যে লেখা সৃষ্টিশীল, যে লেখা কালজয়ী
আমাদের মনে কত ভাবনা জাগে। কত কথা বলি, কত কথা লিখি। রাতের আঁধারে এবং দিনের আলোতে; জনসমক্ষে এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে কত রকম কাজ আমরা করে চলি। কিন্তু এ ভাবনাটি কি আমাদের চিন্তায় উপস্থিত থাকে যে, আমাদের সবকিছু একজন দেখছেন? সবকিছুর তিনি খবর রাখছেন। কোনো কিছুই যার জ্ঞানের অগোচর নয়। এমনকি মনের গোপন ভাবনা ও চোখের চোরা দৃষ্টিও! আমাদের কি একথা স্মরণ থাকে যে, আমাদের প্রতিটি কথা ও কাজ লিপিবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে? আমাদের প্রতিটি নড়াচড়া, ওঠানামা গভীর মনোযোগে আমাদের সঙ্গে থেকে কেউ পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে? আমার অলক্ষেই আমার জীবন ও জীবনীর এক বিশাল দাস্তান তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আমার লেখা ডায়েরি ও রোযনামচায় কোনো কিছু ছুটে গেলেও, কোনো কথা বাদ পড়লেও সেই দাস্তানে সংরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে আমার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য, প্রতিটি দৃষ্টি ও পদক্ষেপ...।
এ ডায়েরি ও দাস্তান একদিন প্রকাশ করা হবে গোটা মানবজাতির সামনে। সেখানে আমার জীবনচিত্রটি কেমন দেখা আমি পছন্দ করব— সমগ্র সৃষ্টির সামনে? তার চেয়েও বড় কথা, আমার কাজকর্মের কেমন বয়ান ও বিবৃতি আমি শুনতে ও দেখতে পছন্দ করব— স্বয়ং স্রষ্টার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে...? এই ভাবনাগুলো কি আমরা ভাবি— যখন কথা বলছি, কাজ করছি, যখন পৃথিবীর পৃষ্ঠে কদম ফেলে হাঁটছি, যখন এদিক-ওদিক দেখছি, কিছু দিচ্ছি বা নিচ্ছি, কিছু শুনছি বা চিন্তা করছি...?
আমাকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি সময়, যা শেষ হলে অন্তরালের সব জিনিস আমার সামনে হয়ে যাবে উন্মোচিত। পৃথিবীতে আমার আজকের জীবনযাপনের যে নীতি, তার ভুল-ভালো হয়ে যাবে স্পষ্ট। কিন্তু তখন স্পষ্ট হবার অতিরিক্ত ফল আমার ভোগ করার সুযোগ নেই। তখন আর মোর ফিরে তাকাবার অবকাশ নেই। তখনকার উপলব্ধির কোনো প্রাপ্তি নেই। যা কিছু উপলব্ধি করার করতে হবে সময় থাকতে। যা কিছু হিসেব করার করতে হবে হিসেব দেয়ার সময় উপস্থিত হওয়ার আগে। হিসেব করে কথা বলা, হিসেব করে কাজ করা, বে-হিসাব ও লাগামহীন নিশ্চিন্ত চলা ও বলার রাশ টেনে ধরার সময় জীবনসূর্যটা অস্তগত হবার আগ পর্যন্ত। এই ক্ষণিকের ফুরসতে আমার যাপিত জীবনের যে দাস্তান তৈরি হয়ে যাবে, সেটাই আমাকে কাঁদাবে কিংবা হাসাবে। সেটাই আমার মাথা উঁচু করবে কিংবা আমাকে লজ্জায় ডোবাবে। সেই পরম মুহূর্তে আমার চূড়ান্ত পরিণতির বিষয়ে আমি কি সজাগ আছি? সাবধান আছি? সেই সাবধানতার ফলাফল কি প্রকাশ পায় আমার চলাফেরায়, আমার বলা ও লেখায়?
কবিরা কতরকম কথা লিখে যায়। সাহিত্যিকরা কলমের কালি ঝরিয়ে কত বর্ণিল বর্ণমালার মিছিল ছোটায়। আর তাতে কত তৃপ্তির ঢেকুর! পাঠকের কত করতালি! কিন্তু ন্যায়-অন্যায় ও সত্য-মিথ্যার বাছবিচার ছাড়া যা কিছু গড়া হচ্ছে— সর্বোচ্চ বিচারকের সামনে তা যখন উপস্থাপিত হবে তখন এই সাহিত্যকর্ম ও কাব্য-কীর্তির কী হাশর হবে?...
তবে লেখক ও কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন এবং এখনো আছেন এমন মানুষ, যাদের সামনে এসব জিজ্ঞাসা ছিল জ্বলজ্বলে। তাই তারা লিখতে পেরেছেন—
وما من كاتب إلا سيفنى
و يبقي الدهر ما كتبت يداه
فلا تكتب بخطك غير شيء
يسرك في القيامة أن تراه.
সব লেখকই একদিন বিদায় নেবে/বেঁচে থাকবে তার লেখা চিরকাল।
তুমি তা-ই লিখো তোমার হাত দিয়ে/যা দেখে পরকালে হবে খোশহাল।
(কবি আমীন আলজুন্দি, ১১৮০-১২৫৬ হি./ ১৭৬৬-১৮৪০ ঈ.)
তারা এটা লিখতে পেরেছেন; কারণ তাদের হৃদয়ে এ বিশ্বাস ছিল—
وَ مَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ.
তোমরা যা-কিছু কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে বে-খবর নন। —সূরা বাকারা (২) : ৮৫
তারা লিখতে পেরেছেন; কারণ কুরআন কারীমে তারা বারবার পড়েছেন—
وَ اللهُ یَعْلَمُ مَا تُسِرُّوْنَ وَ مَا تُعْلِنُوْنَ.
তোমরা যা গোপনে কর আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা যা প্রকাশ্যে কর তাও। —সূরা নাহল (১৬) : ১৯
وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ وَ نَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهٖ نَفْسُهٗ وَ نَحْنُ اَقْرَبُ اِلَیْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِیْدِ،اِذْ یَتَلَقَّی الْمُتَلَقِّیٰنِ عَنِ الْیَمِیْنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ قَعِیْدٌ، مَا یَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَیْهِ رَقِیْبٌ عَتِیْدٌ.
আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার মন তাকে যে মন্ত্রণা দেয়, সে সম্পর্কে আমি পরিপূর্ণরূপে অবগত। আমি তার গলদেশের শিরা অপেক্ষাও তার বেশি নিকটবর্তী। সেই সময়ও, যখন (কর্ম) লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাদ্বয় লিপিবদ্ধ করে— একজন ডান দিকে এবং একজন বাম দিকে বসা থাকে। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত আছে, যে (লেখার জন্য) সদা প্রস্তুত। —সূরা ক্বাফ (৫০) : ১৬-১৮
তারা যা রচনা করেছেন, এই ভাবনাকে আশ্রয় করেই রচনা করেছেন— আমি যেমন লিখছি, তেমনি লেখা হচ্ছে আমার কথাও। আমি যেমন সেরা সেরা রচনায় আমার কীর্তিসম্ভার গড়ে তুলতে প্রয়াসী ও মনোযোগী রয়েছি, তেমনি সদাপ্রস্তুত বিশ্বস্ত কলমও গড়ে তুলছে আমার কর্ম ও কীর্তির এক নিখুঁত ও নিভুর্ল খতিয়ান।
اِنَّا نَحْنُ نُحْیِ الْمَوْتٰی وَ نَكْتُبُ مَا قَدَّمُوْا وَ اٰثَارَهُمْ ؔ وَ كُلَّ شَیْءٍ اَحْصَیْنٰهُ فِیْۤ اِمَامٍ مُّبِیْنٍ.
নিশ্চয়ই আমিই মৃতদেরকে জীবিত করব এবং তারা যা কিছু অগ্রে পাঠায় তা লিখে রাখি আর তাদের কর্মের যে ফলাফল হয় তাও। এক সুস্পষ্ট কিতাবে প্রতিটি বিষয় সংরক্ষণ করে রেখেছি। —সূরা ইয়াসীন (৩৬) : ১২
তারা আরও পড়েছেন—
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗ، وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ.
সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে। —সূরা যিলযাল (৯৯) : ৭-৮
আমার প্রতিটি বিন্দু-বিসর্গ সংরক্ষিত হচ্ছে এবং তার ফলাফলও একদিন প্রকাশিত হবে— এই বিশ্বাস নিয়ে যারা বলে ও লেখে তারাই সত্যিকার সজাগ, সচেতন ও সাবধান। তারাই আসল ধ্যানী। তারাই বুদ্ধিমান। তাদের কর্মতৎপরতাই সার্থক। তাদের কথার মূল্য পৃথিবীর লোক না দিলেও, তাদের রচনাকে এরা গ্রাহ্য না করলেও তাতে ক্ষতিবৃদ্ধি নেই। কারণ তারা বলেছেন মেপে। লিখেছেন সজ্ঞানে। উচ্চারণ করেছেন পরিণাম চিন্তা করে। ভুল, অন্যায়, অসত্য ও অবাস্তব কথন তারা পরিহার করেছেন সভয়ে। ভালো ও কল্যাণকর যা কিছু বের করেছেন যবান থেকে, তাও ভয়ে ভয়ে— এটা কবুল হবে তো! যবান যিনি দিয়েছেন এটা তাঁর পছন্দ হবে তো! এটা তাঁর সন্তুষ্টি সাধন করতে পারবে তো!
এরাই আসলে মুত্তাকী আর এরাই সফলকাম। কাগজের পাতায় গচ্ছিত এদের ভাব ও ভাবনাই সৃষ্টিশীল এবং এদের শব্দ ও বাক্যই ওজনদার। কারণ এসব ভাব ও ভাবনা ওপার জীবনে গড়ছে তাদের এক নতুন জগৎ। এসব শব্দ ও বাক্য বৃদ্ধি করছে মীযানের পাল্লায় তাদের নেকীর ওজন। এটাই তো সফলতা! এমন সফলতার জন্যই কাজ করে যাওয়া উচিত— যারা কাজ করতে চায়।
আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার চিন্তা এবং তাঁর সন্তুষ্টি বিধানের নিয়ত নিয়ে এরা লিখেছেন বলে তাঁদের লেখা দুনিয়াতেও হয়েছে তাদের জন্য হাসানাহ, পরকালেও হাসানাহ। লিখেছেন আখিরাতের প্রতিদান লাভের আশায়; পেয়ে গেছেন দুনিয়াতেও পুরস্কার। তাদের শব্দমালা আমলনামাকে যেমন করেছে সমৃদ্ধ, তেমনি জগদ্বাসীর জন্যও হয়েছে কল্যাণকর। ফলে তা রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়, যেমন সংরক্ষিত আছে আমলের খাতায়।
এরা আসলে ছিলেন এমন মানুষ, যাদের জীবনে ছিল কথা ও কাজের সমন্বয়। যা বলেছেন সে অনুযায়ী আমলও করেছেন। অন্যকে কিছু বলার আগে নিজেরা তা পালনের অভ্যাস করেছেন। তাদের গোছানো শব্দমালা ছিল তাদের গোছানো জীবনেরই ফলাফল। তারা নিজেদের ভাবনা-চিন্তা, দৃষ্টি ও রুচি নির্মাণ করেছেন— যেভাবে নিমার্ণ স্রষ্টার পছন্দ। তাই তাদের হৃদয় থেকে যা কিছু উৎসারিত হয়েছে এবং কলম থেকে যা কিছু নিঃসৃত হয়েছে তাও পছন্দনীয় হয়েছে মানুষের কাছে। আলোড়িত করেছে হৃদয়বানদের। সচকিত করেছে চিন্তাশীল ও বিবেকবানদের...।
চিন্তাশক্তিকে এরা কাজে লাগিয়েছেন বটে, তবে একেই ভুল-ভালো বিচারের মাপকাঠি বানাননি। মনের কথা তারাও কান পেতে শুনেছেন, কিন্তু মনকে তারা নিষ্পাপ ভাবেননি। তাদের নির্ভরতা ছিল মন ও মস্তিষ্কের স্রষ্টার উপর। তাদের বিশ্বাস ছিল সেই স্রষ্টার বাণীর উপর। তাঁর তরফ থেকে বিচ্ছুরিত দ্যুতিই ছিল তাদের শক্তি। তাঁর আলোক রশ্মিই ছিল তাদের সম্বল। যে শক্তি নিয়ে তারা উঠে দাঁড়িয়েছেন এবং যে সম্বল নিয়ে নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে পথ চলেছেন।
যারা নিজের উদ্ভাবনকে ভাবে সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে ভাবে ইলাহ ও ‘দেবতা’। যারা বস্তুর আড়ালে আর কিছু দেখতে পায় না— এঁরা মোটেই তাদের দলের ছিলেন না। তাই মনযন্ত্রকে এরা অবাধ ছেড়ে দেননি। নিজের কল্পনাশক্তিকেই সবকিছু মনে করেননি; বরং মন ও মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এদের উপর চালিয়েছেন হকের চাবুকাঘাত। যাতে এ দুটো থাকে আল্লাহ ও তাঁর বিধানের অনুগত এবং তারাও থাকেন সীরাতে মুস্তাকীমের উপর অবিচল।
তাই তারা কখনো পথ হারাননি। শয়তান ও নফস-শয়তান তাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারেনি। বিপরীতে, প্রবৃত্তির পূজাকেই যারা মনে করে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিশীলতা; ওহীর স্পর্শবঞ্চিত মন ও মস্তিষ্কের দেওয়া বার্তা ও নির্দেশকেই যারা ভাবে অকাট্য ও অলঙ্ঘনীয়; যাদের প্রবৃত্তির দাসত্বকে শয়তান তাদের কাছে করেছে মোহনীয়; যাদের জীবনব্যাপী সমস্ত চেষ্টা-সাধনা আসলে বেকার ও নিষ্ফল, অথচ তাদের ধারণা— কতই-না শ্রেষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছে তারা... এমন স্থূল, জড়বাদী ও প্রবৃত্তির পূজারীদের জন্য এঁরা করেছেন শুধু আফসোস। এদের তাঁরা এড়িয়ে চলেছেন সচেতনভাবে। এদের মজমা থেকে নিজেদের রেখেছেন দূরে। কারণ আল্লাহ যাদের অন্তর মোহর করে দেন, যাদের কানে ছিপি এঁটে দেন, চোখে টেনে দেন পর্দা— কে আছে তাদের বোঝাবে? কে আছে তাদের হেদায়েত দিতে পারে, এক আল্লাহ ছাড়া?
এই ধ্যানী-সাবধানী লেখকেরা ওহীর ঝরনা থেকে পান করে পূর্ণ করেছেন তাদের হৃদয় ও আত্মা। আলোর প্রদীপের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তাদের জীবনে এনেছেন আলোর বন্যা। তাই এরা পবিত্র ও আলোকিত করতে পেরেছেন শত শত জনপদ ও হাজার হাজার হৃদয়। একেই তো বলে সৃষ্টিশীলতা! যা কিনা মানুষের মনে সঞ্চার করে নবপ্রাণ, ঘটায় তার বোধ-বিশ্বাস, চিন্তা ও চেতনার নতুন নির্মাণ। যা মানবসমাজকে দেখায় কল্যাণকর সৃষ্টির পথ। সমাজে হাজির করে মানববসতির নিরাপত্তাদানকারী মানুষ তৈরির উপাদান। স্রষ্টার উদ্দেশ্যের দিকে সৃষ্টিকে পথ দেখানোই তো সৃষ্টিশীলতা!
যে সত্য আকাশ থেকে পৃথিবীবাসীর উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেন স্বয়ং আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা— তার উচ্চারণ যতবার যতভাবে করা হোক, কখনো তা পুরোনো হয় না; বরং পৃথিবীর প্রতিটি নতুন দিনের মতোই তা চিরনতুন। এই মহাসত্যের উচ্চারণ যারা করতে পেরেছেন, তাদের কলম ধরাই সার্থক। তাদের রচনাই কালজয়ী।
সত্যের এই সাধকেরা ঈমান ও আমলে সালেহ, যিকির ও যিকিরে সজীব হৃদয় এবং যিকরুল্লাহ্র জীবন নিয়ে নেমেছিলেন কাজে। তাই বলতে পেরেছেন কাজের কথা। বাঁচতে পেরেছেন অহেতুক, অসত্য ও প্রলাপ থেকে। তাঁদের মনে ছিল ভয়। ছিল আল্লাহতে আশ্রয়। তাই তারা আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন এবং কালজয়ী রচনা উপহার দিতে পেরেছেন। যে রচনা গোটা ইহকালকে অতিক্রম করে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল! আর তারা লাভ করতে থাকবেন তাদের কর্ম ও কীর্তির ফসল। এটাই সত্যিকার অর্জন, যার জন্য প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত।