উম্মে মারজান - বোয়ালমারী, ফরিদপুর

৫০১০. Question

জনৈক ব্যক্তি তার বড় পুত্রবধুর খেদমতে সন্তুষ্ট হয়ে তার জন্য নির্দিষ্ট একটা জমির অসিয়ত করেন। তখন সেখানে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী ও এক ছেলে উপস্থিত ছিল। বিষয়টি অন্য দুই পুত্রবধু জানতে পারলে তাদের মাঝে কানাঘুষা হয়। একপর্যায়ে তা পারিবারিক ঝগড়ায় রূপ নেয়। এ পরিস্থিতি দেখে বড় পুত্রবধু সবার সামনে তার শ^শুরকে বলে আমার কোনো জমি লাগবে না। আমি আপনার জমি নিব না। তখন ঐ ব্যক্তি বলেছিল, আমি অসিয়ত করেছি, তুমি পাবে। ঐ ঘটনার পর আর এ বিষয়ে কোনো কথা  হয়নি।

বর্তমানে সে ব্যক্তি বেঁচে নেই। বড় পুত্রবধু যেহেতু শ^শুরের জীবদ্দশায় তার পক্ষে কৃত অসিয়ত প্রত্যাখ্যান করেছে তাই মৃতের ওয়ারিসরা তাকে ঐ জমি দিতে চাচ্ছে না। কিন্তু সে এখন জমিটি নিতে খুবই আগ্রহী।

জানার বিষয় হল, উপরোক্ত পরিস্থিতিতে ঐ ব্যক্তির কৃত অসিয়ত বহাল আছে কি না? এবং উক্ত পুত্রবধু কি অসিয়তসূত্রে ঐ জমি দাবি করতে পারবে?

Answer

অসীয়ত কার্যকর হয় অসীয়তকারী মারা যাওয়ার পর। তাই তার মৃত্যুর পরই কেবল যার জন্য অসীয়ত করা হয়েছে সে তা কবুল বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে। এর আগে কবুল বা প্রত্যাখ্যান করলেও তা ধর্তব্য হয় না।

অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু বড় পুত্রবধু তার শ^শুরের মারা যাওয়ার পর জমিটি নিতে আগ্রহী তাই উক্ত জমিটি তারই প্রাপ্য। (মৃতের কাফন-দাফন খরচ ও ঋণ পরিশোধের পর মোট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত) এক্ষেত্রে ওয়ারিসরা তা বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে না। ওয়ারিসদের কর্তব্য, মৃত ব্যক্তির অসীয়ত অনুযায়ী জমিটি এ মহিলাকে বুঝিয়ে দেওয়া।

-কিতাবুল আছল ৫/৫১৭; ফাতাওয়া সিরাজিয়া পৃ. ১৪৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যা ৫/৩৬৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২২/২৪৫, ২৫২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৩৭৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৫৭

Sharable Link

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - উত্তরা, ঢাকা

৫০১১. Question

আমাদের ৫ সন্তান। তন্মধ্যে দুইজন ছোট। তাদের নার্সিং করতে গিয়ে আমার স্ত্রী প্রায়ই কুরআনের তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, নফল নামায ইত্যাদি ইবাদত করতে পারে না। এই বিষয়ে তার খুব মন খারাপ থাকে। আমি তাকে বলেছি, তুমি সন্তানাদি নার্সিং করার কারণে নফল ইবাদতের সওয়াব পাবে। এ ব্যাপারে আমার স্ত্রীর সান্ত¦নার জন্য কুরআন-হাদীসের আলোকে কিছু বললে উপকৃত হব।

Answer

শিশু সন্তানের পরিচর্যা ও প্রতিপালন, তাদের সঠিক তালীম-তরবিয়ত করা পিতামাতার দায়িত্ব। বিশেষত আয়-উপার্জন এবং সাংসারিক তাকিদে পিতার অধিকাংশ সময় বাহিরে অবস্থানের কারণে মায়ের ভূমিকা এক্ষেত্রে বেশি। এ দায়িত্ব শরীয়ত কর্তৃক তার প্রতি অর্পিত। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

كُلّكُمْ رَاعٍ وَكُلّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيّتِهِ، وَالأَمِيرُ رَاعٍ، وَالرّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ، وَالمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهِ، فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيّتِهِ.

তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। প্রত্যেকে নিজ অধীনস্তদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।... পুরুষ তার পরিবারের উপর দায়িত্বশীল। স্ত্রী স্বামীর ঘর ও সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল। তোমরা সকলে দায়িত্বশীল। সকলে নিজ অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২০০)

আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-

ورعاية الرجل أهله سياسته لأمرهم وإيصالهم حقوقهم ورعاية المرأة تدبير أمر البيت والأولاد والخدم والنصيحة للزوج في كل ذلك.

পুরুষের দায়িত্ব হল পরিবারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা এবং তাদের হক আদায় করা। আর স্ত্রীর দায়িত্ব হল, ঘরের কাজকর্ম আঞ্জাম দেয়া, সন্তান পরিচর্যা করা, সেবক-সেবিকাদের পরিচালনা করা এবং সকল বিষয়ে স্বামীর মঙ্গল কামনা করা। (ফাতহুল বারী ১৩/১১৩)

শরীয়ত কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের দ্বারা সন্তানের মা অবশ্যই বড় সওয়াবের অধিকারী হবেন। এসব কাজে মা যতক্ষণ ব্যস্ত থাকেন পুরো সময়ই নেকী ও সওয়াবের মধ্যে কাটে। হাদীস শরীফে উত্তম নারীর বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ.

আরবের নারীদের মধ্যে উত্তম নারী হল কুরাইশের নারী। তারা সন্তানের প্রতি অধিক ¯েœহপরায়ণ এবং স্বামীর সম্পদ হেফাযতের প্রতি অধিক যতœশীল। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০৮২)

সহীহ মুসলিমে হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন-

جَاءَتْنِي مِسْكِينَةٌ تَحْمِلُ ابْنَتَيْنِ لَهَا، فَأَطْعَمْتُهَا ثَلَاثَ تَمَرَاتٍ، فَأَعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً، وَرَفَعَتْ إِلَى فِيهَا تَمْرَةً لِتَأْكُلَهَا، فَاسْتَطْعَمَتْهَا ابْنَتَاهَا، فَشَقّتِ التّمْرَةَ، الّتِي كَانَتْ تُرِيدُ أَنْ تَأْكُلَهَا بَيْنَهُمَا، فَأَعْجَبَنِي شَأْنُهَا، فَذَكَرْتُ الّذِي صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَقَالَ: إِنّ اللهَ قَدْ أَوْجَبَ لَهَا بِهَا الْجَنّةَ، أَوْ أَعْتَقَهَا بِهَا مِنَ النّارِ.

এক দরিদ্র মহিলা তার দুটি সন্তান নিয়ে আমার নিকট আসল। আমি তাকে তিনটি খেজুর দিলাম সে তাদের দুজনের প্রত্যেককে একটি করে খেজুর দিল আর একটি খেজুর সে নিজে খাওয়ার জন্য মুখের কাছে নিল তখন তার দুই মেয়ে তার কাছে আরো চাইল। সে তার খেজুরটি দুইজনের মাঝে ভাগ করে দিল। তার এ বিষয়টি আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ঘটনাটি বললে তিনি বললেন আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন। অথবা তিনি বলেছেন এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৩০)

আবু উমামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা তার দুটি সন্তানসহ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসে। সে একটি সন্তানকে কোলে এবং অপরটিকে হাতে ধরে নিয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

حَامِلَاتٌ، وَالِدَاتٌ، رَحِيمَاتٌ، لَوْلَا مَا يَأْتِينَ إِلَى أَزْوَاجِهِنّ، دَخَلَ مُصَلِّيَاتُهُنّ الْجَنّةَ.

গর্ভধারিনী, সন্তান জন্মদানকারিণী এবং সন্তানের প্রতি মমতাময়ী তারা যদি স্বামীদের কষ্ট না দেয় তবে তাদের মধ্যে যারা নামাযী তারা জান্নাতে যাবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২০১৩)

অনুরূপ বর্ণনা জামে মা‘মার ইবনে রাশিদে নির্ভরযোগ্য মুরসালসূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হাদীস নং ২০৬০২

সুতরাং আপনার স্ত্রীর সন্তান পরিচর্যা ও প্রতিপালন এবং তাদের সেবা করার গুণটি উত্তম গুণ। এর পেছনে তিনি যে সময় ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এতে তিনি বড় সওয়াবের অধিকারী হচ্ছেন। এর পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামায, যিকর-আযকারের প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং তা না করতে পারার আক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে তার করণীয় হবে, দৈনন্দিনের ফরয ওয়াজিব এবং সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাযসমুহ আদায় এবং সাংসারিক ব্যস্ততা থেকে ফারেগ হয়ে যদি উক্ত নফল ইবাদত-বন্দেগী কিছু করা সম্ভব হয় তাহলে করবে আর সময় সুযোগ না থাকলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বরং সন্তান লালন পালনের জন্য তিনি সওয়াব পেতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রকাশ থাকে যে, সন্তানের পরিচর্যা প্রতিপালন এবং ঘর সংসারের কাজ সাধারণত মহিলাদের কাজ হলেও পুরুষ যখন ঘরে অবস্থান করবে সময় সুযোগমত তাদের কাজে সহযোগিতা করা উচিত। বিশেষত নিজের ব্যক্তিগত কাজ তো নিজেরই করা উচিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে অবস্থানকালে গৃহস্থালীর বিভিন্ন কাজকর্ম নিজে করতেন। যেমন একটি হাদীসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কী কাজ করতেন? তিনি বললেন-

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَخْصِفُ نَعْلَهُ، وَيَخِيطُ ثَوْبَهُ، وَيَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ كَمَا يَعْمَلُ أَحَدُكُمْ فِي بَيْتِهِ.

তিনি নিজ কাপড় সেলাই করতেন, জুতা সেলাই করতেন, ঘরের কাজকর্ম করতেন যেমন তোমরা ঘরের কাজকর্ম করে থাক। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৫৩৪১)

Sharable Link

আব্দুল্লাহ - ঝিলপাড়, মিরপুর

৫০১২. Question

সেদিন মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে একটি হাদীস শুনেছিলাম, যার অর্থ মোটামুটি এরকম- সন্তান বাবা-মাকে বখীল বানায়। আমি হাদীসটির পূর্ণ পাঠ, হাদীসের কোন্ কিতাবে হাদীসটি আছে, হাদীসটির মান এবং ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

Answer

আপনি যে হাদীসটি জানতে চেয়েছেন তা বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে যথা- মুসতাদরাকে হাকেম, মুসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকী ইত্যাদিতে বর্ণিত হয়েছে। মুসতাদরাকে হাকেম গ্রন্থে হাদীসটির পাঠ নি¤œরূপ-

عَنْ يَعْلَى بْنِ مُنَبِّهٍ الثّقَفِيِّ، قَالَ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ يَسْتَبِقَانِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فَضَمّهُمَا إِلَيْهِ ثُمّ قَالَ إِنّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ مَحْزَنَةٌ.

হযরত ইয়ালা ইবনে মুনাব্বিহ রা. বলেন, হাসান-হুসাইন রা. দৌড়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসল। তখন তিনি তাদেরকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। এরপর বললেন, নিসন্দেহে সন্তানের কারণে মানুষ কৃপণতা, ভীরুতা ও দুশ্চিন্তার শিকার হয়। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৪৮২৫

ইমাম হাকেম রাহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইমাম যাহাবী, ইরাকী, বুসীরী প্রমুখ হাদীসবিশারদগণ হাদীসটির সনদকে সহীহ বলেছেন। (মিসবাহুয যুজাজাহ, হাদীস ১২৮২; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৬৬১৭; মুখতাসারুস সুনানিল কুবরা, যাহাবী বর্ণনা ১৬০৯৯; ফয়যুল কাদীর ২/৪০৩)

হাদীসটির ব্যাখ্যায় বিশিষ্ট হাদীস ব্যাখ্যাকার মুনাভী রাহ. বলেন, مَبْخَلَةٌ কৃপণতার কারণ, অর্থাৎ সন্তান বাবা-মাকে কৃপণ বানায়। ফলে সন্তানের কারণে (কল্যাণ-খাতসমূহে) ব্যয় করতে কৃপণতা করে এবং তার মায়ায় জিহাদ ছেড়ে দেয়।

মাওয়ারদী রাহ. বলেন, এ হাদীস সন্তানের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিচ্ছে যে, সন্তান এসকল আচরণের জন্ম দেয়...। مَحْزَنَةٌ অর্থাৎ সন্তানের কারণে বাবা-মার অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। যেমন অসুস্থ হলে কিংবা সন্তানের চাহিদা পূর্ণ করার সামর্থ্য না থাকলে ইত্যাদি কারণে। আর যদি সন্তান বড় হয়ে অবাধ্য হয়ে যায় তাহলে তো সেটি স্থায়ী কষ্ট ও পেরেশানীর কারণ হয়ে যায়।

অর্থাৎ এ হাদীসের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে যে, মানুষ যেন সন্তানের মহব্বত ও ভালোবাসায় আল্লাহ্র বিধানকে লঙ্ঘন না করে। আল্লাহ্র বিধান পালনে সন্তানের মহব্বত যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ  وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ .

হে মুমিনগণ! তোমাদের অর্থ-সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে গাফেল না করে। যারা এরকম করবে (অর্থাৎ গাফেল হবে) তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। [সূরা মুনাফিকূন (৬৩) : ৯]

আরো ইরশাদ হয়েছে-

اِنَّمَا اَمْوَالُكُمْ وَ اَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ.

তোমাদের ধণ-সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। [সূরা তাগাবুন (৬৪) : ১৫]

অর্থাৎ তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হয় যে, তোমরা অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির ভালবাসায় আল্লাহ্র হুকুমের বিষয়ে গাফেল হয়ে যাও কি না। -মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৫০৫; মাজমাউ বিহারিল আনওয়ার ১/১৫৬

Sharable Link