একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা ॥
জামাতের নামাযে সূরা ফাতেহার শুরু থেকে শরীক হওয়ার নির্দিষ্ট ফযীলত
এদেশের প্রসিদ্ধ একটি দৈনিক পত্রিকার ধর্ম-দর্শন পাতায় ‘নামাযের অংশসমূহের গুরুত্ব ও ফযিলত’ শিরোনামে নামাযের বিভিন্ন আমলের গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে জামাতের নামাযে সূরা ফাতেহার শুরু থেকে শরীক হওয়ার ফযীলত বিষয়ে লেখা হয়েছেÑ
‘যে ব্যক্তি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূরা ফাতেহা শ্রবণ করে, সে ঐ ব্যক্তির মতো, যে শুরু থেকে জিহাদে শরীক হয়ে একেবারে শত্রুদেশ জয় করে এসেছে। তথা সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিহাদ করার সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহার শেষের দিকে এসে শরীক হয়, সে ঐ ব্যক্তির মতো, যে জিহাদে অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু বিজয়ের পর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনের সময়ে এসে উপস্থিত হল।’
বিষয়টি কেবল এ পত্রিকায়ই ছাপা হয়েছেÑ এমন নয়; বরং কিছু মানুষকেও একথা বলতে শোনা যায়।
আসলে নামাযের শুরু থেকে ইমামের সাথে জামাতে শরীক হওয়া এবং তিলাওয়াত শোনা অবশ্যই ফযীলতের বিষয়। বিশেষ করে তাকবীরে উলার সাথে নামায আদায় করা তো অনেক বড় ফযীলতের বিষয়, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে এবং এর দ্বারা সূরা ফাতেহার শুরু থেকে জামাতে শরীক হওয়ার আমল হয়েই যায়; কিন্তু নামাযে ইমামের সাথে সূরা ফাতেহার শুরু থেকে শরীক হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত শোনার নির্দিষ্ট ফযীলত বিষয়ে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না; তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।