Jumadal Ula 1446   ||   November 2024

খবর ... অতঃপর ...

জা  তী   য়

q বৈষম্যবিরোধী স্বাস্থ্য উপকমিটির সংবাদ সম্মেলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ১ হাজার ৫৮১

প্রথম আলো, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

l এটা হয়তো যতটুকু তারা তথ্য পেয়েছে তার হিসাব। অনেকেই মনে করছেন, বাস্তব সংখ্যা আরো বেশি হবে। এটা তো বিগত ফ্যাসিবাদের এক মাসের হত্যাকাণ্ডের হিসাব-নিকাশ। বিগত দেড় দশক এবং এরও আগের ক্ষমতাকাল হিসাব করলে তাদের হাতে কয় সাগর রক্ত যে রচিত হয়েছে সেটার সঠিক হিসাব কখনো পাওয়া যাবে না।

 

q ওড়না নেই কেন, মাথায় কাপড় নেই কেনএমন অজুহাতে নারীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন

প্রথম আলো, ৯ অক্টোবর ২০২৪

l এই পত্রিকাতেই আপনি এ ধরনের খবর বেশি বেশি পাবেন। কীভাবে ধর্মপ্রাণ লোকদের হেয় করা যাবে, কেউ ধর্ম-কর্মের কথা বললে সেটাকে কীভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা যাবে এ ধান্ধা নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকে। এখন দেশের যে ক্রান্তিলগ্ন চলছে, সরকারকে সহায়তা করা, ভালো কাজগুলো এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা এসবে তাদের খুব কম দেখবেন। তারা তাদের ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

সত্যকথা হচ্ছে, এদেশে ওড়নাওয়ালিরাও চলে, ওড়না ছাড়া নারীরাও চলে; কিন্তু কোনো মুরব্বি বা শিক্ষক যদি বলে, মা! ইসলামে ওড়না পরার বিধান আছে, এমনকি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতেও ওড়না আছে। কবি সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমামরাও ওড়না পরতেন। সুতরাং তোমরাও ওড়না পরো। তাহলে এটাকে কি হেনস্তা ধরা হবে। কিন্তু ইসলামের কথা শুনলে প্রথম আলোর গায়ে লাগে, কেউ ওড়না পরলে তার সমস্যা হয়, কেউ ওড়না পরতে বললে তার সমস্যা হয় তো বাঙালি সংস্কৃতিতে তার কী সমস্যা?

 

q বিজ্ঞপ্তি পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নবায়ন হচ্ছে ১৫৮ আ'লীগ কর্মীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ

নয়া দিগন্ত১৩ অক্টোবর ২০২৪

l এসব খবর কি কর্তৃপক্ষ দেখেন না? তারা কি জানেন না এরা আওয়ামী লীগ কর্মী। এখানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ছিল। আমরা এর আগে দেখেছি, আওয়ামী লীগের বড় বড় দোসরদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো জায়গায় এভাবে আওয়ামী লীগার অথবা অন্য কোনো দলবাজদের বসানো কখনো এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সুবিচার নয়। অবশ্যই এসব বিষয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা উচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উচিত, এসব বিষয়ে দ্বায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলা।

 

q বঙ্গবন্ধুকে 'জাতির জনক' মনে করে না অন্তবর্তী সরকার : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

বণিকবার্তা, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

l নাহিদ সাহেব তো আগে রাজনীতি করেননি, তাই তিনি রাজনীতির ভাষা ব্যবহার করেননি। তিনি তার সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে এটা বলেছেন। তিনি চাইলে এভাবেও বলতে পারতেন, জনগণ শেখ মুজিবকে জাতির জনক মনে করে না।

শেখ মুজিবুর রহমানকে তার দলের লোকেরা ছাড়া কে জাতির জনক মনে করে? বাঙালি জাতির জনক তিনি কীভাবে হলেন? তিনি কি বাঙালি সৃষ্টি করেছেন? তার আগে তার গুরু নেতারা কি অতিবাহিত হননি? যারা সেই দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন, তারও আগে বঙ্গভঙ্গের সময়ের কথা, তখন কি বাঙালিরা নেতৃত্ব দেয়নি? বাঙালি জাতি তো ১৯৭১-এ তৈরি হয়নি। বাঙালি জাতির ইতিহাস আরো অনেক পুরোনো।

১৯৭১-এ শেখ মুজিব নির্বাচনে জিতেছিলেন। তার দল জিতেছিল। কিন্তু তাকে ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানীরা তার প্রতি অন্যায় করেছে। সেজন্য এদেশের লোক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু  যুদ্ধের সময় তারা কী করেছিল?

মুক্তিযোদ্ধাদের বা সে সময় যারা লেখালেখি করেছেন তাদের লেখাগুলোতেও আমরা পড়তে পারি যে, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের প্রায় সবাই তখন ইন্ডিয়া চলে গিয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বেই শেখ মুজিবুর রহমানকে ২৫ মার্চেই করাচি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি যখন ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি ফিরে এসেছেন, বাঙালি জাতি তাকে যথেষ্ট সম্মানও দিয়েছে। কিন্তু আসার পর...?!

আসার পর তিনি ক্ষমতায় বসে কী করলেন? ১৯৭৪-এর আগেই তিনি রক্ষিবাহিনীসহ নানা বাহিনীর নাম দিয়ে বিরোধী মতকে জঘন্যভাবে দমন করেছেন, অনেকগুলো দল নিষিদ্ধ করেছেন, এরপর বাকি যে দলগুলো ছিল তাদেরও দমন করেছেন!

১৯৭৪ সনে তিনি কী করলেন? বাকশাল তথা একদলীয় শাসন কায়েম করলেন।

এমন এক ব্যক্তি, যার ইতিহাস এমন তিনি কীভাবে 'জাতির জনক' হয়ে যান? এত ভুল ও অন্যায় যদি জনক বা পিতা করে, তাহলে তার সন্তানদের অবস্থা কী হবে? তার সন্তানদের অবস্থা তো দেখা হয়েই গেছে। একেবারে তার ঔরসজাত সন্তানই দেখিয়ে গেছেন।

এজন্য উপদেষ্টা তো বলেছেন, অন্তবর্তী সরকার এটা মনে করে না; বরং বাংলাদেশের জনগণই সেটা মনে করে না এবং মনে করার যৌক্তিক কারণও নেই।

 

q 'অগ্নিকন্যা' মতিয়া চৌধুরী আর নেই

প্রথম আলো, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

l একেক পত্রিকা একেকভাবে লিখেছে। তাকে নিয়েও অনেকের কান্নাকাটি আছে। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি, এই হয়নি, সেই হয়নি।

যারা এমন কান্নাকাটি করছে, তারা বলছে না কেন, এই অগ্নিকন্যা বিগত ১৬ বছরে কী করেছেন? তিনি তো মন্ত্রিত্বের মজা লুটেছেন। তার সরকার যে জনগণের ওপর স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিয়েছে, সীমাহীন দুর্নীতি করেছে, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের স্বার্থসমূহ বিকিয়ে দিয়েছে, তখন এই অগ্নিকন্যার প্রতিবাদ তো দূরের কথা; তিনি তখন মন্ত্রিত্বের মজা নিয়েছেন। সেই ব্যক্তিকে কীভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হবে? রাষ্ট্রে কি এখনো সেই ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় আছে নাকি যে, সেভাবে আবার ভুয়া সম্মান দেওয়া হবে?

মনে রাখতে হবে, কেউ যদি ভালো কোনো অবদান রাখে, যেমন কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ ভালো কিছু করেছে, এমতাবস্থায় তার শেষ যদি ভালো হয়, তার সব ভালো।

একজন লোক দেখা গেছে, শুরুতে সে রাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু করেছে, কিন্তু শেষে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে তাকে কি রাষ্ট্র সম্মান দেবে? সম্মান দিলে তো রাষ্ট্র নিজেই নিজের পায়ে কুঠারাঘাত করল।

কেউ ব্যক্তিগতভাবে খারাপ হয়ে যেতে পারে; কিন্তু যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে কেউ খারাপ হয়, তাহলে তো তাকে সম্মান দেওয়া অনুচিত হবে।

মতিয়া চৌধুরি তো তাই হয়েছেন। তিনি তো ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রিত্বের স্বাদ নিয়েছেন।

এই ফারাকগুলো তথাকথিত পত্রিকা ও গণমাধ্যম ঢেকে রাখলেও জাতিকে তা বুঝতে হবে। না বুঝলে যত দিন যাবে, আমরা ঝামেলা বাড়াতে থাকব।

 

q বয়স বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, কমিয়ে রাজউকে চাকরি

আজকের পত্রিকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

l এ ধরনের কাজ হয়তো শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। দায়িত্বশীলরা সচেতন হলে, দুর্নীতিবাজ না হলে এটা কী করে সম্ভব? এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য কেন এত লড়াই ছিল। কারণ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে চাকরি নিজে নিতে পারবে, নিজের সন্তানকে চাকরি দিতে পারবে, নিজের নাতি-নাতকরকেও দিতে পারবে। এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ঠিক রাখার জন্য এত হানাহানি-খুনাখুনি হয়েছে। সরকারও ঠিক রাখতে চেয়েছে। কারণ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে দলীয় লোকজন টিকতে পারবে না। কোটা সুবিধা নিয়ে তারা যেন চাকরিতে ঢুকতে পারে। দলীয় লোকদের যেন চেয়ারে বসাতে পারে।

একটা লোক রাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা নিচ্ছে। দুই জায়গায় দুই রকম বয়স দেখাচ্ছে এ যেন উটপাখি। একবিংশ শতাব্দীতে, পতিত আমলের দাবি অনুযায়ী ডিজিটাল থেকে স্মার্টে চলে যাওয়া বাংলাদেশে এটা কী করে সম্ভব? দুর্নীতিবাজ হওয়ার কারণে এবং জায়গায় জায়গায় দুর্নীতিবাজ লোকদের বসানোর কারণেই এমনটা হয়েছে। শুধু যে এ লোকটাই দুর্নীতিবাজ তা নয়; গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রকাঠামোই যে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, এটা তার একটি আলামত।

 

q ফাইল গায়েব হয়ে যাচ্ছে সংসদ থেকে

মানবজমিন, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

l খুবই জঘন্য একটা খবর। এর প্রতি সরকারের খুব কঠোরভাবে দৃষ্টি রাখা উচিত। কীভাবে ফাইল গায়েব হবে? অথচ সেখানে পুরো এরিয়া সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। সেখানকার এক্সেস সরকারের সঠিক লোকদের হাতে থাকা উচিত। পরিপূর্ণ নজরদারিতে রাখা উচিত। যারা এধরনের কাজ করছে তাদের বের করে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা উচিত। কারণ ফাইল গায়েব হয়ে যাওয়াই মানে, ফ্যাসিবাদের পরিকল্পনাকারী, সৃষ্টিকারী ও দোসর যারা ছিল, তাদের অপকর্মের দলীল ও ফিরিস্তি গায়েব হয়ে যাওয়া।

সুতরাং এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

 

q সাকিবকে খেলতে না দিতে মিরপুরে বিক্ষোভ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

প্রথম আলো, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

l আসলে কি সাকিবের বিষয়টা কোনো বড় ব্যাপার ছিল? যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল, সুপ্রিম কোর্টের হর্তাকর্তা, প্রধান বিচারপতি ছিল, মন্ত্রী-এমপিসহ বড় বড় সব নেতা স্বৈরাচারের দোসর হওয়ার কারণে টিকতে পারেনি, তারা নিজেরাই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে, সেখানে একজন খেলোয়াড়, যে গত বিশ্বকাপে নিয়ম ভঙ্গ করে দেশে এসেছিল তথাকথিত ভুয়া নির্বাচনের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে। এরপর তো বহু কথা মশহুর হয়েছে, সে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সেক্রেটারিকে কী কী দিয়ে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। কারণ, গত সরকারের আমলে নিশ্চিত ছিল যে, মনোনয়ন পাওয়া মানে বিজয় নিশ্চিত হওয়া। এর আগের নির্বাচনেও সে মনোনয়ন চেয়েছিল। এ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছে। সংসদ সদস্য মনোনীত হয়েই প্রথম দফায় যে কাজটি করলেন, সাথে সাথেই শুল্কমুক্ত গাড়ি বুক করে দিলেন! সাকিবের কি গাড়ির অভাব ছিল? কোটি টাকার কর রেয়াত নিয়ে সে গাড়ি আমদানি করেছে। তারা কেন এমপি পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ দিয়েছে, বিশ্বকাপের খেলা ফেলে দেশে এসে পড়েছিল তা কে না জানে?

পতিত খুনিদের দোসরদের পক্ষে এ দেশে কে কথা বলে? অথচ এদেশে সর্বাধিক প্রচারিত হওয়ার দাবিদার একটি পত্রিকা নিয়মিত সাকিব বন্দনা করে যাচ্ছে। ওগুলো বলে বলে তারা একটি পরিবেশ ও প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তা না হলে তার নাম কী করে খেলোয়াড়দের তালিকায় উঠবে। সে কী করে দেশে আসবে? দেশে আসলেই তো তাকে বন্দি হতে হবে তার অপকর্মের জন্য। স্বৈরাচারের দোসর হওয়া কি অপকর্ম নয়? স্বৈরাচার কি হাসিনা একা নিজে? সে অন্যদের সহযোগিতা নিয়েই তো সব অপকর্ম করে গেছে। যদি সে দেশে আসে তাহলে তার বিচার করা অপরিহার্য। একজন খেলোয়াড় আজকে ভালো খেলে আরেক দিন খারাপ খেলে। খেলা দিয়ে কি দেশের কাজ চলবে? খেলা দিয়ে কি দেশ এগিয়ে যাবে বা পিছিয়ে যাবে? যদি উপদেষ্টা তাকে বাধা দিয়ে থাকেন বা বলেন, তাকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে পারব না এটা তো খুবই ন্যায্য কথা। একজন স্বৈরাচারের দোসরকে কি এসএসএফের নিরাপত্তা দিয়ে খেলাতে হবে? আসিফ মাহমুদ যদি তাকে দেশে আসতে বাধা দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার মতোই কাজ করেছেন। গণমানুষের কাক্সিক্ষত কাজটিই করেছেন।

 

q ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র

বণিকবার্তা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

l কারণ সবাই জানেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভুয়া। তা একতরফা ছিল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি পাশ হয়ে গিয়েছিল। সেই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না, পূর্বের সরকারই পুনরায় জবরদস্তি সরকারে বসেছে তা তো সেই সরকারের লোকদেরও জানা ছিল। এজন্য জনগণকে দমন করতে তাদের পেটুয়া বাহিনী লাগিয়েছিল। যে কারণে পুলিশের হাতে এমন অস্ত্রও উঠেছে, যা তাদের হাতে যাওয়ার কথা ছিল না। তারা ভেবেছিল, এটা দিয়েই তারা টিকে যাবে। হাঁ, তারা এটা দিয়ে পরবর্তীতে আরো দশ বছর টিকে থেকেছে।

যে কোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারের পরিণতি যে ভয়াবহ হয়, সেটা কি তারা বা তাদের দোসর ও প্রতিনিধিরা তখন জানত?

 

q আন্দালিব রহমান পার্থের সাক্ষাৎকার : ক্ষমা না চাইলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই

প্রথম আলো, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l আন্দালিব রহমন পার্থ কি অতীতের সব ভুলে গেছেন? আমাদের তখন বোঝার বয়স হয়েছিল। আমরা দেখেছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর গ্রামে গ্রামে আনন্দ হয়েছে। এমন একটা নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তো আনন্দ-উল্লাস হওয়ার কথা ছিল না। এটা এজন্য হয়েছিল যে, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল। আমরা যখন প্রথম ভোটার হয়েছি, তখন মানুষের মুখে মুখে ছিল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসবে না। দীর্ঘদিন ঘটেছেও তাই। ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে মজবুত থেকেও পাশ করেনি। পাশ করেছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি; যে দলটিকে এরশাদ হামলা-মামলা করে তছনছ করে ফেলেছিল। তখন আওয়ামী লীগ আর আসবে না কথাগুলো আরো পাকা হল। কিন্তু ১৯৯৬-এর আগের নির্বাচনে কী ঘটল? শেখ হাসিনা মক্কা শরীফ গেলেন। মাথায় পট্টি বাঁধলেন। ওই ছবি সারা দেশে ভাইরাল করলেন। তিনি ভাষণ দিলেন, 'আমরা নাকি ক্ষমতায় গেলে ইন্ডিয়ার কাছে দেশ বিক্রি করে দেব! আচ্ছা দেশ কি একটা পণ্য? আমরা কীভাবে এটা বিক্রি করতে পারি? অতীতে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে আমাদের যে ভুল হয়েছে, সেগুলো মাফ করে দেবেন। একটিবারের জন্য আমাদের সুযোগ দেবেন।'

পার্থ সাহেবের এগুলো মনে না থাকার কথা না। আজকে যদি আওয়ামী লীগকে সুযোগ দেওয়া হয় মাফ চাওয়ার, তাহলে তারা এক শ বার নাকে খত দিয়ে হলেও পুনরায় ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর আবার অত্যাচার করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা বলব, জনগণ যদি ভোট দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় আনে, তাহলে তারা আসবে। তবে আগে তাদের বিচার হতে হবে। বিশ্ববাসীর সামনে এত বছর যে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল, সে জন্য আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর, মন্ত্রী-এমপিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে। এর পরও যদি আওয়ামী লীগ দল হিসেবে দেশে টিকে থাকে, তাহলে আম জনতার এতে আর আপত্তি থাকবে না।

 

q আন্দোলনে নিহত

মামলায় এত আসামি কে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন বাদীর

প্রথম আলো, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l এসব ইস্যুতে আরো ভালোভাবে নজর দেওয়া দরকার, যেনতেনভাবে মামলাগুলো দাঁড় করিয়ে খুনিদের পার করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে কি না? পেছনে কারা কাজ করছে দেখা দরকার। বাদী একটা বলছে আর তারা বাড়িয়ে বলছে। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয়ে যাওয়া তো কোনোক্রমেই উচিত নয়। অভিজ্ঞজনেরা শুরু থেকেই বলে আসছেন, যেনতেনভাবে মামলাগুলো হওয়া উচিত নয়। মামলাগুলো বুঝে-শুনে করা। যেন প্রকৃত অপরাধীরা কোনোক্রমেই পার না পায়।

 

q ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ স্নাতকে উত্তীর্ণ, মেধাতালিকায় ১৪তম

প্রথম আলো, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l এসব খবর শুধু তার মা-বাবা ও আপনজনদের কষ্টই শুধু বাড়াবে। আর খুনী স্বৈরাচারের প্রতি ধিক্কারও আরো বাড়তে থাকবে। কীভাবে একটি মেধাবী ছাত্রকে তারা ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারল!

 

q এবার পাসের দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইত্তেফাক, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l অন্তর্বর্তী সরকারকে এসমস্ত বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার। কোনো অন্যায় আবদারে কান দেওয়া উচিত নয়। কঠোর হস্তে এসব দমন করতে হবে।

 

q 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার দুঃখ বোঝে, বিএনপির দুঃখ বোঝে না' যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l এ দুনিয়ায় কেউ কারো দুঃখ বোঝে না। বিএনপির উচিত সরকারকে দুঃখ না বুঝিয়ে জনগণকে দুঃখ বোঝানো। জনগণকে দুঃখ বোঝাতে পারলে বিএপির কিসমত ভালো। এখন যেসব কথা শোনা যায়, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, কোথাও চাঁদাবাজি এগুলো বন্ধ করলে জনগণ তাদের দুঃখ বুঝতে পারবে। এছাড়া 'সরকারের দুঃখ বোঝা'র ভিক্ষা চেয়ে লাভ নেই।

 

q ফ্যাসিবাদ নির্মাণে মিডিয়া প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে : মাহমুদুর রহমান

নয়া দিগন্ত, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l একথার  সত্যতা বা বাস্তবতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। যারা বিগত দিনগুলোতে মিডিয়ার হাল-হাকীকত দেখে এসেছে, তাদের কারোই এ ব্যাপারে ভিন্নমত আছে বলে মনে হয় না।

অনেকে মনে করবে, বিগত পতিত সরকার এবং তার লোকদের জন্য যারা একেবারে একতরফাভাবে পক্ষপাতিত্ব করেছে, প্রকাশ্যে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে গেছে, তারাই মনে হয় শুধু ফ্যাসিবাদ নির্মাণে ভূমিকা পালন করেছে। বিষয়টা আসলে এমন নয়। তারা এককভাবে কিছুই করতে পারত না।

বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী যে সমস্ত টেলিভিশন পরিচালনা করে এবং পেপার-পত্রিকা বের করে, একতরফাভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিষয়গুলোই শুধু প্রচার দিত, তারা তো তাদের টাকার বাহার দেখিয়ে এসব করেছে। সেসব লেখা কতজনইবা পড়ত, এরপর কতজনইবা বিশ্বাস করত, সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

ফ্যাসিবাদ নির্মাণের আসল ভূমিকায় ছিল অন্য মিডিয়াগুলো। তারা মুখোশধারী। তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। মুখোশধারীরাই কিন্তু নিরপেক্ষতার একটা ভান ধরে, এমনভাবে খবরগুলো প্রচার করে, যেন তারা সরকার পক্ষীয় না। কিন্তু তারাই এদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তার, ভারত বিষয়ে একতরফাভাবে জনমত গড়া ইত্যাদির জন্য এখানে কাজ করে গেছে। সে দেশের সংস্কৃতি তথা পৌত্তলিকতা, তথাকথিত 'চেতনা' ইত্যাদির জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছিল। তারাই তথাকথিত 'জাতির জনক'সহ বিভিন্ন পদ-পদবি জোগাড় করেছে। তারাই মুখোশ লাগিয়ে, নিরপেক্ষতার ভান করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে পরিপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জনগণের একটা গোষ্ঠী তাদেরকে বিশ্বাসও করেছে। বিশ্বাস করিয়ে করিয়ে তারা বাইরে এমন একটা আবহ তৈরি করেছে যে, এ বিষয়গুলোই মনে হয় সত্য।

সত্য দমন এবং মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করা কিংবা বলা যায়, তাকে ওপরের দিকে একেবারে সত্যের কাতারে নিয়ে আসা, দীর্ঘদিন থেকে মিডিয়ার এই নিরপেক্ষ মুখোশধারীরাই করে গেছে।

মিডিয়ার মধ্যে যারা সরকারের প্রকাশ্য দোসর ছিল, তাদের তো অবশ্যই কঠোর শাস্তির আওতায় আনা দরকার। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আমরা মনে করি, মিডিয়ার মালিকদের চেয়ে সাংবাদিক নামধারী যারা সরাসরি দোসরের ভূমিকা পালন করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ওইসমস্ত মিডিয়া হাউস, যারা নিরপেক্ষতার ভান করেছিল, তাদের সবাইকেই কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত। অবাক করা বিষয় হল, তারা তখনো যা করেছিল, এখনো তাদের সেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারেরও মনে রাখা উচিত, তাদের আসল শত্রু কারা? এসব মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় সম্পাদক, সহ-সম্পাদকরা দৌড়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করলে তাদের বোঝা দরকার, এই সকল সাংবাদিক ও সম্পাদকের চিন্তা-চেতনা, কর্মপদ্ধতি কী এবং কেমন? তাদের চরিত্র ও স্বভাব থেকে যে তারা একেবারে বের হয়ে আসেনি, তা প্রায় সকলেই মোটামুটি জানে।

মাহমুদুর রহমান যা বলেছেন, তিনি তা বলার আগেও এদেশের মানুষ টের পেয়ে গেছে।

 

q হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকার হজম করতে পারেননি : বদরুদ্দিন উমর

বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে 'ক্ষমতায় রাখার জন্য যা দরকার' ভারত তা করেছে বলে মন্তব্য করেন বদরুদ্দীন উমর।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত অস্বস্তিতে আছে। তারা চেষ্টা করেছিল হাসিনাকে অন্য জায়গায় দেওয়ার জন্য। অন্য দেশ আশ্রয় না দেওয়ায় ভারতই রাখল।

বদরুদ্দীন উমর বলেন, আওয়ামী লীগের সব সংগঠন ধসে গেছে। কেউ যদি মনে করে যে, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে..., সেটা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ যেভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগও সেভাবে শেষ হয়ে গেছে।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সাম্প্রতিক একটি লেখার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'তিনি (মাহফুজ আনাম) এক প্রবন্ধে বলেছেন, শেখ হাসিনার অপশাসনের সঙ্গে শেখ মুজিবকে জড়ানো ঠিক হবে না। শেখ মুজিবকে জড়িয়েছে কে? শেখ মুজিবকে জড়িয়েছে তাঁর মেয়ে। সব কিছুর সঙ্গে সে মুজিবকে জড়িয়েছে। শেখ মুজিবকে জড়িয়ে প্রোপাগান্ডা করেছে।'

বদরুদ্দীন উমরের মতে, এর ফলে বিক্ষোভ হয়েছে এবং এই বিক্ষোভ যে কেবল শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে হয়েছে তা নয়, শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেও হয়েছে।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ দুবার তাঁর (মুজিব) বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে হত্যা করার পর একজন লোকও তাঁর পক্ষে রাস্তায় আসেনি।

স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরে শেখ মুজিব কী করলেন, যার জন্য মানুষ এটা করল তা হিসাব করতে হবে উল্লেখ করে বদরুদ্দীন উমর বলেন, তাঁর আসল পরিচয় পাওয়া যায় যখন ক্ষমতায় আসেন। তখন এই দেশের জনগণকে তিনি কী দিয়েছেন? তারপর গত ৫ আগস্ট সারা দেশের জনগণ শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙে ফেলল। তাঁর বাড়িতে আগুন দিল। এটা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে একটা রায়।

প্রথম আলো, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l হজম করতে পারার কথাও নয়। আবার সেটা এত সহজও নয়। আর কোনো সময় বাংলাদেশে তার এমন একতরফা কোনো বন্ধু পাবে, এটা সম্ভবত আশা করা যায় আর আসবে না। সুতরাং হজম কীভাবে করবে; বরং তার বদহজম হবে।

সে যদি নিজের ভালো চায়, তাহলে বাংলাদেশের সাথে আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে তুলবে। অন্যথায় অন্যান্য পড়শীদের সাথে তার যেমন সম্পর্ক এদেশের সাথে সেটাই হবে।

 

q নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে শেখ হাসিনা

মানবজমিন, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

l বাংলাদেশকে যে ব্যক্তি পাশর্^বর্তী রাষ্ট্র ভারতের কাছে একতরফাভাবে পুরোপুরি বিকিয়ে দিয়েছে, তারা তাকে বাংলো কেন, আরো কিছু হয়তো দেবে। তবে তা যতটুকু না হাসিনার প্রতি দরদ, তার চেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল, সেই বিশ্বাসঘাতক মহিলার কাছ থেকে এই দেশের সামরিক তথ্যসহ বিভিন্ন গোপন তথ্য ইত্যাদি উদ্ধার করা, ষড়যন্ত্রমূলক তাকে ব্যবহার করা।

আমাদের দেশের বিরুদ্ধে লেগে থাকার জন্যই এসব করা হচ্ছে। একারণেই তাকে কোনো বৈধ পদ্ধতি ছাড়াই অবস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তার নামে হত্যামামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।

তারা তাকে বউ-আদর দিয়ে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে। এমন কাউকে মন্ত্রীপাড়ার বাংলো জোন কেনপ্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও থাকার সুযোগ করে দিতে রাজি হতে পারে।

 

q স্কয়ার ফার্মা : রেকর্ড মুনাফায়  রেকর্ড লভ্যাংশ। শেয়ারধারীরা পাবেন ৯৭৫ কোটি টাকা

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া তথ্যে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারধারীরা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১১ টাকা করে লভ্যাংশ পাবেন। বর্তমানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি। সেই হিসাবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১১ টাকা করে কোম্পানিটি মোট লভ্যাংশ বিতরণ করবে ৯৭৫ কোটি টাকা।

এদিকে রেকর্ড মুনাফা ও লভ্যাংশের পরও আজ বাজারে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর হারিয়েছে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ৪ টাকা ৮০ পয়সা বা প্রায় সোয়া ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সার্বিকভাবে বাজারে মন্দাভাব থাকায় ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার খবরেও কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

প্রথম আলো, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

l পুঁজিবাদীরা কীভাবে যে ভোক্তাদের চুষে খায় এবং পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় কীভাবে একতরফাভাবে আরো ধনী হয়, তার একটা আলামত হল, এই ঘটনা।

এটা কিন্তু সাধারণ কোনো কোম্পানি নয়, সাধারণ কোনো উৎপাদনকারী নয়। বরং তারা ওষুধ উৎপাদন করে। যে ওষুধ মানব জীবন রক্ষার জন্য, যে ওষুধ ধনী-গরীব সকলের প্রয়োজন।

যাবতীয় খরচাদি, এক শ্রেণির ডাক্তারকে নিয়মিত গিফটের নামে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান ইত্যাদির পরও যারা শেয়ার হোল্ডারদেরকে ১১০% লভ্যাংশ দিতে পারে, তারা তাদের ওষুধ ও অন্য প্রোডাক্টে কত পরিমাণে লাভ করে, তা এখান থেকেই বোঝা যায়।

এসব ওষুধ কোম্পানি নিজেদের ইচ্ছামতো ওষুধগুলোর দাম বাড়াতে থাকে, এ বিষয়ে এদের কোনো মাথাব্যথা আছে কি না, এসবকিছুই কিন্তু এই তথ্য থেকে পরিষ্কার হয়।

এমনিতে তো এই লভ্যাংশ বিতরণের কারণে স্কয়ার ফার্মা বেশ বাহবা কুড়াবে যে, সে লভ্যাংশ দিয়েছে। শেয়ার বাজারের শেয়ার হোল্ডাররাও এতে খুশি হয়ে যাবে।

কিন্তু দেশের ১৭ কোটি ভোক্তা সাধারণ, যাদের প্রায় সকলেই কোনো না কোনো সময় এদের ওষুধ কিনে থাকে, সেবন করে থাকে, তাদের থেকে যে কী পরিমাণ এবং কত বেশি লাভ করা হয়, তার একটা আলামত কিন্তু এই সংবাদে রয়েছে।

জুলাই-আগস্টে নিহত পুলিশদের তালিকা প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, 'আমরা লক্ষ করেছি যে, কিছু নিউজ আউটলেট এবং কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে নিহত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকৃত তালিকা এখানে দেওয়া হলো। পুলিশ সদর দপ্তর এই তালিকা প্রকাশ করেছে।'

প্রথম আলো, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

l এই তালিকার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পুলিশই থাকবে। যাদের মধ্যে অতি উৎসাহীরা থাকবে, দোসররা থাকবে, যারা আগ বাড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে মারতে গেছে। এরপর তারা হয়তো নিহত হয়েছে।

আবার নিরীহ কিছু পুলিশ সদস্যও থাকবে, যাদেরকে জোরপূর্বক যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা হয়তো নামতে চায়নি। কিন্তু জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে নিহত হয়েছে তাদের জন্য তো অবশ্যই সমবেদনা থাকবে।

কিন্তু যারা স্বৈরাচারের জন্য জান দিয়েছে, স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে অগ্রসর হয়েছে, তাদের তো ইহ ও পরকাল সবই গেল। এজন্য ভবিষ্যতে অন্যায়ের পক্ষে থাকা, অন্যায়ের পক্ষে এগিয়ে আসা, অবিচার টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করতে লড়াই করা, অন্যকে দমন-পীড়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক থাকতে হবে।

 

 

প্র   তি  বে  শী  রা   ষ্ট্র

q রিল বানাতে গিয়ে পা পিছলে চার তলা থেকে নীচে পড়লেন যুবক! মৃত্যু বন্ধুদের সামনেই

রিল বানাতে গিয়ে বন্ধুদের সামনেই চার তলা থেকে নিচে পড়ে গেলেন যুবক। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত বন্ধুরা। তাঁরা সকলে মিলেই রিল বানাচ্ছিলেন। ঘটনার ভিডিও সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেই ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগরার সরফা বাজার এলাকার।

আনন্দবাজার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

l এসমস্ত বেহুদা কাজ করতে গিয়ে মানুষ জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। কেউ সেলফি তুলতে গিয়ে ডুবে মরছে, কেউ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মরছে! দুনিয়াতে মানুষ তো জীবনমুখী কাজ করবে। সেসব বাদ দিয়ে তারা লেগে যাচ্ছে এমন সব বেহুদা কাজে। অর্থহীন কাজই তো মানবতার জন্য ক্ষতিকর। সেই অর্থহীন কাজ আরো দুঃখজনক হয়ে ওঠে, এর জন্য যদি কারো জীবন চলে যায়।

 

 

আ  ন্ত   র্জা  তি  ক

q গাজার পরিস্থিতি জাপানে পরমাণু বোমা হামলার মতোই : শান্তিতে নোবেলজয়ী সংস্থা

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

l যারা জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলা করেছিল, তারাই গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা ও লক্ষাধিক মানুষ হতাহত করার পেছনে দায়ী। তারা খুনী ইসরাইলকে শুধু অর্থসহায়তা দিচ্ছে না, নিয়মিত সব ধরনের মারণাস্ত্র ও বিশেষ সৈন্য দিয়ে সহায়তা করছে। জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকিতে পরমাণু হামলা করেছিল আমেরিকা। গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রধান অস্ত্র ও অর্থদাতাও তারা। পৃথিবীর যেখানেই বড় কোনো রক্তপাত ঘটে, সেখানেই আমেরিকার কালো হাত কাজ করে। এখানে শুধু আমেরিকা নয়, আমেরিকা সংশ্লিষ্ট জোটভুক্তদেশগুলোও এ অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত। এখানে শুধু জাপানের সংস্থা বলছে। জাপান সরকার তো কিছু করছে না। রাষ্ট্র হিসেবে জাপানেরও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও গাজায় গণহত্যা বন্ধে অনেক কিছু করণীয় আছে।

 

q ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

l যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তো ইরানের ওপর আগে থেকেই আছে; এখন আরো বৃদ্ধি করল আরকি। অন্যায় করছে ইসরাইল আর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইরানের ওপর। কারণ আমেরিকা চায়, ইসরাইল টিকে থাকুক। ইসরাইলের দিকে কেউ চোখ তুললেই নিষেধাজ্ঞা দেবে; কিন্তু আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে তো আর পৃথিবী চলবে না চিরকাল। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কি চীন-রাশিয়া শোনে? পৃথিবী বদলাবে একসময়। আমেরিকাকেও বুঝতে হবে, তার এ হঠকারিতা ও প্রভুত্ব ফলানো দীর্ঘদিন চলবে না।

 

q যুদ্ধ চালু থাকলে এক বছরের মধ্যেই ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। দাবি ইসরাইলের একটি পত্রিকার

এক্সপ্রেস নিউজ, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

l তারা নিজেরাই তাদের সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোর সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, হামাস ও হিযবুল্লাহ যেভাবে টিকে আছে, যদি এভাবে টিকে থাকে, তাহলে ইসরাইল ধ্বংস হতে পারে!

পৃথিবীর যে কোনো বিবেকবান মানুষ এটাই তো কামনা করবে এবং যে কয়দিনে হোক ধ্বংস যে তাদের অনিবার্য তাতে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।

 

q ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের 'সন্ত্রাসী' বলায় সৌদি টেলিভিশনে হামলা

বাংলা ট্রিবিউন, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

l এধরনের আরো অনেক তথ্য ও সংবাদ প্রতিনিয়তই আসে। এসব কিছুই প্রমাণ করে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের আধিপত্যের পেছনে শুধু ইউরোপ, আমেরিকা ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো একা দায়ী নয়; এক্ষেত্রে ইসরাইলের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা যেমনিভাবে দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো। তারা চায় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল টিকে থাকুক। ইসরাইলের সাথে আপস করে তারা টিকে থাকতে চায়। জনগণের কারণে তাদেরকে মুখে মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে বলতে হয়; কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা ভালো কোনো ভূমিকা রাখেনি।

আমরা দেখব, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে যতটুকু আওয়াজ উঠেছে, ততটুকু আওয়াজ ওআইসিতে আরব রাষ্ট্রগুলো ওঠায়নি। এটা তাদের তাবেদার ও ফিলিস্তিন বিমুখ হওয়ার একটি আলামত। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোকে রাজতন্ত্রের দেশগুলো পছন্দ করে না। তারা ভয়ে থাকে, তাদের দেশেই না আবার এগুলো শুরু হয়ে যায়। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড়ানোর ভয়ে তারা রিয়াল ও দেরহামের বস্তা দিয়ে আরব বসন্তের ফলাফল নষ্ট করেছিল। এখানেও তাই হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নটা আরেক জায়গায়, আজকে যে সৌদি মালিকানাধীন টিভিতে হামলা হচ্ছে, আগামীতে যে টেলিভিশনের মালিকদের ওপর হামলা হবে না তার কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে?

শেখ হাসিনা এদেশ থেকে পালানোর আগেও কেউ গ্যারান্টি দিতে পারে নাই সে পালিয়ে যাবে, তার কায়েম করা দুঃশাসনের রাজত্ব ছেড়ে যাবে। আজকে মধ্যপ্রাচ্যে যারা ক্ষমতা আকড়ে বিলাসিতায় ব্যস্ত আছে, নেতাগিরি ফলাচ্ছে, তাদের গলা যে কখন জনগণ টিপে ধরে তা কিন্তু বলা যায় না। কারণ, এগুলো নতুন ধরনের খবর; টেলিভিশনে হামলা হচ্ছে, জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। আজকে এক দেশে হচ্ছে, কালকে আরেক দেশে হবে। কতদিন আর মানুষের গলা চেপে রাখা যাবে?

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

advertisement