ঈমানের কিছু কালিমা ॥
ইসলামী আকীদার কিছু বাক্য এবং যিকির ও দুআর কিছু শব্দমালা
[জানুয়ারি ২০২৪ সংখ্যায় প্রকাশিতের পর]
ঈমানে মুফাসসালের কিছু কালিমা ও বাক্য
মকতবের মুআল্লিমগণ শুরু থেকেই বাচ্চাদেরকে ইসলামী আকীদা শেখানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে থাকেন। কারণ ইসলামের প্রথম শিক্ষাই হল ঈমান ঠিক করা। ঈমান ঠিক হলে সে অনুযায়ী অন্য বিষয়গুলোও ঠিক হতে পারে। কিন্তু ঈমান ঠিক না হলে বাকি সবকিছু ঠিক হলেও সেটা ধর্তব্য নয়।
মুআল্লিমগণ প্রথমে তো বাচ্চাদেরকে ঈমানের কালিমাসমূহ শেখান। এরপর আরো কিছু সংক্ষিপ্ত বাক্যে ঈমানের বিভিন্ন মৌলিক বিষয় শেখান, যেগুলোকে ‘ঈমানে মুজমাল’ নাম দেওয়া হয়েছে। এরপর তুলনামূলক কিছুটা বিস্তারিত বাক্যে ইসলামী আকীদার আরো কিছু মৌলিক বিষয় শেখান। এই বাক্যগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঈমানে মুফাসসাল’। এগুলো আত্মস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা পুরো ইসলামী আকীদা সংক্রান্ত কোনো সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা বাচ্চাদেরকে মুখস্থ করিয়ে দেন। আর দলীলসহ একদম বিস্তারিতভাবে এক এক আকীদা শেখানোর বিষয়টি তাঁরা তালীম-তরবিয়তের উচ্চস্তরের জন্য রেখে দেন।
গত জানুয়ারি ২০২৪ সংখ্যায় আমরা ঈমানের কিছু কালিমা, ঈমানে মুজমালের কিছু বাক্য এবং যিকির ও দুআর এমন কিছু শব্দমালা উল্লেখ করেছিলাম, যেগুলোর দ্বারা ইসলামী আকীদার অনেক বিষয় জানা যায় এবং ঈমান মজবুত হয়।
এ সংখ্যায় আমরা ইনশাআল্লাহ ঈমানে মুফাসসালের কিছু কালিমা ও বাক্য পেশ করব। ‘ঈমানে মুফাসসাল’-এ উল্লেখিত ইসলামী আকীদা ও ঈমানের রোকনসমূহ যেসব আয়াত ও হাদীস এবং যিকির ও দুআয় বর্ণিত আছে, সেগুলো থেকে কিছু আয়াত-হাদীস এবং যিকির ও দুআও উল্লেখ করব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজ ফযল ও করমে এই সংক্ষিপ্ত মেহনত কবুল করুন- আমীন!
ঈমানে মুফাসসালের প্রসিদ্ধ পাঠ
آمَنْتُ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِهٖ، وَكُتُبِهٖ، وَرُسُلِهٖ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدْرِ خَيْرِهٖ وَشَرِّهٖ مِنَ اللهِ تَعَالٰى، وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ.
অর্থ : আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি ঈমান এনেছি। তাঁর কিতাব ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনেছি। তাকদীরের ভালো-মন্দ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত হওয়ার বিষয়ে ঈমান এনেছি এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের বিষয়ে ঈমান এনেছি।(১)
একটি মুফাসসাল কালিমায়ে শাহাদাত
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ،
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক; তাঁর কোনো শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
وَأَنَّ عِيْسى عَبْدُ اللهِ، وَابْنُ أَمَتِهٖ، وَكَلِمَتُهٗ أَلْقَاهَا إِلٰى مَرْيَمَ وَرُوْحٌ مِنْهُ،
এই সাক্ষ্যও দিচ্ছি, ঈসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর বাঁদির পুত্র। ঈসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর ‘কালিমা’; আল্লাহ তা পাঠিয়েছিলেন মারইয়ামের কাছে। এবং তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রূহ।
وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ، وَأَنَّ النَّارَ حَقٌّ.
এই সাক্ষ্যও দিচ্ছি, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য।(২)
আরেকটি মুফাসসাল কালিমায়ে শাহাদাত
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ،
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক; তাঁর কোনো শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ، وَأَنَّ النَّارَ حَقٌّ، وَأَنَّ اللهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُوْرِ،
এই সাক্ষ্যও দিচ্ছি, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য এবং যারা কবরে রয়েছে আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন।
وَأَنِّيْ أُؤْمِنُ بِاللهِ وَأَكْفُرُ بِالطَّاغُوْتِ،
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং সমস্ত মিথ্যা মাবুদ ও খোদা-দাবিদারকে অস্বীকার করি।
عَلٰى ذٰلِكَ أَحْيَا وَأَمُوْتُ إِنْ شَاءَ اللهُ.
এরই ওপর আমি জীবিত থাকব ও মৃত্যুবরণ করব ইনশাআল্লাহ।(৩)
ঈমানের পরিচয়
১.
الْإِيْمَانُ : تَصْدِيْقُ النَّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ جَمِيْعِ مَا جَاءَ بِه.
অর্থ : ঈমান হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আল্লাহর পক্ষ থেকে) যা কিছু এনেছেন, সবকিছুর ক্ষেত্রে তাঁকে বিশ্বাস করা।
وَالْكُفْرُ : هُوَ تَكْذِيْبُ النَّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ شَيْءٍ مَا جَاءَ بِه.
আর কুফর হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু এনেছেন, তার কোনোটির ক্ষেত্রে তাঁকে অবিশ্বাস করা।(৪)
২.
اَلْإِيْمَانُ : هُوَ الْإِقْرَارُ بِاللِّسَانِ، وَالتَّصْدِيْقُ بِالْجَنَانِ،
অর্থ : ঈমান হল, মুখে স্বীকার করা এবং অন্তরে বিশ্বাস করা।
وَأَنَّ جَمِيْعَ مَا أَنْزَلَ اللهُ فِي الْقُرْآنِ، وَجَمِيْعَ مَا صَحَّ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الشَّرْعِ وَالْبَيَانِ كُلَّه حَقٌّ.
অর্থাৎ আল্লাহ কুরআনে যা কিছু নাযিল করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শরীয়ত ও (কুরআনের) ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হিসেবে যা কিছু প্রমাণিত- সব কিছু সত্য।(৫)
যিকির ও দুআর কিছু শব্দমালা
১.
لاَ إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، لَهُ المُلْكُ، وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ،
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক; তাঁর কোনো শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব এবং তাঁরই সমস্ত প্রসংশা। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
اَللّٰهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ،
হে আল্লাহ! আপনি যা দান করেন, তা বাধা দেওয়ার কেউ নেই। আর আপনি যা না দেন, তা দেওয়ার মতো কেউ নেই।
وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ.
আপনার শাস্তি থেকে কোনো বিত্তশালীর বিত্ত ও মর্যাদাশালীর মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না।(৬)
২.
لَاإِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ،
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক; তাঁর কোনো শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব এবং তাঁরই সমস্ত প্রসংশা। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ،
(গুনাহ থেকে) বাঁচা ও (নেকআমলের) শক্তি একমাত্র আল্লাহর হাতে। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমরা শুধু আল্লাহরই ইবাদত করি।
لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ، وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ، وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ.
তাঁরই সমস্ত নিআমত এবং তাঁরই সমস্ত অনুগ্রহ। তাঁরই জন্য সকল উত্তম প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমরা তাঁর ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকি; যদিও কাফেররা অপছন্দ করে।(৭)
৩.
اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِيْ إِلَيْكَ،
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার জীবনকে আপনার হাতে ন্যস্ত করলাম।
وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ،
আমার চেহারা আপনার দিকে ফেরালাম।
وَفَوَّضْتُ أَمْرِيْ إِلَيْكَ،
আমার সকল বিষয় আপনার হাতে সোপর্দ করলাম।
وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِيْ إِلَيْكَ،
আমি নিজেকে আপনার আশ্রয়ে দিয়ে দিলাম।
رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ،
আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে।
لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ،
আপনার থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো আশ্রয়স্থল ও রক্ষাস্থল নেই- কেবল আপনার আশ্রয় ছাড়া।
آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ أَرْسَلْتَ.
আমি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার প্রেরিত নবীর প্রতি ঈমান এনেছি।(৮)
৪.
اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ،
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এসবে যারা আছে, সবার নিয়ন্ত্রক।
وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ،
আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনার জন্যই আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এসবে যারা আছে, সবার রাজত্ব।
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُوْرُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ،
আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এসবে যারা আছে, সবার আলো।
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّموَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فيْهِنَّ،
আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনি আকাশমণ্ডলী-পৃথিবী ও এসবে যারা আছে, সবার মালিক।
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ،
আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনি সত্য। আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য। আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে- সত্য। আপনার কথা সত্য।
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّوْنَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ،
জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। নবীগণ সত্য। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য এবং কিয়ামত সত্য।
اَللّٰهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ،
হে আল্লাহ! নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আপনার প্রতি ঈমান আনলাম।
وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ،
আপনার ওপর ভরসা করলাম এবং আপনার অভিমুখী হয়ে গেলাম।
وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ،
আপনার সাহায্যেই মোকাবেলায় নামলাম এবং আপনার দরবারেই বিচার দিলাম।
فَاغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ،
অতএব আপনি আমার আগের-পরের ও গুপ্ত-প্রকাশ্য গুনাহ ক্ষমা করে দিন।
أَنْتَ الْمُقَدِّمُ، وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ.
আপনিই অগ্রগামী করেন এবং আপনিই পশ্চাতে রাখেন। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।(৯)
৫.
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، سُبْحَانَكَ، اَللّٰهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِيْ، وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ،
অর্থ : আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি পবিত্র। হে আল্লাহ! আমি আমার গুনাহের জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি এবং আপনার রহমত প্রার্থনা করছি।
اَللّٰهُمَّ زِدْنِيْ عِلْمًا، وَلَا تُزِغْ قَلْبِيْ بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِيْ، وَهَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً، إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ.
হে আল্লাহ! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন এবং আপনি যখন আমাকে হেদায়েত দান করেছেন, এরপর আর আমার অন্তরকে বক্র করবেন না। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনিই মহা দাতা।(১০)
কয়েকটি হাদীস
১.
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الْإِسْلَامِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
অর্থ : উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَّا إِلূهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُقِيْمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُوْمَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا.
ইসলাম হল, তুমি এই সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল। তুমি নামায আদায় করবে, যাকাত দেবে, রমযানে রোযা রাখবে এবং সামর্থ্য থাকলে বাইতুল্লাহ্র হজ¦ করবে।
قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِيمَانِ؟ قَالَ: أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِه، وَكُتُبِه، وَرُسُلِه، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَالْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَالْحِسَابِ، وَالْمِيْزَانِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّه خَيْرِه وَشَرِّهِ مِنَ اللهِ تَعَالَى.
লোকটি বলল, এবার ঈমান সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, (ঈমান হল,) তুমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। তাঁর ফেরেশতা, কিতাব ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনবে। শেষ দিবস, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান, জান্নাত, জাহান্নাম, হিসাব ও মিযানের প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকদীরের ভালো-মন্দ সব আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত হওয়ার বিষয়ে ঈমান আনবে।
قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْإِحْسَانِ؟ قَالَ: أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ.
লোকটি বলল, এবার ইহসান সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, (ইহসান হল,) তুমি আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। যদি তুমি তাঁকে নাও দেখ, তবে তিনি তো তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।
قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ، قَالَ: مَا الْمَسْؤُوْلُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ.
লোকটি বলল, এবার কিয়ামত সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে বেশি জানে না।(১১)
২.
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كُنْتُ خَلْفَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا، فَقَالَ:
অর্থ : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি (বাহনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে ছিলাম। তিনি বললেন-
يَا غُلاَمُ إِنِّيْ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ : اِحْفَظِ اللهَ يَحْفَظْكَ، اِحْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ،
বৎস! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শেখাচ্ছি। আল্লাহকে (অর্থাৎ তাঁর বিধানাবলি) হেফাজত কর, তাহলে তিনি তোমাকে হেফাজত করবেন। আল্লাহকে (অর্থাৎ তাঁর বিধানাবলি) হেফাজত কর, তাহলে তাঁকে তোমার সামনে পাবে।
إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللهَ، وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللهِ،
যখন চাইবে, আল্লাহর কাছে চাইবে। যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে।
تَعَرَّفْ إِلَيْهِ فِي الرَّخَاءِ، يَعْرِفْكَ فِي الشِّدَّةِ.
সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে আল্লাহকে স্মরণ রেখো, তাহলে তোমার কষ্টকালে তিনি তোমাকে স্মরণ রাখবেন।
وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلূى أَنْ يَنْفَعُوْكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوْكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ لَكَ،
জেনে রেখো, যদি গোটা জাতি একজোট হয় তোমার কোনো উপকার করার জন্য, তারা তোমার কোনো উপকার করতে পারবে না, কেবল সেইটুকু ছাড়া, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।
وَلَوْ اجْتَمَعُوْا عَلূى أَنْ يَضُرُّوْكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوْكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ،
আর যদি তারা একজোট হয় তোমার কোনো ক্ষতি করার জন্য, তারা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, কেবল সেইটুকু ছাড়া, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।
رُفِعَتِ الْأَقْلاَمُ وَجَفَّتْ الصُّحُفُ.
কলম তুলে রাখা হয়েছে এবং লিপিসমূহ (ভাগ্যলিপি) শুকিয়ে গেছে।
وَاعْلَمْ أنَّ فِي الصَّبْرِ عَلَى مَا تَكْرَهُ خَيْرًا كَثِيرًا، وَأَنَّ النَّصْرَ مَعَ الصَّبْرِ، وَأَنَّ الْفَرَجَ مَعَ الْكَرْبِ، وَأَنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا.
জেনে রেখো, তোমার অপছন্দনীয় বিষয়ে সবর করার মধ্যেই রয়েছে মহা কল্যাণ। আর সবরের সঙ্গেই রয়েছে সাহায্য। সংকটের সঙ্গেই রয়েছে পরিত্রাণ এবং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য।(১২)
৩.
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِيْ أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَلَا يَهُوْدِيٌّ وَلَا نَصْرَانِيٌّ، وَمَاتَ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ.
অর্থ : আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! এ উম্মতের যে-ই এবং ইহুদী ও নাসরানীদের যে-ই আমার বিষয়ে শুনবে এবং আমাকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে, তার প্রতি ঈমান না এনেই মৃত্যুবরণ করবে, সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে।(১৩)
৪.
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتّى أَكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِه وَوَالِدِه وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ.
অর্থ : আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার সন্তান, তার পিতা ও সমস্ত মানুষের চেয়ে প্রিয় হব।(১৪)
৫.
عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.
অর্থ : আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা করে কোনো মাখলুকের আনুগত্য করা যাবে না।(১৫)
কয়েকটি আয়াত
১.
اِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْاِسْلَامُ.
অর্থ : নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র ধর্ম ইসলাম।(১৬)
২.
وَ مَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْهُ وَ هُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
অর্থ : যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করবে, সেটা তার থেকে কিছুতেই কবুল করা হবে না। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(১৭)
৩.
ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَیْبَ فِیْهِ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ.
অর্থ : এই কিতাবে কোনো সন্দেহ নেই। এটি পথ-প্রদর্শনকারী খোদাভীরুদের জন্য।
الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ.
যারা অদৃশ্য বিষয়াদিতে ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদের যা-কিছু দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
وَ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَ مَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ.
এবং যারা ঈমান রাখে- আপনার ওপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তার প্রতি।
اُولٰٓىِٕكَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ اُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ.
এরাই রয়েছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে (আগত) সঠিক পথে এবং এরাই সফলকাম।(১৮)
৪.
اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓىِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ .
অর্থ : রাসূল ঈমান এনেছেন- তাঁর ওপর তাঁর রবের পক্ষ থেকে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং মুমিনগণও। (তাদের) সকলেই ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি।
لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ.
(তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না (যে, কারো প্রতি ঈমান আনব এবং কারো প্রতি ঈমান আনব না)।
وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَیْكَ الْمَصِیْرُ.
এবং তারা বলে, আমরা শুনেছি ও মেনেছি। হে আমাদের রব! আমরা আপনার ক্ষমা চাই এবং আপনারই কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে।(১৯)
৫.
وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاللٰهِ وَمَلٰٓىِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْیَوْمِ الْاٰخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِیْدًا.
অর্থ : যে ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও শেষ দিবসকে অস্বীকার করে, সে বহু দূরের ভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।(২০)
৬.
ذٰلِكَ بِاَنَّ اللهَ هُوَ الْحَقُّ وَ اَنَّهٗ یُحْیِ الْمَوْتٰی وَ اَنَّهٗ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ،وَّ اَنَّ السَّاعَةَ اٰتِیَةٌ لَّا رَیْبَ فِیْهَا وَ اَنَّ اللهَ یَبْعَثُ مَنْ فِی الْقُبُوْرِ.
অর্থ : আল্লাহই সত্য এবং তিনিই মৃতদের জীবিত করেন এবং তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান। এবং কিয়ামত অবশ্যই আসবে; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর যারা কবরে আছে আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।(২১)
৭.
اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤی اَشَدِّ الْعَذَابِ وَ مَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ.
অর্থ : তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর আর কিছু অংশ অবিশ্বাস কর? তাহলে বল, তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কী হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে তাদের জন্য থাকবে লাঞ্ছনা আর কিয়ামতের দিন তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে কঠিনতর আযাবের দিকে? আল্লাহ তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উদাসীন নন।(২২)
৮.
اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ .
অর্থ : আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। (তিনি) চিরঞ্জীব, (সব কিছুর) নিয়ন্ত্রক।
لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّ لَا نَوْمٌ .
তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না তন্দ্রা ও নিদ্রা।
لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ .
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সব তাঁরই।
مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهْۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ .
কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?
یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ .
তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে, সব তিনি জানেন।
وَ لَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ .
আর তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না- তবে ততটুকু, যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।
وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ .
তাঁর কুরসী আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে।
وَ لَا یَـُٔوْدُهٗ حِفْظُهُمَا .
আর এ দুটির তত্ত্বাবধানে তাঁর বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না।
وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ.
তিনিই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও মহিমান্বিত।(২৩)
৯.
هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عٰلِمُ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ.
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি গুপ্ত ও প্রকাশ্য সব কিছুর জ্ঞাতা। তিনি বড় মেহেরবান, পরম দয়ালু।
هُوَ اللهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ اَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَیْمِنُ الْعَزِیْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحٰنَ اللهِ عَمَّا یُشْرِكُوْنَ.
তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি বাদশাহ, পবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষাকর্তা, পরাক্রমশালী, প্রতাপশালী, গৌরবান্বিত। আল্লাহ ওদের শিরক থেকে পবিত্র।
هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی یُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ.
তিনিই আল্লাহ, যিনি স্রষ্টা, অস্তিত্বদাতা, রূপদাতা। সমস্ত সুন্দর নাম তাঁরই। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সব তাঁর তাসবীহ পাঠ করে। আর তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।(২৪)
আকীদায়ে খতমে নবুওত এবং তার সাক্ষ্যদান
১.
مَا كَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِكُمْ وَ لٰكِنْ رَّسُوْلَ اللهِ وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ وَ كَانَ اللهُ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمًا.
অর্থ : মুহাম্মাদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন। তবে তিনি আল্লাহর রাসূল ও নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞাত।(২৫)
২.
قُلْ يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اِنِّيْ رَسُوْلُ اللهِ اِلَيْكُمْ جَمِيْعَا الَّذِيْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ يُحْيٖ وَ يُمِيْتُ .
অর্থ : (হে নবী!) আপনি বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল; (সেই আল্লাহ) যার আয়ত্তে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব। তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান।
فَاٰمِنُوْا بِاللهِ وَ رَسُوْلِهِ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ الَّذِيْ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَ كَلِمٰتِهٖ وَ اتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ.
অতএব তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি, যিনি উম্মী নবী, যিনি আল্লাহর প্রতি ও তাঁর সকল বাণীর প্রতি বিশ্বাস রাখেন এবং তোমরা তার অনুসরণ কর, যাতে তোমরা হেদায়েত লাভ কর।(২৬)
৩.
وَ مَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا كَآفَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا وَّ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ.
অর্থ : (হে নবী!) আমি তো আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যই প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জ্ঞান-বুদ্ধি রাখে না।(২৭)
৪.
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ.
অর্থ : (হে নবী!) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(২৮)
৫.
সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إِنَّهُ سَيَكُوْنُ فِيْ أُمَّتِيْ ثَلاَثُوْنَ كَذَّابُوْنَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّيْنَ، لاَ نَبِيَّ بَعْدِي.
অর্থ : নিশ্চয় আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী আসবে; তাদের সবাই দাবি করবে- তারা নবী। অথচ আমি নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ। আমার পরে কোনো নবী নেই। (অর্থাৎ আমার পরে নতুন করে কেউ নবী হবে না।)(২৯)
৬.
إِنَّ الرِّسَالَةَ وَالنُّبُوَّةَ قَدْ انْقَطَعَتْ، فَلاَ رَسُولَ بَعْدِيْ وَلاَ نَبِيَّ.
অর্থ : নিশ্চয় রিসালাত ও নবুওত শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং আমার পরে কোনো রাসূলও নেই, নবীও নেই।(৩০)
৭.
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا خَاتَمُ أَنْبِيَائِهٖ وَرُسُلِهٖ.
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর সর্বশেষ নবী ও রাসূল।(৩১)
৮. আবু বকর রা.-এর খুতবা
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلূهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ، صَدَقَ وَعْدَهٗ، وَنَصَرَ عَبْدَهٗ، وَغَلَبَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهٗ، فَلِلّূهِ الْحَمْدُ وَحْدَهٗ،
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক। তিনি তাঁর ওয়াদা পূরণ করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই (কাফের) বাহিনীগুলোকে পরাস্ত করেছেন। অতএব কেবল আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা।
وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ وَخَاتَمُ أَنْبِيَائِه ٖ،
সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর নবীগণের সর্বশেষ।
وَأَشْهَدُ أَنَّ الْكِتَابَ كَمَا نَزَّلَ، وَأَنَّ الدِّيْنَ كَمَا شَرَعَ، وَأَنَّ الْحَدِيْثَ كَمَا حَدَّثَ، وَأَنَّ الْقَوْلَ كَمَا قَالَ، وَأَنَّ اللهَ هُوَ الْحَقُّ الْمُبِيْنُ.
আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিতাব তেমনই, যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। দ্বীন তেমনই, যেমন তিনি স্থির করেছেন। বিবরণ সেটাই, যেটা তিনি বর্ণনা করেছেন। কথা সেটাই, যেটা তিনি বলেছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ই সত্য, তিনিই (যাবতীয় বিষয়) সুস্পষ্টকারী।(৩২)
৯. উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ.-এর খুতবা
يَا أَيُّهَا النَّاسُ! إِنَّ اللهَ لَمْ يَبْعَثْ بَعْدَ نَبِيِّكُمْ نَبِيًّا، وَلَمْ يُنْزِلْ بَعْدَ هَذَا الْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا،
অর্থ : হে মানুষ! আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর পরে কোনো নবী পাঠাননি এবং তোমাদের ওপর যে কিতাব নাযিল করেছেন তার পরে আরো কোনো কিতাব নাযিল করেননি।
فَمَا أَحَلَّ اللهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّه فَهُوَ حَلَالٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَا حَرَّمَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّه فَهُوَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
সুতরাং আল্লাহ তাঁর নবীর মুখে যা হালাল করেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত হালাল। আর তাঁর নবীর মুখে যা হারাম করেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম।(৩৩)
১০.
وَإِنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ الْمُصْطَفى، وَنَبِيُّهُ الْمُجْتَبى، وَرَسُوْلُهُ الْمُرْتَضى، وَإِنَّهٗ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، وَإِمَامُ الْأَتْقِيَاءِ، وَسَيِّدُ الْمُرْسَلِيْنَ، وَحَبِيْبُ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ.
অর্থ : মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর মনোনীত বান্দা, নির্বাচিত নবী ও সন্তোষভাজন রাসূল। তিনি সর্বশেষ নবী, মুত্তাকীদের ইমাম, রাসূলগণের সরদার ও এবং রাব্বুল আলামীনের বন্ধু।
وَكُلُّ دَعْوَى النُّبُوَّةِ بَعْدَه فَغَيٌّ وَهَوًى، وَهُوَ الْمَبْعُوْثُ إِلَى عَامَّةِ الْجِنِّ وَكَافَّةِ الْوَرَى، بِالْحَقِّ وَالْهُدى، وَبِالنُّوْرِ وَالضِّيَاءِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে নবুওতের সমস্ত দাবি একদম বানোয়াট ও চরম ভ্রষ্টতা। তাঁকে সমগ্র জিন ও সৃষ্টিজগতের কাছে পাঠানো হয়েছে- সত্য ও হেদায়েতসহ এবং আলো ও জ্যোতিসহ।(৩৪)
১১.
نَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ، أَرْسَلَهُ إِلَى الْخَلْقِ أَجْمَعِيْنَ، خَاتِمًا لِلنَّبِيِّيْنَ، وَنَاسِخًا لِمَا قَبْلَه مِنَ الشَّرَاِئعِ.
অর্থ : আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল। তাঁকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের কাছে পাঠিয়েছেন- সর্বশেষ নবী ও পূর্বেকার সকল শরীয়ত রহিতকারী হিসেবে।(৩৫)
তথ্যসূত্র :
১) ঈমানে মুফাসসালের এই পাঠটি নেওয়া হয়েছে একটি প্রসিদ্ধ হাদীস থেকে, যা ‘হাদীসে জিবরীল’ নামে পরিচিত। ‘কয়েকটি হাদীস’- শিরোনামের অধীনে প্রথম যে হাদীসটি, সেটিই হাদীসে জিবরীল।
২) সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৮
৩) আততামহীদ, ইবনে আবদুল বার ১৪/৩০৯ (আবুদ দারদা রা.-এর ওসিয়তনামা থেকে গৃহীত)
৪) ফায়সালুত তাফরিকা বাইনাল ইসলামি ওয়ায যানদাকা, গাযালী, পৃ. ৭৮
৫) আলআকীদাতুত তহাবিয়্যা, পৃ. ৯৩-৯৪
৬) সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৯৩; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৩৪২
৭) সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৯৪
৮) সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১০
৯) সহীহ বুখারী, হাদীস ১১২০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৬৯
১০) সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৬১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫৫৩১; মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫৪০
১১) সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৮৪; মুসতাখরাজে আবু আওয়ানা ১/২০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৮৩
আরো দেখুন- কিতাবুল আসার, আবু হানীফা, রেওয়ায়েত : মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান শায়বানী, বাব : তাসদীক বিল কদর, হাদীস ৩৮৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৯২৪
)وقد جمعنا بين عدة روايات لهذا الحديث الشريف، واختصرنا من سياقه ما يصعب فهمه للمبتدئين. (
১২) জামে তিরমিযী, হাদীস ২৫১৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৮০৩
১৩) মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮২০৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৩
১৪) সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৬৭
১৫) মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১০৯৫
১৬) সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৯
১৭) সূরা আলে ইমরান (৩) : ৮৫
১৮) সূরা বাকারা (২) : ২-৫
১৯) সূরা বাকারা (২) : ২৮৫
২০) সূরা নিসা (৪) : ১৩৬
২১) সূরা হজ্ব (২২) : ৬-৭
২২) সূরা বাকারা (২) : ৮৫
২৩) সূরা বাকারা (২) : ২৫৫
২৪) সূরা হাশর (৫৯) : ২২-২৪
২৫) সূরা আহযাব (৩৩) : ৪০
২৬) সূরা আ‘রাফ (৭) : ১৫৮
২৭) সূরা সাবা (৩৪) : ২৮
২৮) সূরা আলে ইমরান (৩) : ৩১
২৯) সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪২৫২; জামে তিরমিযী, হাদীস ২২১৯
৩০) জামে তিরমিযী, হাদীস ২২৭২
৩১) মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৪৯৪৬
আরো দেখুন, ৮ নম্বরে উল্লেখিত আবু বকর রা.-এর খুতবা।
৩২) কিতাবুল ফুতূহ, সাইফ ইবনে উমর তামীমী (আনুমানিক ১৮০ হি.)- ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন, যাবীদী ১০/৩০২
৩৩) সুনানে দারিমী ১/৪০২
৩৪) আলআকীদাতুত তহাবিয়্যা, পৃ. ৪৭-৫৩
৩৫) আলমুসায়ারা ফিল আকাইদিল মুনজিয়াতি ফিল আখিরা, ইবনুল হুমাম, পৃ. ১৯৮