এহসানুল হক - মিরপুর, ঢাকা

৫৭৫৪. Question

আমার বাবা একটি জেনারেল ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের সময় তিনি ব্যাংকের চাকরি থেকে উপার্জিত অনেক টাকা রেখে যান। আমরা জানি, ব্যাংকের চাকরি থেকে উপার্জিত টাকা হারাম। জানার বিষয় হল, এখন ঐ টাকাগুলোর কী হুকুম হবে? ওয়ারিশরা কি ঐ টাকার মালিক হবে? আশা করি দ্রæত জানাবেন।

Answer

ব্যাংক থেকে উপার্জিত টাকা হারাম। আর হারাম সম্পদে মীরাস জারী হয় না। সুতরাং আপনার বাবা ব্যাংক থেকে যা উপার্জন করেছেন তাতে ওয়ারিশদের কোনো প্রাপ্য নেই; তা ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন হবে না। বরং এসব টাকা সদকা করে দিতে হবে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১৫৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৬; রদ্দুল মুহতার ৫/৯৯

Sharable Link

নাদীম - ভালুকা, মোমেনশাহী

৫৭৫৫. Question

আমার দুই বিঘা জমি আছে। যা আমি একজনকে এভাবে দিতে চাচ্ছি যে, সে তা চাষ করবে এবং বীজ, পানি, সার ইত্যাদির যাবতীয় খরচ সে বহন করবে। পরবর্তীতে যা ফসল হবে তা থেকে বীজ, সার ইত্যাদির খরচ বাদ দিয়ে বাকিটা উভয়ে সমান করে ভাগ করে নেব। হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, এভাবে চুক্তি করা জায়েয কি না?

Answer

বর্গা চুক্তিতে চাষীর খরচ বাদ দিয়ে বাকি ফসল ভাগাভাগির চুক্তি জায়েয নয়। বরং উৎপাদিত সকল ফসল শতকরা হারে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে চাষীর খরচ পোষাণোর জন্য তাকে বেশি অংশ দেয়ার চুক্তি করা যাবে। তবে অবশ্যই প্রত্যেকের অংশ চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে।

-কিতাবুল আছল ৯/৫৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২৫৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩৩৬; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৬১; রদ্দুল মুহতার ৬/২৭৬

Sharable Link

নযরুল ইসলাম - বরিশাল

৫৭৫৬. Question

১. যে জমি ভাড়া নেওয়া হবে সেই ভাড়া বাবদ উক্ত জমির ফসল নির্দিষ্ট হারে দেওয়া বৈধ হবে কি? যেমন এক কেদার জমি তিন মন ধানের বিনিময়ে ভাড়া দিল, আবার ধান উক্ত জমি থেকেই পরিশোধ করতে হবে। এমন শর্ত করল। এখন তা বৈধ হবে কি?

২. যে জমির ফসল কাটবে ঐ জমির ফসল থেকে শ্রমিককে আনুপাতিক হারে তার পারিশ্রমিক দেওয়া বৈধ হবে কি? যেমন ১০/১ এবং ৮/১ ইত্যাদি।

Answer

১. কোনো জমি তাতে উৎপাদিত ফসলের একাংশ ভাড়া হিসেবে প্রদানের শর্তে ভাড়া দেওয়া নাজায়েয। এমন শর্ত করলে ভাড়াচুক্তি ফাসেদ হয়ে যাবে। তবে নির্ধারিত জমির ফসল দেওয়ার শর্ত না করে ভাড়া হিসেবে ধান ইত্যাদি প্রদানের চুক্তি করা জায়েয। সেক্ষেত্রে ফসলের পরিমাণ, জাত ও গুণগত মান পূর্বেই ঠিক করে নিতে হবে। আর ঐভাবে চুক্তি করার পর উক্ত জমির ফসল শর্তানুযায়ী হলে তা দিয়েও ভাড়া প্রদান করা যাবে।

২. কোনো জমির ফসল কাটানোর বিনিময়ে উক্ত ফসলের কোনো অংশ দেয়ার চুক্তি করা নাজায়েয। তাই এক্ষেত্রেও উক্ত জমির ফসল দেয়ার শর্ত করা যাবে না। বরং উক্ত জমি থেকে ফসল দেওয়ার শর্ত না করে সাধারণভাবে নির্ধারিত পরিমাণ ফসল দেওয়ার চুক্তি করবে। এরপর নিয়োগকারী চাইলে কেটে নিয়ে আসা ফসল থেকেও পারিশ্রমিক দিতে পারবে। -আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৩; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩২৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/১১৮; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ২/৫৩৯

Sharable Link

কামরুল ইসলাম - কাটিয়া, সাতক্ষীরা

৫৭৫৭. Question

আহমাদ জামীল আমার প্রতেবেশী। জীবিকার জন্য বিদেশ যাবে। তাই তার এখন অনেক টাকা প্রয়োজন। তার দুই বিঘা জমি আছে। তাতে সে মৌসুমি ফসল চাষ করত। এখন খালি পড়ে আছে। ওই জমির চারপাশে অনেকগুলো আমগাছ আছে। গাছগুলো আগামী পাঁচ বছরের জন্য আমার কাছে ভাড়া দিতে চাচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে গাছগুলোতে যে ফল হবে সব আমার হবে। কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছেন, ফল গ্রহণের জন্য গাছ ভাড়া নেওয়া জায়েয নয়।

হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, ইমাম সাহেব কি ঠিক বলেছেন? বাস্তবেই কি ফল গ্রহণের জন্য গাছ ভাড়া নেওয়া জায়েয নয়? যদি জায়েয না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে যেহেতু তার এককালীন অনেক টাকা দরকার তাই ভাড়া চুক্তিটি বৈধভাবে করার কোনো পদ্ধতি আছে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

ইমাম সাহেব সঠিক বলেছেন। ফল গ্রহণের উদ্দেশ্যে গাছ ভাড়া নেওয়া জায়েয নয়। তাই শুধু গাছ ভাড়া নেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু উক্ত গাছগুলোর পাশে চাষাবাদের উপযুক্ত অনেক জমি আছে তাই পুরা জমি পাঁচ বছর চাষাবাদের জন্য ভাড়া নেওয়া যেতে পারে। তখন চাষাবাদের পাশাপাশি জমিটির সকল সুযোগ-সুবিধা এমনকি গাছের ফলও ভোগ করা আপনার জন্য বৈধ হবে।

-কিতাবুল আছল ৪/১২; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৭; তাকমিলাতুল বাহর ৮/২৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৪১; রদ্দুল মুহতার ৬/৮; তাকরীরাতে রাফেয়ী ৫/১৪০

Sharable Link

মুহাম্মাদ সাকিব হাসান - হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ

৫৭৫৮. Question

আমাদের এলাকায় একটি সংগঠন আছে। এই সংগঠন থেকে লোকজনের সাথে চুক্তি করা হয়, আপনাকে আমরা ১০ হাজার টাকার পণ্য কিনে দেব, আপনি আমাদেরকে ছয় মাস পর ১২ হাজার টাকা দেবেন।

উল্লেখ্য, তারা ঐ ব্যক্তিকে সাথে করে বাজারে বা দোকানে নিয়ে যায় এবং ব্যক্তিকে বলে, আপনি কী ক্রয় করতে চান করেন, তারপর তারা দোকানীকে টাকা দিয়ে দেয়। এখন আমার প্রশ্ন হল, এটা কি সুদ হবে?

Answer

প্রশ্নে বিনিয়োগের যে পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। বর্ণনা থেকে মনে হচ্ছে, উক্ত সমিতি মুরাবাহা পদ্ধতিতে গ্রাহকের নিকট তার পছন্দের মাল বিক্রি করতে চায়। এ ধরনের মুরাবাহার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে হলে, নিম্নোক্ত শর্তগুলো পালন করা আবশ্যক-

এক. সমিতির প্রতিনিধি তার জন্য পণ্য ক্রয় করবে। পণ্য ক্রয়ের পর সমিতি তা হস্তগত করবে এবং গ্রাহকের নিকট বিক্রির আগ পর্যন্ত পণ্যটি সমিতির যিম্মায় থাকবে।

দুই. সমিতি পণ্য হস্তগত করার পর গ্রাহকের নিকট পণ্যটি বিক্রি করবে এবং গ্রাহককে হস্তান্তর করবে।

এই দুই শর্ত যথাযথভাবে পালন না হলে কারবারটি সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত লাভ হালাল হবে না। এছাড়া মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হলে মূল্য বাড়িয়ে নেওয়া যাবে না এবং চুক্তির শুরুতেও এমন শর্ত রাখা যাবে না।

-জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৩৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২১৭৪৩; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৩/৫৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৯৪; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৪৭

Sharable Link

হাবীবুর রাহমান - যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

৫৭৫৯. Question

আমার ডেকোরেশন ব্যবসা আছে। মাইক, সাউন্ডসিস্টেম এবং অনুষ্ঠানের পর্দা ইত্যাদি ভাড়া দিয়ে থাকি।

এখন আমার প্রশ্ন হল, গানের কনসার্ট, মঞ্চ নাটক ইত্যাদির জন্য কি আমার ডেকোরেশন সামগ্রী ভাড়া দেয়া জায়েয হবে? এবং তার থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে?

Answer

গানের কনসার্ট, মঞ্চ নাটকের জন্য মাইক, সাউন্ডসিস্টেম ও ডেকোরেটর সামগ্রী ভাড়া দেওয়া সরাসরি গুনাহের কাজে সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত। আর গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও গুনাহ এবং নিষিদ্ধ। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে-

وَ لَا تَعَاوَنُوْا عَلَی الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ.

গুনাহ ও যুলুমের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো না। -সূরা মায়িদা (৫) : ২

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গানের কনসার্ট ও মঞ্চ নাটকের জন্য ডেকোরেশন সামগ্রী ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে না এবং এর থেকে প্রাপ্ত অর্থও বৈধ নয়।

-মাবসূত, সারাখসী ২৪/২৬; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৪৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৬৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৯২; ইলাউস সুনান ১৬/২২০

Sharable Link

মুহাম্মাদ হারুন - ফুলগাজী, ফেনী

৫৭৬০. Question

আমাদের একটি গরু আছে। বয়স দেড় বছর। কিন্তু গরুটি বেশ হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার কারণে দেখতে পুরো দুই বছর বয়সী মনে হয়। জানতে চাই, এই গরুটি দিয়ে কি এই ঈদে আমরা কুরবানী করতে পারব?

Answer

না, উক্ত গরু দিয়ে কুরবানী সহীহ হবে না। কেননা গরু কুরবানীর যোগ্য হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর বয়সী হওয়া জরুরি। দুই বছরের কম বয়সী গরু হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার কারণে দেখতে দুই বছর বয়সী হলেও তা দ্বারা কুরবানী সহীহ নয়। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

لَا تَذْبَحُوا إِلّا مُسِنّةً، إِلّا أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ، فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضّأْنِ.

তোমরা মুসিন্না’ (তথা কমপক্ষে উট পাঁচ বছর বয়সী, দুই বছর বয়সী গরু এবং এক বছর বয়সী ছাগল-ভেড়া) ছাড়া কুরবানী কর না। তবে তা তোমাদের জন্য দুষ্কর হলে অন্তত ছয় মাস বয়সী দুম্বা-ভেড়া দিয়ে কুরবানী করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৬৩)

-কিতাবুল আছল ৫/৪০৪; আলমাবসূত, সারাখসী ১২/৯; আলমুহীতুর রেযাবী ৬/৬০; তুহফাতুল ফুকাহা ৩/৮৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৪৮৩; বাযলুল মাজহুদ ১৩/১৮

Sharable Link

মুহাম্মাদ বেলাল - কুমিল্লা

৫৭৬১. Question

আমি ঈদের কয়েক দিন আগে কুরবানী করার নিয়তে বাজার থেকে একটি ষাঁড় ক্রয় করি। গাড়ি থেকে নামানোর সময় তার সামনের এক পায়ে অনেক আঘাত পায়। প্রথমদিন ঐ পা একেবারেই জমিনে রাখতে পারত না। ঐ পা উঠিয়ে একটু একটু হাঁটত। এখন দেখা যাচ্ছে, ঐ পা জমিনে রেখে হালকাভাবে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে।

প্রশ্ন হল, এই গরুটি দিয়ে কি কুরবানী করা সহীহ হবে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গরুটি যদি আঘাতপ্রাপ্ত পা জমিনে রেখে হালকাভাবে ভর দিয়ে হলেও চলাচল করতে পারে তাহলে উক্ত গরু দ্বারা কুরবানী করা সহীহ হবে। আর যদি উক্ত পায়ের উপর একেবারেই ভর দিতে না পারে তাহলে এই পশু দ্বারা কুরবানী সহীহ হবে না।

-কিতাবুল আছল ৪/৪০৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬; ফাতহুল কাদীর ৮/৪৩৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৭; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩

Sharable Link

নোমান - মোমেনশাহী

৫৭৬২. Question

এক লোক একটি ছাগল জবাই করে। জবাই করার সময় ছাগলটির মুখ উত্তর দিকে ফেরানো ছিল। এটা দেখে এক মুরব্বী বললেন, পশুকে কিবলামুখী করে জবাই করতে হয়। তুমি উত্তরমুখী করে জবাই করেছ। তাই এই জবাই সহীহ হয়নি। এখন এর গোস্ত খাওয়া হারাম হয়ে গেছে।

মুহতারামের কাছে জানতে চাই, পশুকে কিবলামুখী করে জবাই করা কি আবশ্যক? কিবলামুখী করে জবাই না করার কারণে কি উক্ত পশুটি খাওয়া আসলেই হারাম হয়ে গেছে?

Answer

পশুকে কিবলামুখী করে জবাই করা সুন্নত। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ছাগলটিকে কিবলামুখী না করে জবাই করা সুন্নতের খেলাফ হয়েছে এবং কাজটি মাকরূহ হয়েছে। তবে এ কারণে এর গোস্ত হারাম হয়ে গেছে- এ কথা ঠিক নয়। বরং তা খাওয়া হালাল হবে।

-কিতাবুল আছল ৫/৩৯৮; আলমাবসূত, সারাখসী ১২/৩; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ৩/৭১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৮৮

Sharable Link

তানজিল হাসান - বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটি

৫৭৬৩. Question

আমি বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। আমার কয়েকজন হিন্দু ফ্রেন্ড আছে। অনেকদিন ধরে আমি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। কিছুদিন আগে তাদের দুইজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে আলহামদু লিল্লাহ এবং ধীরে ধীরে তারা ইসলামের সব হুকুম আহকাম পালন করা শুরু করছে। কিন্তু এখন সমস্যা যেটা দেখা দিয়েছে সেটা হল, তারা তো ছোটবেলায় খতনা করেনি। এখন তাদের খতনার কী হুকুম হবে? তাদের কি এখন খতনা করতে হবে? এবং খতনার জন্য কি ডাক্তারের সামনে সতর খোলা জায়েয হবে?

Answer

খতনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং তা ইসলামের শিআর তথা নিদর্শন। তাই আপনার বন্ধুদের খতনা করে নিতে হবে। এজন্য ডাক্তারের সামনে প্রয়োজন পরিমাণ সতর খোলাও জায়েয হবে।

-সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২৯৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৪৪০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৫৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৭০

Sharable Link