খবর ... অতঃপর ...
আরও তিন বছরের জন্য তাকসিমকে ওয়াসার এমডি পদে রাখার সুপারিশ
প্রথম আলো, ১১ জুলাই ২০২৩
# বুঝতে হবে, এই তাকসিম এ খানের ভেতরে আসলে কী লুকিয়ে আছে? দীর্ঘদিন ছুটিতে আমেরিকায় থাকা এ ভদ্রলোককে নিয়ে আদালতে বিভিন্ন কথা-বার্তা হয়েছে। আদালতের বিভিন্ন রুলিং ও অর্ডার দেখলাম মাঝে মাঝে। তাকে এ পদে রাখার জোরালো সুপারিশ করেছেন, হিন্দু ভদ্রলোক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজিত কুমার বালা। এটা নিয়ে লবিং করে যাচ্ছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। এর আগেও এমন খবর এসেছিল, ‘কোন্ জাদুবলে ১৩ বছর তাঁরা।’ ১৩ বছর কেন নেতারা পারলে ১৩ শ বছর বসিয়ে রাখত; নিজেদের মতলবে নিজেদের জন্য। প্রশ্ন হল, তাকসীম এ খানরা এত প্রভাবশালী কীভাবে হয়ে ওঠেন? এবং কাদের কাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তাদেরকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ ধরনের পদে বসিয়ে রাখা হয়!
ব্যানারে ঢেকেছে সমাবেশ মঞ্চ, আ. লীগ নেতাদের হুমকিতেও সরানো হচ্ছে না
প্রথম আলো, ১২ জুলাই ২০২৩
# যেখানে নিজেদেরকে দৃশ্যমান করাই উদ্দেশ্য; সামাবেশে যোগদান করা, আদর্শ কোনো কিছু বলা-করার চেয়ে বেশি হল, নিজেদেরকে দৃশ্যমান করা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পাতি নেতাদের প্রচার-প্রচারণাই যেখানে উদ্দেশ্য- সেখানে ব্যানার সরানো হবে কেন? এখান থেকেই বোঝা যায়, যারা অনুসরণ করে, তারা কী উদ্দেশ্যে করে? এখানে দল বা রাষ্ট্র মূখ্য বিষয় থাকে, না নিজেদের আখের গোছানো উদ্দেশ্য থাকে?
‘প্রকৃত খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি’
প্রথম আলো, ১৫ জুলাই ২০২৩
# এ চার লাখ কোটি টাকা যদি খেলাপিই হয়ে থাকে তা জনগণের টাকা। মনে রাখতে হবে, ব্যাংক থেকে যেসব টাকা খেলাপি হয় সে টাকাগুলো সাধারণত আম জনগণের, দেশের মধ্যবিত্ত লোকদেরই হয়ে থাকে। কারণ বড়লোকেরা তো বেশিরভাগই টাকা জমা রাখেন না। রাখলেও কিছু টাকা রাখেন। তাদের টাকা রাখার আসল জায়গা বিদেশ। তাদের নিরাপদ জায়গা। দেশীয় ব্যাংকে কিছু জমা রাখেন আর নিয়ে রাখেন অনেক অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে চার লাখ কোটি টাকা যেখানে খেলাপিই হয়ে গেছে। অর্থাৎ ব্যবসায়ী লোকেরা তা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না, সেখানে দেশের ব্যাংকব্যবস্থার যে কী বেহাল দশা- তা তো আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন ব্যাংকে চেক নিয়ে গেলে ভুক্তভোগীরা দেখছেন, রাজধানী ঢাকারও বিভিন্ন শাখা পাঁচ লাখ টাকার চেকও দিতে পারছেন না। সকালে গেলে বিকেলে আসতে বলেন। বিকেলে গেলে পরদিন আসতে বলেন। বৃহস্পতিবারে গেলে রোববারে যেতে বলেন। এমন আরও ঘটনা ঘটছে। কিছু দিন এসব নিয়ে সামান্য লেখালেখি হলে হুমকি দেওয়া হয়- ব্যাংক নিয়ে কিছু লেখা হলে এই করা হবে, সেই করা হবে। এগুলো কি আর রাখঢাক করে গোপন রাখা যাবে?
বিপিডিবির ৭০% অর্থই ব্যয় হয়েছে আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে
বণিক বার্তা, ১৬ জুলাই ২০২৩
# এমনিই কি আর বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা? বছরকে বছর ধরে বিদ্যুৎ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা যে অস্থায়ী এবং ভঙ্গুর খাতগুলোতে বিনিয়োগ হয়েছে, ব্যয় হয়েছে, সেটারই তো এখন খেসারত দিতে হচ্ছে স্থায়ী ও নিজস্ব কাঠামো তৈরি না হওয়ায়। অনেকগুলো কেন্দ্র তো তৈরি হয়েছে। সেই রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা, সেগুলো ঠিকমতো চালু না থাকা, মাঝে মাঝেই ভঙ্গুর হয়ে পড়া, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া, যেসব কারণে এত বছর ধরে বিদ্যুৎ খাতে এত বেশি টাকা ব্যয় হওয়ার পরেও এখন মাঝে মাঝে বিদ্যুতের বেহাল দশা হচ্ছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, ‘সরকার বর্তমানে দক্ষ ও কম খরচে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়- এমন বিদ্যুৎকেন্দ্রকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যেখানে বিপিডিবির ব্যয় কমিয়ে আনার মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা।’ এ প্রাধান্য এত বছর পরে কেন? এটা কি আগে থেকে চিন্তা করা দরকার ছিল না?
দুর্নীতি হচ্ছে তাই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে : কুবি উপাচার্য
যায়যায়দিন, ৩১ জুলাই ২০২৩
# উন্নতি হচ্ছে বটে তবে সেটি ভিসি সাহেব, তার মতো লোকজন এবং তারা যাদের গোলামী ও লেজুড়বৃত্তি করেন তাদের। কিন্তু সাধারণ জনগণ শুধু দুর্নীতিরই শিকার হচ্ছে এবং সেটা এক তরফা।
এস আলমের আলাদিনের চেরাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।
এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি বলে দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে জানা গেছে।
দ্য ডেইলি স্টার, ৪ আগস্ট ২০২৩
# এখন তো এক নম্বর, দুই নম্বর ধনীর হিসাব আসে না। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতো কিছু এদেশে নেই। একসময় অলিখিতভাবে বলা হত, দেশে এক নম্বর ধনী কন্ট্রাক্টর জহিরুল ইসলাম। তাঁর ইস্টার্ন হাউজিং, টয়োটা বিল্ডিং মানুষের আলোচনায় থাকত। এরপর নব্যধনীদের ভিড়ে পুরোনো ধনীরা অনেকটা হারিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে কেউ হয়তো নিজের কাজ ও মেধা দিয়ে এবং অনেকেই বিভিন্ন আনুকূল্য ও অনৈতিক সুবিধা ভোগ করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
ধনীদের চাওয়া-পাওয়ার কোনো অন্ত নেই এবং তা নিয়মিত পরিবর্তিতও হতে থাকে। একসময় থাকা, খাওয়া, গাড়ি-বাড়ি এবং ক্লাব আড্ডা ছিল ধনী হওয়ার প্রতীক। পরে এসে তা বিস্তৃত হয়েছে। ধনিক শ্রেণি তাদের ধন-দৌলত সামাল দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে মিডিয়া হাউসের মালিক হওয়া জরুরি মনে করেছে। শুরু হয় প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলিক্ট্রিক মিডিয়ার মালিক হওয়ার প্রতিযোগিতা। ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স কোম্পানির মালিক হওয়ার প্রবণতা আগে থেকেই ছিল। বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই সেগুলোর উদ্যোক্তা হয়েছে। দেখা গেছে কেউ হয়তো একটি ব্যাংকের পরিচালক, আরেক ধনাঢ্য ব্যক্তি আরেক কোম্পানির পরিচালক অথবা একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আছেন। দুয়েকটি পরিবার এমনও ছিল, যাদের দুটি ব্যাংকে স্পন্সরশিপ আছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে সে ধারা পাল্টে গেছে। হঠাৎ করে দেখা গেছে, দেশের সবচে বড় বেসরকারি ব্যাংক, শাখার দিক থেকে বড়, ডিপোজিটরদের টাকার দিক থেকে বড়, রেমিটেন্সের দিক থেকে বড়, সবদিক থেকে যে ব্যাংকের টাকা-পয়সা বেশি, জনসম্পৃক্ততা বেশি- সে ব্যাংকের মালিকানা রাতারাতি বদলি হয়ে গেল। প্রচার করা হল, এই ব্যাংকের শেয়ার অমুক গোষ্ঠী কিনেছে। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে অমুক ব্যক্তি চেয়ারম্যান হয়েছে। এরপর তো চলতেই থাকল। একে একে একটি দুটি তিনটি চারটি পাঁচটি ছয়টি ব্যাংক কিনে ফেলেছে এস আলম গোষ্ঠী। রাতারাতি দেশের বড় বড় ব্যাংগুলোর মালিকানা একটি গ্রুপের কাছে চলে গেল।
এস আলম গ্রুপের বাসের কথা জনগণ আগে থেকে জানত। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তাদের বাস চালু ছিল। কিন্তু তারা দেশের এক, দুই অথবা তিন নম্বর ধনী বলে কেউ ইতিপূর্বে শোনেনি। একটি গ্রুপ হঠাৎ করেই এতগুলো ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিয়ে নিল, রাষ্ট্রযন্ত্র কোনো বাধা দিল না, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও একটি গোষ্ঠীর হাতে লক্ষ লক্ষ জনতার ভাগ্য ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে- সেটাও তারা আমলে নিল না।
ওদের দেখে জনগণ আগেই অবাক হয়েছে। অভিজ্ঞ মহল তখনই অনুমান করেছিল, এই ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হল। আমলীভাবে হয়েছেও তাই। যে ব্যাংক মানুষের টাকা জমা রেখে কুলাতে পারত না, যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ছিল সর্বনিম্ন, সে ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরএম-ও জমা রাখতে পারে না। কোটি কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হচ্ছে। সে ব্যাংক এখন শাখাগুলোকে ঋণ দেওয়া নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
কেন? বুঝতে হবে; এই যে আলাদিনের চেরাগ কথাটা সত্যিকার অর্থেই প্রযোজ্য। রিপোর্টে ওই গোষ্ঠী সম্পর্কে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তার কি কোনো জবাব তারা দিতে পেরেছে? অস্বীকার করতে পেরেছে? বরং আদালতে গিয়ে বলেছে, আমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হোক। তারা তদন্তেই রাজি না। কিন্তু বিদেশে টাকা গেল কী করে? কোটি কোটি ডলার দেশের বাইরে গেল! অথচ এদেশে আইন আছে, মোটা অংকের টাকা বাইরে পাঠাতে হলে সরকারের অনুমোদন নিয়ে পাঠাতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যম হয়ে যেতে হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নথিপত্রে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এখানে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালেই কিন্তু সব হিসাব সহজ হয়ে যায়। একসাথে এত ব্যাংকের মালিকানা, এত এত ব্যাংকের এতগুলো টাকা এবং সবগুলো ব্যাংকই দেউলিায়াত্বে উপনীত হওয়া- এসব কিছু মেলালেই কিন্তু সব সহজে বুঝে আসে।
এখানে আরেকটা কথা বলা দরকার, এস আলমের মালিকানায় যাওয়া সবগুলো ব্যাংকই ইসলামী ঘরানার ব্যাংক। বলা হয়, এসব ব্যাংক শুরু থেকেই শরীয়া মোতাবেক পরিচালিত। শরীয়া ব্যাংকিং নামে তারা ব্যাংকিং করে। এমনিতেই বছর বছর ধরে এদেশের ধর্মীয় শ্রেণির বিশাল অংশ এবং হক্কানী উলামায়ে কেরামের এসব ব্যাংকের কার্যক্রমের ব্যাপারে দুঃখ-কষ্ট রয়েছে। কারণ একদিক থেকে তো তারা এসব ব্যাংকের সবার আগের সমর্থক হওয়া উচিত, তাদের মনও বলে- সমর্থন করা উচিত। কারণ, ধ্বংসাত্মক সুদী অর্থনীতির মোকাবেলায় ইসলামী বাণিজ্য ও ব্যাংকিংব্যবস্থা রহমত হিসেবে আসার কথা। কিন্তু যুগ যুগ থেকে দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাংকগুলো শরীয়া পরিপালনে বরাবরই পিছিয়ে এবং অনাগ্রহী। বর্তমানে শরীয়া পরিপালনের ধারা আরও নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। আগে যেটা দেখা যেত তারা প্রায়োগিক দিক থেকে শরীয়া পরিপালন করছে কম, এখন সেটা কাগজে কলমেও এসে গেছে। প্রায়োগিক দিক থেকে খারাপ অবস্থা তো আছেই। অভিজ্ঞ মহল এগুলো অনেক কষ্টের সাথে দেখে আসছিলেন এতদিন। আমলীভাবে তারা যাই হোক, ইসলামী নাম দিয়ে তারা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন ইসলামী ব্যাংকগুলোর কঠিন অবস্থা। পত্রিকায় কয়েকদিন পরপর প্রচার হয়- এই ব্যাংকগুলো অব্যাহত জরিমানা গুণে যাচ্ছে।
এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার; পুঁজিবাদে ‘ব্যাংকের মালিক’ বলে একটা শব্দ আছে। শব্দটা খুবই বেমানান। পুঁজিবাদ এভাবেই সাধারণ মানুষের টাকা কুক্ষিগত করে। ব্যাংকের আইনে বলা আছে, কেউ তিন পার্সেন্ট শেয়ারের মালিক হলে ডাইরেক্টর হতে পারে। দশজন ডাইরেক্টর হলে তারা ৩০% শেয়ারের মালিক। বাকি ৭০% শেয়ার অন্যের। শেয়ার তো আসল কথা নয়। শেয়ার হোল্ডারদের টাকা তো খুবই সামান্য। চার/পাঁচ শ কোটি টাকা হলে একটি ব্যাংক সরকারি অনুমোদন লাভের যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু একটি ব্যাংকে থাকে কত টাকা। বেশ কয়েক বছর আগেই একা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ডিপোজিটারদের অর্থ এক লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা জনগণের থাকে। তারা কিছুই না। তাদের কোনো প্রভাব খাটানোর সুযোগ নেই। পরিচালনায় তাদের কোনো জায়গা নেই। তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই। তারা মালিক নয়। মালিক হচ্ছে, যারা শুরু করেছে, যারা ডাইরেক্টর, যারা নেতাগিরি করে। এটা সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যাদেরকে ব্যাংকের মালিক বলা হয়- তারা কীসের মালিক। অল্প কিছু টাকা দিয়ে সে মালিক বনে যাচ্ছে আর অন্যের টাকা নিয়ে হেলাফেলা করছে। টাকাগুলো আসলে ডিপোজিটারদের।
যাহোক, এখন এস আলম গ্রুপ মালিক পক্ষ হিসেবে বসে গেছে এই ব্যাংকগুলোতে। তারা এমন কী তেলেসমাতি কারবার ঘটিয়েছে যে, সবগুলো ব্যাংকের অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে। অন্যদিক থেকে তারা হাতে পেয়ে যাচ্ছে আলাদিনের চেরাগ। এসব কিছু সাধারণ জনগণ দেখেই যাচ্ছে। তারা ভাবছে, সামনে তো এস আলম গ্রুপ, পেছনে কে? তাদের তো বলার বা করার কিছুই নেই। আল্লাহ এ জাতির সহায় হোন।
মশা মারতে পারি না, হাসপাতালে শয্যা দিতে পারি না, কবরের খোঁজ দিতে পারি অ্যাপে
ডেঙ্গুর কারণে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে নতুন কবর খুঁড়তে হচ্ছে। মহামারি করোনার পর এখন কবরের চাহিদা তুঙ্গে। কঠিন এ সময়ে সহজ সমাধান নিয়ে এল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গত শুক্রবার উত্তর সিটি কবর ব্যবস্থাপনার ‘স্মার্ট’ ব্যবস্থা উদ্বোধন করে। এ ব্যবস্থায় একজন মানুষ তাঁর স্বজনকে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় খালি জায়গা আছে- সেটা সহজে জানতে পারবেন।
প্রথম আলো, ১২ আগস্ট ২০২৩
# করিতকর্মা মেয়র আতিকের অসাধারণ (!) সাফল্য বটে! তবুও তো তার ভাগ্য ভালো। আগেকার সময়ে মেয়রের নামে নামকরণ করা হত মশাদের। যেমন : হানীফ মশা, আব্বাস মশা, খোকা মশা। এখন অতি করিতকর্মা মেয়ররা হাঁকডাক দেন, এখানে ঢু মারেন, সেখানে ঢু মারেন। মাঝে মাঝে এক বাসায় ছয় ঘণ্টা থেকে জরিমানা করেন। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চান। নিয়মিত হারে নগরের যাবতীয় ফি ও চার্জ গাণিতিক হারে বাড়ানো হলেও নাগরিক সুবিধা থেকে যাচ্ছে যাচ্ছেতাই পর্যায়ে। সামান্য বর্ষণেই রাস্তাঘাট খালে পরিণত হওয়া, বিভিন্ন পর্যায়ে সেবা গ্রহীতাদের অব্যাহত হয়রানী এবং প্রতি বছরই ডেঙ্গু প্রকোপ- এসবের কিছু না করতে পারলেও কবরের তো ব্যবস্থা করতে পারছেন। এ যেন রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনকে বলা যে, নিশ্চিন্তে মরে যান। আমরা আপনার জন্য শেষ ব্যবস্থা করে রেখেছি।
মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে, ব্যাংকে ফেরাতে নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
নির্বাচনের আগে নানা গুজব আসবে। এসব গুজবে ব্যাংকারদের কান না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মানুষের হাতে এখন নগদ টাকা অনেক বেড়ে গেছে। এসব টাকা ব্যাংক থেকে তুলে হাতে রেখে দিয়েছেন গ্রাহকেরা। ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে এটা কোনো স্বাভাবিক চিত্র নয়।
তাই আমানতকারীরা যাতে আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে না নেন এবং হাতে থাকা বাড়তি টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন- সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যাংকারদের নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
প্রথম আলো, ১৭ আগস্ট ২০২৩
# জানি না, কথা হয়তো ঠিক। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন মানুষের এ অনাস্থা? ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা উঠিয়ে নিজের ঘরে রাখতে যাবে কেন? সেটা তো বুঝতে হবে। এটা তো মানুষ তখনই করে যখন মানুষের ব্যাংকের প্রতি, ব্যাংক নিয়ন্ত্রকদের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা থাকে না। যারা ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সুদ খায়, কিংবা যারা ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে মুনাফার নামে খায় তারা ব্যাংকে টাকা রাখে নিরাপত্তার কথা ভেবে। সুদ মুনাফা যাই পাই টাকাটা অক্ষত থাকবে। কোনো ধরনের তসরুফ হবে না। অন্যথায় সে এর চেয়ে বেশি লাভে অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু সে এটা করে না- নিরাপত্তার কথা ভেবে। এই ব্যক্তিটিই কেন ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ঘরে নিয়ে রাখছে? এটা বাংলাদেশ ব্যাংককেও বুঝতে হবে এবং তাদের যেসব ক্ষমতাবানরা নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরও বুঝতে হবে। অনাস্থা তৈরির পেছনে জনগণ দায়ী, না তারা নিজেরা দায়ী?
ইসির অফিস সহায়ক পদ : দেড় কোটি টাকার চুক্তিতে পরীক্ষা না দিয়েই পাস ১৪ প্রার্থী
প্রথম আলো, ১৭ আগস্ট ২০২৩
# যে ইসি জনগণের ভোট ছাড়া ব্যালট বক্স ভর্তি করতে পারে, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বানিয়ে ফেলতে পারে বারবার। সেই ইসির জন্য এটা সামান্য বিষয়। এটা ইসির বাম হাতের খেলা মাত্র! আর পরীক্ষা নিলে দলীয় লোকেরা সুযোগ পাবে কী করে? তখন তো মেধাবীরা এসে যাবে।
মন্তব্য : আবুন নূর
গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান