ইমামের সালাম ফেরানোর আগেই যদি মুক্তাদির তাশাহহুদ, দরূদ ও দুআ সমাপ্ত হয়ে যায় তাহলে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত কী করবে?
ইমামের সালাম ফেরানোর আগেই যদি মুক্তাদির তাশাহহুদ, দরূদ ও দুআ সমাপ্ত হয়ে যায় তাহলে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত কী করবে?
প্রথম কথা এই যে, নামাযে দুআ-দরূদ বুঝে-শুনে তারতিলের সাথে পড়া উচিত। এরপরও যদি ইমামের আগে মুক্তাদির দুআ-দরূদ সমাপ্ত হয়ে যায় তাহলে কুরআন-হাদীসের কোনো দুআ জানা থাকলে তা পড়তে থাকবে। যদি জানা না থাকে তাহলে
اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا
বারবার পড়তে থাকবে। একই দুআ বারবার পড়তে কোনো বাধা নেই; বরং সুযোগ থাকলে তাই করা উচিত। প্রকাশ থাকে যে, শেষ বৈঠকে শুধু
اللهم إني ظلمت نفسي
দুআটিই পড়তে হবে এমন নয়। কুরআন-হাদীসের যে কোনো দুআ অথবা অন্য কোনো ভালো দুআও পড়া যায়। কারণ হাদীস শরীফে আছে-
ثم يتخير من الدعاء أعجبه إليه فيدعو
অন্য হাদীসে আছে
ثم ليتخير من المسألة ما شاء
অর্থাৎ সালামের পূর্বে মুসল্লিরা যে দুআ করতে চায় করতে পারে। হাদীস শরীফের একটি দুআ এই
الله إني أعوذبك من عذاب جهنم ومن عذاب القبر ومن فتنة المحيا والممات ومن شر فتنة المسيح الدجال.
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৮৮) আরো একটি দুআ হল-
الله اغفرلي ما قدمت وما أخرت وما أسررت وما أعلنت وما أسرفت وما أنت أعلم به مني أنت المقدم وأنت المؤخر لا إله إلا أنت.
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৭৭১)
আর কুরআন মজীদের ছোট ছোট দুআ তো সকলেরই জানা আছে। যেমন-
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ
ইত্যাদি।
Sharable Link
হজ্বের মধ্যে যদি কেউ ১১ তারিখে কুরবানী করে এবং ১১ তারিখেই হালাল হয়ে যায় তাহলে তার উপর দম ওয়াজিব হবে কি?
না, এগারো তারিখ কুরবানী করার পর হালাল হলে দম দিতে হবে না। কারণ যিলহজ্বের ১০ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত তিন দিনের যেকোনো দিন কুরবানী করা যায়। তবে যে দিনই কুরবানী করুক কুরবানীর আগে মাথা মুন্ডানো যাবে না। কুরবানীর পর মাথার চুল মুন্ডিয়ে বা ছেঁটে হালাল হতে পারবে।
গুনইয়াতুন নাসিক পৃষ্ঠা : ১৭৫; রদ্দুল মুহতার ২/৫৩৮Sharable Link
ক) আমার স্বামী ২০০৭ সালে হজ্বে গিয়েছিলেন। তখন আমার নেসাব পরিমাণ সম্পদ ছিল। আমার স্বামী একজন মুফতী সাহেবের কাছে শুনে এসে বলেছেন যে, মহিলাদের মাহরামকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকা না থাকলে হজ্ব ফরয হয় না। কিন্তু মাহরাম এমনিতেই পেয়ে গেলে যে হজ্ব ফরয হবে সেটা তিনি বলেননি। এজন্য ২০০৭ সালে তিনি হজ্বে যাওয়ার সময় আমি বুঝিনি যে, আমার উপর হজ্ব ফরয এবং আমার স্বামীও তা খেয়াল করেননি। আমি হজ্ব ফরয না জেনেই তার সাথে হজ্বে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চা ছোট বলে আমাকে হজ্বে নিতে রাজি হননি। আমার বাচ্চার বয়স তখন ২ বছর পুরা হয়নি। তবে বুকের দুধ স্বামী হজ্বে যাওয়ার ১ মাস আগেই ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চা আমাদের দুজন ছাড়া আর কারো কাছে থাকত না। আমি ওকে রেখে হজ্বে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারিনি। তাই আমি ওকে নিয়েই হজ্বে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুরববীরা এবং আমার স্বামী কেউ বাচ্চা নিয়ে যেতে রাজি হননি। আর বাচ্চা রেখে যাওয়ার কোনো উপায়ও ছিল না। কারণ শুধু ওর আববু হজ্বে যাওয়ার কারণেই ওর অবস্থা এমন হয়েছিল যে, আমি হাম্মামে (বাথরুমে) গেলেও সে কাঁদতে কাঁদতে বমি করে দিত। এখন এই (দুগ্ধপোষ্য) শিশু কি আমি হজ্বে না যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ওজর হিসেবে গণ্য হবে?
উল্লেখ্য, আমি আমার উপর হজ্ব ফরয সেটা না জানার কারণে গত এক বছর আগে উমরা করে এসেছি। এই জন্য আমার কাছে এখন হজ্বে যাওয়ার মতো নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। এখন আমি হজ্ব না করার কারণে কি আমার গুনাহ হচ্ছে? হয়ে থাকলে আমার কী করণীয়?
খ) আমার শ্বশুর প্রতি বছর হজ্বে যান। আমার যদি একা হজ্বে যাওয়ার মতো টাকা হয় তাহলে আমার উপর হজ্ব ফরয হবে কি? হজ্বের মতো কঠিন সফরে শ্বশুরের সাথে যাওয়া কি ঠিক হবে?
গ) কোনো মহিলা যদি বাচ্চা রেখে যাওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ না পায় আর তাকে হজ্বে নেওয়ার মতো সামর্থ্যও না থাকে তাহলে সে কী করবে?প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনার উপর ২০০৭ সালেই হজ্ব ফরয হয়েছে। তবে শিশু বাচ্চার জন্য হজ্ব বিলম্ব করার দ্বারা গুনাহ হয়নি। বর্তমানে বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব আপনার হজ্ব করে নেওয়া আবশ্যক। শ্বশুর যদি পুরা দ্বীনদার হন তবে তার সাথেও হজ্বে যাওয়ার সুযোগ আছে। আর যদি কোনোভাবেই হজ্বের ব্যবস্থা না হয় বা উপযুক্ত মাহরাম না পাওয়া যায় তাহলে সেক্ষেত্রে বদলী হজ্বের অসীয়ত করে যেতে হবে।
-মানাসিক পৃষ্ঠা : ৩৭, ৬০; গুনইয়াতুন নাসিক পৃষ্ঠা : ১২; ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৫৮Sharable Link
গত রমযানে আমি ইমামের সাথে তারাবী আদায় করার পর ইস্তেঞ্জার জরুরতে বাইরে যাই। এসে ইমামকে বিতরের শেষ রাকাতে পাই। জানার বিষয় হল, আমি ইমামের সাথে শেষ রাকাতে একবার কুনুত পড়েছি, আমার নামাযের শেষে কি আবার কুনূত পড়ব?
না, নামাযের শেষে আর দুআ কুনূত পড়তে হবে না। কেননা, আপনি ইমামের সাথে কুনূতসহ এক রাকাত আদায় করেছেন। এখন আগের ছুটে যাওয়া দুই রাকাত স্বাভাবিক নিয়মে পড়ে নিতে হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১১৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৬৪Sharable Link
ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখলে যাকাত দিতে হবে কি?
হ্যাঁ, যেকোনো ব্যাংকে টাকা রাখা হোক জমা টাকার যাকাত দিতে হবে।
হবে।-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/১০০; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৫৯Sharable Link
কেউ যদি এইভাবে সালাম দেয়-স্লামু আলাইকুম- তাহলে কী এর উত্তর দিতে হবে? এক ব্যক্তি থেকে শুনেছি, এভাবে সালাম দিলে উত্তর দেওয়া লাগবে না।
এভাবে সালাম দেওয়া ঠিক নয়। শুদ্ধ উচ্চারণে স্পষ্টভাবে সালাম দিতে হবে। তবে কেউ যদি প্রশ্নোক্ত অশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেয় তবুও সালামের উত্তর দিতে হবে।
হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/২০৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৬Sharable Link
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা জায়গা ও বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। টাকা পরিশোধের ব্যাপারে শর্ত থাকে যে, এককালীন পরিশোধ করলে কিছুটা কম আর কিস্তিতে পরিশোধ করলে কিছুটা বেশি পরিশোধ করতে হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কিস্তির অতিরিক্ত টাকা কি সুদ? এ জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় জায়েয আছে কি?
কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় করলে নগদের চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়া জায়েয। তবে কিস্তির বিক্রির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে-
১. পণ্যের মূল্য ও আদায়ের তারিখ সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
২. চুক্তির সময় পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত হওয়ার পর কিস্তি আদায়ে বিলম্ব বা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না।
৩. কিস্তি আদায়ের জন্য পণ্য আটকে রাখা যাবে না; বরং চুক্তির পরই পণ্য ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী জিদ্দা ৭/২/৩২-৩৬; বাইউত তাকসীত ওয়া আহকামুহু, সুলাইমান আততুরকী পৃষ্ঠা : ২২৮; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যাহ মুআছিরা, আল্লামা তাকী উসমানী ১/৭Sharable Link
ময়ুরের গোশত খাওয়া জায়েয আছে কি?
হ্যাঁ, ময়ুর হালাল প্রাণী এবং এর গোশত খাওয়া হালাল।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯০; রদ্দুল মুহতার ৬/৩০৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪১৬; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৫৫; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩২৭; আশশারহুল কাবীর ৬/৩৮; আযযখীরা ৪/১০৫; হায়াতুল হায়াওয়ান ৩/৫-১৫; আলমুহাল্লা বিলআছার ৬/৮৪; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হাল ৪/২৫৩Sharable Link
এক তাবলীগী ভাইয়ের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তিনি মান্নত করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা যদি তার স্ত্রীকে সুস্থ করে দেন তাহলে তিনি তিন চিল্লার জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হবেন। প্রশ্ন হল, এটি মান্নত হয়েছে কি না? স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর তিন চিল্লায় বের হওয়া তার জন্য জরুরি কি না?
ঐ ব্যক্তির কথাটি মান্নত হয়নি। কেননা মান্নত সুনির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে তাবলীগে যাওয়া ভালো কাজ। স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর এই ভালো কাজটি করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার সাথে অঙ্গীকার করা হয়েছে। তাই সময় সুযোগ মতো তা পূরণ করে নেওয়া উচিত।
বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৮; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯৬; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৭৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৪০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭৩৫; আহসানুল ফাতাওয়া ৫/৪৯১Sharable Link
এক ব্যক্তি ভুলবশত তাওয়াফে বিদা না করে দেশে চলে এসেছেন। তিনি তাওয়াফে যিয়ারতের পর কোনো নফল তাওয়াফও করেননি। এখন তার করণীয় কী জানালে কৃতজ্ঞ হব।
তার হজ্ব আদায় হয়ে গেছে। তবে তাওয়াফে বিদা না করার কারণে তার উপর একটি দম (কুরবানীযোগ্য পশু) ওয়াজিব হয়েছে, যা হারামের সিমানার ভিতর জবাই করা জরুরি। সুতরাং তিনি মক্কায় গমনকারী কোনো ব্যক্তি অথবা সেখানে অবস্থানকারী কারো মাধ্যমে হারামের সিমানার ভিতর একটি পশু জবাই করবেন।
সহীহ ইবনে খুযায়মা ৪/৩২৮; সহীহ ইবনে হিববান ৯/২১০; মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ পৃষ্ঠা : ২৩৯; শরহু মুখতাছারুত তহাবী ২/৫৪৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৪; মানাসিক পৃ. ২৫৩; সুনানে দারাকুতনী ২/২৪৪; রদ্দুল মুহতার ২/৫৪৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/৩৪০Sharable Link
জনৈক ব্যক্তি তামাত্তু হজ্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে মীকাতের আগে থেকে উমরার ইহরাম করে রওনা হন এবং যথারীতি তাওয়াফ ও সাঈ করেন। কিন্তু এরপর হলক বা কসর না করে ইহরামের হালতেই মক্কায় অবস্থান করেন এবং ৮ তারিখ হজ্বের ইহরাম করে মিনায় রওনা হন। এরপর আরাফা, মুযদালিফায় উকূফ করে মিনায় রমী, কুরবানী ও হলক করেন। এরপর তাওয়াফে যিয়ারত, সাঈ, তাওয়াফুল বিদা সম্পন্ন করেন এবং ঘোষণা দেন যে, তিনি কিরান হজ্ব আদায় করেছেন। শরীয়তের দৃষ্টিতে তার এ হজ্ব ক্বি কিরান হজ্ব হয়েছে? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার হজ্বটি তামাত্তু হজ্বই হয়েছে। কিরান হয়নি। কেননা, কিরান হওয়ার জন্য শর্ত হল, অন্তত উমরার তাওয়াফের অধিকাংশ চক্কর দেওয়ার পূর্বেই হজ্বের ইহরাম করে নেওয়া। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু উমরার তাওয়াফ, সাঈ সম্পন্ন করার পর হজ্বের ইহরাম করা হয়েছে তাই তা কিরান হয়নি, তামাত্তু হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উমরার তাওয়াফ ও সাঈ করার পর যেহেতু মাথা মুন্ডানো হয়নি তাই হজ্বের ইহরামের পূর্ব পর্যন্ত তিনি উমরার ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। তাই এ অবস্থায় থাকাকালীন ইহরাম সংক্রান্ত নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেললে তার উপর দম/জরিমানা (ক্ষেত্রবিশেষ) ওয়াজিব হবে। আর যেসব ভুলের কারণে কিরানকারীর উপর দুটি দম ওয়াজিব হয়, হজ্বের ইহরাম করার পর এমন কোনো নিষিদ্ধ কাজ করে থাকলে তার উপরও দুটি দম ওয়াজিব হবে। কেননা, সে বাস্তবে কিরানকারী না হলেও উমরার ইহরাম ত্যাগ না করার কারণে তার ইহরাম এখন দুটি : হজ্বের ইহরাম ও উমরার ইহরাম।ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৭৮; মানাসেক পৃ. ২৭১, ২৮৭, ২৮৯, ২৯০, ২৯৪; রদ্দুল মুহতার ২/৫৩৫; গুনইয়াতুন নাসিক ২০৩, ২১২, ২১৯Sharable Link
সাবেরা খাতুন নামে একজন মহিলা নিঃসন্তান অবস্থায় ১৯৯৭ ঈ. সালে ইন্তেকাল করেন। তার স্বামী পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন। তার মা, বাবা, দাদা, দাদী, নানা, নানী ও তাদের উর্ধ্বতন নারী-পুরুষ এবং তার চাচা, ফুফু সকলেই পূর্বে মারা গেছেন।
সাবেরা খাতুনরা দুই ভাই, দুই বোন। বোন হাজেরা খাতুন। বড় ভাই ইউনুস আলী ও ছোট ভাই দানিশ। বোন হাজেরা খাতুন ও বড় ভাই ইউনুস আলী সাবেরা খাতুনের পূর্বেই মারা গেছেন। মৃত্যুকালে হাজেরা খাতুন এক ছেলে এবং ইউনুস আলী তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। এরা সবাই বর্তমানে জীবিত রয়েছেন।
ছোট ভাই দানিশ সাবেরা খাতুনের পর মারা যান। দানিশের স্ত্রী স্বামীর পূর্বেই মারা গেছেন। দানিশ দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। ছেলেমেয়ে সকলেই জীবিত রয়েছে। এখন সাবেরা খাতুনের সম্পদের বণ্টন কীভাবে হবে?
সাবেরা খাতুনের স্থাবর-অস্থাবর সমুদয় সম্পদ থেকে প্রয়োজন হলে তার কাফন-দাফনের খরচ দিতে হবে। এরপর মৃতের কোনো ঋণ থাকলে তা আদায় করতে হবে। অতপর শরীয়তসম্মত কোনো অসীয়ত থাকলে অবশিষ্ট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে তা পূরণ করতে হবে। এরপর অবশিষ্ট সকল সম্পদ প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী মৃতের (মহিলার) ছোট ভাই দানিশ একাই পাবেন। কারণ মহিলার মৃত্যুর সময় দানিশই তার সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয় ছিলেন। অন্য আত্মীয়স্বজন যারা জীবিত ছিলেন তারা কেউ দানিশের সমস্তরের নয়। তাই বোনের সমুদয় সম্পদ ভাই দানিশ পাবেন। আর এখন যেহেতু দানিশ বেঁচে নেই তাই তার সূত্রে এ সম্পদ তার জীবিত ওয়ারিশগণের মধ্যে বণ্টন হয়ে যাবে প্রত্যেক ছেলে (সাবেরা খাতুনের ভাতিজা) ২৮.৫৭১ করে পাবে এবং প্রত্যেক মেয়ে (সাবেরা খাতুনের ভাতিজি) ১৪.২৮৫ করে পাবে।
সূরা নিসা : ১৭৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৪০১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৬/৪৫১; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৪৫৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২৩/২০৭, ৩৩৭; কিতাবুল মাবসূত ২৯/১৪০Sharable Link
জুমআর প্রথম আযানের পর আমরা অনেকেই খানাপিনা, গোসল, কাপড় ইস্ত্রি, কাপড় ধোয়া, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি কাজ করে থাকি। জানতে চাই, আযানের পর এ সমস্ত কাজ করা ঠিক কি না?
জুমআর প্রথম আযানের পর অন্য কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে মসজিদে যাওয়ার প্রস্ত্ততি নেওয়া এবং মসজিদের দিকে রওনা হওয়া জরুরি। এ সময় গল্পগুজব করা, কাপড় ধোয়া, কাপড় ইস্ত্রি করা, এমনকি ঘরে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা অর্থাৎ জুমআর প্রস্ত্ততিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা মাকরূহে তাহরীমী। অবশ্য নামাযের প্রস্ত্ততিমূলক কাজ যেমন-অযু, গোসল, কাপড় পরিধান ইত্যাদির সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে জুমআর দুই আযানের মাঝে যে লম্বা সময়ের ব্যবধান রাখার যে প্রচলন রয়েছে তা সংশোধন করা উচিত। দুই আযানের মাঝে অধিক বিরতি না দিয়ে দুই আযানকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসা কর্তব্য।সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৭৮; ফাতহুল বারী ২/৪১৯; তাফসীরে কুরতুবী ১৮/৭০; আহকামুল কুরআন, থানভী ৪/৬৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৬; ফাতাওয়া উসমানী ১/৫৮০Sharable Link
মহিলারা ঘরে একা একা নামায পড়ার সময় ইকামত বলবে কি না?
মহিলাদের জন্য আযান-ইকামতের বিধান নেই। তাদের আযান-ইকামত দেওয়া মাকরূহ। তারা আযান-ইকামত ছাড়া নামায আদায় করবে।
সুনানে বায়হাকী ১/৪০৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৭৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৭৮; ফাতহুল কাদীর ১/২১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫৩; ফাতাওয়া শামী ১/৩৯১Sharable Link
শাশুড়ির মামার সাথে দেখা সাক্ষাত করা যাবে কি?
শাশুড়ির মামা মাহরাম নয়। তাই তার সাথে দেখা সাক্ষাত করা জায়েয হবে না।
সূরা নিসা : ২২-২৪; তাফসীরে কুরতুবী ৫/১০৩; তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৭১১; আলমুফাসসাল, মাদ্দাহ : ৫৪৫২Sharable Link
আমার উপর যাকাত ফরয হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর যথাযথভাবে তা আদায় করে আসছি। কিন্তু আমার জানা ছিল না যে, স্বর্ণালংকারেরও যাকাত দিতে হয়। অথচ আমার কাছে প্রায় আট ভরি স্বর্ণের অলংকার আছে। এখন কীভাবে এ অলংকারগুলোর যাকাত আদায় করব? প্রতি বছরই তো স্বর্ণের মূল্য পরিবর্তন হচ্ছে। এখন কোন মূল্য হিসেবে তা আদায় করব?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ অলংকারের বর্তমান বাজারদর ধরেই পিছনের যাকাত আদায় করতে হবে। কেননা, প্রতি বছর ঐ অলংকারের শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত আদায় করা আপনার উপর ফরয ছিল। তা যেহেতু আদায় করা হয়নি তাই এখন এ পরিমাণ স্বর্ণ কিংবা তার বর্তমান বাজার দর আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোর যাকাত আদায়ের সময় প্রত্যেক বছরের যাকাত বাদ দিয়ে যে সম্পদ/অলংকার থাকবে তা পরবর্তী বছরের যাকাতযোগ্য সম্পদ বলে বিবেচিত হবে। যেমন কারো কাছে ৪০ ভরি অলংকার আছে। সে দুই বছর যাকাত দেয়নি। এক্ষেত্রে তাকে প্রথম বছরের জন্য ১ ভরি স্বর্ণ বা তার মূল্য যাকাত দিতে হবে। আর দ্বিতীয় বছরের যাকাতযোগ্য সম্পদ ৩৯ ভরি। তাই এ থেকে যাকাত দিতে হবে ০.৯৭৫ ভরি স্বর্ণ বা তার মূল্য।
বাদায়েউস সানায়ে ২/১১১; ফাতহুল কাদীর ২/১১৮; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৬৭; আলবাহরুর রায়েক ২/২২৯Sharable Link
তামাত্তু হজ্বকারী উকুফে আরাফার আগে উমরা সম্পন্ন করতে পারেনি। এক্ষেত্রে তার করণীয় কী? সে কি উমরার ইহরাম নিয়েই আরাফায় চলে যাবে, না তা ভেঙ্গে হজ্বের ইহরাম বাঁধবে? ইহরাম ভাঙ্গলে কি এর কারণে দম আদায় করতে হবে এবং পরবর্তীতে ঐ উমরা কাযা করতে হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
তামাত্তু হজ্বকারী উকুফে আরাফার আগে যদি উমরার তাওয়াফের অন্তত চার চক্কর আদায় করতে না পারে তাহলে উমরার ইহরামটি এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সে হজ্বের ইহরাম করে হজ্বের আমল করে যাবে এবং তার হজ্বটি ইফরাদ হবে। তাই দমে শোকর ওয়াজিব হবে না। তবে উমরার ইহরাম বাতিল হওয়ার কারণে তার উপর জরিমানা দম ওয়াজিব হবে এবং ১৩ তারিখের পর বাতিল হয়ে যাওয়া উমরাটি কাযা করে নিবে। আর যদি উকুফে আরাফার আগে তাওয়াফের চার চক্কর বা আরো বেশি আদায় করতে পারে তাহলে উমরার ইহরাম বাতিল হবে না। অবশ্য সে এখন উমরার কোনো কাজ করবে না; বরং (হজ্বের ইহরাম করে) হজ্বের আমলগুলি আদায় করবে। এক্ষেত্রে এটি কিরান হজ্ব বলে গণ্য হবে এবং হজ্বের কুরবানী (দমে শোকর) দিতে হবে। এ ব্যক্তি উমরার অবশিষ্ট কাজগুলো ১০ থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্তের ভেতর তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে আদায় করে নিবে। এরপর ইহরাম ত্যাগ করবে।
সহীহ বুখারী ১/৪৫; মুয়াত্তা, ইমাম মুহাম্মাদ, পৃ : ২২১; আলহুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনা ১/৪২৫; মুসনাদে ইমাম আযম পৃ. : ১১৩; ফাতহুল মুলহিম ৩/২৪৭; ইলাউস সুনান ১০/৩২৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৭৭; আলবাহরুল আমীক ২/৭৩৩; মানাসিক পৃ. : ২৫৮Sharable Link
একদিন রাত্রে আমার স্বপ্নদোষ হয়। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, সূর্যোদয়ের মাত্র বিশ মিনিট বাকি আছে। তাড়াতাড়ি পুকুর ঘাটে গোসল করতে গিয়ে দেখি, আমার খুব ঘনিষ্ট আত্মীয়দের মধ্যে দু’ একজন ঘাটে কাজ করছেন, যাদের সামনে গোসল করা খুব লজ্জার ব্যাপার। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম, কি করা যায়, অন্য কোথায় গোসল করা যায়। কিন্তু ভাবতে ভাবতে সময় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। মাত্র ৫/৭ মিনিট বাকি আছে। তাই গোসল না করে অযু ও তায়াম্মুম করে নামায আদায় করি।
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনার তায়াম্মুম করা সহীহ হয়নি। কারণ পানি থাকা অবস্থায় লোকলজ্জার কারণে তায়াম্মুম করা সহীহ নয়। সুতরাং তায়াম্মুম করে আদায়কৃত নামাযও সহীহ হয়নি। ঐ নামায কাযা করে নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/২৩০) উল্লেখ্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে লজ্জা পাওয়া বাঞ্চনীয় নয়। আর স্বভাবগত লজ্জার অজুহাতে শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করা যায় না।
Sharable Link
--- একটি প্রসিদ্ধ নাম। এর সঠিক উচ্চারণ কী? অনেকে এ নামটির প্রথম অক্ষর অর্থাৎ ফা যের দিয়ে পড়েন। আবার অনেকে যবর উচ্চারণ করেন। কোনটি সঠিক এবং এর অর্থ কী? এটি সাহাবী-তাবেয়ীদের কারো নাম ছিল কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
-- শব্দটির প্রথম অক্ষর যবর দিয়ে ‘ফাইরুয’ বলা যায়। আবার যের দিয়ে ‘ফীরুয’ ও বলা যায়। উভয় উচ্চারণ সহীহ। এটি মূলত ফার্সী শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে, বিজয়ী, সফল, কৃতকার্য। এটি একজন সাহাবীর নাম। তাঁর উল্লেখযোগ্য একটি কৃতিত্ব হল, তিনি নবুওয়তের মিথ্যা দাবীদার আসওয়াদ আনাসীকে হত্যা করেছিলেন।
সহীহ বুখারী ২/৬২৮; আলইসাবা ৫/৩৭৯; আলইস্তিআব ৩/১২৬৪; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫/১৩; ফাইরুযুল লুগাত ৯৪১; গিয়াসুল লুগাত ৩৮১Sharable Link
আজকের আধুনিক সময়ে যদিও ঘড়ির প্রয়োজন কমে গেছে তবুও প্রায় সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেকেই বলে যে, পুরুষদের ঘড়ি বাম হাতে পরতে হয়। আর মেয়েদের পরতে হয় ডান হাতে। আবার দু তিনজন হুজুর থেকে শুনেছি, পুরুষরা ঘড়ি ডান হাতে পরবে। তারা মেয়েদের কথা উল্লেখ করেননি। এখন কার কথা অনুসরণ করব? দলিলসহ জানতে চাই।
পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকে নিজ নিজ সুবিধামত যেকোনো হাতে ঘড়ি পরতে পারবে। এ বিষয়ে শরীয়তে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। পুরুষ-মহিলার ঘড়ি পরিধানের নিয়ম ভিন্ন হওয়ার যে কথা প্রশ্নে বলা হয়েছে এর কোনো ভিত্তি নেই।
ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৭/৩০১Sharable Link
মনে মনে তালাক দিলে কি তালাক হয়ে যাবে?
মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে তা কার্যকর হয় না। তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য লিখা বা মুখে উচ্চারণ করা জরুরি।
সহীহ মুসলিম ১/৭৮; আদ্দুররুল মুখতার ৩/২৩০; বাদায়েউস সানায়ে ৩/১৫৭Sharable Link
আমাদের গ্রামের ঈদগাহের জন্য একটি জমি প্রায় এক শ’ বছর পূর্বে ওয়াকফ করা হয়। এরপর থেকে সেখানে ঈদের নামায হয়ে আসছে। কিছুদিন পূর্বে ঈদগাহের সীমানা দেয়াল নির্মাণ এবং আরো কিছু প্রয়োজনে ঈদগাহের সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদগাহ সংলগ্ন জমির মালিক অনেকগুলো ফলদ ও কাঠের গাছ ভুলবশত ঈদগাহের সীমানার ভিতরে লাগিয়ে ফেলেছে। গাছগুলো অন্তত ২০/২৫ বছর পূর্বে লাগানো হয়েছিল এবং এতদিন যাবৎ গাছের ফল রোপনকারী ভোগ করে আসছে। এখন মুসল্লিরা দাবি করছে, যেহেতু গাছগুলো ঈদগাহের জমিতে বড় হয়েছে সুতরাং এগুলো ঈদগাহের গাছ। আর রোপনকারীর বক্তব্য, আমার গাছ আমি কেটে নিয়ে যাব। এ বিষয়ে শরঈ সমাধান জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির জন্য ঈদগাহে গাছ লাগানো ঠিক হয়নি। তাকে এর জন্য তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে আর বিগত যত বছর ঈদগাহের সীমানার ভিতরে জমিতে তার গাছ ছিল তত বছরের ন্যায্য ভাড়া ঈদগাহ ফান্ডে আদায় করতে হবে। তবে রোপনকারী গাছগুলোর মালিক। ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ তাকে গাছগুলো কেটে নিয়ে মাঠ খালি করে দিতে বাধ্য করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গাছের ছায়া বা অন্য কোনো সুবিধার জন্য ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ গাছগুলো রেখে দিতে চাইলে রোপনকারীর সম্মতিতে গাছের বর্তমান মূল্য পরিশোধ করে দিতে হবে।জামেউল ফুসূলাইন ২/১০১; কিতাবুল ওয়াকফ, পৃষ্ঠা : ৩৮৫Sharable Link
হজ্ব শিক্ষার একটি বইয়ে পড়েছি, হাজরে আসওয়াদ একটি জান্নাতী পাথর, যা প্রথমে খুব সাদা ছিল। এরপর মানুষের গুনাহের কারণে তা কালো হয়ে যায়। মানুষের গুনাহ যদি তাকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করামাত্র সুস্থ হয়ে যেত। আমি জানতে চাই, কথাগুলো সহীহ কি না? হাদীস বা আছারে এ ধরনের কথা আছে কি না?
হ্যাঁ, কথাগুলো সহীহ। বিশুদ্ধ সূত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৮৭৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা ৪/২২০; মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৭, ৩২৯, ৩৭৩)
অন্য হাদীসে আছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হত। (সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৫/৭৫; শরহুল মুহাযযাব ৮/৫১)
Sharable Link