আফগানিস্তানে কুরআনের অবমাননা : ওদের দীনতা, আমাদের উদাসীনতা
কুরআন মজীদ আল্লাহ রাববুল আলামীনের পক্ষ হতে নূর। কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বমানবের চিন্তা ও কর্মের পথে আলো। চারপাশে যা কিছু ঘটে-যা কিছু বলা হয় এবং যা কিছু করা হয়, তা বিচার করার তুলাদন্ড কুরআন মুমিনকে দান করে। সুতরাং মুমিন শুধু কর্মেরই নয়, চিন্তার সম্পদেও সমৃদ্ধ হন। কুরআন মজীদের এই বৈশিষ্ট্য দীর্ঘ ও প্রসঙ্গবহুল আলোচনার দাবি রাখে। এ নিবন্ধে শুধু একটি প্রসঙ্গ তুলে ধরছি।
কুরআন মজীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নবীগণের দাওয়াত ও কওমের প্রতিক্রিয়া। এত অধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা তা বর্ণনা করেছেন যে, এটি আলাদাভাবে অধ্যয়নের মতো বিষয়। শুধু সূরাতুল আরাফও যদি মনোযোগের সাথে পাঠ করা হয় তাহলেও বোঝা যাবে, বিষয়টি কুরআনের দৃষ্টিতে কত গুরুত্বপূর্ণ। ঐ আয়াতগুলো পাঠ করলে যে বিষয়টি যে কোনো মুমিনের হৃদয়কে আলোড়িত করবে তা হচ্ছে, আল্লাহর নবীদের যুক্তিপূর্ণ ও দরদপূর্ণ আহবান আর কওমের উদ্ধত শ্রেণীর যুক্তিহীন জবাব ও শিষ্টাচারবর্জিত হুমকি ধমকি।
আল্লাহর নবী ইবরাহীম আ. তাঁর কওমকে তাওহীদের পথে আহবান করলেন এবং পৌত্তলিকতার অসারতা যুক্তি দিয়ে বোঝালেন। এতটাই শক্তিশালী ছিল তাঁর বক্তব্য যে, কওম লা-জবাব হয়ে গেল। যখন যুক্তির পথে সত্যকে পরাস্ত করা সম্ভব হল না তখন তারা সন্ত্রাসের
পথ বেছে নিল।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলছেন, (মরজমা) স্মরণ কর এই কিতাবে ইবরাহীমের কথা; সে ছিল সত্যনিষ্ঠ, নবী। যখন সে তার পিতাকে বলল, আববাজী! কেন আপনি এমন বস্ত্তর উপাসনা করেন, যা শোনে না, দেখে না এবং আপনার কোনোই কাজে আসে না?
আববাজী! আমার কাছে এমন এক জ্ঞান এসেছে, যা আপনার কাছে আসেনি। কাজেই আমার অনুসরণ করুন, আমি আপনাকে সঠিক পথ
দেখিয়ে দিব।
আববাজী! শয়তানের উপাসনা করবেন না। নিশ্চয়ই শয়তান দয়াময় আল্লাহর অবাধ্য।
আববাজী! আমার তো আশঙ্কা হয়, দয়াময় আল্লাহর পক্ষ হতে কোনো শাস্তি আপনাকে স্পর্শ করবে। তখন আপনি হয়ে পড়বেন
শয়তানের সঙ্গী।
এ পর্যন্ত ইবরাহীম আ.-এর দাওয়াত। তাঁর যুক্তি ও বিনয় এবং পিতার প্রতি কল্যাণকামিতা ও তার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে আশঙ্কা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন। এরপর পিতার জবাব শুনুন।
পিতা বলল, ইবরাহীম! তুমি কি বিমুখ আমার উপাস্যদের থেকে?!
যদি তুমি নিবৃত্ত না হও তাহলে তোমার উপর পাথর ছুড়ব! তুমি দূর হও আমার নিকট থেকে চিরদিনের জন্য!-সূরা মারইয়াম: ৪১-৪৬
একই আচরণ করল কওমের অন্যসব উদ্ধত ব্যক্তি।
ইবরাহীম আ.-এর মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা সবার জানা আছে। ছোট মূর্তিগুলো ভেঙ্গে বড় মূর্তি গলায় কুঠার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সেদিন ছিল কওমের উৎসবের দিন। উৎসব থেকে ফিরে তারা যখন উপাস্যদের এহেন দুর্গতি দেখতে পেল তখন যারপরনাই ক্ষিপ্ত হল। তারা বুঝতে পারল, এ কাজ নিশ্চয়ই ইবরাহীমের আ.। তাঁকে হাজির করা হল। তিনি তখন এসকল উপাস্যের অসারতা ও নির্জীবতা চোখে আঙুর দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। উপাসকদের কোনো জবাব রইল না। আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) তখন তারা মনে মনে চিন্তা করে দেখল এবং একে অপরকে বলতে লাগল, তোমরাই তো জালিম (অবিবেচক)। এরপর তাদের মাথা অবনত হয়ে গেল এবং বলল, তুমি তো জানই যে, এরা কথা বলে না।
এরপর কী হল? ‘ইবরাহীম বলল, তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর উপাসনা কর, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না?
ধিক, তোমারদেকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর উপাসনা কর সেগুলোকে!
তারা বলল, তাকে পুড়িয়ে দাও এবং সাহায্য কর তোমাদের উপাস্যদের, যদি তোমরা কিছু করতে চাও।’ দেখুন : সূরা আম্বিয়া : ৬৬-৬৮
কওমের এই অবস্থানকে কী বলা যায়? সত্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস? হ্যাঁ তাই।
হযরত লূত আ. তাঁর কওমকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন এবং আহবান করলেন। জাতির কর্ম ও চরিত্রে যে কদর্যতার বিস্তার ঘটেছিল তা থেকে তাদেরকে পবিত্র করতে চাইলেন। অথচ কওম এর জবাব দিল হুমকির দ্বারা।
আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) ‘লূতের সম্প্রদায় রাসূলগণকে অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বলল, তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্য কোনো প্রতিদান চাই না। আমার পুরস্কার তো রাববুল আলামীনের কাছে।
জগতের সমস্ত মানুষের মাঝে তোমরাই উপগত হচ্ছ পুরুষের সাথে?! আর বর্জন করছ তোমাদের স্ত্রীদেরকে, যাদেরকে তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন?!! তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়!’
এ পর্যন্ত হযরত লূত আ.-এর দাওয়াত। একজন নিঃস্বার্থ কল্যাণকামীর কল্যাণের আহবান। কিন্তু কওম এ কল্যাণকামিতার মোকাবিলা
কীভাবে করল? ‘তারা বলল, লূত! যদি নিবৃত্ত না হও তাহলে নিশ্চিত তুমি হবে নির্বাসিতদের একজন।’ দেখুন : সূরা শুআরা : ১৬০-১৬৭
এখানেও একই কথা, সত্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস!
হযরত শুআইব আ. তার কওমকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। এবং লেনদেনে প্রতারণা ও আল্লাহর পথ হতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা থেকে বিরত হতে বললেন। অথচ কওম তাঁকে হুমকি দিল এবং ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করল।
আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) ‘আর মাদয়ানবাসীর নিকট পাঠিয়েছিলাম তাদের ভাই শুআইবকে। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো মাবূদ নেই। তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে এসেছে স্পষ্ট প্রমাণ। সুতরাং তোমরা মাপ ও ওজন সঠিকভাবে দিও। লোকদেরকে তাদের প্রাপ্যবস্ত্ত কম দিও না এবং দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর বিপর্যয় সৃষ্টি করো না। তোমাদের জন্য এটাই কল্যাণকর যদি তোমরা হও মুমিন।
‘আর যারা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে তাদেরকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য তোমরা কোনো পথে বসে থেকো না, আল্লাহর পথ থেকে তাদেরকে নিবৃত্ত করো না এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করো না।
‘স্মরণ কর, যখন সংখ্যায় কম ছিলে আল্লাহ তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। আর লক্ষ্য কর, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কীরূপ ছিল!’ এই হল হযরত শুআইব আ.-এর দাওয়াত। কওম এর কী জবাব দিল?
‘তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক প্রধানরা বলল, হে শুআইব! আমরা তোমাকে ও তোমার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আমাদের জনপদ থেকে বহিষ্কার করবই অথবা তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে আমাদের ধর্মাদর্শে ...।’ দেখুন : সূরা আরাফ (৭) : ৮৫-৮৮
সূরা হূদে (৯১) আরো আছে, ‘তারা বলল, হে শুআইব! তুমি যা বল তার অনেক কথা আমরা বুঝি না। এবং আমরা তো আমাদের মাঝে তোমাকে দুর্বলই দেখছি। তোমার স্বজনবর্গ না থাকলে আমরা তোমার উপর পাথর ছুড়তাম। আর তুমি আমাদের উপর শক্তিশালী নও।’
এভাবে পূর্ববর্তী নবীগণের দাওয়াতের বিবরণ পাঠ করলে এই বাস্তবতা জীবন্ত হয়ে উঠে যে, আদর্শত্যাগী সম্প্রদায়ের কাছে যখন কোনো জবাব থাকে না তখন তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়। অন্যায়-অবিচারের মাধ্যমে সত্যকে পরাস্ত করতে চায়। কিন্তু সত্যের পৃষ্ঠপোষক স্বয়ং আল্লাহ। তিনি সত্যকেই বিজয়ী করেন। উল্লেখিত উদাহরণগুলোর পরবর্তী অংশই এর প্রমাণ।
আখেরী পয়গাম্বর হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বর্তমান সময়ের কাফির-মুশরিকদের কটুক্তি, আখেরী আসমানী কিতাব কুরআন মজীদের অবমাননা, আখেরী দ্বীন ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কে অপপ্রচার আর ঈমানদার মুসলিমদের সম্পর্কে মিথ্যা প্রপাগান্ডা-এই সব একই সূত্রে গাঁথা। এর প্রতিটি ঘটনা পশ্চিমা নাস্তিক্যবাদী সমাজের যুক্তি ও আদর্শের দীনতার এক একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এটি হচ্ছে একটি দিক।
দ্বিতীয় যে দিকটি সম্পর্কে পাঠকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই তা হচ্ছে, আল্লাহর কালাম যে মুসলিম উম্মাহর কত বড় সম্পদ তা আবার আমাদের নতুন করে উপলব্ধি করতে হবে। কারণ এ সম্পদের কারণেই আজ মুসলিম উম্মাহ পশ্চিমাদের ঈর্ষা ও হিংসার পাত্র।
কুরআন মজীদ যদিও অবতীর্ণ হয়েছে আরবের উম্মী নবীর উপর, কিন্তু তা শুধু আরব জাতির জন্য নাযিল হয়নি, তা নাযিল হয়েছে বিশ্ব
মানবের জন্য।
কুরআন ইয়াহুদ ও নাসারাকে আহবান করেছে কুরআনের সম্পদ সীনায় ধারণের জন্য এবং কুরআনের আলোতে আলোকিত হওয়ার জন্য। বরং তাদের জন্য ঘোষণা করেছে দুই প্রতিদান, কিন্তু বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা তাদেরকে সত্য গ্রহণের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করেছে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ... কিংবা আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন সেজন্য তারা তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে?! আমি ইবরাহীমের বংশধরকেও তো কিতাব ও হিকমত প্রদান করেছিলাম এবং তাদেরকে বিশাল রাজ্য দান করেছিলাম।
অতপর তাদের কতক তাতে বিশ্বাস করেছিল আর কতক তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। দ্বগ্ধ করার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট।-সূরা নিসা
(৪) : ৫৪-৫৫
অন্য জায়গায় বলেন, (তরজমা) ‘কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরি করেছে তারা এবং মুশরিকরা চায় না যে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের উপর কোনো কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ রহমতের জন্য বিশেষরূপে মনোনীত করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।-সূরা বাকারা : ১০৫
এ আয়াতে ‘যারা কুফরি করেছে’ অংশটুকুর তাৎপর্য হচ্ছে, যে সকল কিতাবী আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছেন তারা তো কুরআন নাযিল হওয়াকে তাদের জন্যও কল্যাণের বিষয় মনে করতেন। তাঁরা ছিলেন সত্যের প্রতি সমর্পিত এবং সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি থেকে পবিত্র। তাঁরা নিজেদেরকে মনে করতেন আল্লাহর বান্দা, সুতরাং আল্লাহর কালাম ও আল্লাহর রাসূলের উপর ঈমান আনতে তাদের কোনো বাধা ছিল না। তবে এ ধরনের সৌভাগ্যবানের সংখ্যা তখনও কম ছিল, এখনও কম।
আজ যারা কুরআন মজীদের অবমাননা করে এবং আসমানী কিতাবের অমর্যাদা ও প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে তাদের অসৎ পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে তাদের পরিণাম স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন। কুরআন মজীদের এইসব আয়াত এবং বর্তমান সময়ের কুরআন-অবমাননার বিভিন্ন ঘটনায় এ সময়ের মুসলমানদের জন্য অনেকগুলো শিক্ষণীয় বিষয় আছে।
প্রথম বিষয় এই যে, এ ধরনের প্রতিটি ঘটনা কুরআনের সত্যতার জ্বীবন্ত প্রমাণ। কুরআনে আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তর্জগতের যে সংবাদ দান করেছেন, তারা তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে ঐ সংবাদের সত্যতা ঘোষণা করছে।
দ্বিতীয়ত, বর্তমান সময়ের ইহুদি-খৃস্টান তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে যখন নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেছে তখন তাদেরকে চিনে রাখা মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য। সুতরাং তাদেরকে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করা এবং চিন্তা ও কর্মে তাদের অনুসরণ করা যে কত বড় আত্মঘাতী বিষয় হবে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়াও মুসলমানের কর্তব্য।
কুরআন কত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাশা ও ক্রীড়ার বস্ত্তরূপে গ্রহণ করে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে তোমাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং আল্লাহকে ভয় কর যদি তোমরা মুমিন হও।-সূরা মায়িদা (৫) : ৫৭
তৃতীয়ত, শত অযোগ্যতা ও পশ্চাৎপদতা সত্ত্বেও মুসলিম জাতি এখনো যে সম্পদের কারণে পশ্চিমাদের ঈর্ষা ও বিদ্বেষের লক্ষ্যবস্ত্ত তা হচ্ছে আল্লাহর কালাম ও দ্বীন ইসলাম। সুতরাং অন্য সকল ক্ষেত্রে অগ্রগামিতার প্রচেষ্টার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য, এই সম্পদকে জীবন দিয়ে রক্ষা করা, কুরআন মজীদের সাথে সম্পর্ক কায়েম করা, কুরআনের প্রতি ঈমান ও আস্থা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করা, কুরআনের সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত ও কুরআনের শিক্ষা নির্দেশনা নিজে জানা ও মানা এবং সন্তান-সন্ততি, পরিবার পরিজনকে জানানো ও মানানো। এমনকি কুরআন বিদ্বেষী ব্যক্তি ও সম্প্রদায় কিংবা তাদের সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজনকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করার চেষ্টা করা কর্তব্য, আজ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নিজ নিজ এলাকায় কুরআনী মকতব কায়েমের দৃঢ় সংকল্প করতে পারেন এবং কুরআনী শিক্ষা বিস্তারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করতে পারেন। এটাই হবে কুরআন-বিদ্বেষী সম্প্রদায়ের কুরআন-অবমাননার সবচেয়ে
কার্যকর জবাব।