আততিবইয়ান ॥
উলূমুল কুরআন বিষয়ক কয়েকটি কিতাব
কিতাবের পরিচিত ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা ও মনে রাখার গুরুত্ব যে অপরিসীম তা সকলেরই জানা। কিতাবের নাম-পরিচিতি সহজে মনে রাখার অনেক পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে একটি হল, বিভিন্ন কিতাবের নামের শব্দগত মিলের মাধ্যমে সেগুলোর নাম-পরিচিতি মনে রাখা। অনেক সময় কয়েকটি কিতাবের নামের মধ্যে এক বা একাধিক শব্দের মিল থাকে। কখনো পুরোপুরি একই নামেই একাধিক মুসান্নিফের কিতাব পাওয়া যায়। এটি ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্রের মধ্যেও হয়ে থাকে, আবার একই শাস্ত্রের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।
তাফসীর ও উলুমূল কুরআনের শাখাগত বিভিন্ন বিষয়ে রচিত এমন অনেক কিতাব রয়েছে, যেগুলোর নামের মধ্যে এক বা একাধিক শব্দের মিল রয়েছে। যেমন একটি শব্দ হল– التبيان । এই শব্দসূত্রে সহজেই মনে রাখা যাবে যে, এই নামে বা কাছাকাছি নামে এ শাস্ত্রে কী কী কিতাব লেখা হয়েছে। তাফসীর ও উলূমুল কুরআনের শাখাগত বিভিন্ন বিষয়ে রচিত বেশ কিছু কিতাবের নামের মধ্যেই التبيان শব্দটি রয়েছে। সেইসকল কিতাব ও মুসান্নিফদের বিস্তারিত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে একটি স্বতন্ত্র পুস্তিকা লেখা যেতে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বক্ষমান লেখায় সেসবের মধ্য হতে প্রসিদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কিতাবের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পেশ করা হল–
১। التبيان في إعراب القرآن
আবুল বাকা আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন আলউকবারী রাহ. (৬১৬ হি.) রচিত ‘আততিবইয়ান ফী ই‘রাবিল কুরআন’। আবুল বাকা আলউকবারী রাহ. বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আরবী ভাষাবিদও ছিলেন। তিনি উক্ত কিতাবে কুরআন কারীমের সূরাসমূহের বিন্যাস অনুযায়ী প্রত্যেক সূরার বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের ই‘রাব ও তারকীবের ব্যাখ্যা করেছেন। কিতাবটি দারুল ফিকর, আলমাকতাবাতুত তাওফীকিয়্যাহ ও দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহসহ বিভিন্ন মাকতাবা থেকে ১ বা ২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
এ কিতাবের দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যার পুরোনো সংস্করণটি এবং আরো কোনো কোনো মাকতাবা থেকে কিতাবটি إملاء ما مَنَّ به الرحمن مِنْ وجوه الإعراب والقراءات في جميع القرآن নামে প্রকাশিত হয়েছে। আবার দারুস সাহাবা থেকে যে সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে উভয় নামই লেখা রয়েছে।
২। التبيان في آداب حملة القرآن
ইমাম আবু যাকারিয়া মুহিউদ্দীন ইয়াহইয়া ইবনে শারফ আননববী রাহ. (৬৭৬ হি.) রচিত ‘আততিবইয়ান ফী আদাবি হামালাতিল কুরআন’। জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকীহ ইমাম নববী রাহ. সকলের কাছেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর উক্ত কিতাবটিও প্রায় আট শ বছর ধরে সারা বিশ্বে সর্বত্র প্রসিদ্ধ ও ব্যাপক সমাদৃত। নববী রাহ. উক্ত কিতাবে কুরআন কারীমের ফযীলত, কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত, আদব ও পন্থা, তিলাওয়াতকারীর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয় দশটি অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন।
বিভিন্ন দেশের বহু মাকতাবা থেকে কিতাবটির অনেক সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
৩। غرر التبيان في من لم يسم في القرآن
বদরুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে জামাআহ রাহ. (৭৩৩ হি.) রচিত ‘গুরারুত তিবইয়ান ফী মান লাম ইয়ুসাম্মি ফীল কুরআন’। ইবনে জামাআহ রাহ. ছিলেন হিজরী অষ্টম শতাব্দীর বিখ্যাত একজন মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, কাযী এবং আরো অন্যান্য শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ। তিনি ছিলেন ইমাম নববী রাহ.-এর একজন শাগরিদ। তার শাগরিদদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমাম যাহাবী রাহ., তাজুদ্দীন সুবকী রাহ., ইবনুল কায়্যিম রাহ., ইবনে কাছীর রাহ. প্রমুখ। তাজুদ্দীন সুবকী রাহ.-এর পিতা তাকীউদ্দীন সুবকী রাহ. ছিলেন আবার ইবনে জামাআহ রাহ.-এর একজন উস্তায।
আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে বিভিন্ন জায়গায় নবী-রাসূল বা বিশেষ ব্যক্তিগণ অথবা বিভিন্ন সম্প্রদায় বা শ্রেণির ব্যাপারে নাম উল্লেখ না করে ইশারা করেছেন। ইবনে জামাআহ রাহ. উক্ত কিতাবে সেসকল ক্ষেত্রে কুরআনের শব্দ বা বাক্যে কারা উদ্দিষ্ট বা উদ্দিষ্ট হতে পারে তা ব্যাখ্যা করেছেন। কোনো ক্ষেত্রে একাধিক বক্তব্য থাকলে তাও উল্লেখ করেছেন। কিতাবটি দারু কুতাইবা থেকে এক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
৪। التبيان في أيمان القرآن
শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর ইবনুল কায়্যিম রাহ. (৭৫১ হি.) রচিত ‘আততিবইয়ান ফী আইমানিল কুরআন’। ইবনুল কায়্যিম রাহ. ছিলেন মুহাদ্দিস ও ফকীহ। তিনি ইবনে তাইমিয়া রাহ.-এর অন্যতম ঘনিষ্ঠ শাগরিদ ছিলেন।
ইবনুল কয়্যিম রাহ. উক্ত কিতাবে কুরআন কারীমের বিভিন্ন আয়াতে ও বিভিন্ন সূরার শুরুতে আল্লাহ তাআলা যেসকল বিষয় ও জিনিসের কসম করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
দারু ইবনে হাযামসহ বিভিন্ন মাকতাবা থেকে কিতাবটি এক বা দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
এ কিতাবটি দারুল মা‘রিফা বাইরুত এবং দারুল ফিকরসহ একাধিক মাকতাবা থেকে التبيان في أقسام القرآن (আততিবইয়ান ফী আকসামিল কুরআন) নামেও প্রকাশিত হয়েছে।
৫। التبيان في تفسير غريب القرآن
আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনুল হায়িম রাহ. (৮১৫ হি.) রচিত ‘আততিবইয়ান ফী তাফসীরি গরীবিল কুরআন’। ইবনুল হায়িম রাহ. বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তার বিখ্যাত শাগরিদদের মধ্যে একজন হলেন হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ.।
ইবনুল হায়িম রাহ. তার উক্ত কিতাবে কুরআন কারীমের প্রত্যেক সূরার বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের সংক্ষিপ্ত আভিধানিক ব্যাখ্যা করেছেন। সূরাসমূহের বিন্যাস অনুযায়ীই কিতাবটি রচিত।
দারুল গরবিল ইসলামী বাইরুত এবং দারুস সাহাবা লিততুরাছ থেকে কিতাবটি এক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
৬।التبيان لبعض المباحث المتعلقة بالقرآن على طريق الإتقان
তাহের ইবনে সালেহ আলজাযায়েরী রাহ. (১৩৩৮ হি.) রচিত ‘আতিবইয়ান লিবা‘দিল মাবাহিছিল মুতাআল্লিকাতি বিল কুরআন’। তার পিতা সালেহ আলজাযায়েরী রাহ.-ও তার সময়ের প্রসিদ্ধ আলেম ও মালেকী মাযহাবের একজন ফকীহ ছিলেন। তাহের আলজাযায়েরী রাহ. একাধিক শাস্ত্রের পণ্ডিত ও অন্যতম বড় একজন আরবী ভাষাবিদ ছিলেন।
তিনি উক্ত কিতাবে বারোটি অধ্যায়ে উলূমুল কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন। যেমন, মাক্কী ও মাদানী সূরা এবং আয়াত নির্ণয় ও তা জানার ফায়দা, সাবআতে আহরুফ-এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, কুরআনের আয়াত সংখ্যা এবং তার গণনা পদ্ধতি, কুরআন কারীম নাযিলের ধরন ও অবস্থা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের যুগে কুরআন কারীম সংকলন, প্রসিদ্ধ সাত কারী ও তাদের কেরাত এবং সেগুলোর সনদ নিয়ে পর্যালোচনা, আয়াতসমূহের শুরু ও শেষ এবং আয়াতগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও যোগসূত্র ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি এ কিতাবে আলোচনা করেছেন।
আরবের প্রয়াত বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকীহ শায়েখ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ. (১৪১৭ হি.)-এর তত্ত্বাবধানে এ কিতাবের একটি সংস্করণ দারুস সালাম আলকাহেরা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ টীকাও সংযোজন করেছেন।
৭। أنوار التبيان في أسرار القرآن
মাওলানা আবু উবায়দুল্লাহ শামসুদ্দীন রাহ. (১৪০৫ হি.) রচিত ‘আনওয়ারুত তিবইয়ান ফী আসরারিল কুরআন’। আবু উবায়দুল্লাহ শামসুদ্দীন রাহ. বৃহত্তর পাঞ্জাব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতা মাওলানা শের মুহাম্মাদ ছিলেন পাঞ্জাবের প্রসিদ্ধ আলেম। তিনি নিজ পিতার কাছে পড়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। দারুল উলূম দেওবন্দেও পড়েছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের গুজরানওয়ালাবাগে বসবাস ও শিক্ষকতা করেছেন। তার রচিত أنوار التبيان في أسرار القرآن কিতাবটি আরবী ভাষায় রচিত কুরআন কারীমের একটি সংক্ষিপ্ত তাফসীরগ্রন্থ। এটি ইশাআত একাডেমি পেশাওয়ার থেকে ২০১৯ সালে এক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
৮। التبيان شرح خلاصة البيان
কারী মুহাম্মাদ আইয়ূব সূরাতী দা. বা. রচিত ‘আততিবইয়ান শরহু খুলাসাতিল বয়ান’। শাইখুল কুররা মাওলানা কারী যিয়াউদ্দীন আহমাদ ইবনে আবদুর রায্যাক এলাহাবাদী রাহ. (১৩৭১ হি.) রচিত একটি কিতাব রয়েছে– خلاصة البيان في تجويد القرآن নামে। এটি কুরআনের তাজবীদ বিষয়ে আরবী ভাষায় রচিত একটি পুস্তিকা। সেই পুস্তিকাটির শরাহ করেছেন কারী আইয়ূব সুরতী দা. বা.। তিনি দারুল উলূম ছাপী গুজরাট মাদরাসার উস্তায। তার রচিত শরাহটির নাম التبيان شرح خلاصة البيان । এতে তিনি খুলাসাতুল বায়ান-এর উর্দূ তরজমা ও ব্যাখ্যা করেছেন। এটি কিরাআত একাডেমি লাহোর থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
৯। التبيان في علوم القرآن
মুহাম্মাদ আলী আসসাবূনী রাহ. (১৪৪২ হি.) রচিত ‘আততিবইয়ান ফী উলূমিল কুরআন’। আলী আসসাবূনী রাহ. আরবের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ছিলেন। যিনি সফওয়াতুত তাফাসীরসহ বিভিন্ন কিতাবের মুসান্নিফ। উলূমুল কুরআন বিষয়ক তার উক্ত কিতাবটি বর্তমানে সর্ব মহলেই পরিচিত। যা একাধিক মাকতাবা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
১০। التبيان في أنواع علوم القرآن
আবু সালাহ মুহাম্মাদ হিশাম আততাহেরী নামে সমকালীন একজন আরব আলেমের রচিত একটি কিতাব ‘আততিবইয়ান ফী আনওয়াই উলূমিল কুরআন’। এ কিতাবে তিনি উলূমুল কুরআনের বহু বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কেবল মৌলিক আলোচনা করেছেন। কিতাবটি এক খণ্ডে দারু লাতায়েফ কুয়েত, দারুল ইমাম মুসলিম সৌদি আরবসহ একাধিক মাকতাবা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
এগুলো ছাড়াও আবদুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ আসসাদহান নামে সমকালীন একজন আরব আলেমের التبيان في سجدات القرآن নামে একটি কিতাব রয়েছে। তাতে তিনি কুরআন কারীমের সিজদার আয়াতসমূহ সম্পর্কে হাদীস ও আসার এবং বিধানাবলি একত্র করেছেন। কিতাবটি দারুল মানার ও দারু ইবনে খুযাইমা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইবনে খলীফা আততামীমী নামে সমকালীন একজন আরব আলেমের التبيان لثلاثيات القرآن নামে একটি কিতাব রয়েছে। এ কিতাবে তিনি তিন (৩) সংখ্যাকে কেন্দ্র করে কুরআন কারীমের বিভিন্ন রকম তথ্য ও তত্ত্ব জমা করেছেন। কিতাবটি সূরাসমূহের বিন্যাস অনুযায়ী রচিত। প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার কিতাবটি দারুল মুহায্যাব কুয়েত থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
আবু হাম্মাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী আসসওমায়ী নামের আরেকজন সমকালীন আরব আলেমের التبيان في ما صح في فضائل سور القرآن নামে একটি কিতাব রয়েছে। নাম থেকেই কিতাবটির আলোচ্য বিষয় স্পষ্ট। লেখক এ কিতাবে প্রত্যেক সূরার ফযীলত সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো সংকলন করেছেন। তবে এ কিতাবে বর্ণনাগুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা নেই। কিতাবটি দারুল ইসতিকামাহ, কায়রো থেকে ১৪৩০ হিজরী মোতাবেক ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
ইমাম আবু বকর মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আলআজুররী রাহ. (৩৬০ হি.) রচিত একটি ছোট রিসালা আছে أخلاق حملة القرآن নামে। সেই রিসালার শরাহ করেছেন আবদুর রায্যাক ইবনে আবদুল মুহসিন আলবদর নামে সমকালীন একজন আরব আলেম। সেই শরাহটির নাম التبيان في شرح أخلاق حملة القرآن । এটি দারু ইবনিল জাওযীসহ একাধিক মাকতাবা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া জামিআতুল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সাঊদ সৌদি আরব থেকে تبيان নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। এটির পুরো নাম مجلة تبيان للدراسات القرآنية । সাধারণত এটি তিন মাস পরপর প্রকাশিত হয়ে থাকে। যার প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল জুমাদাল ঊলা ১৪২৮ হিজরী মোতাবেক মে ২০০৭ সালে এবং অতি সম্প্রতি সর্বশেষ ৪৯ নম্বর সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছে জুমাদাল ঊলা ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক নভেম্বর ২০২৪ সালে। এ পত্রিকায় সাধারণত কুরআন কারীম কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক বড় বড় কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়।
এগুলো ছাড়াও তাফসীর ও উলূমুল কুরআনের বিভিন্ন বিষয়ে রচিত সালাফের আরো কিছু কিতাব এবং সমকালীন আলেমদের অনেক কিতাব ও রিসালার নামের মধ্যে التبيان শব্দটির মিল রয়েছে।