Jumadal Akhirah 1433   ||   May 2012

আল্লাহর আইনে পরিবর্তন!

 বাংলাদেশ সত্যিই সর্বংসহা। না হয় এ দেশের মুসলিম নামধারী মুলহিদ-মুনাফিকরা যেভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। যারা আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান পরিবর্তন করে বা পরিবর্তনের প্রস্তাব করে তারা ইসলামের গন্ডি থেকে খারিজ হয়ে যায়। বিবাহিত হলে বিবাহ ভেঙ্গে যায়। ফরয হজ্ব করে থাকলে তা বাতিল হয়ে যায় এবং ইতিপূর্বে কোনো নেক আমল করে থাকলে সমস্ত বরবাদ হয়ে যায়। ইসলামের পরিভাষায় তাকে বলে মুলহিদ ও মুরতাদ। ইসলামী আদালতে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। আল্লাহর যমীনে বিচরণ করার অধিকার তার নেই।

আল্লাহর আইনে পরিবর্তন ও সংস্কার হয় না। সেটা হতে পারে মানব-রচিত আইনে। যুগে যুগে ধর্মের নামে কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মানুষ যত আইন রচনা করেছে, সেগুলোতে রদ-বদল, সংস্কার ও পরিবর্তন হতে পারে। কারণ মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ। তার ভুল হয়। স্বার্থ ও আবেগের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও বিভ্রান্ত হয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ রাববুল আলামীন গোটা বিশ্বজগতের পরিচালক। তাঁর ভুল হয় না। তিনি ভুলে যান না। সকল দোষ ও দুর্বলতা এবং সকল সীমা ও সীমাবদ্ধতার তিনি উর্ধ্বে। তাই তার নাযিলকৃত সুস্পষ্ট বিধানে কোনো পরিবর্তন হতে পারে না।

আল্লাহর নাযিলকৃত আইন সংরক্ষিত আছে ইসলামে। এ কারণে ইসলামের আইনকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আইনের সাথে এক কাতারে দাঁড় করানো যায় না। যারা আল্লাহর আইনে হাত দেওয়ার দুঃসাহস করে তারা চরম দুষ্কৃতিকারী এবং আল্লাহর জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী।

আল্লাহর আইন সকল অন্যায় ও প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত। দায়িত্বশীলদের কর্তব্য, ঐ বিধানগুলো সমাজের সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করা। ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে। মুসলিমসমাজের কর্তব্য সেই মর্যাদা ও অধিকার তাদেরকে পুরোপুরি বুঝিয়ে দেওয়া। এটা না করে সমঅধিকারের নামে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রনয়ণ করলেও তা নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে না; বরং তা নারীকে প্রতিহিংসার শিকার করবে।

আমরা মনে করি, এ পরিস্থিতিতে সরকারের কর্তব্য ঘরের বিভীষণ চিহ্নিত করা। কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়ন এবং দেশের কোটি কোটি মুসলমানের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার এই অপতৎপরতা রোধে ব্যর্থ হলে তা তাদের জন্য আত্মঘাতী হয়ে যেতে পারে। 

 

advertisement