কীসের অপেক্ষা?
ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই। চলছে অবিরাম। এক একটি সেকেন্ড করে জীবনের সময়গুলো গলে যাচ্ছে বরফের মতো। বর্তমান সেকেন্ডটি মুহূর্তেই অতীত হয়ে যাচ্ছে। থাকছে কেবল স্মৃতি। কিছু সুখের, কিছু দুঃখের। সেগুলোও একসময় হারিয়ে যায়। এভাবে একদনি কল্পিত সব সম্ভাবনার দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। অজস্র স্বপ্ন, ভাবনা ও কল্পনা আলোর মুখ দেখার আগেই হঠাৎ জীবনের আলো নিভে যায়।
হাঁ, জীবনটা এমনই। বহতা নদীর মতো এবং বেলাশেষে সূর্য ডোবার মতো। তাই প্রবাহিত স্রোত-সময় থেকে যতটুকু তুলে নেওয়া যায়, ততটুকুই সঞ্চয়। প্রতিটা সেকেন্ড ধরে ধরে জীবন থেকে যদি কিছু উদ্ধার করা যায়, তাতেই সফলতা। তাই তো প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নেককাজের জন্য তোমার কীসের অপেক্ষা? নবুওতী যবানের নূরানী ভাষায়-
بَادِرُوا بِالأَعْمَالِ سَبْعًا هَلْ تُنْظَرُونَ إِلاّ إِلَى فَقْرٍ مُنْسٍ، أَوْ غِنًى مُطْغٍ، أَوْ مَرَضٍ مُفْسِدٍ، أَوْ هَرَمٍ مُفَنِّدٍ، أَوْ مَوْتٍ مُجْهِزٍ، أَوِ الدَّجَّالِ فَشَرُّ غَائِبٍ يُنْتَظَرُ، أَوِ السَّاعَةِ فَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ.
قال الترمذي: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ.
সাতটা জিনিস আসার আগে তোমরা দ্রুত নেককাজ করে ফেল। তোমরা কি অপেক্ষা করছ দারিদ্র্যের, যা তোমাদের সবকিছু ভুলিয়ে দেবে? নাকি ওই প্রাচুর্যের, যা তোমাদেরকে দর্পিত করে তুলবে? নাকি এমন রোগের, যা তোমাদের জরাজীর্ণ করে দেবে? নাকি বার্ধক্যের, যা তোমাদেরকে অথর্ব করে দেবে? নাকি মৃত্যুর, যা হঠাৎ এসে পড়বে? নাকি দাজ্জালের, সে তো সর্বাপেক্ষা মন্দ অদৃশ্য বিষয়, যার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে? নাকি কিয়ামতের, যা কিনা সর্বাপেক্ষা বিভীষিকাময় ও সর্বাপেক্ষা তিক্ত! Ñজামে তিরিমিযী, হাদীস ২৩০৬; আয্যুহদ ওয়ার রাকাইক, ইবনুল মুবারক, হাদীস ৭; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৯০৬
হাদীসে সাতটি বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আগেই নেক আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এক. অভাব আসার আগে দান-খয়রাতের প্রতি মনোযোগী হই
প্রবাদ আছে, ‘সকাল বেলার ধনিরে তুই ফকির সন্ধ্যাবেলা।’ ধন-সম্পদ চিরদিন কারো হাতে থাকার নিশ্চয়তা নেই। যে কোনো সময় তা কেড়ে নেওয়া হতে পারে। সে পড়তে পারে দারিদ্র্যের কবলে। তখন দান-খয়রাতের ইচ্ছা করলেও তা সম্ভব হবে না। কেবল আক্ষেপই করতে হবে, হায়, তখন কেন দান করলাম না! আক্ষেপ যেন করতে না হয়, তাই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘তোমরা কি অপেক্ষা করছ দারিদ্র্যের, যা তোমাদের সবকিছু ভুলিয়ে দেবে?’
কাজেই আগামীর অপেক্ষা নয়; দান করব আজই।
দুই. নেককাজে টালবাহানা নয়; যা আছে তা নিয়েই সামনে অগ্রসর হই
এখন ব্যস্ত আছি। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি আরো কত কী! একটু যখন অবসর হব, নামায-রোযা সবই ধরব। তাহাজ্জুদ, তিলাওয়াত যিকির-আযকার ইত্যাদিতে মনোযোগ দেব। তাছাড়া অবস্থাও এখন অত ভালো নয়; আগে ব্যবসাটা দাঁড় করিয়ে নিই, যখন বিপুল সম্পদ হাতে আসবে, মন খুলে দান করা যাবে।
সত্যি বলতে কী, এসব নিছক শয়তানের ধোঁকা। নবীজী বলেছেন, ‘তোমরা কি এমন ঐশ্বর্যের অপেক্ষাই করছ, যা তোমাদের দর্পিত বানিয়ে দেবে?’
কারণ আল্লাহ না করুন, অনেক সময় হিতে বিপরীত ঘটে। টাকা-পয়সা বেড়ে গেলে মন-মস্তিষ্ক থেকে দ্বীনের চিন্তাই বের হয়ে যায়। আল্লাহর কথা মনে পড়ে না। নেকী অর্জনের ইচ্ছাটুকুও অবশিষ্ট থাকে না। নেককাজের প্রতি মন ধাবিত হওয়া তো দূরের কথা; অনেক সময় নিজের মধ্যে অহংবোধ বাড়তে থাকে। কাজেই আল্লাহ না করুন, সেই পরিস্থিতি আসার আগে এখন অল্প-বিস্তর যতটুকু আছে, তার মধ্যেই দ্বীনের কাজগুলো করে যাওয়া চাই।
তিন. যা কিছু করার সুস্থ থাকতেই করে নিই
অনেক সময় আমরা নিজেকে নিজে ধোঁকা দেই। বলি-তাড়াহুড়োর কিছু নেই। জীবন তো এখনো অনেক বাকি; সামনে নেককাজ করার অনেক সুযোগ আছে। করতে পারব। অথচ কে না জানে, দুনিয়া কেবল সুখের জায়গা নয়, দুঃখের জায়গাও নয়! সুস্থতা-অসুস্থতা সঙ্গে করেই মানুষের জীবন চলা। মুমিনের বেলায় ব্যাপারটি আরো প্রকট। কারণ দুনিয়া মুমিনের জন্য চিরসুখ ও সুস্থতার নিবাস নয় কখনো। সুতরাং নেককাজে বিলম্ব করা চরম নির্বুদ্ধিতা। এখন সুস্থ আছি, যে কোনো সময় কঠিন দীর্ঘস্থায়ী রোগেও তো আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি। সুতরাং যা কিছু করার স্বাস্থ্য ভালো থাকতেই করে ফেলা উচিত। রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তখন কিছুই করা যাবে না। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ তবে কি এমন রোগ-ব্যাধির অপেক্ষা করছ, যা তোমাদের শরীর নষ্ট করে দেবে, শক্তি খতম করে ফেলবে এবং কোনো কিছুই করার ক্ষমতা থাকবে না?
চার. বার্ধক্যের অপেক্ষা নয়; যৌবন অর্থবহ করে তুলি
আমরা যখন শিশু ছিলাম, তখন কি নিজের সব কাজ নিজে করতে পারতাম? না; বরং সব কাজেই মা-বাবা বা অন্য কারো সহযোগিতার প্রয়োজন হত। ঠিক একই দশা হবে বার্ধক্যে উপনীত হলেও। তখনও মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। শক্তিহীন হয়ে যায়। গোনাহ করার শক্তিও থাকে না। এমন সময় গোনাহ করা আর না করার মাঝে কী বিশেষত্ব? বিশেষত্ব তো যৌবনের উচ্ছলতার মাঝে নিজেকে সংযত করে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য কুরবান হয়ে যাওয়া। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, ইবাদত-বন্দেগী ও দ্বীন পালনে এই চিন্তা থেকে গড়িমসি করা হয়- এখনই করার কী আছে? ঢের সময় আছে; বুড়ো হলে করা যাবে। এখন যৌবন উপভোগ করি। অথচ যৌবনকালই ইবাদত ও সৎকাজের মোক্ষম সময়। এমনকি সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোও যৌবনকালে করা সহজ। যুগে যুগে সকল পাপ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুবকরাই দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি জাতির ইতিহাসেই দেখা যায়, মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যুবারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কুরআন কারীমে বর্ণিত হযরত ইবরাহীম আ. ও ইউসুফ আ.-এর ঘটনাগুলোর দিকে তাকালেও বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়। কাজেই বার্ধেক্যের অপেক্ষা নয়; যৌবনেই নেককাজ শুরু করি! নামাযটা আজ থেকেই ধরি! মাখলুকের সেবা করি। নবীজী বলেছেন- তোমরা কি বার্ধক্যের অপেক্ষা করছ, যা তোমাদেরকে সম্পূর্ণ বেকার ও নিষ্ক্রিয় করে দেবে?
পাঁচ. যা করার মৃত্যুর আগেই করে নিই
মরণের স্বাদ সবাইকে নিতে হবে। মৃত্যুর পেয়ালায় চুমুক সবাইকে দিতে হবে। কিন্তু মরণ কারো বলে-কয়ে আসে না। কারো জন্য সময়ও বাধা থাকে না যে, অমুক দিন অমুক তারিখে অমুক স্থানে তার মৃত্যু আসবে। বরং এসব তথ্য কেবল আল্লাহর নিকটই সংরক্ষিত। মৃত্যুর ফেরেশতাকে তিনি যখন জানাবেন তখনই জানতে পারে। তাই তো আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌۢ بِاَیِّ اَرْضٍ تَمُوْتُ اِنَّ اللهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ.
আর কোনো প্রাণী এটাও জানে না যে, কোন্ ভূমিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত, সবকিছু সম্পর্কে পরিপূর্ণ খবর রাখেন। -সূরা লুকমান (৩১) : ৩৪
কার মরণ কোথায় হবে, তা যেমন কেউ জানে না, কখন হবে সেটিও কেউ জানে না। প্রত্যেকের মৃত্যু তার সুনির্দিষ্ট সময়েই এসে যাবে। যখন আসবে তখন আর টলানো যাবে না। একটুও দেরি করা হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ لَا یَسْتَاْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّ لَا یَسْتَقْدِمُوْن.
যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পড়ে, তখন তারা এক মুহূর্তও বিলম্ব করতে পারে না এবং ত্বরাও করতে পারে না। -সূরা আ‘রাফ (৭) : ৩৪
হাজার আক্ষেপ করেও যদি বলা হয়, মাবুদ, আমাকে সামান্য একটু হলেও সুযোগ দাও, আমি একেবারে ভালো মানুষটি হয়ে যাব। একটু সময় দাও, তোমার পথে সব দান করে দিব। সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। তাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নাকি আকস্মিক মৃত্যুর অপেক্ষা করছ, যখন তোমাকে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না?’
কাজেই নেকী ও পুণ্য যা সঞ্চয় করার, আগেই করে নিতে হবে।
ছয়. দাজ্জাল এসে গেলে আর অবকাশ পাওয়া যাবে না
এখনো যা কিছু ঘটেনি, কিন্তু ঘটার অপেক্ষায়, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল দাজ্জালের আবির্ভাব, যা কিয়ামতের পূর্বে সবচেয়ে ভয়াবহ ফিতনারূপে প্রকাশ পাবে। দাজ্জাল সারা পৃথিবী দাবড়িয়ে বেড়াবে। মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর কোনো অংশই তার দৌরাত্ম্য থেকে রেহাই পাবে না। কারণ এই দুই শহরকে সারিবদ্ধ ফেরেশতাগণ নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখবেন। কিন্তু অন্যদের জন্য পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ! (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৮১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৪৩)
তাকে চেনার জন্য প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো কিছু আলামত ও নিদর্শন জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে উম্মত সহজে ফিতনা থেকে বাঁচতে পারে। যেমন তার কপালে ‘কাফ’ ‘ফা’ ‘রা’ খচিত ‘কাফের’ লেখা থাকবে, যা লেখাপড়া জানা-অজানা সকল মুমিনই পড়তে পারবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৩৪
বামচোখ কানা হবে। ডানচোখের ভেতরের কালো অংশ পর্যন্ত গোস্তে ভরাট থাকবে। মানুষ দেখবে, তার নির্দেশে বৃষ্টি হচ্ছে, খরা হচ্ছে, জমিন তার খনিজ সম্পদ উগলে দিচ্ছে। জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করে দিচ্ছে। এক লোককে ধরে হত্যা করে ফেলছে, আবার তার নির্দেশেই লোকটি জীবিত হয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে সে প্রভু হওয়ার দাবি করবে। যে তাকে প্রভু বলে স্বীকার করবে সে ফিতনায় আক্রান্ত হয়ে যাবে আর যে বলবে, আল্লাহ্ই আমার প্রভু, সে রক্ষা পাবে। কিছু দিন পৃথিবীতে অবস্থান করার পর একসময় ঈসা আ. এসে তাকে হত্যা করবেন। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৪৯৫৪, ১২১৪৫, ২০১৫১)
দাজ্জালের ফিতনা শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ইবাদত-বন্দেগী বা নেককাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। এই ভয়াবহ ফিতনা থেকে খোদ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্নভাবে আল্লাহর আশ্রয় চেয়েছেন। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৩৩, ৬৩৬৫)
সাত. কিয়ামতের অপেক্ষা করে কী লাভ?
আখের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই বিভীষিকাময় একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন। অর্থাৎ নেককাজকে এজন্য বিলম্ব করছ, এজন্যই গাফলতি আর উদাসীনতা প্রদর্শন করছ যে, কিয়ামত এসে গেলে তখন আমল করে নেবে? সবকাজ সেরে ফেলবে? অথচ আমি কি জানি, কিয়ামত মহা সংকটের দিন, তখন আমলের সুযোগই থাকবে না? এক হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনে যারা পাপ করেছে তারা তাওবা করতে পারে। আর দিনে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে রাতে যারা পাপ করেছে তারা তাওবা করতে পারে। এভাবে (তাঁর অবারিত ক্ষমা) চলতে থাকবে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া পর্যন্ত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৯৫২৯
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস আমাদের গাফলতির চাদর খুলে দিচ্ছে। বিবেকের বন্ধ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কত? একটু থামো না! কবি কত সুন্দর বলেছেন-
ہورہی ہے عمر مثل برف کم + چپکے چپکے رفتہ رفتہ دم بدم۔
হায়, জীবনটা বরফের মতো গলে যাচ্ছে!
ক্রমশঃ নীরবে-নিঃশব্দে বিলীন হয়ে যাচ্ছে!!
কাজেই কীসের অপেক্ষা! আর দেরি নয়; এখনই নেকআমলে মনোযোগী হই। আল্লাহর হুকুমের সামনে নিখুঁত নিরঙ্কুশ আনুগত্য প্রদর্শন করি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ ও আদর্শকে জীবনের সব ক্ষেত্রে মনেপ্রাণে গ্রহণ করি।