খবর ... অতঃপর ...
* হঠাৎ বিমানযাত্রীরা দেখলেন সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৮ জুন ২০২৩
# খবরটি দেখেই যে কেউ মনে করবেন, নির্বাচন নিশ্চয় ঘনিয়ে এসেছে।
* আমাদেরও ভিসা নীতি আছে, সবাইকে ভিসা দেই না : পরিকল্পনামন্ত্রী
ইত্তেফাক, ২১ জুন ২০২৩
# বাহ অনেক বাহাদুর তো আমরা! তো ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সেটা তো আমরা জানিয়ে দিতে পারি যে, তোমাদের এখানে কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে জালিয়াতি কাণ্ড করে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে, রাতের অন্ধকারে ভোট নেয়, বিপক্ষের প্রার্থীকে মারধর করে তাহলে তাদের কিন্তু আমরা বাংলাদেশের ভিসা দেব না!
* ক্ষতি সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করছে বিমান বাংলাদেশ
লাভের মুখ না দেখলেও ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় যাত্রী পরিবহন করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনকি যাত্রী পরিষেবার মান এবং আধুনিক বিমানের সংখ্যাও বাড়ছে। সেইসঙ্গে ভারতের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ব্যবস্থাপক আব্দুল জব্বার বলেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, যাত্রীদের প্রতি টিকিট বাবদ বিভিন্ন প্রকার কর দিতেই লাগছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আর টিকিট বিক্রি করতে হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। এছাড়া টিকিট বিক্রির মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সিস্টেম লসের মতো আর্থিক ক্ষতির ঘটনাও রয়েছে।
ক্ষতি সত্ত্বেও বন্ধুপ্রতিম ভারতের সঙ্গে যাত্রী পরিবহন করে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে অন্য রুট থেকে লাভ করে সেই অর্থ কলকাতা-ঢাকা রুটের খরচ তুলছে রাষ্ট্রীয় এই বিমান সংস্থা। এমনটাই দাবি ভারতের নিযুক্ত বিমানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের।
সময় নিউজ.টিভি, ২৪ জুন ২০২৩
# এটাকেই তো বলে বন্ধুত্ব! বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব তো বিগত প্রায় দেড় দশক থেকে এভাবেই চলছে। শুধু নেন আর নেন। বন্ধু যা চায় তাও দেওয়া হচ্ছে। যা চায় না তাও আগ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের কি কম বিমান সংস্থা রয়েছে। আমাদের বিমান সে রুটে চললে বরং তাদের উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর জন্য তা বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়। আর এ প্রথম শোনা গেল, কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধুত্ব রক্ষার খাতিরে লস দিয়ে পরিচালনা করা হয়। জনগণের করের টাকা, কষ্টার্জিত অর্থ মনে হয় বন্ধুকে দিয়ে আসার জন্যই তাদের হাতে দেওয়া হয়। পৃথিবীর বড় বড় সব উড়োজাহাজ সংস্থা, এমনকি দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বল্প সংখ্যক উড়োজাহাজ নিয়ে লাভ করে গেলেও রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়েও বাংলাদেশ বিমান কী কারণে অব্যাহত লস করে যাচ্ছে— তা তো আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রায়োজন নেই। উক্ত কর্মকর্তা যা বলেছেন সেগুলোই কি আসল কথা, না এর পেছনে আরো কথাও রয়েছে।
* নিরাপদ গন্তব্যের খোঁজে বাংলাদেশের অর্থপাচারকারীরা
বিধিনিষেধ ও ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্টে্র বড় অংকের অর্থ গচ্ছিত রাখা এখন আর নিরাপদ মনে করছেন না ধনাঢ্য বাংলাদেশী ও অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের মালিকরা। মার্কিন প্রভাববলয়ের পশ্চিমা দেশগুলো নিয়েও ভরসা কম। এর মধ্যেই আবার চলতি বছরের শুরু থেকেই বিদেশীদের জন্য প্রপার্টিতে বিনিয়োগ কঠিন করে তুলেছে কানাডাও। তীব্র গোপনীয়তার নীতির কারণে বিশ্ববাসীর কাছে গোপন অর্থ সঞ্চয়ের সবচেয়ে নিরাপদ স্থানগুলোর অন্যতম হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ড। এখন সেখান থেকেও বিনিয়োগ সরিয়ে আনছেন বিনিয়োগকারীরা। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। গ্রাহকের গোপনীয়তার নীতির কঠোর অনুসরণ সত্ত্বেও পশ্চিমা বলয়ের দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ডকেও এখন আর নিরাপদ ভাবছেন না— সেখানে গোপনে অর্থ গচ্ছিত রাখা বাংলাদেশীরা।
খাতসংশ্লিষ্টদের সন্দেহ, এসব দেশে পাচারকৃত অর্থ এখন তুরস্ক, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া ইত্যাদির মতো পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশে সরিয়ে আনা হচ্ছে। সরকারি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংক খাতের নির্বাহীসহ বিভিন্ন খাতের দুর্নীতিগ্রস্তদের অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
বণিক বার্তা, ২৫ জুন ২০২৩
# পুঁজিবাদের এই সময় দুনীর্তিবাজেরা এক জায়গা না এক জায়গায় হয়তো পার পেয়েই যাবে। কিন্তু আসলেই কি তারা নিরাপদ হতে পারবে কখনো? না বরং অপরাধ তাদেরকে তাড়া করে বেড়াতেই থাকবে। মনের ভীতি কখনো দূর হবে না। মৃত্যু পর্যন্ত তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ এসকল ভীতি নিয়েই থাকবে। আর মৃত্যুর পর সম্পদগুলোর যেসব চেহারা চোখের সামনে আসবে— তা তো মুখে আনাও ভীতিকর।
* সেন্ট মার্টিন নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন, ২৭ জুন ২০২৩
সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়নি
বণিক বার্তা, ২৮ জুন ২০২৩
# এ খবর প্রচারিত হয়েছে অনেক দিন হল। তো মেনন-ইনুরা কি এখনো ঘুমিয়ে আছেন? যারা সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদে বড় গলায় এমন দাবি করেছিলেন। পরে ইস্যুটাকে মজাদার মনে করে তাদেরকে অনুসরণ করেছেন আরও বড় বড় অনেকে। বিনে কষ্টে এবং জনভিত্তি ছাড়াই সস্ত্রীক এমপিত্ব রক্ষার জন্য বুড়ো বয়সেও এই দুই বাম রাজনীতিক অহরহ মিথ্যা বলে যেতে দ্বিধা করেন না। সেটাই মনে হয় আবার সত্য প্রমাণিত হল। না হয় ম্যাথুমিলারের ওই ঘোষণার পর নিশ্চয় মেনন-ইনুরা এবং সরকার দলের লোকেরা প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়ে যেত। তবে যদি কথাগুলো মেনন-ইনুর মুখ পর্যন্তই সীমিত থাকত, সরকারের পদস্থ লোকেরা না বলত, তাহলে মিথ্যুক কমিউনিস্টরা মিথ্যাবাদী হিসেবে পুনরায় চিহ্নিত হলেও জাতির তো কোনো রকম মুখ রক্ষা হত। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই ঘোষণার পর বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোনো কিছু বলা হয়েছে— এমনটিও শোনা যাচ্ছে না। বরং প্রসঙ্গটি হঠাৎ করে মনে হয় ডুবে গেছে।
* কাঁচামরিচ ৮০০ আদা ৪০০ টাকা কেজি!
যুগান্তর, ৩০ জুন ২০২৩
# উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে এ আর কি বেশি মূল্য? এ নিয়ে খবর করার কী আছে? জনগণের ক্রয়ক্ষমতা তো এখনো অনেক বেশি। অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, কাঁচামরিচ না খেলেই তো হয়। শুকনোমরিচ খান। মরিচের গুঁড়ো খেলেও তো চলে। এটাও বলা যেতে পারে, আপনাদের তো ক্রয় ক্ষমতা আছেই; ৮০০ টাকা করে কিনবেন, অসুবিধা কী!
* সবকিছুর দাম বাড়লেও চামড়ার দাম গত এক দশকে কমে অর্ধেক হলো কেন?
প্রথম আলো, ৩০ জুন ২০২৩
# বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলবেন। তবে অন্যতম একটি কারণ এটিও— চামড়া বিক্রিত অর্থ বেশির ভাগই যায় গরীব-দুঃখীদের খাদ্য ও পুনর্বাসন খাতে। তাই গরীবদের যত ঠকানো যায় ততই তো বড়লোকদের লাভ।
* রাজধানীতে ৩৩৮৮ জনের জন্য একজন ডাকাত
প্রথম আলো, ১ জুলাই ২০২৩
# মসজিদের শহর থেকে এখন ডাকাতের নগরী!
* ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় শতাধিক নিহত
বণিক বার্তা, ২ জুলাই ২০২৩
# সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তো বলেছেন, এবারের ঈদ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হয়েছে। ১১৮ জনের প্রাণহানির পরেও নিরাপদ সড়ক!
* সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি কমছে বাংলাদেশে নয়
বণিক বার্তা, ৪ জুলাই ২০২৩
# এই খবরের সাথে গত ১৬ জুলাই ২০২৩-এ ব্যবসায়ীদের সম্মেলনের খবরটি মিলিয়ে পড়ুন। যেখানে তারা বর্তমান সরকারকে আবারও ক্ষমতায় চেয়ে বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করেছে। যে দেশে একশ্রেণির লোভী ও দুনীর্তিবাজ ব্যবসায়ী লাগামহীন। জনগণের জমাকৃত অর্থ ব্যাংক থেকে নেওয়ার পর যে ব্যবসায়ীদের আর ফেরত দেওয়ার চিন্তা করতে হয় না, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা যেখানে খেলাপি ঋণ হয়, যেখানে হাজার কোটি টাকা কাঁচামরিচের কেজি হয়ে গেলেও জিজ্ঞাসা করার কেউ থাকে না— সে ব্যবসায়ীদের হাতে মূল্যস্ফীতি হবে না তো কমবে? আর সে ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ছাড় দিয়ে যাওয়া এমন সরকারকে হাতছাড়া করতে চাইবে কেন?
* ভারতীয় কৃষিপণ্যের শীর্ষ গন্তব্য বাংলাদেশ
বণিক বার্তা, ৫ জুলাই ২০২৩
# এই কারণেই তো বন্ধুরা যখন চান তখন এদেশের লোক তা সাধারণ দামে ভোগ করে। যখন তারা চান তখন রশি টেনে ধরেন। তখন এখানে দাম বেড়ে যায় অনেক গুণ। কারণ বাংলাদেশ সরকারের মতো এদেশের একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদেরও তাদের সাথে একতরফা বন্ধুত্ব রয়েছে।
* ওপেক সৌদি আরবের উচ্চ পরিমাণে তেল উত্তোলন হ্রাসে স্বাগত জানিয়েছে
আগামী মাস থেকে প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক
আররিয়াদ, ৭ জুলাই ২০২৩
# স্বাগত তো জানাবেই। কারণ এভাবে তেলের মূল্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। তার খেসারত দেবে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ।
* পূর্ণ সিলেবাসে নয়, পুনর্বিন্যাস করে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রথম আলো, ৭ জুলাই ২০২৩
# কারণ দিপু মনির যুগে পড়াশোনা থেকে পরীক্ষার সনদই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লেখাপড়া করলে মানুষ হবে আর পড়াশোনা না করে ডিগ্রি পেয়ে গেলে নেতা হবে, আমলা হবে। এই অদক্ষ হাতগুলো থেকে রিজার্ভ পাচার হবে, কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হবে। এগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ কীসে?
* আগামী নির্বাচন মডেল হবে, প্রত্যাশা রওশন এরশাদের
যুগান্তর, ৭ জুলাই ২০২৩
# হাঁ, যেমনভাবে মডেল হয়েছিল ২০১৪ এবং ২০১৮-এ। তাহলে এবার কি তার চেয়ে আরও ভালো কোনো খবর আসছে? তার চেয়ে আরও উন্নত মডেল? সে মডেলগুলোই তো অনেক উন্নত ছিল। আপনি, আপনার দল, আপনার প্রয়াত স্বামী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যা কিছু দেখিয়েছেন সে দুই নির্বাচনে এবং যে ওসীলায় আপনি এখনো মন্ত্রী পদমর্যাদায়, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসন অলঙ্কৃত করে যাচ্ছেন— সেই মডেলের কথা কি আর বলতে...!
* কলাগাছের ভেলায় করে বাংলাদেশী যুবকের লাশ পাঠালো ভারত
নয়াদিগন্ত, ৭ জুলাই ২০২৩
# বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ লাশটি তো অন্তত ফেরত দিয়েছে! ফেলানির লাশের মতো তারকাঁটায় ঝুলিয়ে রাখেনি। একতরফা বন্ধুত্ব যাকে বলে!
* সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ৯টি, পাকিস্তানের ৩টি, বাংলাদেশের একটিও নেই
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গত বছরের মতো এবারও ৮০১ থেকে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
দ্যা ডেইলি স্টার বাংলা, ৯ জুলাই ২০২৩
# এটাই তো এদেশের শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীলদের তৎপরতা কী তা বুঝিয়ে দেয়। আমাদের এখানকার দীপু মনিরা অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা কী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন— তাদের সংবাদ সম্মেলনের হাল-হাকীকত দেখলেই তো বোঝা যায়। এ থেকেও অনুমান করা যায়— দেশের শিক্ষার কী অবস্থা।
একশ্রেণির শিক্ষকের দলাদলি, দলীয় রজনীতি এবং খাই খাই ভাব দেখলে তো আর বুঝতে বাকি থাকে না— এদেশে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন এত তলানিতে নেমে যাচ্ছে কেন? এককালের প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বহুকাল সুনাম কুড়ানো বুয়েটের কেন এ দুরবস্থা?
* ‘ভাই রে, বুদ্ধি করে তিন টার্ম ক্ষমতায়, এখন সব বুদ্ধি শেষ’ : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল
তিনি বলেন, ‘ভাই রে, তিন টার্ম ক্ষমতায় আছেন বুদ্ধির কারণেই। সাড়ে ১৪ বছর ক্ষমতায় বুদ্ধি খাটিয়েই আছি। এখন সব বুদ্ধি শেষ। এখন বুদ্ধি একটাই, জনগণের কাছে যেতে হবে। হাত-পা ধরতে হবে নৌকায় ভোট চাইতে হবে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মা-বোনদের বোঝাতে হবে।’
ইনকিলাব, ১০ জুলাই ২০২৩
# তিন টার্মের পরে জনগণের কথা মনে পড়ল— সেটাই বা কম কী! ভোট পর্যন্ত মনে রাখলেও জনগণ জানতে পারল, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের কথা মনে রাখেন। তাদেরকে হিসাবে আনেন। নোয়াখালীতে একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘দিন গেল, কাল গেল, ঠাস করি মনে হড়ল।’
* স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর ছেলে-মেয়ের জমি কেনা
সরিয়ে দেওয়া হলো মানিকগঞ্জের ডিসিকে
মানিকগঞ্জে সরকারি একটি ওষুধ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প পাসের আগেই প্রস্তাবিত এলাকায় ২০ একর ৬৫ শতাংশ জমি কিনে নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তাঁর ছেলে-মেয়েরা। এরপর সেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন (ভিটি শ্রেণি) করে নির্দিষ্ট মৌজার জমির সরকারি মূল্য পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়। পরবর্তী সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার শুরুতে জেলা ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির মূল্যায়নে বিষয়টি উঠে আসে। কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানান, প্রস্তাবিত ওই মৌজায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি খরচ হবে।
প্রথম আলো, ১০ জুলাই ২০২৩
# সরিয়ে তো দেওয়া হবেই। এত বড় স্পর্ধা (!) একজন জেলা প্রশাসকের। তিনি ন্যায়সঙ্গত এই সৎকাজটি করতে গেলেন কোন্ সাহসে? তিনি জানেন না, তিনি কোন্ দেশে, কাদের অধীনে কাজ করেন?
* যুবলীগ কর্মীর প্রশ্ন
দিনমজুর থেকে চেয়ারম্যান ‘কোটি কোটি টাকার মালিক’ হলেন কীভাবে
প্রথম আলো, ১১ জুলাই ২০২৩
# কে না জানে, এটা তো আর এক-দুজন চেয়ারম্যান নিয়ে কথা নয়! দুয়েকটি ব্যতিক্রম কোথাও থাকলে থাকতেও পারে। দেশের আনাচে-কানাচে এখন মার্কা পেলে এবং মনোনয়ন পেলেই চেয়ারম্যান! চেয়ারম্যান হওয়ার পর অঢেল সম্পদ ও টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন একেকজন— সেটা তো অজানা কিছু নয়। একজন চেয়ারম্যানের খবর কেন প্রচারিত হয়ে গেছে— আমরা তা জানি না।
একই ধরনের আরেকটি খবর আছে, ‘এমপি হয়েই অঢেল সম্পদের মালিক।’ (যুগান্তর, ১৮ জুন)। খবরটি কক্সবাজারের এক এমপির ব্যাপারে। কোনো সাংবাদিকের বদনজর পড়েছে ওই এমপির ওপর। নাহলে একজন এমপি সাহেব অঢেল সম্পদের মালিক হবেন না তো কে হবেন? ওই সাংবাদিক ভদ্রলোক? সাধারণ জনগণ? দিনমজুর থেকে চেয়ারম্যান কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে পারে, তো একজন এমপি কোটি কোটি কেন আরও কত বেহিসাব টাকার মালিক হয়ে যাবেন— এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো বাংলাদেশের সাধারণ চিত্র।
* বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের জন্য ১৫ শ কেজি আম উপহার পাঠিয়েছেন।
এক্সপ্রেস নিউজ, ১১ জুলাই ২০২৩
# কোথায়, বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে তো মমতা দিদিকে কী পাঠানো হল, ভারতে কী ভোগ দেওয়া হল— ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। শাহবাজ শরীফের জন্য যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আম পাঠালেন সে নিউজ এদেশের গণমাধ্যমে কি কেউ দেখেছেন?
* ভারতের আগ্রহেই রুপিতে বাণিজ্য শুরু : বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথম আলো, ১১ জুলাই ২০২৩
# হাঁ, স্বার্থ যার, আগ্রহ তো তারই বেশি থাকবে!
* একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, বেতন কমল জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের
প্রথম আলো, ১২ জুলাই ২০২৩
# এধরনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এধরনের জঘন্য কাণ্ডে বেতন কমাই কি যথেষ্ঠ? তারা কি চাকরি থেকে বরখাস্তের যোগ্য নয়? আর কত বেইজ্জতি সইতে হবে জাতিকে? বিদেশে যাদেরকে দূতাবাসের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় তাদের কাছে কর্মজীবি নারীরা আসে আশ্রয়ের জন্য আর তারা হয় নির্যাতিতা এদের হাতে। তো এদেরকে অল্প শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলে অবস্থা যে আরও খারাপ হবে— তা তো আর ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই।
* কমলো জ্বালানি তেলের দাম
জনকণ্ঠ, ১৭ জুলাই ২০২৩
# রিপোর্টার নিজের পত্রিকার রেটিং বাড়ানোর জন্যই খবরটি এভাবে লিখেছেন কি না? খবরের শিরোনাম দেখে এবং খবরের সাথে গাড়িতে জ্বালানি তেল নেওয়ার চিত্র দেখে যেকোনো মানুষ ভাববে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। ভেতরে খবর পড়ে দেখা গেল তেমন কিছু না। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমেছে। সে তো কমতেই থাকে। মাঝে মাঝেই কমে। কিন্তু ভবিষ্যতে দাম বেড়ে যেতে পারে— এই আশঙ্কায় এদেশের সরকার আর কমানোর চিন্তা করে না! তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে এদেশে দাম বাড়াতে আর বিলম্ব করা হয় না। আন্তর্জাতিক বাজারে কমার খবর দিয়ে এখানে তেমন ফায়দার কিছু নেই। অথচ তেলের দামের সাথে এদেশের জনজীবনের বহু কিছুরই সম্পর্ক। জ্বালানির দাম বাইরে বৃদ্ধির কারণে যদি বাড়ানো হয় তাহলে কমার সাথে সাথে অবশ্যই কমিয়ে দেওয়া উচিত। বিভিন্ন দেশে বরাবরই সেটা কমানো হয়ে থাকে, কিন্তু এদেশেই ব্যতিক্রম। জনগণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, জনজীবনে, অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী পণ্যের ক্ষেত্রেও সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসা করতে হয়! বড় ধরনের কর আরোপ করতে হয়!
* আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ নেই বাংলাদেশের
প্রথম আলো, ১৭ জুলাই ২০২৩
# অর্থনীতি ঠিক জায়গায় চলছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এসবের বাস্তব নমুনা আরকি।
* ডলার সংকটের প্রভাব এখন পোশাক খাতেও দৃশ্যমান
স্থানীয় ব্যাংকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে সমস্যায় পড়ছেন অনেক রফতানিকারক
বণিক বার্তা, ১৯ জুলাই ২০২৩
# এখন এসব এভাবে দৃশ্যমান হতেই থাকবে। আগে অমুক পুলের তমুক নম্বর পিলার দৃশ্যমান হয়েছে, অমুক ফ্লাইওভারের তমুক নম্বর পিলার দৃশ্যমান হয়েছে— এগুলো রাতদিন পেপার-পত্রিকায় প্রচারিত হত। কিন্তু এখন যা দৃশ্যমান হচ্ছে একে একে— একদিকে ডলার সংকট, আরেকদিকে ব্যবসার পরিস্থিতি খারাপ, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি— এগুলো দৃশ্যমানের খবর খুব কম জায়গাতেই প্রচারিত হচ্ছে। এগুলো বেশি প্রচার পাচ্ছে না। কারণ প্রচারের সাথে যারা জড়িত, তাদের অধিকাংশ লোকই তো সেল্ফ সেন্সরশিপ রোগে আক্রান্ত।
যাইহোক, এই জুলাইয়ের ১৯ তারিখ বণিক বার্তা রিপোর্ট করেছে, ‘স্থানীয় ব্যাংকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে সমস্যায় পড়ছেন অনেক রফতানিকারক।’ শুধু এ রিপোর্টেই না, অনেকদিন থেকে দেশের ব্যবসায়ী মহল এটা বলেই আসছেন, ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পর্যায়ে তাঁরা খুব সমস্যায় আছেন। এমনকি তাদের জমাকৃত ডলারও নিয়ে যাচ্ছে সরকার। ডলার বিক্রি করে দেওয়ার জন্য জোর খাটানো হচ্ছে বিভিন্নভাবে। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছে না— কয়েকদিন আগেও ব্যাংকের এমডিরা এসব অভিযোগ করেছেন। ডলার সংকটও এখন দৃশ্যমান। ডলার সংকটের কারণেই তো আইএমএফের কাছে ধরনা দেওয়া, তাদের শর্ত অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ-কর্ম করা। সাধারণ ব্যবসায়ী— যাদের কারণে দেশের লক্ষ লক্ষ লোকের বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থান হচ্ছে; সে ব্যবসায়ীদের এ কী অবস্থা?
এখান থেকেই বোঝা যায়, কয়দিন আগে কোন্ ব্যবসায়ীরা বলেছে, ‘দেশ উপরের দিকে যাচ্ছে, উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।’
* আফগানিস্তানকে পুরোপুরি বদলে দেয়ায় তালেবান সরকারের প্রশংসায় ব্রিটিশ এমপি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২০ জুলাই ২০২৩
# পশ্চিমা ও তাবৎ ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী যদি এ সরকারকে অসহযোগিতা না করে তাদেরকে ইতিবাচক সমর্থন প্রদান করে তবে এমন আরও ভালো কিছু দেখতে পাবে ইনশাআল্লাহ।
* শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন : ওবায়দুল কাদের
‘বিএনপির দাবি একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না।’
বণিক বার্তা, ২২ জুলাই ২০২৩
# তাই নাকি? তাহলে কি ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে বাংলাদেশ সরকারের ছাপানো সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো সংবিধান আছে? তিনি তো মন্ত্রী। বহু বছরের মন্ত্রী। তিনি কি জানেন না? বোঝা যাচ্ছে, তিনি ভিন্ন কোনো সংবিধান অনুসরণ করেন। বাংলাদেশের সংবিধান কি এতই নিষ্ঠুর যে, একজন সরকার প্রধানকে, একজন প্রধানমন্ত্রীকে তার নিজস্ব প্রয়োজনে অথবা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ইস্তফা দিতে সুযোগ দেয় না? তাঁকে বাধ্য করে— তাঁর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে! আমাদের তো তেমন মনে হয় না। দেখুন, সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদের ১ -এর (ক) -এ লেখা রয়েছে—
“(১) প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি—
(ক) তিনি কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।” তাহলে কাদের সাহেব ‘চরম লঙ্ঘন’-এর ধারাটা পেলেন কোথায়? তারচে অবাক করা কাণ্ড হল, তিনি এ কথা বলেছেন সম্পাদকমণ্ডলীর সভায়। সেখানে কয়জন সম্পাদক তাকে একথার জন্য আপত্তি জানিয়েছেন— আপনি যে কথাটি বলেছেন কয়দিন আগে তা তো সংবিধানে নেই। বরং এর উল্টোটি আছে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে ইস্তফা দিতে পারেন। আসলে সম্পাদকমণ্ডলী কেন আপত্তি জানাবেন; তাদের অধিকাংশই যে নিজেদের বানানো! তারা তো সেল্ফ সেন্সরশিপ নয়; বরং ক্ষমতাবানেরা যা চায় তারা তারচে কয়েক গুণ অগ্রসর হয়ে সমর্থন করা, তাদের পদলেহন করা, কায়েমী স্বার্থ, বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্যই তো মিডিয়া হাউসের মালিক হয়েছেন। তাই এধরনের প্রশ্ন করার সাহসই তো নেই। অন্য দেশে কোনো মন্ত্রী এমন কথা বলে টিকে থাকতে পারত? কোনো দক্ষ সাংবাদিকের কাছে এমন কথা বলে টিকে থাকতে পারত? যাই হোক এটা বাংলাদেশ!
* বাংলাদেশ আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপে ভুগছে : প্রধানমন্ত্রী
দ্যা ডেইলি স্টার বাংলা, ২২ জুলাই ২০২৩
# দেরিতে হলেও স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে : আবুন নূর
গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান