Jumadal Akhirah 1446   ||   December 2024

খবর... অতঃপর...

জা  তী  য়

r মিরপুরে খাস জমি মানেই ইলিয়াসের তালুক

সমকাল, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

l ইলিয়াস মোল্লার লোকেরা শুধু খাস জমি না, বস্তি ব্যবসা, বস্তিগুলোতে ঘর বানিয়ে বিক্রি করা, ভাড়া দেওয়া, কয়দিন পরে পুড়িয়ে ফেলা, পুনরায় নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া এগুলো ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ এবং আয়ের প্রধান উৎস।

r আমরা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু শব্দ শুনতে চাই না : জামায়াতের আমির

প্রথম আলো, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

l বাহ কী সুন্দর শুনাইল! হিকমতে আমলীর ইসলাম, যে ইসলামে সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নেই। একেই বলে, যখন যেমন তখন তেমন। যে দিকে বৃষ্টি সেদিকে ছাতি। তিনি এখন আরো বহু নিত্য নতুন বাণী দিয়ে যাচ্ছেন, খেতাবও পাচ্ছেন।

r বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের এক বছর, প্রাক্কলনের ৫ ভাগের ১ ভাগ যান চলাচল করছে

বণিক বার্তা, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

l এভাবেই মিথ্যা প্রাক্কলন ও ভুয়া হিসাব নিকাশ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটা ঠিক যে, চট্টগ্রামে এমন একটা টানেল দরকার ছিল, কিন্তু আমাদের মতো দেশে যেখানে বরাবরই অর্থনৈতিক সংকট থাকে এবং এ ধরনের প্রকল্প করতে হলে ঋণ-নির্ভর হতে হয়। সে ঋণ আদায়ও হয় ধীরে ধীরে টোল আদায়ের মাধ্যমে। সে প্রাক্কলনও যদি ভুল করা হয়, তাহলে সুদ বাড়তে থাকে এবং জনগণের গলা কাটা হতে থাকে।

r বিনামূল্যে পাঠ্য বই

২৭০ কোটি টাকা লোপাট

মানবজমিন, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

l পাঠ্যবই, শিক্ষাখাত, চিকিৎসাখাত, ত্রাণের খাত কোন্ খাত সেই লুটেরা গোষ্ঠী বাদ রেখেছে? যেখানেই তারা হাত দিয়েছে, সেখানেই নিজেরা আগে কতটুকু লোপাট করতে পারবে, পাচার করতে পারবে সেটা সুনিশ্চিত করে ছোট থেকে বড় যেকোনো কাজ ধরেছে।

r ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে গভর্নর

শেখ হাসিনার সহযোগীরা ১৭ বিলিয়ন ডলার সরিয়েছেন

বণিক বার্তা, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

l ১৭ বিলিয়ন ডলার এখন বাংলাদেশের রিজার্ভেও নেই। এই ১৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে থেকে গেলে কোনোক্রমেই বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমান সংকটে পড়ত না। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সে অর্থ উদ্ধার করা।

r মহিউদ্দিন আহমদের কলাম

৩ নভেম্বর অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল না

প্রথম আলো, ৩ নভেম্বর ২০২৪

l সেটা তো সুপ্রতিষ্ঠিত কথা। একজন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক সে কথাগুলোকে তুলে ধরায় তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। খালেদ মোশাররফরা ভারতকে হাত করে আবার এখানে মুজিব ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন তা তো সুপ্রতিষ্ঠিত। একই কারণে খন্দকার মুশতাক আহমদ খালেদ মোশাররফ কর্তৃক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। খালেদ মোশাররফরা তো সেনাপ্রধানকে বন্দি করে (৩ নভেম্বর ১৯৭৫) অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলেন। সে অভ্যুত্থান ঘটে গেলে বাংলাদেশে ইতিহাস আরো বহু বছর ভিন্নভাবে লেখা হত। মাঝে কিছু বছর যে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল, মানুষ মুক্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিল, সে নিঃশাসও   নিতে পারত না।

r ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে অসুস্থ শাহজাহান খান, নেওয়া হলো ঢামেকে

ইত্তেফাক, ৪ নভেম্বর ২০২৪

l শাহজাহান খানের মতো শ্রমিকের জানেরা অসুস্থ হয়ে যাওয়া তো আশ্চর্যের বিষয়। কথায় কথায় হাজার হাজার শ্রমিক একত্র করে ফেলে দাপট দেখানো নেতার পক্ষে ১০০ জন শ্রমিক রাস্তায় নেমেছে বলেও তো শোনা যায়নি। তাদের হুমকি ধমকির কারণে তো তাদের দলের নেতা-নেত্রীরাও ভয় পেত। এই গডফাদাররা আবার অসুস্থও হয়?!

r সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

ফোন করেছিলেন ড. ইউনূস, দিয়েছেন দাবি আদায়ের আশ্বাস

মানবজমিন, ৪ নভেম্বর ২০২৪

l এটা ঠিক, তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ আওয়ামী সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। এটাকে অবশ্যই ভালো ভূমিকা হিসেবে দেখতে হবে। কিন্তু এ সময়ে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি যে সমস্ত কথা বলছেন, বিশেষত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে, তখন এ কথাগুলো বললে কী হত? তখন কি বলতে পারতেন না? তিনি তো আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে তিনি সত্য প্রকাশ করে দিলেন না কেন? তবুও সোহেল তাজের বিষয়টা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন চোখে দেখার অবকাশ আছে। তবে তাকে এদেশে কাজ করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ এদেশে আবার পুরোনো নামে কাউকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে বলে মনে হয় না।

r জয় বাংলা বলা সেই সিভিল সার্জনকে ওএসডির পরদিন বাধ্যতামূলক অবসর

প্রথম আলো, ৪ নভেম্বর ২০২৪

l অবসর কেন, তাকে ভারতে যাওয়ার জন্য, শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার জন্য আলাদা ট্রাভেল পাস দিয়ে দেওয়া হোক। জয় বাংলা বলা লোকদের জায়গা এখন বাংলাদেশে হওয়া উচিত নয়। কারণ, তা এখন ফ্যাসিস্টদের শ্লোগান হয়ে গেছে। জয় বাংলা বললে এখন শুধু অত্যাচারীদের চেনায়, যারা এ শ্লোগান দিয়ে বছর কে বছর মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মনে আসল, জয় বাংলাকে রাষ্ট্রীয় শ্লোগান বলে রায় দেওয়া সে বিচারক এখন কোথায়?

r ২৬তম বার্ষিকী উদযাপন, গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি অভিজ্ঞতায় সাহসী সাংবাদিকতার অঙ্গীকার

প্রথম আলো, ৫ নভেম্বর ২০২৪

l যেদিকে বৃষ্টি সেদিকে ছাতির মতো কথা বলা যায়। প্রশ্ন হল, গণঅভ্যুত্থানের সময় তাদের ভূমিকা কেমন ছিল। যখন পাখির মতো মানুষ গুলি করে মারা হয়, যখন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের বাহিনীগুলো নিরপরাধ লোকদের মারতে থাকে, তখন দেশের বহুল প্রচারিত এই গণমাধ্যম গোষ্ঠীগুলো কী ভূমিকা রেখেছিল? তাদের ভূমিকা তখন কতটুকু ইতিবাচক ছিল? ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে তারা এমন একটা ভাব ধরল যে, সত্যে-তথ্যে ডুবে আছে। ভাবটা এমন, ওই সময় তারা অনেক ভূমিকা রেখেছেন। এটা তাদের নতুন চরিত্র না। এমনটা তারা বরাবরই করেছে। সৎ সাংবাদিকতা, সাহসী সাংবাদিকতা যতই নাম দিক, সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে তাদেরকে আগেও দেখা যায়নি, এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু তারা বোল বদলে ফেলেছে কত দ্রুত। তারা সরকারের বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সম্পাদক খোদ গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার লম্বা সাক্ষাৎকার নিয়ে এসেছেন। এটাকেই হয়তো বলে সময়ের পাখি

r তারেক রহমান যেভাবে জনাব সাহেব হয়ে গেলেন

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ক্ষমতাচ্যুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ গেল রোববার লন্ডনভিত্তিক চ্যানেল এস টেলিভিশনে অজ্ঞাত স্থান থেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ খুব তমিজের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামের আগে জনাব এবং পরে সাহেব বসিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও নামের আগে-পরে এই দুটি সম্মান ও সম্ভ্রমসূচক বিশেষণ জুড়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আমি বিএনপির সাথে অনেক ক্ষেত্রে একমত।...এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব কিংবা বিএনপির মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছেন, সেগুলোর অনেকগুলোর সাথে আমরা একমত।

প্রথম আলো, ৬ নভেম্বর ২০২৪

l এটিই সময়ের বিবর্তন। হাছান মাহমুদদের মতো লোকেরা বছর কে বছর ধরে ধরাকে সরা ভেবে বসে ছিলেন, কাউকে পাত্তা দিতেন না, যে লোকের দাপট, কথাবার্তার ভাবভঙ্গি ছিল গর্ব-অহংকারে ভরা। নিজের চরিত্র ও যোগ্যতা যাই হোক, তিনি জোর করে আবার ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতাও করেছেন। আবার নিজের নামের শুরুতে ডক্টরও লাগিয়েছেন। যারা একসময়ে ভাবত, বাংলাদেশে তাদের ওপরে তাদের নেত্রী ছাড়া আর কেউ নেই, যে দলের আগা-গোড়া সব নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে যাচ্ছেতাই গালমন্দ করত, তারা আজকে দু-চার লাইন কথা বললে তাও গোপন জায়গা থেকে তার নামের শুরু ও শেষে জনাব সাহেব লাগাচ্ছেন। সুতরাং এগুলো থেকে জ্ঞানী লোকদের শিক্ষা নেওয়ার আছে অনেক কিছুই।

r বেড়েই চলেছে মোটা ও মাঝারি চালের দাম

বণিক বার্তা, ৭ নভেম্বর ২০২৪

l বাংলাদেশে চালের দাম বরাবরই একটা ফ্যাক্টর। যেহেতু এদেশের সিংহভাগ খেটে খাওয়া লোকজনের মূল খরচটাই হচ্ছে দুমুঠো ভাত জোগাড় করা। চালের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ। তাই যেকোনো সরকারের জন্যই এটি চ্যালেঞ্জ। যদিও গত বেশ কয়েক বছর ধরে, বিশেষত বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের, যারা দশ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের সময়ও মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা পার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও এটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাদেরকেও এদিকে গুরুত্বের সঙ্গে নজর দিতে হবে। মোটা চালের দাম কী করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে কৌশল বের করতে হবে। সেটা কোনোভাবে সম্ভব না হলে ওএমএসের মাধ্যমে গ্রামে-শহরে সব জায়গায় দরিদ্র লোকদের ভর্তুকি দিয়ে কম দামে চাল সরবরাহ করতে হবে। না-হলে ড. ইউনূসের সরকার দ্রুত সাধারণ জনগণের কাছে অজনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

r মুজিববর্ষে কত টাকা অপচয় তা বের করবে সরকার

প্রথম আলো, ৭ নভেম্বর ২৪

l শুধু বের করাই কি যথেষ্ট? অপচয়কারীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করা কি দরকার নয়? রাষ্ট্র কেন একজন ব্যক্তির নাম করে এত বছর পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে জনগণের করের টাকা বিলাবে? তারা কি আসলে শেখ মুজিবকে সম্মানের আসনে বসাতে চেয়েছে? ব্যাপারটি মনে হয় মোটেও তেমন নয়! বরং এ নাম ব্যবহার করে এবং তার নামে অযথা ও অতিরঞ্জিত গুণগান ও কীর্তিগাঁথা পেশ করে তার পরিবারবর্গ এবং তাদের দোসররা স্থায়ীভাবে এদেশের লোকদের শোষণ করতে চেয়েছে।

r মিলেমিশে লোপাট, ফেঁসে যাচ্ছেন নদভী

সমকাল, ৭ নভেম্বর ২০২৪

l যারা ধর্মের লেভেল লগিয়ে, কুরআন-হাদীস পড়েও ক্ষমতার লোভে ফ্যাসিবাদের সঙ্গ দিয়েছে এবং হালুয়া-রুটির ভাগ-বাটোয়ারায় শরীক হয়েছে, তারা ফেঁসে গেলে সেটা তো তাদের প্রাপ্যই বটে।

r আমুর আইনজীবীকে মারধরের ঘটনা সাজানো : পিপি

যুগান্তর, ৮ নভেম্বর ২০২৪

এরকম সাজানো নাটক তারা অতীতে অনেক করেছে। তাদের চরিত্রই এমন। এটা সাজানো তাদের জন্য কোনো ব্যাপার না।

৩০ লাখ শহীদের কথা বলা ইতিহাস বিকৃতি : বাংলা একাডেমির সভাপতি

কালের কণ্ঠ, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l জনাব আবুল কাসেম ফজলুল হক এ প্রসঙ্গ টেনে আনায় তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এদেশে কিছু কথা ও বিষয়কে এমন বানিয়ে ফেলা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবসম্মত না হলেও এমন একটা ভাব তৈরি করা হয়েছে, যেন এগুলো ধর্মীয় বাণী। এসব নিয়ে কেউ কোনো কথাই বলতে পারবে না। এগুলোর মধ্যে একটি হল, স্বাধীনতা যুদ্ধে কত জন শহীদ হয়েছে। কত জন নারী নির্যাতিত হয়েছে। যারা এগুলোর মনগড়া হিসাব তৈরি করেছে, তারা নিজস্ব মতলবে তৈরি করেছে। মুক্তিযোদ্ধা কত জন ছিল তারও একটা হিসাব আছে। এজন্য স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি চলছেই। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এখনো নতুন করে হচ্ছে। কারণ, এগুলো দিয়ে বিশেষ ব্যক্তিরা বিশেষ মতলব হাসিল করে। অবশ্যই এসমস্ত প্রতিষ্ঠিত করা মিথ্যাগুলোকে ছুড়ে ফেলতে হবে শেখ মুজিব সংক্রান্ত মিথ্যা কথা, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের হিসাব সংক্রান্ত মিথ্যা কথা ইত্যাদি। তখন মানুষ ছিল কত জন? ৭ কোটির কিছু বেশি লোক এদেশে ছিল। এখান থেকে ৩০ লাখ লোক মারা গেলে প্রায় ৫% লোক শহীদ হয়ে গেছে। আসলেই কি তাই? দেশের পরিবারগুলোতে সঠিকভাবে খোঁজ নিলেই তো এর অসারতা বেরিয়ে আসবে।

r সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার : আসিফ নজরুল, আইন উপদেষ্টা

আমাদের সময়, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l এত বেশি দরবেশী দেখাবেন না। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু সাংবাদিক নামে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, তারা এখন বোল পাল্টে ফেলেছে। তারা নিজের বিবেককে অহরহ বিক্রি করেছে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলেছে, তাদের গুণগান গেয়েছে। তারা কিন্তু সাংবাদিক নয়। তারা সাংবাদিক নামধারী গণদুশমন। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া কোনো বাহাদুরি নয়। এসব করে নিজেকে সাধু হিসেবে তুলে ধরতে চাইলে জনগণ কিন্তু ভালো চোখে দেখবে না। এমনিই আইন উপদেষ্টা মানুষের বিরাগভাজন আছেন। তিনি এদেশের একটি বিশেষ পত্রিকায় কলাম লিখতেন। তাদের পক্ষে তিনি জোরালো কথা বলছেন। তিনি জ্ঞানী মানুষ তার সতর্ক থাকা দরকার।

r ইসলামী ব্যাংকে অনিয়ম : স্যুটের টাকা ও ছাতা কেনার টাকাও গায়েব

প্রথম আলো, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l এদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো এমন তুঘলকি ইসলামের প্রদর্শনী করে আসছে অনেক দিন থেকে। এভাবে লোপাট করতে করতে এতদিন একটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো এখন নাকি আমানতকারীদের ৫-১০ হাজার টাকাই দিতে পারে না। তাদের অনেকের এটিএম অনলাইন ট্রান্সফারও বন্ধ রয়েছে। ইসলামের নামে এ জঘন্য নৈরাজ্য! আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এসব ব্যাংকের নাকি একটি করে শরীয়া কাউন্সিলও আছে। তবে এটা জানা যায়নি, এ কাউন্সিলগুলোর সদস্যরা চোখে দেখেন কি না, কানে শোনেন কি না। আগে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু ইসলামী নামের সমিতি সোসাইটি জনগণের সাথে প্রতারণা করার খবর গণমাধ্যমে এসেছে! কিন্তু এবার ইসলামের নাম ব্যবহার করা এতগুলো ব্যাংক, মানুষের লক্ষ-কোটি টাকা লোপাটের মহড়া দিল, লুটপাটকারী ও তাদের দোসরদের কথা বাদ দিলেও এ ব্যাংকগুলোর বড় বড় কর্মকর্তা এবং তাদের শরীয়া কাউন্সিলের সদস্যগণ এসবের দায় কি এড়াতে পারবেন? তারা নিজেদের চাকরির ভয়ে কথা বলেননি, অথচ যদি তারা গণপদত্যাগ করতেন, তাহলে কি লুটপাটকারীদের ওপর বড় বিরূপ প্রভাব পড়ত না? নিরীহ আমানতকারীরা আরো আগে সতর্ক হতে পারত না?

r ফ্যাসিস্ট আ. লীগ সমাবেশের চেষ্টা করলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

যুগান্তর, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকাকে দুর্বল দেখছেন অনেকেই। সরকারের মধ্যে হয়তো এমন কিছু লোক আছে, যারা অতীব ভদ্রতা, নিরপেক্ষতা বা গা বাঁচানো ভাব তৈরি করতে চাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, বিদায়ী পতিত স্বৈরশাসকরা চরিত্রগতভাবেই এমন গোষ্ঠী, যারা ষড়যন্ত্রে সিদ্ধহস্ত। যাদের কোনো লাজ-লজ্জা নেই। যাদের কাছে দেশ ও জাতির কোনো মূল্য নেই। তারা দেশকে আগেও বিকিয়ে দিয়েছে, এখনো তারা ক্ষমতা ও লুটপাটের জন্য বিকিয়ে দিতে কোনো দ্বিধা করবে না। দেশকে ধ্বংস করতে বিন্দুমাত্রও কুণ্ঠিত হবে না। সুতরাং তাদেরকে দাঁড়াতে দেওয়াটাই অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। কেউ যদি এমন বলে, অমুক নেতা তো দোষ করে নাই, তমুক তো এ অন্যায় করে নাই; তাদের জবাব হল, সে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হয়ে থাকল কেন? ওই দলের সদস্যপদ কেন থাকল তার? সে ফ্যাসিস্ট সরকারের গুণগান কেন গাইল। এগুলো যারাই করেছে, তারাই অপরাধী বলে গণ্য হবে। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। অন্যথায় জনমত তাদের বিপক্ষে যেতে পারে। যেকোনো সময় আবার ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। সেটা আওয়ামী নামে হোক বা ভিন্ন নামে।

r প্রচলিত ব্যাংকে ইসলামি ব্যাংকিং বন্ধ হতে যাচ্ছে

দি ডেইলি স্টার বাংলা, ১০ নভেম্বর ২০২৪

l এমন হলে এটা শুভ উদ্যোগই হবে। মদ ও শরবত পাশাপাশি এ কেমন কথা! সাথে সাথে ইসলামী নামে যেসব পৃথক ইসলামী ব্যাংক চলে, সেগুলোকে সঠিক ইসলামী ব্যাংক বানাতে পারলে ভালো, শুধু লেভেল লাগিয়ে আর কতদিন তারা ব্যবসা করবে! অন্যথায় নিজেদের গা থেকে ইসলামী শব্দ সরিয়ে দেওয়া উচিত। ইসলামকে তাদের অপকর্ম দ্বারা বদনাম করা উচিত নয়।

r আ. লীগ পরিষ্কার হয়ে এলে নেতৃত্ব দেবেন সোহেল তাজ

কালের কণ্ঠ, ১০ নভেম্বর ২০২৪

l মনে রাখতে হবে, কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। সোহেল তাজ রাজনীতি করতে চাইলে প্রয়োজনে ভিন্ন কোনো দল গঠন করে করতে পারেন।

 

 প্র   তি  বে  শী  রা   ষ্ট্র

r ভারতে এক দিনে একটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬৬,৯২,৫৩৫%, কেন এই নজিরবিহীন বৃদ্ধি

প্রথম আলো, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

l আগেও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে দেশে শেয়ারবাজারগুলো এমন আচরণ করে, যার ফলে এগুলোকে পুঁজিবাজারের চেয়ে জুয়ার বাজার বলাই শ্রেয়।

r আইপিএল, না টাকার খেলা; কারো বেতন বেড়েছে ৬৯০০%, কারো ৬৪০০%

প্রথম আলো, ২ নভেম্বর ২০২৪

l একসময় বলা হত ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। এখন সেটা হয়ে গেছে পুঁজিবাদী, জুয়াড়ি এবং একশ্রেণির গণমাধ্যমের টাকার কুমির হওয়ার একটা ব্যবস্থা। দেশে দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি বানানো হয়েছে। যে জন্য দেখা যায় খেলোয়াড়রা এখন দেশের জন্য খেলার চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে খেলতে ভালবাসে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে কাড়ি কাড়ি টাকা পাওয়া যায়। আগে খেলায় দেশাত্মবোধ, বিনোদন ও মন-মস্তিষ্ক তৈরি হওয়ার কথা বলা হত, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেসব বিলুপ্ত করে দিচ্ছে। এখন বলা হয় খেলোয়াড় বিক্রি হয়েছে। ক্রীতদাস যুগে মানুষ বিক্রি হত, এখন নতুন করে খেলোয়াড় বিক্রি হয়!

r শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী : দিল্লি

একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এর আগে আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নাকি নির্বাসনে থাকা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বার বার আমরা বলেছি, তিনি (শেখ হাসিনা) একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই অবস্থানে আছি।

মানবজমিন, ৭ নভেম্বর ২০২৪

l বড় আশ্চর্যের বিষয় যে এসবকেও এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত যদি হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তার কাছে রাখে, তো রাখুক। তাতে কী সমস্যা? আমাদের কী আসে যায়? ভারত কী ভাবল, কী করল এতে তো কিছু আসা-যাওয়ার কিছু নেই। প্রকৃত সত্য হল, হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, না কী প্রধানমন্ত্রী তারা ভাবুক। এ নিয়ে আমাদের মিডিয়ার চিন্তা করা বা ভারত সাবেক বললে খুশি হয়ে যাওয়া হীনম্মন্যতারই বহিঃপ্রকাশ।

r বাংলাদেশ নিয়ে গুজব, ভারতের টিভি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ

ইত্তেফাক, ১০ নভেম্বর ২০২৪

l আসলে এগুলোকে পাত্তা দিয়ে লাভ নেই। এরকম গুজব তারা ছড়াচ্ছেই। প্রতিদিন মোদির গোষ্ঠী, হিন্দুত্ববাদী ও হাসিনার বন্ধুরা দিনরাত মিথ্যা কথাবার্তা বলে যাচ্ছে। বিশেষত ট্রাম্প বিজয়ের পর তো ওদের হুঁশ নেই। মনে হয়, হাসিনাকে আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পেরেছে। পাকিস্তানে ইমরান খানের দলও মনে করছে, ট্রাম্প ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিচ্ছে। আমাদের এগুলো এড়িয়ে চলাই উচিত। কিছুদিন পর এমনিতেই সব থেমে যাবে।

r ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশিদের বের করে দেওয়ার হুমকি ভারতীয় মন্ত্রীর

ইত্তেফাক, ১০ নভেম্বর ২০২৪

l এটা তো বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিদের পুরোনো কৌশল। ট্রাম্প যেমন আমেরিকা থেকে বিদেশীদের তাড়িয়ে দেবে বলে সে দেশের জনগণের ভোট নিয়েছে; মোদিও সেদেশের অধিবাসীদেরকে বিদেশী বানিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হিন্দুদের ভোট নেওয়ার পুরোনো কৌশল এখনো ব্যবহার করে যাচ্ছেন।

 

আ  ন্ত   র্জা  তি  ক

r গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে সব করব, নির্বাচনের আগে সুর নরম কমলার

ইনকিলাব, ৪ নভেম্বর ২০২৪

ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনেকেই মনে করেন বাইডেনের নীতিই কমলাকে ডুবিয়েছে।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সারা ম্যাকব্রাইড

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৬ নভেম্বর ২০২৪

l ডেমোক্রেটরা ক্ষমতায় এলে এমন বিকৃত মস্তিষ্কের লোকেরা হালে পানি পেত। কিন্তু রিপাবলিকানদের সময় মনে হয় না এদের ধানাই-পানাই চলবে। যারা পুরো পৃথিবীকে এমন বিকৃত মস্তিষ্কের বানাতে চায়, যারা আমাদের মতো ৯৯ ভাগ ধর্মবিশ্বাসীদের দেশে এসব বিকৃত কাজ প্রসারে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে, সে দেশে তো এত দিনে পুরো পার্লামেন্টই তাদের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এত বছর পরে প্রথম এমন প্রতিনিধি হওয়ার মানে হল, এখনো ওসব দেশের সাধারণ মানুষ এসমস্ত বিকৃত চিন্তাকে জায়গা দেননি।

r ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের মরুভূমিতে তুষারপাত

জঙ্গ, ৮ নভেম্বর ২০২৪

l এটাকে বলা হয় কুদরতের কারিশমা। আল্লাহর দেওয়া খনিজ সম্পদ নিয়ে বড়াই বাহাদুরী ও বিলাসিতাকারীদের জন্য এগুলো সংকেতও বটে! যেসব অঞ্চলে কালেভদ্রে বৃষ্টিপাত হত, সেসব এলাকায় মাঝে মাঝেই হচ্ছে বন্যা। মরুদ্যানে দেখা যাচ্ছে তুষারপাত। হায় যদি তারা সতর্ক হত।

r ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বিট কয়েনের দামে নতুন রেকর্ড

বণিক বার্তা, ৮ নভেম্বর ২৪

l এখানেই ট্রাম্পের চরিত্র বোঝার মতো উপাদান রয়েছে। তিনি কীভাবে ধনকুবের হয়েছেন সেটার ইঙ্গিতও এখানে পাওয়া যাবে। বিটকয়েন যেমন মা-বাপহীন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত মুদ্রা এবং মাদক ও স্মাগলিংয়ের মতো বড় বড় কারবারে ব্যবহৃত হয় বলে প্রচার রয়েছে। ট্রাম্পও...

r গাজায় নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু : জাতিসংঘ

মানবজমিন, ৮ নভেম্বর ২০২৪

l জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অধিদপ্তরের এ ধরনের তথ্য প্রচার করতে লজ্জা পাওয়া উচিত। জাতিসংঘ তো কোনো সাধারণ সংস্থা নয়! সেটি তো বিশ্ব সংস্থা, একটা সময় বিভিন্ন মুসলমান দেশে পশ্চিমাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই সংস্থাকে তৎপর হতে ও ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে, কিন্তু ফিলিস্তিন ও গাজার ক্ষেত্রে যেন তারা শুধু তথ্যদানকারী ও নসীহতকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে? আগ্রাসী ইসরাইল কি এতই পরাক্রমশালী হয়ে গেছে যে, জাতিসংঘ তাদেরকে কিছুই করার শক্তি রাখে না? জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ মোড়ল রাষ্ট্রগুলো যে ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে বরাবরই বলছে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তো নারী-শিশু হত্যা কি আত্মরক্ষা? এরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে? মানবতার এমন বিপর্যয় এবং একটি জাতি নিধনমূলক চলমান হত্যাকাণ্ডে তারা কিছুই যদি করতে না পারবে, তো সংস্থাটি থেকে লাভ কী?

r নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য বাইডেনকে দায়ী করলেন পেলোসি

বণিক বার্তা, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l বয়োবৃদ্ধ জো বাইডেন শারীরিক ও মানসিকভাবে যতই অযোগ্য হয়ে ওঠেন না কেন, মসনদের লিপ্সা ছাড়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারছিলেন না। সে কারণে গণরায়ের কথা চিন্তা না করে প্রার্থিতা আঁকড়ে রাখছিলেন তিনি! শুধু তাই নয়, বরং ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড ও জাতি নিধনে ইসরাইলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং দু হাত খুলে সাহায্য করেছে বাইডেন প্রশাসন! এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা হেরে যাওয়ার পেছনে যে কারণগুলো মূল ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে তারা স্বীকার করুক বা না করুক সেগুলোর অন্যতম কারণ হচ্ছে জো বাইডেনের ইসরাইল তোষণ নীতি! লক্ষ করলে দেখা যাবে, জো বাইডেন এক্ষেত্রে দুই দুইবার ধরাশায়ী হয়েছেন। প্রথমবার ট্রাম্পের সাথে টিভি বিতর্কে পর্যুদস্ত হওয়ার পর অব্যাহত গণচাপে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হওয়ার মাধ্যমে, সর্বশেষ তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার সমর্থিত ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী কমলা হেরিস-এর কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে!

যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরাইলের বন্ধু, তার কাছ থেকেও ভালো কিছু আশা করা যায় না। তবুও মানুষ বাইডেনদেরকে একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিল। যার ফল কমলার হেরে যাওয়া এবং ট্রাম্পের বিজয়।

r যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশিরা

কালবেলা, ৯ নভেম্বর ২০২৪

l যেহেতু ট্রাম্প আগে থেকে অভিবাসন বিষয়ে তার নীতি প্রচার করে এসেছেন, তাই এ নিয়ে তো ভয় থাকবেই। গণমাধ্যমের খবরে যা জানা গেছে, তা হল সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছে ভারতীয়রা। তাদের কয়েক লক্ষ শিশু সন্তান নাগরিকত্বের অপেক্ষায় ছিল। তাদের দেশে ফিরে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অথচ মোদি বাহিনী বেশ খুশি। মোদি ট্রাম্পকে বন্ধু বলে অভিহিত করে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা আমাদের মুসলিম বাংলাদেশী ভাইদের বলতে চাই, এত দুশ্চিন্তার কী আছে? আপনাদের দেশে বাড়ি আছে, জায়গা আছে আপনাদের এত ঠেকা কী? তাদেরকে তোয়াজ করে আমেরিকায় কেন থাকতে হবে? এত দুশ্চিন্তার দরকার কী? যারা আপনাকে রাখতে চায় না, আপনাকে অবহেলা করে, তাদেরকে আপনি ছুড়ে ফেলে চলে আসুন। এদেশের কোটি কোটি মানুষ যেভাবে থাকে, আপনিও সেভাবে থাকবেন।

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

advertisement