবকে যদি দু এক ওয়াক্ত ফরয নামাযের দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে তো নাজায়েয হওয়ার প্রশ্নই থাকে না। তাদের একথা ঠিক কি না? ইমামতির হীলা হোক বা অন্য কোনো উপায়ে তারাবীর বিনিময় বৈধ হবে কি না? দলিল-প্রমাণসহ বিস্তারিত জানতে চাই।


 

Answer

 

খতম তারাবীর বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই  নাজায়েয। হাদিয়ার নামে দিলেও তা জায়েয হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসেবে দিলেও জায়েয নয়। কারণ এক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন তারাবীহ এবং খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত। মোটকথা, খতম তারাবীর বিনিময় গ্রহণের জন্য কোনো হীলা অবলম্বন করলেও তা জায়েয হবে না। কারণ খতম তারাবী খালেস একটি ইবাদত, যা নামায-রোযার মতো ইবাদতে মাকসূদার অন্তর্ভুক্ত। আর এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় বা বেতন দেওয়া-নেওয়া উম্মতে মুসলিমার ঐক্যমতের ভিত্তিতে নাজায়েয। এতে না কোনো মাযহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকীহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। 

ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েয। কিন্তু খতম তারাবীর বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না। বরং তা মূলত কুরআন খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে। আর তেলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকীহের নিকট হারাম। অধিকন্তু পরবর্তী ফকীহগণ যে ইমামতির বেতন জায়েয বলেছেন সেটা হল ফরয নামাযের ইমামতি। সুন্নত নামাযের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়। 

আর হাফেযদের দেওয়া বিনিময়কে জায়েয করার জন্য এই হীলা অবলম্বন করা যে, শুধু রমযান মাসের জন্য তার উপর দু এক ওয়াক্ত নামাযের ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হবে-এটা একটা বাহানামাত্র। যা পরিহার করা জরুরি। কারণ এই হীলার অর্থ হল যে, এ বিনিময়টা তাকে ফরয নামাযের ইমামতির জন্য দেওয়া হচ্ছে। আর খতম তারাবী সে বিনিময়হীনভাবেই করে দিচ্ছে। কিন্তু নিজের মনকে একটু প্রশ্ন করে দেখুন, যদি ওই হাফেয সাহেব তার দায়িত্বে অর্পিত ফরয নামাযের ইমামতি যথাযথ গুরুত্বের সাথেই আদায় করেন, কিন্তু খতম তারাবীর ইমামতি না করেন তবে কি তাকে ওই বিনিময় দেওয়া হত? এ কথা সুস্পষ্ট যে, কখনো তা দেওয়া হত না। বোঝা গেল, বিনিময়টা মূলত খতম তারাবীর, ফরযের ইমামতির নয়।

এজন্যই আকাবিরদের অনেকে এই হীলা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর দলিলের ভিত্তিতেও তাঁদের ফতওয়াই সহীহ। দেখুন : ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩২২; ইমদাদুল আহকাম ১/৬৬৪

এ বিষয়ে কিছু হাদীস আছারের অনুবাদ ও ফিকহের কিতাবের উদ্ধৃতি পেশ করা হল।

১. আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন পড়। তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না। এর প্রতি বিরূপ হয়ো না। কুরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ কামনা করো না।-মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮, হাদীস : ১৫৫২৯; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫/২৪০

২. ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা কর। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে।-মুসনাদে আহমদ ৪/৪৩৭, হাদীস : ১৯৯১৭

৩. আবদুল্লাহ ইবনে মাকিল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমযানে লোকদের নিয়ে তারাবীহ পড়লেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ রাহ. তার কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচশ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া এবং দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।

 

-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫/২৩৭, হাদীস : ৭৮২১ আরো দেখুন : ফাতাওয়া শামী ৬/৫৭; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামীদিয়া ২/১৩৭-১৩৮; আলইখতিয়ার লিতালীল মুখতার ২/৬২; শিফাউল আলীল ওয়া বাল্লুল গালীল (মাজমুআ রাসায়েল ইবনে আবেদীন) ১/১৫৪-১৫৫; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩১৫-৩১৯; রাফেউল ইশকালাত আনহুমাতিল ইস্তিজার আলাত্তাআত, মুফতীয়ে আযম হযরত মাওলানা মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ.

Sharable Link

সানাউল্লাহ ইবনে নূরুল ইসলাম - আজিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়

২৬১৭. Question

 

আমি মাইগ্রেনে আক্রান্ত। গত রমযানে একদিন হঠৎ প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হলে আমার প্রচুর পরিমাণে বমি হয়। তারপর একজন (মাওলানা) সাহেবকে মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মুখ ভরে বমি হওয়ার কারণে আপনার রোযা ভেঙ্গে গেছে। মাওলানা সাহেবের উক্ত কথা কি ঠিক? জানিয়ে বাধিত করবেন।


 

 

Answer

ঐ কথা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখভরে বমি হলেও রোযা ভাঙ্গে না। অবশ্য ইচ্ছাকৃত মুখভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে, আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রোযা অবস্থায় (অনিচ্ছাকৃত) বমি হলে কাযা করতে হয় না। আর ইচ্ছাকৃত বমি করলে সে যেন তা কাযা করে নেয়।

-মুসনাদে আহমদ ২/৪৯৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৭৩; কিতাবুল আছল ২/৩১০; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪১; তুহফাতুল ফুকাহা ১/৩৫৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩২৬; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪

Sharable Link

মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম - সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা

২৬১৮. Question

 

আমি একদিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠি এবং তখনো সাহরীর সময় বাকি আছে ধারণা করে সাহরী খেতে থাকি। খাওয়া শেষে জানতে পারি তখন সুবহে সাদিক হয়ে গেছে। জানার বিষয় হল, উপরোক্ত কারণে আমার রোযা সহীহ হবে কি না? না হলে এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।


 

Answer

 

প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় আপনার রোযাটি ভেঙ্গে গেছে, তা সহীহ হয়নি। তাই আপনাকে রোযাটির কাযা আদায় করে নিতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। 

উল্লেখ্য যে, রমযানের কোন রোযা নষ্ট হয়ে গেলেও নিয়ম হল, ঐ দিন ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত রোযাদারের ন্যায় কাটাবে। বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে, তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, যে ব্যক্তি এখনো রাত্র বাকি আছে ভেবে সাহরী খেতে থাকে, অতপর স্পষ্ট হয় যে, তখন সুবহে সাদিক হয়ে গেছে, সে যেন তার রোযাটিকে পূর্ণ করে (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/১৪৯-১৫০, হাদীস : ৯১৩২) এবং হযরত সায়ীদ ইবনে যুবাইর রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি কেউ সুবহে সাদিক হওয়ার পর খানা খেয়ে ফেলে তখন সে যেন ঐ দিন পানাহার থেকে বিরত থাকে এবং অন্য একদিন একটি রোযা কাযা করে নেয়।

 

-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯১৩৪; সুনানে বায়হাকী ৪/২১৬; কিতাবুল আসল ২/১৮৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৫৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫

Sharable Link

মুহাম্মাদ আবু সুফিয়ান - দিনাজপুর

২৬১৯. Question

 

গত রমযানে আমি একদিন অযু করছিলাম। অসতর্কতাবশত সামান্য পরিমাণ পানি পেটে চলে যায়। প্রশ্ন হল, এতে আমার রোযার কি কোনো ক্ষতি হয়েছে? এবং কাযা বা কাফফারা কি আদায় করতে হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।


 

Answer

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী পানি পেটে চলে যাওয়ায় ঐ রোযাটি ভেঙ্গে গেছে। তাই আপনাকে ঐ রোযার কাযা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা লাগবে না।

-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/২৬০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০১

Sharable Link

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ - বি বাড়িয়া

২৬২০. Question

 

আমি একজন শ্বাসকষ্টের রোগী। শীত-গ্রীষ্ম সারা বছর আমাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। রাতে এবং দিনে মোট চার বার ইনহেলার নিতে হয়। তাই জানতে চাই, ইনহেলার নেওয়ার দ্বারা রোযার কোনো ক্ষতি হয় কি না? যদি রোযা ভেঙ্গে যায় তাহলে আমার কী করণীয়? জানালে কৃতজ্ঞ হব।


 

Answer

 

রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। তাই সাহরীর শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয় তবে রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কিন্তু অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে যদি দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হয় তাহলে তখন ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে করণীয় হল : 

১. উক্ত ওজরে দিনের বেলা ইনহেলার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকবে। 

২. পরবর্তীতে রোগ ভালো হলে এর কাযা করে নিবে।

৩. আর ওজর যদি আজীবন থাকে  তাহলে ফিদয়া আদায় করবে।

 

-সূরা বাকারা (২) : ১৮৪; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬৬; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; মাজাল্লা মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী, সংখ্যা : ১০, ২/৩১-৬৫

Sharable Link

মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান - হবিগঞ্জ, সিলেট

২৬২১. Question

 

আমি লোকমুখে শুনেছি যে, রোযা অবস্থায় যদি শরীর থেকে রক্ত বের হয় তাহলে রোযা হালকা হয়ে যায়। এ কথা কি সঠিক? আর সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলে রোযা ভেঙ্গে যায় কি না?


 

Answer

শরীর থেকে রক্ত বের হলে কিংবা সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করলে রোযা ভাঙ্গে না। তবে ইচ্ছা করে এ পরিমাণ রক্ত বের করা ঠিক নয়, যার কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। বা রোযা রাখা বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে।

-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯৩৮, ১৯৪০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৪; বযলুল মাজহূদ ১১/১৭৭; ফতহুল বারী ৪/২০৬

Sharable Link

মুহাম্মাদ ইমরানা হাসান - মুন্সিগঞ্জ

২৬২২. Question

 

রোযা অবস্থায় কাউকে যদি টীকা বা ইঞ্জকশন দেওয়া হয় তাহলে এতে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে? জানালে কৃতজ্ঞ হব।


 

Answer

টিকা বা ইঞ্জেকশন-এর কারণে রোযা ভাঙ্গে না। তবে একান্ত ওজর ছাড়া গ্লুকোজ জাতীয় ইঞ্জেকশন (যা খাবারের  কাজ দেয়) নেওয়া মাকরূহ তাহরিমি।

Sharable Link

মুহাম্মাদ আসআদুদ্দীন - সিলেট

২৬২৩. Question

 

এক ব্যক্তি রমযানের শেষ দশকে ইতেকাফ করেছিল। তিন দিন পর তিনি অযু ইস্তেঞ্জার প্রয়োজন ছাড়া শুধু সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হন এবং মসজিদের অযুখানায় গোসল করেন। জানার বিষয় হল, ইতিকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয আছে কি না? বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হবে কি না?


 

Answer

রমযান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নয়। বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়ার কারণে তার সুন্নত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে গেছে। যেদিন গোসলের জন্য বের হয়েছে ঐ দিনের ইতিকাফ কাযা করে নেওয়া জরুরি। আর এই ইতিকাফটি নফল ইতিকাফ হিসাবে গন্য হবে।

-মারাকিল ফালাহ ৩৮৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১২

Sharable Link

মুহাম্মাদ আবু যর - বি বাড়িয়া

২৬২৪. Question

 

রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ অবস্থায় কেউ শরীয়তসম্মত কোনো প্রয়োজনে যদি বাইরে যায় তাহলে সে কাউকে সালাম ও এর জবাব দিতে পারবে কি না? আমাদের এখানে কেউ কেউ বলেন যে, তার জন্য সালাম দেওয়াও নাকি সহীহ নয়। আবার কেউ বলেন, সালাম দেওয়া যাবে। তাই এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা জানতে চাই।


 

Answer

ইতেকাফকারী কোন প্রয়োজনে মসজিদের বাইরে গেলে সালাম বা সালামের জবাবের জন্য না থেমে রাস্তায় চলতে চলতে কিংবা প্রয়োজনীয় কাজটি সারতে সারতে সালাম ও সালামের জবাব দিতে পারবে। এতে তার ইতেকাফের কোন ক্ষতি হবে না। হাদীস শরীফে আছে, আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতেকাফ অবস্থায় (প্রয়োজনে বাইরে গেলে) যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে অতিক্রম করতেন তখন হাঁটা অবস্থাতেই ঐ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে নিতেন।

(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৪৭২) মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/৫২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৫; আহকামে ইতেকাফ, মুফতী তকী উসমানী ৪০

Sharable Link

মুহাম্মাদ আনাস - কিশোরগঞ্জ

২৬২৫. Question

 

তিন বছর পূর্বে জনৈক দালালের সাথে আমার এই মর্মে চুক্তি হয়, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমার জন্য মালোশিয়ায় একটি চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবে। আর এই চুক্তির ভিত্তিতে আমি তাকে ২৫০০০/- টাকা প্রদান করি। কিন্তু এ পর্যন্ত সে আমার জন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি। তাই আমি তাকে বললাম আমার বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, তুমি আমার টাকা দিয়ে দাও। সে এতেও গড়িমসি করে অবশেষে কিছুদিন পূর্বে ঐ ২৫০০০/- টাকা ফেরত দেয়। জানার বিষয় হল, ঐ টাকা যে তিন বছর দালালের নিকট ছিল সে বছরগুলোর কি যাকাত আমাকে আদায় করতে হবে?


 

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে বিগত বছরগুলোর জন্য ঐ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে না। কেননা এতদিন ঐ টাকাগুলোর উপর আপনার মালিকানা ছিল না, ঐ টাকাগুলো আপনি বিদেশ যাওয়া খরচ বাবদ লোকটিকে অগ্রিম প্রদান করেছিলেন। অবশ্য ঐ টাকাগুলো হস্তগত হওয়ার পর তাকে সামনের জন্য যাকাতের হিসাবে ধরে নিতে হবে।

-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩৯; ফাতহুল কাদীর ২/১২১

Sharable Link

মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম - দিনাজপুর

২৬২৬. Question

 

আমার এক গরিব প্রতিবেশীর পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি। অথচ তিনি একাই উপার্জন করেন। গত রমযানে তার ঘরে একদিন চাল ছিল না। তখন আমি সাড়ে তিন সের চাল দুজনের পক্ষ থেকে ছদকায়ে ফিতরের নিয়তে তাকে দেই। প্রশ্ন হল, এতে কি আমার ছদকায়ে ফিতর আদায় হয়েছে?


 

Answer

 

 সদকা ফিতর এমন ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে যে যাকাত গ্রহণ করতে পারে। প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যদি যাকাত গ্রহণের যোগ্য হয়ে থাকে তবে তাকে সদকা ফিতর দেওয়া ঠিক হয়েছে। আর ছদকায়ে ফিতর আদায়ের নিয়ম হল, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১.৬৫ কেজি গম অথবা তার মূল্য আদায় করা। অবশ্য ঐ সমমূল্যের প্রয়োজনীয় কোন পণ্য দিলেও ছদকায়ে ফিতর আদায় হয়ে যাবে। 

বর্তমানে যেহেতু চালের মূল্য গমের মূল্য থেকে কিছুটা বেশি তাই সাড়ে তিন কেজি চাল দেয়ায় উভয়ের ফিতরা আদায় হয়ে গেছে।

 

-সহীহ বুখারী ১/২০৪; সহীহ মুসলিম ১/৩১৭; সুনানে আবু দাউদ ১/২২৯; আলমাবসূত, মুহাম্মাদ ২/২৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২০৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৫২২; ফাহমুর রিয়াজী, শাববীর আহমদ কাকাখেল

Sharable Link

মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান - ভাবনহাটি, মাগুরা

২৬২৭. Question

 

জনৈক ব্যক্তি একজন  হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছে এবং এখনো তারা বিবাহ বন্ধনে রয়েছে। এ অবস্থায় শরীয়তের দৃষ্টিতে সে কাফির না ফাসিক?


 

Answer

 

কোনো মুসলমানের জন্য কোনো হিন্দু নারীকে বিবাহ করা বৈধ নয়। কেউ বিবাহ করলৈও তা কার্যকর হবে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের একত্রে বসবাস করা ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন ‘‘মুশরিক নারীগণ যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমান না আনে ততক্ষণ তাদেরকে বিবাহ করো না।’’ সূরা বাকারা-২২১ 

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হিন্দু নারীর সাথে ঐ ব্যক্তির বিবাহ সহীহ হয়নি। তাদের একত্রে ঘর-সংসার করাও অবৈধ ও ব্যভিচার হচ্ছে। ঐ মুসলমানের জন্য এক্ষুনি ঐ হিন্দু নারী থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া জরুরি। এবং অতীত কর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তাআলার দরবারে তাওবা ও ইস্তিগফার করা অপরিহার্য কর্তব্য।

 

-আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৫; রদ্দুল মুহতার ৩/১৩১, ১৩২; আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ ৮/১২৩; ইমদাদুল আহকাম ২/২৭২

Sharable Link

মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ - নারায়ণগঞ্জ

২৬২৯. Question

 

নিচের বিষয়গুলোর সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

ক) মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাতের জন্য দুআ করে খাওয়া ও টাকা গ্রহণ করা  

যাবে কি? 

খ) মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাতের জন্য এক-দুটি সূরা যেমন-সূরা ইয়াসীন, সূরা মূলক ইত্যাদি তেলাওয়াত করে দুআ করে খাওয়া ও টাকা গ্রহণ করা যাবে কি? 

গ) মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাতের জন্য কুরআন খতম করে দুআ করে টাকা গ্রহণ করা ও খাওয়া যাবে কি?

ঘ) দুনিয়াবাী উদ্দেশ্যে, যেমন-রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করা, ঘরে বরকতের জন্য দুআ করে খাওয়া ও টাকা গ্রহণ করা যাবে কি?

ঙ) দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে এক-দুটি সূরা তেলাওয়াত করে দুআ করে খাওয়া ও টাকা গ্রহণ করা যাবে কি?

চ) দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে কুরআন খতমের পর দুআ করে খাওয়া ও টাকা নেওয়া যাবে কি? উপরোক্ত সূরতগুলোর মধ্যে কোন সূরতে টাকা গ্রহণ করা ও খাওয়া জায়েয হবে আর কোনটিতে জায়েয হবে না?


 

Answer

 

মৃত ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের জন্য কুরআন মজীদ খতম করে বা কুরআন মজীদের কোনো সূরা তিলাওয়াত করে কোনো ধরনের বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই। নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করো না এবং এর দ্বারা আয় বৃদ্ধির চিন্তা করো না।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৫২৯ 

অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন পড় এবং বিনিময় আল্লাহ তাআলার কাছে চাও। তোমাদের পর এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে এর বিনিময় মানুষের কাছে চাবে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৯৯১৭ 

আরেক বর্ণনায় আছে, তাবেয়ী যাযান রাহ. বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে মানুষের থেকে তার বিনিময় গ্রহণ করে সে যখন হাশরের মাঠে উঠবে তখন তার চেহারায় গোশত থাকবে না। শুধু হাড্ডি থাকবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৭৮২৪

(আরো দেখুন : মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১৯৪৪৪; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩০৬৩৪; ফাতহুল বারী ৮/৭১৯; মাজমাউয যাওয়াইদ ৭/৩৪৭; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামীদিয়া ২/১৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২০/৫৩)

অবশ্য কোনো দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে, যেমন-রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করা, বিপদ-আপদ দূর হওয়া বা ঘরে বরকতের জন্য কোনো সূরা তিলাওয়াত করে বা কুরআন মজীদ খতম করে বিনিময় নেওয়ার অবকাশ আছে। সহীহ বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, সাহাবীদের একটি জামাত জলাশয়ে বসবাসকারী একটি গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঐ গোত্রের এক ব্যক্তিকে বিচ্ছু দংশন করেছিল।  তাদের একজন এসে সাহাবীদেরকে বলল, আপনাদের মাধ্যে কি কোনো ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? আমাদের গোত্রের এক লোককে বিচ্ছু দংশন করেছে। তখন সাহাবীগণের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরি দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন (এবং ফুঁক দিলেন) ফলে লোকটি আরোগ্য লাভ করল। এরপর তিনি যখন বকরিগুলো নিয়ে অন্যান্য সাহাবীদের নিকট এলেন তারা কাজটি অপছন্দ করলেন এবং বললেন, আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর বিনিময় গ্রহণ করছেন!

অবশেষে তারা মদীনায় পৌঁছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর বিনিময় গ্রহণ করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিলেন এবং বললেন, তোমরা যে সকল জিনিসের বিনিময় গ্রহণ কর তন্মধ্যে আল্লাহ তাআলার কিতাব সবচেয়ে  উপযুক্ত (অর্থাৎ যখন এর দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা  হয়)।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৭৩৭ (আরো দেখুন : শরহু মাআনিল আছার ২/২৪৬; উমদাতুল কারী ১২/৯৫, ২১/২৬৪; শিফাউল আলীল, পৃষ্ঠা : ১৫৭)

কিন্তু এ কাজকে পেশা বানানো কিছুতেই সমীচীন নয়। আর দুআ করে কোনো ধরনের বিনিময় আদান-প্রদান বৈধ নয়। চাই তা যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন। (ফাতহুল বারী ১১/৯৭)

উল্লেখ্য যে, যদি শুধু দুআ ও খমতকারীদের জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে এবং নাজায়েয হবে। আর যদি ব্যাপকভাবে দাওয়াতের আয়োজন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে না এবং অন্যদের মতো খতম পড়ুয়ারাও খেতে পারবেন।

 

-মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/১৭০; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৩৩৪; ইমদাদুল আহকাম ১/২১২; কিফায়াতুল মুফতী ২/৪১

Sharable Link