বোনের ছেলে খালার দুধ পান করেছে এবং ঐ খালার মেয়ের সাথে দুধ পানকারীর বিবাহ হয়েছে। তাদের বিবাহ বৈধ হয়েছে কি না?
বোনের ছেলে খালার দুধ পান করেছে এবং ঐ খালার মেয়ের সাথে দুধ পানকারীর বিবাহ হয়েছে। তাদের বিবাহ বৈধ হয়েছে কি না?
খালার মেয়ের সাথে ঐ ছেলেটির বিবাহ সহীহ হয়নি। কেননা ছেলেটি ঐ খালার দুধ পান করার দ্বারা তার সকল সন্তানাদি এই ছেলের দুধ ভাই-বোন হয়ে গেছে। তাই ঐ খালার কোনো মেয়ের সাথে ছেলেটির বিবাহ জায়েয হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ.
(তরজমা) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে ঐ সকল মাতাগণ, যারা তোমাদের দুধ পান করিয়েছে এবং (হারাম করা হয়েছে) তোমাদের দুধবোনদের। -সূরা নিসা (৪) : ২৩
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তাদের এখনই পৃথক হয়ে যাওয়া জরুরি এবং এতদিন অবৈধভাবে একসাথে থাকার কারণে উভয়কেই আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, দুধ ভাই-বোনদের মাঝে বিবাহ যে হারাম তা সুস্পষ্ট বিষয়। শরীয়তের কোনো হুকুম অজানা থাকলে বিজ্ঞ আলেম থেকে জেনে নেওয়া আবশ্যক। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে না জেনেই তাদের বিবাহ-শাদি দিয়ে দেওয়া অন্যায় হয়েছে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৪৪; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৪৬; শরহুল মুসলিম, নববী ১/৪৬৬; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৩৯৬; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২২; রদ্দুল মুহতার ৩/২১৩Sharable Link
এক ব্যক্তি কসমের কাফফারা আদায় করবে। সে খাবারের মূল্য দিয়ে কাফফারা আদায় করতে চায়। তার নিকটস্থ একজন গরীব ব্যক্তি আছে। তার ইচ্ছা, এই কাফফারার টাকাগুলো দশজনকে না দিয়ে শুধু ঐ গরীব ব্যক্তিকে দিয়ে দিবে। যদি এমনটি করে তবে কি তার কাফফারা আদায় হবে?
কসমের কাফফারার নিয়ম হল, দশজন মিসকিনের প্রত্যেককে পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে দু’ বেলা খানা খাওয়ানো অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দেওয়া। কাফফারার পুরো টাকা একত্রে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দিলে তা আদায় হবে না; বরং পুরো টাকা একজনকে দিতে চাইলে প্রত্যেকের টাকা ভিন্নভাবে দশ দিনে দিতে হবে। একদিনেই কাফফারার পুরো টাকা একজনকে দিয়ে দিলে তা একদিনের বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে বাকি নয়দিনের টাকা ভিন্নভাবে আবার আদায় করতে হবে। মোটকথা, পুরো টাকা একজনকে দিলে দশ দিনে দিতে হবে। আর দশজনকে দিলে একদিনেই দেওয়া যাবে।
-কিতাবুল আছল ২/২৪৭; আলমাসূত, সারাখসী ৮/১৫৪; রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৫Sharable Link
ক) মসজিদে কোনো ফ্যান, মাইক, বদনা ইত্যাদি দান করলেই কি তা ওয়াকফ হয়ে যাবে, নাকি মুখেও পৃথকভাবে ওয়াকফের কথা উচ্চারণ করা ওয়াকফের জন্য শর্ত?
প্রশ্ন : খ) মসজিদের চাঁদার দ্বারা যে ফ্যান, মাইক ইত্যাদি ক্রয় করা হয় তা কি ওয়াকফ হয়ে যাবে?
প্রশ্ন : গ) মসজিদের নারিকেল, আম ইত্যাদি যা অন্যদের কাছে বিক্রি করা হয় তা কি ইমাম-মুয়াযযিনের জন্য বিনামূল্যে খাওয়া জায়েয হবে?
অনুগ্রহপূর্বক উপরের মাসআলাগুলোর সমাধান শরীয়তের বিধান মোতাবেক দিয়ে আমাদের বিবাদ নিরসনে হযরতের সুমর্জি কামনা করছি।
ক) মসজিদে ফ্যান, মাইক ইত্যাদি কোনো জিনিস দান করলে তা মসজিদের ওয়াকফের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য ওয়াকফ শব্দ উচ্চারণ করা জরুরি নয়।
উত্তর : খ) মসজিদের চাঁদা দিয়ে ফ্যান, মাইক ইত্যাদি ক্রয় করলে তা-ও মসজিদের নিজস্ব মালিকানা হিসেবে ধর্তব্য হবে এবং এর উপরও ওয়াকফের হুকুম আরোপিত হবে।
উত্তর : গ) মসজিদের গাছের ফল মসজিদের মালিকানাধীন সম্পদ। যথাসম্ভব এগুলো বিক্রি করে এর মূল্য মসজিদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে হবে। এগুলো ইমাম-মুয়াযযিন বা অন্য কারো জন্য মুতাওয়াল্লির অনুমোদন ছাড়া বিনামূল্যে খাওয়া বৈধ হবে না।-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৪১৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১৩০-১৩১, ৯/১৩৮; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪১৭; আলইসআফ পৃ. ২২,৫৬Sharable Link
মসজিদের জায়গায় মসজিদের উন্নয়নের জন্য নিচ তলায় মার্কেট রেখে ২য় তলা থেকে মসজিদ বানানো যাবে কি না? আমাদের দেশে প্রায় জায়গায় এমন দেখা যায়। এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী?
মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত স্থানে নিচ তলা মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হলে পরবর্তীতে বহুতল ভবন করার সময় নিচতলা বা অন্য কোনো ফ্লোরে দোকান-পাট করা জায়েয হবে না।
তবে জায়গাটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের আগেই যদি নিচের দুই এক তলায় দোকান করার সিদ্ধান্ত থাকে কিংবা ওয়াকফ দলিলেই এমন লেখা থাকে তাহলে তা জায়েয আছে। তদ্রƒপ মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত স্থানে মসজিদ নির্মাণের আগে প্রথম থেকেই যদি নিচ তলায় মার্কেট বানানো হয় তবে জায়েয হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে জায়েয থাকলেও মসজিদের নিচে দোকান-পাট না করাই উচিত। কেননা, মসজিদ হল সর্বোৎকৃষ্ট স্থান আর বাজার হল নিকৃষ্টতম স্থান। তাই মসজিদ ভবনে শপিং মল, দোকান-পাট থাকলে মসজিদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়। তাই মসজিদের আয়ের জন্যও মসজিদের নিচ তলায় দোকান-পাট করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
উল্লেখ্য যে, মসজিদের ব্যয় নির্বাহের জন্য মসজিদের জমিতে শপিং মল, দোকানপাট ইত্যাদি করতে চাইলে মসজিদের জন্য বেশি জমি ওয়াকফ করে মসজিদর ভবন থেকে দূরে পৃথক ভবন নির্মাণ করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে মসজিদের পরিবেশও বজায় থাকবে এবং মসজিদের আয়েরও একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এছাড়া মসজিদের নিয়মিত জরুরি ব্যয় মুসল্লি ও সাধারণ মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত দান থেকে নির্বাহ করা হবে।-সূরা জিন (৭২) : ১৮; আলমুহাররারুল ওয়াজিয ১৫/১৪৫; হাশিয়াতুশ শিলবী আলাত তাবয়ীন ৪/২৭১; আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১২৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৮/১৬২; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩৫৮Sharable Link
একজন ক্রেতা পণ্য বাকিতে ক্রয় করেছে। কিন্তু ভুলবশত মেমো করা হয়নি। লম্বা সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে টাকার পরিমাণ ভুলে গেছে। এ অবস্থায় করণীয় কী?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে আলোচনা করে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সমঝোতামূলক একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিবে। অতপর তা পরিশোধ করে দিবে আর তা যেহেতু বাস্তবমূল্য থেকে কম বা বেশি হতে পারে তাই একে অপরকে দায়ী করে রাখবে না; বরং মাফ করে দিবে।
Sharable Link
মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত উপলক্ষ্যে দুআ অনুষ্ঠান করার পর এর বিনিময়ে টাকা গ্রহণ করা জায়েয আছে কি না?
দুআ স্বতন্ত্র ইবাদত। নুমান ইবনে বশীর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই দুআই হল ইবাদত। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৮৩৫২; সুনানে তিরমিযী, হাদীস ২৯৬৯
আর ইবাদতের বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই। সুতরাং মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করে কোনো ধরনের বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না।
প্রকাশ থাকে যে, মৃতদের জন্য দুআ করা সওয়াবের কাজ। তবে এটি হতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত ও বিনিময়হীনভাবে।
-ফাতহুল বারী ১১/৯৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৫; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামীদিয়া ২/১৩৭-১৩৮Sharable Link
আমার একটি ঘর লিজ দিয়েছিলাম এভাবে যে, লিজগ্রহীতা আমাকে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা এডভান্স দিবে এবং আমার ঘর সে ব্যবহার করবে। এজন্য আমাকে তার কোনো ভাড়া দিতে হবে না। আলকাউসারের মাধ্যমে জানতে পারলাম, এ পদ্ধতি নাজায়েয। এখন আমার জানার বিষয় হল, ক) এখন আমার কী করণীয়? খ) এ সকল ক্ষেত্রে বৈধ পন্থা কী? কারণ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে এ রকম লেনদেনের প্রয়োজন হয়। আশা করি শরয়ী সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
এখন আপনাদের উভয়ের কর্তব্য উক্ত চুক্তি বাতিল করে দেওয়া। আর সামনে থেকে ঐ ঘর ব্যবহার করতে চাইলে শরীয়তসম্মতভাবে ভাড়া চুক্তি করতে হবে । ঋণের চুক্তি করা যাবে না। যেমন, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার বাড়িটি যত বছর ভাড়া দিতে হবে একসাথে তত বছরের জন্য বাড়িটি ভাড়া দিয়ে দিবেন এবং তত বছরের ভাড়ার টাকা ভাড়া গ্রহীতা থেকে অগ্রিম নিয়ে নিবেন। যেমন, আপনার বাড়ির মাসিক ভাড়া যদি ২০,০০০/- টাকা হয় তাহলে এক বছরের ভাড়া আসে ২,৪০,০০০/- টাকা। এ হিসেবে যত বছর ভাড়া দিলে আপনার প্রয়োজন পূরণ হবে তত বছরের জন্য বাড়িটি একসাথে ভাড়া দিয়ে দিবেন এবং তত বছরের সমুদয় ভাড়া একত্রে অগ্রিম নিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে ভাড়ার পরিমাণ স্বাভাবিক ভাড়া থেকে প্রয়োজনে কিছুটা কমও নির্ধারণ করা যাবে। আর এটি যেহেতু ভাড়া চুক্তি তাই ভাড়ার মেয়াদ শেষে ভাড়াগ্রহীতা ঐ টাকা আর ফেরত পাবে না। অবশ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি উভয়ে ভাড়া চুক্তি বাতিল করে দিতে চার তাহলে অবশিষ্ট মাসের ভাড়ার টাকা ভাড়াগ্রহীতাকে ফেরত দিতে হবে। আর এ লেনদেনে বাড়িওয়ালা সিকিউরিটি মানি বা ঋণের নামে কোনো কিছু নিতে পারবে না।
Sharable Link
যদি কুরবানীর গরুর সাথে আকীকার নিয়ত করে তাহলে সে মাংস বণ্টনের নিয়ম কী? যদি কুরবানী আর আকীকার উভয় ভাগ এক সাথে মিলিয়ে পরে তা তিন ভাগ করে কুরবানীর গোশতের নিয়মে বণ্টন করি তাহলে হবে কি?
আকীকার গোশত বণ্টনের হুকুম কুরবানীর মতোই।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আকীকা সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ হাদীসে এসেছে, ... অতপর (আকীকার গোশত থেকে) নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং সদকা করবে। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৬৬৯
তাই কুরবানী ও আকীকা একই ব্যক্তির হলে গোশত পৃথক করার প্রয়োজন নেই; বরং চাইলে উভয় গোশত একত্রে মিলিয়ে তিনভাগে বণ্টন করতে পারবে।-ইলাউস সুনান ১৭/১১৮, ১৭/১২৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৭; আলমুগনী ইবনে কুদামা ১৩/৩৯৩Sharable Link
আমাদের বাসায় প্রতি ৬ মাসের জন্য একজন কর্মচারী রাখা হয়। তার খাওয়ার খরচ সম্পূর্ণ আমাদের। যার কারণে তার বেতন কিছুটা কম হয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সে কি আমাদের কুরবানীর গোশত খেতে পারবে? কেননা তাকে খাওয়ানো হলে তো কুরবানীর গোশত বিনিময় হিসেবে দেওয়া হয়ে গেল? দয়া করে হাওয়ালাসহ জবাব দিয়ে উপকার করবেন।
পারিশ্রমিকের উদ্দেশ্য ছাড়া কর্মচারীকে কুরবানীর গোশত খাওয়ালে তা পারিশ্রমিক হিসেবে গণ্য হবে না।
-ইমদাদুল মুফতীন পৃ. ৮০২Sharable Link
খালেদ ফাতেমার মায়ের দুধ পান করেছে। এখন প্রশ্ন হল, খালেদের জন্মদাতা পিতার সাথে কি ফাতেমা দেখা দিতে পারবে?
না, খালেদের পিতার সাথে ফাতেমা দেখা দিতে পারবে না। তাদের পর্দা করা জরুরি। কেননা খালেদের দুধ পান করার দ্বারা দুগ্ধদানকারীনির সাথে শুধু তারই দুধ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে খালেদের ভাই-বোন, পিতা বা তার অন্য কোনো আত্মীয়ের সাথে দুধ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি।
-আলমাবসূত, সারাখসী ৫/১৩৭; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৪৩; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪০০Sharable Link
মোবাইলের ভেতর কুরআন মজীদ রাখা বা পড়া এবং এটা সাথে নিয়ে টয়লেটে যাওয়া কি জায়েয আছে?
মোবাইলে বা এর মেমোরিতে কুরআন মজীদ সংরক্ষণ করা এবং এখান থেকে দেখে তিলাওয়াত করা জায়েয। এতে অসুবিধা নেই।
তবে মোবাইলের স্ক্রীনে কুরআন মাজীদের আয়াত বা কোনো পৃষ্ঠা খুললে তার যথাযথ মর্যাদা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত অংশ বিনা অযুতে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর মোবাইল স্ক্রীণে কুরআন মাজীদের আয়াত দৃশ্যমান না থাকলে তা নিয়ে টয়লেটে যাওয়া যাবে। কিন্তু স্ক্রীণে কোনো আয়াত দৃশ্যমান থাকলে তা খোলা অবস্থায় টয়লেটে নিয়ে যাওয়া জায়েয হবে না।-আদ্দুররুল মুখতার ১/১৭৮Sharable Link