তারাবীর নামাযে যত্নবান হই
রমযান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল তারাবীর নামায। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
যে ব্যক্তি রমযান মাসে সওয়াবের আশায় কিয়ামে রমযান আদায় করবে আল্লাহ তাআলা তার পেছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৫৯
আরো একাধিক হাদীসে কিয়ামে রমযান তথা তারাবীর নামাযের কথা বর্ণিত হয়েছে।
সাহাবায়ে কেরাম থেকে নিয়ে এ সুন্নতের ওপর আজও মুসলিম উম্মাহর আমল চলে আসছে। প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে মুসলিম জনপদগুলোতে রমযান মাসে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তারাবী আদায় করা হচ্ছে। রাসূলের সুন্নাহ অনুসারী কোনো মুসলিম কখনো এ আমলকে গুরুত্বহীন বা কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি। কিন্তু আজকাল দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো অনেকের মধ্যে এ মহান আমলের প্রতিও গুরুত্বহীনতা ও অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কোনো কোনো ভাইকে দেখা যায়, নিজের মনমতো যেদিন যত রাকাত ইচ্ছা পড়ে নেয়। কেউ আবার জামাতে শরীক না হয়ে একা একা কিছু রাকাত পড়ে নেয়, কেউ তো মোটেই পড়ে না। অথচ তারাবীর নামায সুন্নতে মুআক্কাদা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَرَضَ صِيَامَ رَمَضَانَ عَلَيْكُمْ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ، فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمٍ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ.
আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমযানের সিয়াম ফরয করেছেন এবং আমি (আল্লাহ তাআলার হুকুমে) কিয়ামে রমযান (অর্থাৎ তারাবীর নামায)-এর বিধান জারি করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমযানের রোযা রাখবে এবং রাতে নামায (তারাবী) পড়বে সে যাবতীয় গুনাহ থেকে নবজাতক শিশুর মতো পবিত্র হয়ে যাবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬৬০, ১৬৮৮; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২২১০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩২৮
অত্যন্ত সওয়াবের এ আমলে নিজের খেয়ালখুশি মতো কম করা মূলত নামাযের প্রতিই অবহেলা-অনাগ্রহের প্রকাশ এবং এর মন্দ প্রভাবও সুদূরপ্রসারী। মুসলিম ঐতিহ্যের এ মহান আমলকে কম গুরুত্বের মনে করে এ ব্যাপারে অবহেলা করতে থাকলে আল্লাহ না করুন, আমাদের কুপ্রবৃত্তি ধীরে ধীরে আমাদেরকে এ সুন্নত থেকে পুরোপুরিই উদাসীন করে ফেলতে পারে।
মনে রাখা দরকার, আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দার নেক আমলের সওয়াব এমনিতেই বহু গুণে বাড়িয়ে দেন। রমযান তো আরো মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসের ফযীলত ও আমলের সওয়াবও অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। কাজেই আমরা আল্লাহ প্রদত্ত সওয়াব অর্জনের এ সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাই এবং এর যথাযথ কদর করি।
তারাবীর নামাযের ব্যাপারে আমাদের কোনো কোনো ভাইয়ের উদাসীনতার একটা বড় কারণ হল, তারাবীর নামাযের বিধান এবং এর রাকাত সংখ্যা নিয়ে বিগত শতাব্দী থেকে কোনো কোনো মহল কর্তৃক বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস। অথচ তাদের বক্তব্যের কোনো দালীলিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। তারা যেসকল বর্ণনা দ্বারা দলীল দিতে চেষ্টা করে, তা তাদের বোঝার ভুল। যা উলামায়ে উম্মত বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করেছেন। আর ঐতিহাসিকভাবে তো তাদের কোনোই দলীল-প্রমাণ নেই। সে আলোচনা এখানে বাঞ্ছনীয় নয়। মূলত এক্ষেত্রে অযথা বাড়াবাড়িই তাদের মতবিরোধের মূল কারণ।
তাদের এম প্রোপাগান্ডার ফলে কারো কারো কাছে তারাবীর নামাযের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। অথচ সালাফের যুগ থেকে অনুসৃত সকল ইমামের ঐক্যমতে তারাবীর নামায সুন্নতে মুআক্কাদা এবং তা বিশ রাকাত। হাজার বছর ধরে এর ওপরেই আমল হয়ে আসছে। (দ্র. জামে তিরমিযী ১/১৬৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৪৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৪-২৩৫; আলমুগনী ১/৮৩৩)
তারাবীর নামাযের প্রচলন সম্পর্কে আপাতত কেবল এতটুকু উল্লেখ করছি, হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরপর তিন দিন কিয়ামে রমযান তথা তারাবীর নামায জামাতের সাথে আদায় করেছেন। চতুর্থদিন যখন দেখলেন, তারাবীর জামাতে শরীক হতে সাহাবায়ে কেরাম প্রায় সকলেই মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন। তখন আর জামাত করেননি। পরদিন ফজর নামাযের পরে সবার উদ্দেশে বললেন, ‘আমি তোমাদের আগ্রহ বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আমি আশঙ্কা করছি, এতে করে এ নামায তোমাদের জন্য ফরয হয়ে যাবে, তখন তোমাদের জন্য তা আদায় করা কষ্টকর হবে। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ২০১১, ১০১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৬১)
উক্ত আশঙ্কায় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারাবীর নামাযের সম্মিলিত জামাতের ব্যবস্থা করেননি। আবু বকর রা.-এর দুই বছরের খেলাফতকালেও তারাবীর সম্মিলিত জামাতের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে ছোট ছোট জামাতে তারাবী আদায় করা হত। উমর রা. তাঁর খেলাফতকালে সাহাবায়ে কেরামের সম্মতিতে তারাবীর সম্মিলিত জামাতের ব্যবস্থা করেন। তিনি দেখলেন, মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদাভাবে তারাবীর জামাত হচ্ছে। তিনি সবাইকে নিয়ে একত্রে একটি জামাতের ব্যবস্থা করতে চাইলেন। তখন উবাই ইবনে কা‘ব রা.-এর ইমামতিতে সকলের একত্রে তারাবী আদায়ের ব্যবস্থা করলেন। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ২০১০)
ইমাম ইবনে আবদুল বার রাহ. (মৃত্যু : ৪৬৩ হি.) বলেন, উমর রা. নতুন কোনো কিছুর প্রচলন ঘটাননি। তারাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়েছেন এবং জামাতেও পড়েছেন। কিন্তু এই আশঙ্কায় নিয়মিত জামাতের ব্যবস্থা করেননি যে, তিনি জামাতের ব্যবস্থা করলে তা উম্মতের জন্য ফরয হয়ে যেতে পারে। তবে নবীজীর এটি পছন্দ ছিল। তাঁর পছন্দ অনুযায়ীই উমর রা. এ সুন্নত নিয়মিত জামাতে আদায়ের ব্যবস্থা করেন। -আততামহীদ ৮/১০৮-১০৯
কাছাকাছি ধরনের কথা হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ.-ও বলেছেন। (দ্র. ফাতহুল বারী ৪/২৯৭)
সেসময় অসংখ্য সাহাবী জীবিত ছিলেন। যাদের মধ্যে আলী রা., আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা., মুআয ইবনে জাবাল রা., তামীম দারী রা. প্রমুখ। তারা কেউই উমর রা.-এর এ ব্যবস্থাপনার বিরোধিতা করেননি। কারণ তাদের কাছে এ বিষয়টি নতুন কিছু ছিল না। এটি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পছন্দনীয় ছিল তা তারাও জানতেন। কাজেই এ কথা ভালোভাবে বুঝতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে, উমর রা. তারাবী নামাযের প্রচলন শুরু করেছেন। তারাবী তো স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই সুন্নত। তখন থেকেই সাহাবায়ে কেরাম ছোট ছোট জামাতে তারাবী আদায় করতেন। উমর রা. কেবল নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকলের একসঙ্গে বড় জামাতে তারাবী আদায়ের ব্যবস্থা করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম সকলেই তাঁর এ ব্যবস্থাপনাকে সমর্থন করেছেন। উমর রা. কে ছিলেন তা তো সকলেরই জানা রয়েছে। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় খলীফায়ে রাশেদ। আর খুলাফায়ে রাশেদীন সম্পর্কে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে এই ওসীয়ত করেছেন-
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ.
সুতরাং তোমরা আমার ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নতকে আঁকড়ে রাখবে। একে অবলম্বন করবে এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে প্রাণপণে কামড়ে ধরে থাকবে...। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৬০৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৬৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ০৫
এরপর থেকে সর্বত্রই বিশ রাকাত তারাবী জামাতের সাথে আদায় হতে থাকে। বহু তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী থেকে একথা বর্ণিত হয়েছে। যেমন, আবদুল আযীয ইবনে রুফাই, ইয়াযীদ ইবনে রূমান, ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ আলআনসারী, আবু আবদুর রহমান আসসুলামী, ইবরাহীম নাখায়ী, আতা ইবনে আবী রবাহ রাহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ। (দ্র. সুনানে কুবরা, বাইহাকী ২/৪৯৬-৪৯৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৩৯৩; কিয়ামুল লাইল, মুহাম্মাদ ইবনে নাসর আলমারওয়াযী, পৃষ্ঠা ২০০-২০২; আলইসতিযকার, ইবনে আবদুল বার ৫/১৫৭; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১/৮৩৩; ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার আসকালানী ৪/২৯৫-২৯৯; আলইখতিয়ার লি-তালীল মুখতার ১/১২২-১২৩)
তারাবী নামাযের প্রচলন সম্পর্কে জানতে এবং এর রাকাত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের অপপ্রচার ও তার খণ্ডন জানতে উলামায়ে কেরাম মাওলানা হাবীবুর রহমান আযমী রাহ.-এর লেখা ‘রাকআতে তারাবী’ এবং ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আলআনসারী রাহ.-এর লেখা ‘তাসহীহু হাদীসি সালাতিত তারাবী ইশরীনা রাকআতান’ রিসালাদুটি মুতালাআ করতে পারেন। আর আলেমগণসহ সর্বসাধারণ সকলেই মাসিক আলকাউসার পত্রিকার অক্টোবর-নভেম্বর ২০০৫ সংখ্যায় প্রকাশিত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম-এর লেখা ‘তারাবীর গুরুত্ব, ফযীলত ও রাকাত সংখ্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়তে পারেন; যা মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে ‘সহীহ হাদীসের আলোকে তারাবীর রাকাআত সংখ্যা’ নামে স্বতন্ত্র পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
কিছু জরুরি মাসআলা
১. তারাবীর নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্যই সুন্নতে মুআক্কাদা। -আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৪৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৪-২৩৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪৩
২. তারাবীর নামায দুই রাকাত করে বিশ রাকাত পড়া সুন্নত। প্রত্যেক চার রাকাতের পরে কিছুক্ষণ বিরতি দেবে। এই বিরতিকে আরবীতে বলে ‘তারবীহা’। এ সময় তাসবীহ-তাহলীল পড়া বা চুপ থাকা সবই জায়েয। এ সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ কুরআন কারীমে বা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি। -আলবাহরুর রায়েক ২/৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/৪৫-৪৬
৩. তারাবীর নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের পরে তাশাহহুদ পড়ে ভুলে দাঁড়িয়ে গিয়ে আরো দুই রাকাত মিলিয়ে পড়ে নিলে চার রাকাতই তারাবী হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য সাহু সিজদা লাগবে না। কিন্তু তাশাহহুদের জন্য না বসেই আরো দুই রাকাত মিলিয়ে পড়লে শুধু শেষ দুই রাকাত সহীহ হবে। এক্ষেত্রে প্রথম দুই রাকাত পুনরায় পড়তে হবে এবং খতম তারাবী হলে ওই দুই রাকাতে পঠিত কেরাতও পুনরায় পড়তে হবে। দুই রাকাতের পরে ভুলে না বসে তৃতীয় রাকাত পূর্ণ করে সালাম ফেরালে ওই নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। তবে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে সিজদায় যাওয়ার আগে যখনই স্মরণ হবে বসে পড়বে এবং সাহু সিজদা দিয়ে নামায শেষ করবে। -আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৫৭-২৫৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭-১১৮
৪. মদ-গুন্নাহ যথাযথভাবে আদায় হয় না এবং উচ্চারণ বুঝে আসে না- এত তাড়াতাড়ি কেরাত পড়া সব সময়ের মতো তারাবীতেও মাকরূহ। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭
৫. কেউ কেউ তারাবীর জামাতের সময় প্রথম রাকাতে বসে থেকে ইমামের রুকুতে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এমনটি করা মাকরূহ। -ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৪৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮
৬. তারাবীতেও নাবালেগের পেছনে বালেগের ইকতিদা জায়েয নেই। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭
৭. রমযান মাসে বিতির নামায জামাতের সাথে পড়া মুস্তাহাব। -রদ্দুল মুহতার ২/৪৯
৮. দাঁড়িয়ে তারাবী পড়ার শক্তি থাকলে বসে পড়া মাকরূহ। -ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৪৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৮
৯. তারাবীর জামাত কয়েক রাকাত হয়ে যাওয়ার পরে কেউ এসে উপস্থিত হলে সে আগে এশার নামায ও সুন্নত পড়বে, এরপরে তারাবীর জামাতে শরীক হবে। তারাবীর জামাতের পরে সম্ভব হলে সে আগে একাকী বাকি তারাবী আদায় করে নেবে, তারপরে বিতিরের জামাতে শরীক হবে। যদি বিতিরের জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আগে বিতিরের জামাতে শরীক হবে, এরপর বাকি তারাবী আদায় করবে। -আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৬৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭
১০. অন্যান্য ফরয নামাযের মতো তারাবীও মহিলারা নিজ ঘরেই পড়বে। খতম তারাবীর জন্য মসজিদে যাবে না। যদি তাদের মাহরাম কোনো পুরুষ ঘরে খতম তারাবী পড়ে, তাহলে তার পেছনে যথানিয়মে ইকতিদা করতে পারে।
আল্লাহ আমাদেরকে রমযানের যথাযথ কদর করার এবং পূর্ণ গুরুত্বের সাথে তারাবী আদায়ের তাওফীক দিন- আমীন।