খাইরুল বাশার - ঝালকাঠী

৩৯৪৬. Question

এক ব্যক্তি বিকালের দিকে সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ১৫/২০ কিলোমিটার অতিক্রম করার পর আসরের সময় হলে এক জায়গায় সে একাকী আসরের নামায দুই রাকাত কসর পড়ে নেয়। কিন্তু ৩০/৩২ কিলোমিটার যাওয়ার পর কোনো এক কারণে সে সফর মুলতবি করে দেয়। আর ঐ জায়গায় তার একটি কাজ আছে। সেটি সেরে বাড়ি যেতে যেতে রাত ১০/১১ টা হয়ে যেতে পারে।

এখন জানার বিষয় হল, সে তো সফর পুরো করেনি। তাই সে যে রাস্তায় আসরের নামায কসর পড়েছে তা কি আদায় হয়েছে এবং সে রাতে যে জায়গায় থেমেছে সেখানে ইশার নামায একাকী পড়লে তা কসর করবে না পুরোই পড়বে? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে লোকটি সফরের উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা থেকে বের হওয়ার পর সফর মুলতবির নিয়ত করার আগ পর্যন্ত মুসাফির ছিল। তাই এ অবস্থায় তার আসরের নামায কসর পড়া ঠিকই হয়েছে। অতএব এরপর সফর মুলতবি করার কারণে ওই নামাযের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সফরের দূরত্ব (প্রায় ৭৮ কিলোমিটার) অতিক্রম করার আগেই যেহেতু সফর মুলতবি করার নিয়ত করেছে তাই এর দ্বারাই তখন থেকে সে মুকিম হয়ে গেছে। এরপর থেকে সে ঐখানে এবং ফেরার পথেও মুকিম গণ্য হবে। সুতরাং তখন থেকে মুকীম হিসাবে পুরো নামায পড়বে। কসর করবে না। 

-কিতাবুল আছল ১/২৩৫; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৩৮; বাদায়েউস সনায়ে ১/২৮২; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৬৫

Sharable Link

আবু শুরাইম - শ্রীপুর, কানাইঘাট

৩৯৪৭ . Question

ফাতাওয়া রাহীমিয়া ও মাসিক আলকাউসারে বর্ণিত প্রশ্নের উত্তরের মাঝে পারস্পরিক বৈপরীত্য বোধ করছি। তাই ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নিম্নে উভয় প্রশ্ন ও উত্তর উল্লেখ করছি। ফাতাওয়া রাহীমিয়ায় (৫/২১৯) আছে-

صورت مسئولہ میں جب يقین ہے کہ دو رکعت صبح صادق کے بعد ادا کی گئی ہے تو یہ دو رکعت سنت فجر کے قائم مقام ہو گئی یعنی سنت فجر پڑہنے کی ضرورت نہیں .

আর মাসিক আলকাউসার জানুয়ারি ২০১৬ (পৃষ্ঠা : ৩৫)-এ আছে-

৩৫৫১ প্রশ্ন : কোনো সময় তাহাজ্জুদের নামায এক রাকাত পড়ার পর সুবহে সাদিক হয়ে যায়। জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে করণীয় কী? নামায ছেড়ে দেওয়া, নাকি দ্বিতীয় রাকাত পড়ে নামায পূর্ণ করা?

উত্তর : তাহাজ্জুদ পড়ার মতো সময় আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার পরই নামায শুরু করা উচিত। কখনো তাহাজ্জুদ শুরু করার পর নামায অবস্থাতেই সুবহে সাদিক হয়ে গেলে নামায পূর্ণ করে নিবে। তবে এ দু রাকাতকে ফজরের সুন্নত গণ্য করা যাবে না। ফজরের সুন্নত পৃথকভাবেই আদায় করতে হবে।

Answer

ফাতাওয়া রাহীমিয়া ও মাসিক আলকাউসারের উত্তরের মাঝে কোনো বৈপরীত্য নেই। কারণ দুই জায়গার প্রশ্নও ভিন্ন,উত্তরও ভিন্ন। ফাতাওয়া রাহীমিয়ার প্রশ্ন ছিল এমন ব্যক্তির ব্যাপারেযে তাহাজ্জুদের সময় আছে মনে করে নামায পড়েছিল। পরে নিশ্চিত হয়েছে যেতার উভয় রাকাত এমনকি নামাযের শুরু-শেষ সুবহে সাদিকের পরে হয়েছে। তাই তার ঐ দুই রাকাত নামায ফজরের সুন্নত হিসেবে ধর্তব্য করা হয়েছে। আর আলকাউসারের প্রশ্ন ছিল এমন ব্যক্তির ব্যাপারেযে নিশ্চিতভাবে তাহাজ্জুদের সময় থাকতেই নামায শুরু করেছে অতপর সুবহে সাদিকের আগে এক রাকাত হয়েছে। আর দ্বিতীয় রাকাত সুবহে সাদিকের পর শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে ঐ দুই রাকাত নামায ফজরের সুন্নত হিসেবে না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ তার প্রথম রাকাত নিশ্চিতভাবে সুবহে সাদিকের আগে হয়েছে। আর ফজরের সুন্নতের ওয়াক্ত হল সুবহে সাদিকের পর। তা শুরুই করতে হবে সুবহে সাদিকের পর। তাই এক্ষেত্রে এ দুই রাকাত নামায ফজরের সুন্নত হিসেবে ধর্তব্য হবে না। 

-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫২-৫৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ১০১; ফাতহুল কাদীর ১/২০৯; আলবাহরুর রায়েক ১/২৫৩; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪

Sharable Link

লাবীব আবদুল্লাহ - চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

৩৯৪৮. Question

একবার আমি ইশার নামাযে মাসবুক হই। ইমাম সালাম ফেরানোর পর যখন বাকি নামায পড়তে দাঁড়ালাম তখন কত রাকাত ছুটেছে তা বিলকুল মনে আসছে না। হঠাৎ মাথায় আসল পাশের মুসল্লি তো আমার সাথেই এসেছেসে যত রাকাত পড়ে তত রাকাত পড়লে তো হয়ে যায়। এ বলে আমি তার মতো নামায পড়ে সালাম ফিরাই। জানার বিষয় হল, এভাবে নামায পড়ার কারণে নামাযের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি? আদৌ নামায হয়েছে কি না তাতেও আমি সন্দিহান।

Answer

কত রাকাত ছুটেছে তা মনে না থাকলে পাশের মুসল্লিকে লক্ষ্য করে সে অনুযায়ী নামায পূর্ণ করা জায়েয আছে। এভাবে নামায পড়লে তা আদায় হয়ে যায়। তাই আপনার নামাযও সহীহ হয়েছে। এ নিয়ে সংশয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। 

-ফাতাওয়া খানিয়া ১/১০৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৯৮; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৭৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৯৭

Sharable Link

মুহিব্বুল্লাহ - ফেনী

৩৯৪৯ . Question

আমার এক সহপাঠী আমার পাশে বসে উঁচু আওয়াজে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করছিল। তিলাওয়াতের মাঝে একটি সিজদার আয়াত এলে সেটাও সে আওয়াজ করেই পড়ল। আমি বললাম, সিজদার আয়াতখানা আস্তে পড়লেই তো পারতে। সে বলল, সব আয়াত জোরে পড়ে শুধু সিজদার আয়াত আস্তে পড়া মাকরূহ। জানার বিষয় হল, তার এ কথা কি ঠিক? সঠিক বিষয়টি জানালে উপকৃত হব।

 

Answer

আপনার সহপাঠীর কথা ঠিক নয়। উপস্থিত লোকজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে তাদের প্রতি খেয়াল করে সিজদার আয়াত আস্তে পড়াই মুস্তাহাবমাকরুহ নয়।

-বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৫০; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৮০; আলবাহরুর রায়েক ২/১২৭; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৫০১

Sharable Link

ফাহিম আনওয়ার - চকরিয়া, কক্সবাজার

৩৯৫০ . Question

এক দুর্ঘটনায় আমাদের গ্রামের এক পরিবারের চার ভাই একসাথে মারা যায়। আমি প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা জানাযা নামায আদায় করি। বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট ছিল না। তাই হুযুরের কাছে জানতে চাই যে, একাধিক জানাযা উপস্থিত হলে জানাযা আদায়ের সঠিক পদ্ধতি কী? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

Answer

প্রত্যেক মাইয়েতের জন্য পৃথক পৃথক জানাযা পড়া উত্তম হয়েছে। কেননা একাধিক লাশ উপস্থিত হলে সেক্ষেত্রেও প্রত্যেকের জন্য আলাদা জানাযা পড়াই উত্তম। তবে সকলের জানাযা একত্রে পড়াও জায়েয আছে। 

-সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/১২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৮৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/২১৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৩২৫

Sharable Link

মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম - রামপুরা, ঢাকা

৩৯৫১. Question

গত শুক্রবার আমার বড় ভাই মারা গিয়েছেন। আমি এবং অন্য দুজন কবরে নামলাম। স্বাভাবিকভাবে লাশ কবরে রেখে বাঁশও রেখে দিয়েছি। এমন সময় একজন মাওলানা সাহেব এসে বললেন, লাশ কিবলামুখী করা হয়েছে তো? বললাম, না। এ বিষয়টি যে সুন্নত তা তখন আমরা জানতাম না। এরপর মাওলানা সাহেব নিজেই বাঁশ সরিয়ে মুর্দাকে পুরোপুরি ডান দিকে কাত করে দিলেন। পরবর্তীতে কেউ কেউ আপত্তি করল যে, মুর্দাকে কিবলামুখী করার জন্য মাওলানা সাহেব যে বাঁশ সরালেন তা ঠিক হয়নি। কিবলামুখী করা তো ফরয নয়। আবার কেউ কেউ বললেন, শুধু চেহারা ডান দিকে করা উচিত। পুরো শরীর নয়। জানার বিষয় হল, এ বিষয়ে সঠিক মাসআলা কী?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মাওলানা সাহেব ঠিকই করেছেন। মাইয়েতকে কবরে ডান  কাতে সিনা কিবলামুখী করে দেওয়া সুন্নত। শুধু চেহারা ডান দিকে ফিরিয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়। আর এ কাজের জন্য বাঁশ সরাতেও কোনো সমস্যা নেই। ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেনতোমরা মাইয়েতকে কিবলামুখী করে দাও। সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেনতাঁর উদ্দেশ্য হলমুর্দাকে ডান কাত করে দেওয়া।

-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৬০৬০; বাদায়েউস সানায়ে ২/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ১/১৯৩; শরহুল মুনইয়াহ ৫৯৭; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৬২৪

Sharable Link

সাঈদুর রহমান - পাবনা

৩৯৫২ . Question

জানাযার নামাযে দেখা যায়, অনেক লোক জুতা খুলে তার উপর দাঁড়ায়। অনেকে মাটিতে দাঁড়ায়। আবার অনেকে জুতাসহই নামায পড়ে নেয়।

জানতে চাই, এভাবে জুতা পরে নামায পড়া জায়েয আছে কি? এক্ষেত্রে সঠিক পন্থা কী?

Answer

জায়গা পাক হওয়া জানাযা নামাযের জন্যও শর্ত। তাই নামাযি ব্যক্তির জুতা ও পায়ের নিচের মাটি উভয়টি যদি পবিত্র হয় তবে জুতা পরেও জানাযা নামায পড়া জায়েয আছে। আর দাঁড়ানোর স্থান পবিত্র হলে জুতা খুলেও দাঁড়াতে পারবে। আর দাঁড়ানোর স্থান অথবা জুতার নিচে অপবিত্র হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জুতা খুলে তার উপর দাঁড়িয়ে নামায পড়বে। কেননা জুতার উপর অংশ সাধারণত পাকই থাকে।

প্রকাশ থাকে যেজুতার নিচের অংশ যেহেতু অপবিত্র হওয়ার আশংকাই বেশি তাই মসজিদের বাইরে জানাযার নামায পড়লে জুতা পায়ে দিয়ে নামায না পড়াই উচিত। এক্ষেত্রে সতর্কতা হলজুতা খুলে তার উপর দাঁড়ানো। 

-আলবাহরুর রায়েক ১/২৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৬২; শরহুল মুনইয়াহ ২০৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩১

Sharable Link

আবদুল্লাহ আব্বাস - কানাইঘাট, সিলেট

৩৯৫৩. Question

কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক দিন খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। একদিন হঠাৎ তার কর্তিত মস্তক নদীতে পাওয়া যায়। এ অবস্থায় এটির গোসল, নামায এবং দাফন-কাফন কীভাবে করতে হবে?

Answer

মৃত ব্যক্তির শুধু মাথা বা হাত-পা কিংবা কর্তিত অল্প অংশ পাওয়া গেলে এর গোসলজানাযা কিছুই দিতে হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত মস্তকটি পবিত্র কাপড়ে মুড়িয়ে দাফন করে দিবে। উক্ত মাথার গোসল দেওয়া বা জানাযা পড়া যাবে না।

প্রকাশ থাকে যেমৃতদেহের মস্তকসহ অর্ধেক পাওয়া গেলে কিংবা মাথা ছাড়া অর্ধেকের বেশি পাওয়া গেলে পূর্ণ লাশের হুকুমে ধর্তব্য হবে। সেক্ষেত্রে তার গোসল ও জানাযা সবকিছুই নিয়ম মাফিক করতে হবে।

-কিতাবুল আছল ১/৩৪১; ফাতহুল কাদীর ২/৭৬; ইমদাদুল ফাত্তাহ ৬১২; শরহুল মুনইয়াহ ৫৯০; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৯৯

Sharable Link

সাইফুল ইসলাম - মাইজদী, নোয়াখালী

৩৯৫৪. Question

একদিন যোহরের নামাযের উদ্দেশ্যে আমরা কয়েকজন মসজিদে যাচ্ছিলাম। মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে দেখলাম জানাযার নামায হচ্ছে। তখন আমরা জানাযা নামাযে শরীক হই। কিন্তু নমাযে কোনো এক কারণে আমাদের একজন আওয়াজ করে হেসে উঠল। এরপর আমরা একত্রে যোহরের নামায আদায় করেছি।

জানার বিষয় হল, ঐ মুসল্লির জানাযা নামায কি শুদ্ধ হয়েছে? নামাযে উচ্চস্বরে হাসার কারণে তার অযু ভেঙ্গেছে কি? নতুন অযু ছাড়া তার যোহরের নামায কি আদায় হয়েছে?

Answer

জানাযা নামাযে উচ্চস্বরে হাসলে নামায ভেঙ্গে যায়। তবে অযু ভাঙ্গে না। তাই প্রশ্নোক্ত মুসল্লির জানাযা নামায শুদ্ধ হয়নি। তবে এ কারণে তার অযু ভাঙ্গেনি। তাই ঐ অযু দ্বারা তার পরবর্তী নামায পড়া সহীহ হয়েছে।

 

জানাযা নামাযে হাসা খুবই দুঃখজনক অন্যায় কাজ। এ সময় তো মৃত্যুকে স্মরণ করার সময়। তাই ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। 

-বাদায়েউস সানায়ে ১/১৩৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/১৪৪

Sharable Link

নাসিরুদ্দীন - আহমদ নগর, কুমিল্লা

৩৯৫৫. Question

আমাদের মহল্লার মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। তাই মসজিদের কাছাকাছি এক ব্যক্তির মালিকানাধীন জায়গায় মসজিদের আদলে টিন দিয়ে একটি নামাযের জায়গা বানানো হয়েছে। আগত রমযান মাসেও এখানেই হয়ত নামায পড়তে হবে। রমযানের শেষ দশকে এই অস্থায়ী মসজিদটিতে ইতিকাফ করা যাবে  কি না?

Answer

ইতিকাফ শুধু মসজিদেই করা যায়। অস্থায়ী নামায ঘরে ইতিকাফ সহীহ নয়। সুতরাং যারা ইতিকাফ করতে ইচ্ছুক তারা অন্য মসজিদে গিয়ে ইতিকাফ করবেন। আর আপনাদের মসজিদ যেহেতু এখনো নির্মাণাধীন তাই সুব্যবস্থা না থাকলে সেখানে ইতিকাফ না করলেও চলবে। এতে কোনো অসুবিধা হবে না। 

-সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/৩১৬; কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২৬৪; মাবসূত, সারাখসী ৩/১২১; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৪/৪৬১; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮০; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৯০

Sharable Link

রেদওয়ান রেজা - ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত

৩৯৫৬. Question

যাকাত হিসাবের সময় কি স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা হিসাব থেকে বাদ দিয়ে যাকাত হিসাব করা হবে, না বাদ দেওয়া হবে না? জানিয়ে উপকৃত করবেন।

Answer

অনাদায়ী মোহরের টাকা যাকাতের হিসাব থেকে বাদ যাবে না। তবে যদি আপনি চলতি যাকাতবর্ষের মধ্যেই মোহর আদায় করে দেওয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ পরিমাণ টাকা যাকাতের হিসাব থেকে বাদ যাবে।

উল্লেখ্যবিশেষ কোনো ওজর ছাড়া মহর আদায়ে বিলম্ব করা উচিত নয়। বরং একসাথে না পারলে ধীরে ধীরে হলেও তা আদায় করে দেওয়া উচিত।

-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪০; আলবাহরুর রায়েক ২/২০৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৭৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬১

Sharable Link

হামীদুল্লাহ - হবিগঞ্জ, সিলেট

৩৯৫৭ . Question

এক ব্যক্তি ১০ যিলহজ্ব সকালে মুযদালিফা থেকে মিনায় যাওয়ার সময় পায়ে আঘাত পায়। এক জায়গায় হোঁচট খেয়ে পা মচকে যায়। যার কারণে ঐ দিন মিনায় গিয়ে কংকর মারা তার জন্য সম্ভব ছিল না। তাই সে ঐ দিন তার এক সঙ্গীকে দিয়ে রমি করায়। সেদিন ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরের দিন এগারো তারিখ বিকেলে সে অনেকটা সুস্থ হয়ে যায় এবং ঐ দিনের রমি রাতের বেলা সে নিজেই গিয়ে আদায় করে।

প্রশ্ন হল, প্রথম দিন সে যে আরেকজনকে দিয়ে রমি করিয়েছে তা কি সহীহ হয়েছে? আর পরের দিন তো সে সুস্থ হয়ে গেছে। তাহলে কি ঐ দিনের রমি পরের দিন তাকে আবার করে নিতে হবে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি যেহেতু ১০ যিলহজ্ব অসুস্থ ছিল। ফলে নিজে গিয়ে কংকর মারতে সক্ষম ছিল না তাই ঐ দিন অন্যকে দিয়ে কংকর মারানো সহীহ হয়েছে। সুতরাং পরের দিন সুস্থ হলেও বিগত দিনের কংকর নিক্ষেপ করতে হবে না। আর এগারো তারিখে নিজে গিয়ে কংকর মারা ঠিক হয়েছে। 

-কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনাহ ১/৫৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩৬; গুনয়াতুন নাসিক পৃ. ১৮৭

Sharable Link

সুনায়না হক - ওয়ারি, ঢাকা

৩৯৫৮. Question

আমি স্বামী-সন্তানসহ প্রায় সারা জীবনই কাটিয়েছি আমেরিকায়। আল্লাহর রহমতে কয়েক বছর আগে আমার দ্বীনের বুঝ আসে। কিন্তু আমার স্বামী তা মেনে নেয় না। তাই এক পর্যায়ে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আর আমি বাংলাদেশে চলে আসি। এখানে আমার শুধু মা ও ছোট বোনেরা থাকে। আল্লাহ আমাকে অনেক সম্পদ দান করেছেন। এখন আমি হজ্ব করতে চাই। কিন্তু আমার সঙ্গে কোনো মাহরাম নেই। আমি কি একাকী হজ্ব করতে পারব?

Answer

মহিলাদের জন্য মাহরাম ব্যতীত হজ্বের সফরে যাওয়া নিষেধ।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত আছেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ، وَلاَ تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَيَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَاوَكَذَا، وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً، قَالَاذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ.

কোনো পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান না করে এবং কোনো মহিলা যেন মাহরাম ব্যতীত সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি আর আমার স্ত্রী হজ্বের জন্য বের হচ্ছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনযাও। তুমিও তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব কর। -সহীহ বুখারী,হাদীস ৩০০৬

আরেক হাদীসে এসেছেনবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

لَا تَحُجَّنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا ذُو مُحْرِمٍ

কখনো কোনো নারী মাহরাম ছাড়া হজ্ব করবে না। -সুনানে দারা কুতনী ২/২২২

অতএব মাহরাম ছাড়া আপনার জন্য হজ্বে যাওয়া জায়েয হবে না। যতদিন শারীরিকভাবে নিজে হজ্ব করতে সক্ষম থাকেন ততদিন মাহরামের অপেক্ষা করবেন। অবশেষে মাহরাম না পেলে কারো দ্বারা বদলি হজ্ব করাতে হবে। আর এ ব্যাপারে পূর্ব থেকেই অসিয়ত করে রাখবেন। যেন হঠাৎ মৃত্যু হয়ে গেলে আত্মীয়-স্বজন আপনার সম্পদ দ্বারা বদলি হজ্ব করিয়ে নেয়।

উল্লেখ্য যেবোনের ছেলে এবং আপন মামা মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আপনার এমন কোনো উপযুক্ত আত্মীয় থাকলে তাদের কাউকে সাথে নিয়ে হজ্বে যেতে পারবেন। 

-ফাতহুল কাদীর ২/৩২৭, ৩/৬৮; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩০৮; আলবাহরুর রায়েক ৩/৬১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৯; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী পৃ. ৫৭

Sharable Link

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - রামু, কক্সবাজার

৩৯৫৯ . Question

আমার এক চাচাত ভাইয়ের সাথে এক মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রথমদিকে মেয়ের পরিবার জানত না। কিন্তু কিছুদিন পর মেয়েটি অন্তস্বত্তা হয়ে যায়। পরিবারের চাপাচাপিতে সে সব খুলে বলে। ওরা মামলা করে। এখন মেয়ের পরিবার ঐ ছেলের সাথেই বিয়ে দিতে চায়। জানার বিষয় হল, তাদের বিবাহ সহীহ হবে কি না? এবং তাদের দাম্পত্য জীবন সহীহ হবে কি না? নাকি এতে অন্য কোনো বিধান রয়েছে।

Answer

আপনার চাচাত ভাইয়ের জন্য ঐ মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সহীহ হবেএবং বিয়ের পরে তাদের জন্য স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে কোনো বাধা নেই।

عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ : سُئِلَ عَنِ الرَّجُلِ يَفْجُرُ بِالْمَرْأَةِ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا، قَالَ : هُوَ أَحَقُّ بِهَا، هُوَ أَفْسَدَهَا.

হযরত জাবের ইবনে যায়েদ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হলযে পুরুষ কোনো নারীর সাথে ব্যভিচার করেছে সে কি তাকে বিয়ে করতে পারবেতিনি বললেনযে তার সম্ভ্রম নষ্ট করেছে সেই তো তার বেশি হকদার। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদীস : ১৭০৫৪

প্রকাশ থাকে যেব্যভিচার জঘন্যতম গুনাহের কাজ। বড় মাপের কবীরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন-

وَ لَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً  وَ سَآءَ سَبِیْلًا

আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। সেটা অশ্লীলতা ও নিকৃষ্ট পন্থা। -সূরা বনী ইসরাইল ( ১৭) : ৩০

হাদীস শরীফে এসেছেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ

কোন ব্যক্তি মুমিন থাকা অবস্থায় ব্যভিচার করতে পারে না। -সহীহ মুসলিমহাদীস ৫৭

সুতরাং তাদের উভয়ের কর্তব্য খাঁটি দিলে তাওবা ইস্তিগফার করা।

-ফাতহুল কাদীর ৩/১৪৫; আলবাহরুর রায়েক ৩/১০৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৮৫; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৮

Sharable Link

সাদ আহমদ - কুড়িগ্রাম

৩৯৬০. Question

রাবেয়া ও রাজিয়া আপন বোন। ছোটবেলায় তাদের মা অসুস্থ থাকায় রাবেয়া কিছুদিন আমার আম্মুর দুধ পান করেছে। এখন রাজিয়ার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে। জানতে চাই, এ অবস্থায় আমার জন্য রাজিয়াকে বিয়ে করা বৈধ হবে কি না?

 

Answer

হাঁআপনার জন্য রাজিয়াকে বিয়ে করা বৈধ হবে। কেননা প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রাবেয়া আপনার দুধ বোন হলেও রাজিয়া আপনার দুধ বোন নয়। কারণ সে আপনার মায়ের দুধ পান করেনি। তাই রাজিয়াকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই।

-মাবসূত, সারাখসী ৫/১৩৭; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪০০; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২৭; আদ্দুররুল মুখতার ৩/২১৭

Sharable Link

মেরাজ তাহলীল - ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত

৩৯৬১. Question

আমাদের পাশের মসজিদে আইপিএস লাগানোর জন্য আমি আমার বিভিন্ন বন্ধুদের থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা সংগ্রহ করি। আইপিএস লাগানোর পর আমার কাছে আরো তিন হাজার টাকা রয়ে গেছে। জানার বিষয় হল, ঐ তিন হাজার টাকা আমি অন্য মসজিদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করতে পারব কি না?

 

Answer

আপনার বন্ধুরা যেহেতু আপনাদের মসজিদে আইপিএস কিনে দেওয়ার জন্য টাকাগুলো দিয়েছে তাই আইপিএস কেনার পর অবশিষ্ট টাকাটাও ঐ মসজিদেরই প্রাপ্য। তবে এক্ষেত্রে আপনার বন্ধুদেরকে বিষয়টি অবহিত করা দরকার। যদি তারা অবশিষ্ট টাকা ফেরত চায় অথবা অন্য কোথাও দিতে বলে তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। 

-আলইসআফ ১৫; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫০

Sharable Link

মুহাম্মাদ আলী - নরসিংদী

৩৯৬২. Question

আমরা তিনজন মিলে ১ লক্ষ করে মোট ৩ লক্ষ টাকা একজনকে ব্যবসা করার জন্য দেই। সে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রসিদ্ধ মিষ্টি, দই, রসমালাই ইত্যাদি এনে ঢাকায় বিক্রি করে। সে আমাদেরকে অর্জিত লাভের ২৩% করে দেওয়ার আর লস হলে একই হারে কেটে নেওয়ার চুক্তি করে। এক বছর পর সে নিজেও তাতে ১০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ করে। এখন জানার বিষয় হল, আমাদের উপরোক্ত কারবারটি সহীহ আছে কি?

 

Answer

প্রশ্নোক্ত লাভ বণ্টনের চুক্তিটি সহীহ হয়েছে। কিন্তু লোকসানের ক্ষেত্রে একই হারে কেটে নেওয়ার চুক্তিটি সহীহ হয়নি। কেননা আপনারা তার সাথে যে চুক্তিটি করেছেন ফিকহের পরিভাষায় একে মুদারাবা বলে। মুদরাবার ক্ষেত্রে নিয়ম হল ব্যবসায় ক্ষতি হলে বিনিয়োগকারীরা নিজ নিজ বিনিয়োগের হার অনুপাতে ক্ষতি বহন করবে। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনাকারীর ইচ্ছাকৃত ত্রুটি ছাড়া তার ক্ষতি হলে বা লোকসান হলে সে মূলধনের জরিমানা দিবে না। অবশ্য ব্যবসা পরিচালনাকারী নিজ থেকেও কিছু বিনিয়োগ করলে লোকসানের ক্ষেত্রে মূলধনের অনুপাতে সেও ক্ষতি বহন করবে।

-বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৯; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ : ১৩৬৯; রদ্দুল মুহতার ৫/৬৪৮

Sharable Link

মিসবাহ উদ্দীন - লোহাগড়া, চট্টগ্রাম

৩৯৬৩. Question

আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। ঢাকার একটি মাকতাবা থেকে আমি ফোনে ফাতহুল বারী কিতাবটি ক্রয় করেছিলাম। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা কিতাবটি আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরিবহণ খরচ আমি বহন করেছি। কিতাবটি দেখার পর তার ছাপা ও আনুষঙ্গিক আরো কিছু জিনিস আমার পছন্দ হয়নি। তাই আমি তা ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি। কিন্তু তারা তাতে রাজি হচ্ছে না। জানার বিষয় হল, শরীয়তের দৃষ্টিতে কিতাবটি ফিরিয়ে দেওয়ার অধিকার আমার আছে কি? আর ফিরিয়ে দিলে তার ফিরতি পরিবহণ খরচ কি আমাকেই বহন করতে হবে?

Answer

আপনি যেহেতু কিতাবটি না দেখেই ক্রয় করেছেন তাই দেখার পর চাইলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার অধিকার আপনার রয়েছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

من اشْترى شَيْئا وَلم يره فَهُوَ بِالْخِيَارِ إِذا رَآهُ .

কেউ যদি না দেখে কোনো কিছু ক্রয় করে তাহলে দেখার পর তা (রাখা না রাখার) অধিকার তার রয়েছে। -কিতাবুল হুজ্জাহ ১/৭২৪

 

তাই মাকতাবা কর্তৃপক্ষের জন্য কিতাবটি ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানানোর সুযোগ নেই। তাদের দায়িত্ব হল তা ফেরত নিয়ে আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া। তবে কিতাবটি আনা নেওয়ার উভয় খরচই আপনাকে বহন করতে হবে। 

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ২০৩৩৮-২০৩৪১; শরহু মাআনিল আসার ২/১৮৬; রদ্দুল মুহতার ৪/৫৯৪, জামেউল ফুসুলাইন ১/৩৩৬

Sharable Link

হাবিবুর রহমান - ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত

৩৯৬৪. Question

আমি কুমিল্লা ইপিজেডে একটি কোরিয়ান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হল ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল ক্রয় করা। কাঁচামালগুলে যেসব কোম্পানি থেকে ক্রয় করি তারা অনেক সময় আমাকে প্রস্তাব করে যে, আমি তাদের থেকে পণ্য ক্রয় করলে তারা আমাকে শতকরা হারে কিছু কমিশন দিবে। যেমন আমার ফ্যাক্টরির ক্যাবল প্রয়োজন। ক্যাবল বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন, বিআরবি, বিবিএস, প্যারাডাইস ক্যাবল ইত্যাদি। তো ধরুন, বিআরবি কোম্পানি আমাকে প্রস্তাব করল যে, আমি যদি তাদের থেকে ক্রয় করি তাহলে তারা আমাকে ০.৫% কমিশন দিবে। এই কমিশনটা নেওয়া আমার জন্য জায়েয হবে কি না?

Answer

আপনি যেহেতু ঐ ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে মালামাল ক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তাই বিক্রয়কারী কোম্পানির কাছ থেকে কোনো কমিশন নেওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না। নিলে সেটা সম্পূর্ণ ঘুষ ও হারাম হবে। বিক্রেতা কোম্পানি যদি কখনো কোনো গিফট বা কমিশন দেয় তা আপনার ফ্যাক্টরি  কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে হবে। এই কমিশন বা গিফট পাওয়ার হকদার ক্রেতা কোম্পানি। ক্রেতা প্রতিনিধি নয়।

উল্লেখ্যআপনার কর্তব্য হল আপনার প্রতিষ্ঠান কোনো ব্র্যান্ড নির্ধারণ করে দিলে তাদের থেকেই মালামাল নেওয়া। আর যদি নির্ধারণ না করে দেয় তবে যাদের থেকে কিনলে আপনার ফ্যাক্টরি সার্বিকভাবে লাভবান হবে তাদের থেকেই ক্রয় করা। এর ব্যতিক্রম হলে অন্যায় ও খেয়ানত হবে।

-জামেউল ফুসুলাইন ২/২১১; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৬৭; রদ্দুল মুহতার ৪/৫৬০

Sharable Link

জয়নাল আবেদীন - সিলেট

৩৯৬৫. Question

আমি ও আমার স্ত্রী দেশেই থাকি। কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়ে সবাই লন্ডনে থাকে। আমরাও মাঝে মাঝে গিয়ে তাদের সাথে কিছুদিন থেকে আসি। দেশে যেহেতু আমাদের সন্তানাদি কেউ নেই তাই এখানে আমাদের জন্য কুরবানী দেওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। তাই আমাদের সন্তানরা চাচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে তারা লন্ডনে কুরবানী করে দিবে। কিন্তু তারা আমাদের থেকে একদিন আগে কুরবানী করে। অতএব তারা যদি তাদের কুরবানীর সময় আমাদের পক্ষ থেকেও কুরবানী করে দেয় তবে কি তা সহীহ হবে? এবং এর দ্বারা কি আমাদের কুরবানী আদায় হবে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ছেলেরা যদি আপনার পক্ষ থেকে ঐ দেশে কুরবানী করে তাহলে বাংলাদেশে কুরবানীর সময় হওয়ার পরই সেটি করা সমীচিন হবে। অবশ্য ঐ দেশে কুরবানীর সময় হয়ে যাওয়ার পরও যদি তারা সেখানে আপনার কুরবানী আদায় করে দেয় তবে তা আদায় হয়ে যাবে। কেননা কুরবানী আদায়ের জন্য পশু যেখানে যবাই করা হবে সেখানকার সময় মুখ্য। পশু যবাইকারীর স্থানে কুরবানীর সময় হয়ে গেলেই কুরবানী করা সহীহ হবে। 

-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩/৩৪৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮; ফাতাওয়া রহীমিয়া ১০/৪০

Sharable Link

আদনান শরীফ - হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

৩৯৬৬. Question

কুরবানীর পশু কিনতে আমরা তিন ভাই হাটে গেলাম। কিন্তু পশুর দাম বেশি হওয়ায় আমরা কিনতে পারছি না। এক ভাই বলল, আমাদের দুই চাচা তো এখনো কোনো পশু ক্রয় করেনি। তাদেরকে আমাদের সাথে শরিক করলে তো হয়ে যায়। এ বলে আমরা উক্ত পশু ক্রয় করে নিলাম। কিন্তু বাসায় আসার পর এক চাচা বলল, না, এ কুরবানী সহীহ হবে না। তিনি বললেন, শরিকের মাসআলা তোমরা বুঝ? এ বলে তিনি আমাদের সাথে শরিক হতে চাইলেন না। তাই জানার বিষয় হল, আসলেই কি এ পশু দ্বারা কুরবানী হবে না? সঠিক মাসআলা জানিয়ে উপকৃত করবেন।

Answer

কুরবানীর পশুটি ক্রয়ের সময় যেহেতু আপনার দুই চাচাকে শরিক করার নিয়ত ছিল তাই তাদেরকে উক্ত পশুতে শরিক নিতে কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য পশু ক্রয়ের সময় শরিক করার নিয়ত না থাকলে পরবর্তীতে শরিক করা উচিত নয়। তবে সেক্ষেত্রেও শরিক নিলে সকলের কুরবানী হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে (অর্থাৎ শরিক নেওয়ার নিয়ত না থাকলে) শরিকদের থেকে প্রাপ্ত টাকা সদকা করে দেওয়া বাঞ্ছনীয় হবে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৭; মাবসূত, সারাখসী ১২/১৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭

Sharable Link

মুঈনুদ্দীন - বাঁশখালি, চট্টগ্রাম

৩৯৬৭. Question

আমি ফার্মের মুরগি বিক্রি করি। কিছুদিন আগে এক লোক ২০টা মুরগির অর্ডার দিয়েছেন। ছোট থেকেই জানতাম যে, পশু যবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলে যবাই করতে হয়। এটাই আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল। কিন্তু ঐদিন লোকটির সামনে মুরগিগুলো যবাইয়ের সময় শুধু বিসমিল্লাহ বলে যবাই করছিলাম। লোকটা জিজ্ঞাসাও করেছিল, আপনি কি বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলেন নাই? আমি বললাম, হাঁ, বলেছি। আমি মিথ্যা বললাম। কিন্তু পরে ভয় হল, আমি তো কাজটা ঠিক করিনি। এখন আমার কী করণীয় তাও বুঝতে পারছি না। দয়া করে আমার করণীয় কী তা জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

যবাইয়ের সময় শুধু বিসমিল্লাহ বললেও যবাই সহীহ হয়ে যায়। তাই আপনার যবাই করা সহীহ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَكُلُوْا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَیْهِ.

সুতরাং এমন সব হালাল পশু থেকে খাওযাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে। -সূরা আনআম (৬) : ১১৮

তবে ফকীহগণ নিম্নোক্ত হাদীসের আলোকে بِسْمِ اللهِ اَللهُ أَكْبَر পুরাটা বলাকেই মুস্তাহাব বলেছেন। আনাস রা. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ضَحَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ، فَرَأَيْتُهُ وَاضِعًا قَدَمَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا، يُسَمِّي وَيُكَبِّرُ، فَذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি সাদা কালো রংয়ের ভেড়া দ্বারা কুরবানী করেছেন। দেখলামতিনি ভেড়া দুটোর গর্দানের পাশে পা রেখে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে নিজ হাতেই দুটোকে যবাই করলেন। 

-সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৫৮; ফাতহুল বারী ১০/২০; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৮৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩০১

Sharable Link

ওমর ফারুক - রাঙুনিয়া, চট্টগ্রাম

৩৯৬৮. Question

আম্মু বলেছিলেন এ বছর কুরবানী করবেন। তাই কয়েক মাসের টাকা জমিয়ে একটি ছাগল ক্রয় করেছি। কিন্তু কুরবানীর আগের দিন আম্মুর প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয়। আম্মুকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে ৫-৭ দিন চলে যায়। এমনকি কুরবানীর সময়ও শেষ হয়ে যায়। কাউকে কুরবানী করার জন্য বলব সে খেয়ালটুকুও ছিল না। এ অবস্থায় উক্ত পশু দ্বারা আমি কী করব? যবাই করে খাওয়া বা বিক্রি করা কি জায়েয আছে? নাকি গরিব-মিসকীনকে দিয়ে দিতে হবে?

 

Answer

এখন ছাগলটি যবাই করে খাওয়া বা বিক্রি করা কোনোটিই জায়েয হবে না। কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়ের পর কুরবানীর নির্ধারিত সময় (১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত) যেহেতু পার হয়ে গেছে এখন উক্ত পশু জীবিতই ফকির-মিসকীনকে সদকা করে দিতে হবে।

-শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৭/৩৪২; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০

Sharable Link

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ - চট্টগ্রাম

৩৯৬৯. Question

আকীকা করা মূলত কার দায়িত্ব? বাবার বর্তমানে দাদা, নানা বা অন্য কেউ যদি আকীকা করে তাহলে কি আকীকা আদায় হবে?

ছোটবেলায় কারো যদি আকীকা না হয়ে থাকে তাহলে বড় হয়ে সে কি নিজের আকীকা নিজে করতে পারবে?

Answer

সন্তানের আকীকার দায়িত্ব বাবার। বাবার সামর্থ্য না থাকলে যদি মা সামর্থ্যবান হন তবে মা সন্তানের আকীকা করবেন। অবশ্য বাবা-মা সামর্থ্যবান হোক বা না হোক উভয় অবস্থায় তাদের সম্মতিতে দাদানানা বা যে কেউ আকীকা করলে আকীকা সহীহ হয়ে যাবে।

আকীকা সপ্তম দিনে করা উত্তমতা না পারলে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনে করবে। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিততিনি বলেন,

وَلْيَكُنْ ذَاكَ يَوْمَ السَّابِعِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فَفِي أَرْبَعَةَ عَشَرَ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فَفِي إِحْدَى وَعِشْرِينَ.

আর তা (আকীকা) যেন সপ্তম দিনে করা হয়যদি সপ্তম দিনে করা না হয় তবে চৌদ্দতম দিনে এবং চৌদ্দতম দিনে করা না হলে একুশতম দিনে করবে। -মুসতাদরাকে হাকেমহাদীস ৭৬৬৯

আর এ সময়ের ভেতর যদি আকীকা করা না হয় তাহলে পরেও করা যাবে।

কারো যদি ছোটবেলায় আকীকা করা না হয়ে থাকে এবং সে বড় হয়ে নিজের আকীকা নিজে করতে চায় তাহলে সেটারও সুযোগ আছে। বিখ্যাত তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাহ. বলেনআমি যদি জানতাম যেআমার আকীকা করা হয়নি তাহলে আমি নিজেই আমার আকীকা করতাম। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহাদীস ২৪৭১) 

-জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২২;; ফয়যুল বারী ৪/৩৩৭; তুহফাতুল মুহতাজ ১২/২৯৩; ফাতাওয়া রহীমিয়া ১০/৬১-৬২

Sharable Link

মুআয - মোমেনশাহী

৩৯৭০. Question

আমার বড় ভাই একটি ছাগল যবাই করছিলেন। তখন আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য জোরে বিসমিল্লাহ বলি। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি কি বিসমিল্লাহ বলেছিলেন? তিনি বললেন, তুমি তো বলেছই, তাই আমি ইচ্ছা করেই আর বলিনি। একজন বললেই তো যথেষ্ট। এখন তার যবাইকৃত এ ছাগলের গোশত কি হালাল হবে?

Answer

যবাই করার সময় যবাইকারীর বিসমিল্লাহ বলা জরুরি। যবাইকারী না বলে অন্য কেউ বললে তা যথেষ্ট হবে না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ভাই যবাই করার সময় যেহেতু বিসমিল্লাহ বলেননি তাই ঐ ছাগলের যবাই সহীহ হয়নি। অতএব তার গোশত হালাল হবে না। 

-সূরা আনআম (৬) : ১২১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৩; বাদায়েউস সনায়ে ৪/১৭০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০২; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩০২

Sharable Link

শাহাবুদ্দীন - লোহাগড়া, চট্টগ্রাম

৩৯৭১ . Question

আমি একজন লোকাল বাসচালক। কুরবানীর দিন আমার গাড়িতে কিছু গোশত পাই। যার ওজন প্রায় ১০/১১ কেজি হবে। সাথে সাথে আমি বাসস্ট্যান্ডে ঘোষণা করে দিয়েছি। কিন্তু একদিন এক রাত পার হওয়ার পরও মালিকের কোনো খোঁজ পাইনি।

পরে এ বিষয়ে এক আলেমের সাথে কথা বললে তিনি জানালেন, যদি সম্ভব হয় বিক্রি করে টাকা রাখেন। মালিক এলে তাকে দিয়ে দিবেন। না হয় কোনো গরীবকে সদকা করে দিবেন।

কিন্তু কুরবানীর সময় ঘরে ঘরে তো গোশত তাই কাউকে বিক্রি করতে পারিনি। পরে আমার এক গরিব ছেলে যার সংসার ভিন্ন তাকে দিয়ে দিয়েছি।

জানার বিষয় হল, নিজ সন্তানকে প্রাপ্ত/কুড়ানো সম্পদ দেওয়া কি ঠিক হয়েছে? তার জন্য তা বৈধ হবে কি?

Answer

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু ঘোষণার পরও মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি তাই গোশতগুলো আপনার গরীব সন্তানকে দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়েছে এবং তার জন্য সেগুলো খাওয়া জায়েয।

-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৪২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৯১; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৭৯

Sharable Link

ইসরাফীল - ভাঙ্গা, ফরিদপুর

৩৯৭২. Question

একবার দীর্ঘদিন সফরে থাকার কারণে হাত পায়ের নখ কাটার সুযোগ পাইনি। ফলে তা বেশ লম্বা হয়ে যায়। এবং সফরের দরুণ তাতে ময়লা জমে যায়। সফর শেষে এক বন্ধু আমাকে বললেন, নখের ভেতর ময়লা থাকলে অযু হয় না। তাই তোমার নামাযও হয়নি। তার কথা শুনে আমি বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই।

জানার বিষয় হল, আমার বিগত দিনের নামায কি কাযা করতে হবে?

Answer

নখের ভেতর ময়লা জমে থাকলেও অযুর সময় সে অংশ ভিজে গেলে অযু হয়ে যায়। তাই আপনার ঐ নামাযগুলো আদায় হয়ে গেছে। তা কাযা করতে হবে না।

উল্লেখ্যহাত পায়ের নখ সপ্তাহে একবার কাটা উত্তম। নাফে রাহ. থেকে বর্ণিততিনি বলেন,

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُقَلِّمُ أَظْفَارَهُ وَيَقُصُّ شَارِبَهُ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ.

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. প্রত্যেক জুমআর দিনে মোঁচ ও নখ কাটতেন। 

-সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৩/২৪৪; আলবাহরুর রায়েক ১/৪৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫৪

Sharable Link