Zilhajj 1433   ||   November 2012

তালিবুল ইলমের মজলিসে দুটি বয়ান

Mawlana Muhammad Abdul Malek

মেহমানের ইকরাম

একটি অবহেলিত দিক

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه

যার আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রয়েছে সে যেন আপন মেহমানের ইকরাম করে। (বুখারী; মুসলিম)

মেহমানের ইকরাম ঈমানের শাখাসমূহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। মেহমান কে? সাধারণত চাচা, মামা, খালা, ফুফু এ জাতীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিকে আমরা মেহমান এসেছেন বলে মনে করি। অথচ তাঁরা মেহমান নন। মেহমানদারী তাদের প্রথম হক নয়। তাদের প্রথম হক হল তারা আকারিব, নিকটাত্মীয়। তাদের ব্যাপারে আচার-ব্যবহারে এবং আতিথেয়তায় যদি দুটি হকের খেয়াল রাখা হয় তাহলে তো অনেক ভালো। কিন্তু তাদের প্রথম হক ও পরিচয় তারা আকারিব, মেহমান নন।

মেহমান হল বিলকুল আজনবী একজন মানুষ। যার সাথে পূর্বের কোনো পরিচয় বা পরিচিত হওয়ার কোনো সূত্র নেই। তিনি আমার ঘরে বা আমার প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। শরীয়ত যে মেহমানের ইকরাম করতে বলেছে, ইনি সেই মেহমান। যদি এমন মেহমানের মেহমানদারি না করা হয়, তাহলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ক্ষেত্রবিশেষে তিনি যবরদস্তী মেহমানদারি আদায় করে নিতে পারেন। সাধারণত সমাজে তাকে মুসাফির বলা হয়, যার বাড়ি অনেক দূর। রাত অনেক হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো বাড়ি পৌঁছতে পারেননি। এমন ব্যক্তিও হাদীসে উল্লেখিত মেহমান। আর যদি চেনাজানা কেউ এসে থাকেন তাহলে তিনি তো অবশ্যই মেহমান।

মোটকথা, সর্বপ্রকার মেহমানের ইকরাম ফরয। শরীয়ত মেহমানের ইকরামকে সরাসরি ঈমানের সাথে শর্তযুক্ত করেছে। যদি বিষয়টি এমন হত যে, মেহমানের ইকরাম শুধু ভদ্র মানুষের কাজ তাহলে শরীয়ত এভাবে বলত, শরীফ মানুষ যেন মেহমানের দিকে খেয়াল রাখে। কিন্তু এখানে শরীয়তের পরিষ্কার ভাষা হল-

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه

কিন্তু আজকাল আমাদের মাদারেসের মেযাজ এমন হয়ে গেছে যে, অপরিচিত বা নতুন কেউ এলে তার সাথে পরিচিত হতে সহজে কেউ এগিয়ে আসতে চায় না। কে তিনি, কেন এসেছেন? ভাবটা এমন যেন নিজ থেকে সবকিছু বলা তার জিম্মাদারী। অথচ ইমাম আবু হানীফা রাহ. বলেছেন-لكل قادم دهشة

তাই অপরিচিত কারো কাছে নিজেকে পেশ করতে সংকোচ বোধ হয়। এ জন্যই নতুন বা অপরিচিত কেউ এলে স্থানীয়দের কর্তব্য হল, আগে বেড়ে মুসাফাহা করা। তার সাথে পরিচিত হওয়া। জানতে চাওয়া, আপনি কে? কোত্থেকে এসেছেন, কী উদ্দেশ্যে এসেছেন? এরপর যথাসাধ্য তার সহযোগিতা ও রাহনুমায়ী করা। এটা হল একেবারে আওয়াল মারহালার ইকরাম। মেহমানেরও উচিত নিঃসঙ্কোচে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিয়ে দেওয়া এবং এ ধরনের প্রশ্নে বিরক্ত না হওয়া।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি হল অনেক সময় কেউ তা জিজ্ঞাসা করে-ই না, এমনকি তাকে কেউ সালামও দেয় না। অথচ সালামের জন্য পরিচিত হওয়ারও শর্ত নেই-

السلام على من عرفت ومن لم تعرف

নতুন কেউ এসেছেন, তুমি তাকে চেনো না, জানো না। হতে পারে তিনি বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের মুদীর বা বড় কোনো শায়খ বা তোমার কোনো সাথীর আববা। এমনকি তুমিও তো হতে পার। অন্য কোথাও তুমি নতুন গেলে, সেখানে তো তুমি অপরিচিত একজন-ই। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিচিতি হাসিল না হলো ততক্ষণ পর্যন্ত তো তুমি অপরিচিত-ই।

তুমি চিনলে না, জানলে না। পরে শুনলে, তিনি বড় কোনো হুযুর ছিলেন। তখন আফসোস করবে; আহা, আপনার পরিচয় তো আগে পাইনি। গোস্তাখি মাফ করুন। মূলত ইকরাম পাওয়ার জন্য তো তোমার পরিচয় জানাও আবশ্যক নয়। এটা কেমন কথা যে, তোমার পরিচিত নন তিনি, তাই তোমার কাছে তার কোনো অবস্থানই নেই? পরিচয় থাকা না থাকার সাথে মেহমানের ইকরামের কী সম্পর্ক? তিনি আর কিছু না হন অন্তত আল্লাহর একজন মাখলুক তো!

সালাম করো, মুসাফাহা করো।

দস্তরখানের সময় হয়ে থাকলে খানার ইন্তেযাম করো। সকাল নয়টার মাঝে কেউ এসেছেন, নাস্তার ব্যাপারে জানতে চাও। দুপুর বারোটা থেকে তিনটার মাঝে কেউ এসেছেন, দুপুরের খানার ব্যবস্থা করো। যদি নাস্তা ও দুপুরের খানার অনেক পরে আসেন আর কোনো আলামত দিয়ে বুঝতে পার যে, অনেক দূর থেকে এসেছেন তাহলে খানার কথা জিজ্ঞাসা কর। আসরের পর হলে, নাস্তার সময় হলে নাস্তা পেশ কর। রাতে যখনই আসুক খানার বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর। থাকার প্রয়োজন হলে ঘুমানোর ব্যবস্থা কর। তিনি কোনো বিশেষ মাকসাদে এসেছেন কি না জানার চেষ্টা কর। যদি তোমার পক্ষে সে বিষয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব হয় তাহলে কর। আর সম্ভব না হলে ওজরখাহি কর। নির্দিষ্ট কারো সাক্ষাতে এসেছেন কি না জানতে চাও। যদি তিনি থাকেন তাহলে তো হল। আর না হলে তোমার যিম্মাদারি হল তার মেহমানদারি করা। আর যদি এমন হয় যে, তিনি কারো কাছে আসেননি, এমনি দেখতে এসেছেন তাহলে তুমি সাধ্যমতো তাঁর আরামের ব্যবস্থা কর। এই মারহালাগুলো তো মেহমানের ইকরামের একেবারে জরুরি মারহালা। তোমাকে অনেক কিছু করতে হবে ভেবে ভয় পেয়ো না। কারণ তুমি তো ততটুকুই করবে তোমার পক্ষে যদ্দুর সম্ভব।

আর অনুমতি থাকলে বা অনুমতি নিয়ে মেহমানকে আম দস্তরখানেও শরিক করতে পার।

কোথায় হয়তো মালফুযাতে কেউ পড়েছ, রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রাহ.-এর খাদেম একজন মুরীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বিছানা আছে তো? গাঙ্গুহী রাহ. তাকে বললেন, কেন জিজ্ঞাসা করলে? বিছানা না এনে থাকলে কোত্থেকে দিবে? সাবধান, সামনে থেকে কাউকে এ জাতীয় প্রশ্ন করবে না। তো এটা ছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে। এটাকে উসূল বানিয়ে চললে কি হবে? হযরত এখানে নিষেধ করেছেন। কারণ সে ব্যক্তি ছিল মুরীদ। মুরীদের জন্য বিছানা নিয়ে আসা জরুরি ছিল। এ কারণে তিনি খাদেমকে প্রশ্ন করতে নিষেধ করেছেন।

মোটকথা, তোমার অবস্থান ও সাধ্যানুযায়ী তুমি মেহমানের ইকরামের চেষ্টা কর।

মারকায মসজিদ, বাদ ফজর, ২৭.০৯-১২ ঈ.

 

খেদমত

হাকীকত, শর্ত ও আদাব

খেদমত বিষয়টি এমন নয়, উস্তায বা শায়খ যার মুতালাবা করতে পারেন। তবে মুরীদ বা তালিবুল ইলম নিজের সাআদাত মনে করে তা নিজের জন্য লাযেম করে নিতে পারে।

যদি এই মানসিকতায় কেউ খেদমত করে যে, তিনি খাদেমের প্রতি ভালো নযর রাখেন, তাদের খোঁজখবর রাখেন। তাই তাঁর খেদমত করি। এমন মানসিকতা নিয়ে খেদমত করা কোনো তালিবে ইলম বা মুরীদের জন্য ঠিক নয়। কারণ খেদমত একটি আমল। এখানে আমলটি করা হচ্ছে গলদ তরিকায়। গলদ তরিকায় কোনো আমল করা ঠিক নয়।

যদি শায়েখ বা উস্তায কোনো করীনার দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে অনুভব করতে পারেন যে, সে নিজেকে মজবুর মনে করে আমার খেদমত করছে তাহলে তার জন্য খেদমত গ্রহণ করাও জায়েয নেই। এর দলিল হল-

لا يحل مال امرئ مسلم إلا بطيب نفسه

মালের হাদিয়ার চেয়ে শরীরের হাদিয়া নাযুক।

কেউ কেউ এই মনে করে খেদমত করে, উনি বড় হুজুর, ফায়েদা বেশি হবে তাঁর খেদমতে। অথচ মাখদুম যদি ইহসাস করতে পারেন তাহলে তার থেকে খেদমতই নেবেন না। বলবেন, ব্যাটা আমার বিষয়ে নেক গুমান করে বসে আছো?

মোটকথা খেদমত কী মনোভাবে হবে তা দেখা দরকার। এক্ষেত্রে অনেক ভালো ভালো নিয়ত ও প্রেরণা হতে পারে। খেদমতের কিছু কিছু প্রেরণা এমন, যা সকলের কাছেই আপত্তিকর। কিছু এমন আছে, যার ব্যাপারে কারো আপত্তি বা ইশকাল হতে পারে না। আবার কিছু এমন, যেগুলো হুসনে যন হিসেবে ঠিক হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতার মুওয়াফিক কি না সেটা ইয়াকীনের সাথে বলা যায় না।

তবে একটি প্রেরণা এমন, যার ব্যাপারে আশা করি কারো কোনো আপত্তি হবে না। এছাড়া এমন অনেক মানসিকতা আছে, যা কারো পছন্দ হবে, কারো পছন্দ হবে না। দেখতে হবে, কোন্ মানসিকতা নিয়ে খেদমত করলে তোমার মাখদুমের জন্য সেটা রাহাতের কারণ হয়, আর কোন্টা তাঁর জন্য কষ্টের কারণ হয়। যারা এই বিষয়ে খুব হাসসাস, সতর্ক ও অনুভূতিশীল তাদের কাছে খেদমতের বায়েছ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

 যে বায়েছ সবার কাছে আপত্তিকর তা হল এই মানসিকতা থাকা যে, আমি তাঁর উপর ইহসান করছি, দয়া করছি, করুণা করছি। ভাবটা এমন যে, তিনি আমার ইহসান, খেদমত পেয়ে ধন্য। এই অনুভূতি নিয়ে খেদমত করা ছুয়ে আদাব।

অপরদিকে একটা বায়েছ, যা ভালো এবং অনেকের বেলায় প্রযোজ্য। সেটা হল, আমি তাঁকে মহববত করি। আর মহববত করনেওয়ালা চায় যে মাহবুবের আরাম হোক। তো আমি মহববতের দাবিতে তাঁকে আরাম পৌঁছানোর চেষ্টা করি। তাঁর খেদমত করতে আমার ভালো লাগে। মহববতের হক বা দাবির এই অনুভূতি হতে পারে ঐ সময়, যখন মহববতটা একেবারে গভীরে পৌঁছে যায় এবং বে-তাকাল্লুফী পয়দা হয়।

এর মাঝে আরো গভীরতা আনতে চাইলে বলতে পার-لأسعد بخدمته

 খেদমত করি আমি ধন্য হওয়ার জন্য। রাহাত পৌঁছানোর খেয়াল করতে হলে আরো বে-তাকাল্লুফী পয়দা করা লাগবে।

অনুরূপ খেদমতের পেছনে কোনো দ্বীনী বা দুনিয়াবী স্বার্থ থাকবে না। যেমন হাদিয়ার পেছনে কোনো স্বার্থ থাকতে পারে না। হাদিয়ার একটি আদব হল, সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ হওয়া। যদি হাদিয়াতে ইহসানের নিয়ত থাকে তাহলে তো এটা সদকা-ই হয়ে গেল। নিয়ত হবে, তাঁকে মহববত করি, তাই হাদিয়া দিলাম।

হাদিয়ার পরে দুআ চাওয়া তো এত মুনকার যে, এটা হাদিয়াকেই বরবাদ করে দেয়। সাথে সাথে ফেরত দেওয়া দরকার। কিন্তু কাকে ফিরিয়ে দেবে? ফিরিয়ে দেওয়ার অর্থ বোঝার আকল তো থাকতে হবে। এখন তো হালতের কারণে স্পষ্ট কোনো অসঙ্গতি না থাকলে হাদিয়া কবুল করে নেওয়া হয়। তা না হলে অধিকাংশ মানুষের হাদিয়া এমন, যা কবুল করার উপযোগী-ই নয়। থানভী রাহ.বলেছেন-

ثواب كى نيت بهى نہ كرے ثواب آپ كو ملجائيگا۔

আমি সে কথাটা-ই বলেছি অন্যভাষায়।

খেদমত যদি শতভাগ নিঃস্বার্থ হয় তাহলে মাখদুমের কাছে সেটা কোনো বোঝা মনে হয় না। খেদমতের মূল শর্ত দুটি : তীবে খাতিরের সাথে হবে এবং নিঃস্বার্থ হবে। তীবে খাতির তখনই হবে যখন তুমি খেদমত করতে গিয়ে নিজেকে মাজবুর মনে করছ না। না-গাওয়ার মনে করে করছ না। যখন তোমার কোনো পেরেশানী বা কষ্ট আছে, অসুস্থতা আছে, অথবা কোনো ওজর নেই কিন্তু তোমার এখন খেদমত করতে কষ্ট লাগছে আজ যদি না করতে পারতে তাহলে ভালো লাগত, তাহলে বেলা তাকাল্লুফ তুমি করো না। জানিয়ে দাও যে, আজ আসতে পারছি না। জানিয়ে গায়েব থাকলে তাতে পেরেশানি হয় না, তাকলীফ হয় না। কেউ কেউ গায়েব থেকে খলীফা পাঠিয়ে দেয়। খলীফা পাঠাতে হলে তোমার খলীফা কি মাখদুমের শর্ত মোতাবেক কি না সেটা জানতে হবে। তোমার শর্ত মোতাবেক হওয়া এখানে বিবেচ্য নয়। তোমার সাথে বে-তাকাল্লুফ যে সে তোমার মাখদুমের সাথে বে-তাকাল্লুফ কি না সেটা জানা থাকতে হবে।

কেউ কেউ অবশ্য এই অবস্থাতেও করে। মন চাচ্ছে না, এরপরও করছি। ভাবে, নিজের কাজ তো কষ্ট লাগলেও করি। হুজুরেরটাও করলাম। যে কোনো আমল মুদাওয়ামাতের সাথে করা ভালো, তাই করলাম। এটা তীবে খাতিরের মুনাফী নয়। কিন্তু এখানে মজবুরির সাথে করার খাতরা থাকে।

আর নিজের সাআদাতমন্দির অনুভূতিতে খেদমত করা।  খেদমতের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব হল, খেদমত হতে হবে, সকল হিসসী ও মানবী খলল থেকে মুক্ত।

নাকেস খেদমত থেকে পরহেয করা। এমনভাবে কোনো খেদমত না করা, যেটা দেখে মাখদুম বলবে, করার চেয়ে না করা-ই ভালো ছিল। করে আরো মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে। যেমন চা দিলে, পরে আর কাপ নিয়ে গেলে না। দস্তরখান বিছিয়ে দিয়েছ, আর উঠালে না।

অসম্পূর্ণ খেদমত খেদমতের হাকীকতকেই নষ্ট করে দেয়। মানান নাকেস খেদমত হল খেদমতে ইতকানের অভাব থাকা। কাপড় ধুলাম, কিন্তু একটু খেয়াল করলেই যে দাগগুলো উঠে যায় সে দাগগুলো খেয়াল করলাম না। মহববতের সাথে, ইতকানের সাথে খেদমত হচ্ছে কি না এই অনুভূতি বাচ্চাদেরও আছে। তোমার মাখদুম বিষয়গুলো বুঝবেন না-এমন নয়। খেদমত নাকেস হওয়া এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, খেদমতটা না-গাওয়ারীর সাথে হচ্ছে। খেদমতে ইখলাসের ও যত্নের অভাব আছে। না-গাওয়ারির এটাও একটা দলিল যে, এক সময় খুব খেদমত করলাম, আরেকসময় কোনো খেদমতই করলাম না। কারণ আগের খেদমত কোন্ হালতে হয়েছে কে জানে! মোটকথা অসম্পূর্ণ খেদমতকে সম্পূর্ণ পরিহার করা।

দ্বিতীয় আদব হল নিয়মিত খাদেম হলে মুদাওয়ামাতের সাথে খেদমত করা। গায়েব থাকলে ইত্তেলা দেয়া। ইত্তেলার সাথে মুদাওয়ামাত না হলে কোনো অসুবিধা নেই।

তৃতীয়ত নিজের কোনো ওজর থাকলে বে-লা তাকাল্লুফ ইত্তেলা দেয়া। খোদ যিনি খেদমত নিবেন তার জন্যও জরুরি খাদেমের হাল জেনে নেওয়া। হয়তো ভুলে তার জিজ্ঞাসা করা হল না, তাহলে নিজের হাল, ওজর জানিয়ে  দেওয়া। কাপড় ধুতে দিলেন, তোমার জ্বর। তুমি জানিয়ে দাও। জানতে চাও, অন্য কাউকে দিবে কি না। কারো উপর কোনো ফাওরী কাজ দেওয়া হয়েছে, এমতাবস্থায় তাকে অন্য কোনো কাজ দেওয়া হল, এই বেচারা করবে কী? তখন সে জানিয়ে দেবে তার ফাওরী কাজ আছে। অন্যথায় সে নিজে বিপাকে পড়বে, না ফাওরী কাজ করতে পারবে আর না এ মুহূর্তের খেদমত। পরে সবাই নাখোশ হবে। এসব ক্ষেত্রে বিব্রত হতে নেই। সাফ জানিয়ে দেওয়া উচিত।

এ আলোচনা হল স্বতঃস্ফূর্ত যে খেদমত করে তার জন্য। যাকে তার শায়খ বা উস্তায তারবিয়াতের জন্য খেদমত করতে বলেন, সেখানে এগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই।

يہ سب باتيں عام خدمات كى بارے ميں ہيں، جہاں تك جسمانى خدمت كا تعلق ہے تو عام حالات ميں ہم اسے بالكل مناسب نہيں سمجهتے ہيں، وہ بڑا پر خطر معاملہ ہے، اس كا نفس جواز  ہى بہت سارى شرطوں پر موقوف ہے، مشائخ معمرين جو معذور اور مامون ہيں ان كا معاملہ ذرا مختلف  ہے۔

দারুত তাসনীফ, বাদ যোহর, ৩০.০৯-১২

 [বয়ান দুটি মুসাজজিল থেকে পত্রস্থ করেছেন : মুহাম্মাদ নাজিদ সালমান

 

 

 

advertisement