ইনশাআল্লাহ
মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহকে স্মরণ করবে। সে নির্ভর করবে একমাত্র আল্লাহর উপর, নিজের শক্তি সামর্থর্ ও উপায় উপকরণের উপর নয়। তাইতো মুমিন ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলে। ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ অর্থ ‘‘যদি আল্লাহ চান’’। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব, যা আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন (অর্থ) ‘‘তোমরা ইচ্ছা করবে না (তোমাদের ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিবে না) যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’’-সূরা তাকভীর : ২৯
সূরা কাহাফের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করে বলেছেন, (অর্থ) (হে নবী) কোনো কাজ সম্পর্কে কখনও বলো না ‘‘আমি এ কাজ আগামীকাল করব। তবে বল ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ (আল্লাহ যদি চান তবে করব) এই আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট অনেকেরই জানা আছে। একবার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসহাবে কাহাফ ও যুল কারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তখন নবীজী বললেন; আগামীকাল বলব (কিন্তু ইনশাআল্লাহ বলতে ভুলে গেলেন) ফলে পনের দিন ওহী আসা বন্ধ থাকল। তারপর ওহী এলো এবং উপরের আয়াতটি অবতীর্ণ হল।
আল্লাহ আমাদের পূর্ণ অনুভূতির সাথে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলার এবং ইসলামের অন্যান্য আদবও অভ্যাসে পরিণত করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
পুনশ্চ : গত বছর ডিসেম্বরের ২৭ তারিখের একটি খরব ছিল এ রকম-‘বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্সে ইনশাআল্লাহ ও ভ্রমণের দুআ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইনশাআল্লাহ বলায় এক এয়ার হোস্টেসকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। মাসিক আলকাউসারের ফেব্রুয়ারি ’১২ সংখ্যায় সে ঘটনার প্রতিবাদে একটি লেখা ছাপা হয়েছিল। গত ২৯ মার্চের খবর অনুযায়ী সেই জিএমজির কার্যক্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ বলায় নাখোশ জিএমজির এই পরিণতিতে এখন আমরা কী বলতে পারি-পাঠকরাই বলুন!