আশেকের পরিচয়
শেখ সাদী রাহ. এক বুযুর্গের কিসসা বর্ণনা করেছেন। বুযুর্গ নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং বিভিন্ন নেক আমলে মশগুল থাকতে। এক রাতে তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে উঠলে গায়েবী আওয়াজ আসল, তুমি যত ইবাদতই কর না কেন কোনো কিছুই কবুল করা হবে না। আওয়াজটি এত জোরে হল যে, তার একজন মুরীদও তা শুনতে পেল। বুযুর্গ এতে বিচলিত না হয়ে তাহাজ্জুদ পড়লেন। দ্বিতীয় রাতেও যখন যথারীতি তাহাজ্জুদ পড়তে উঠেছেন তখন তার মুরীদ তাকে বলল, হুজুর! আপনার কি কোনো গায়রত বা অভিমান নেই? আপনার কোনো কিছুই আল্লাহর দরবারে কবুল হচ্ছে না তবুও আপনি সব কাজ করে যাচ্ছেন। বুযুর্গ মৃদু হেসে মুরীদকে বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এ দরজা ছেড়ে আর কোথায় যাব? অন্য কোনো দরজাই তো আর নেই। কাজেই এ দরজাতেই পড়ে থাকি, কবুল হোক বা না হোক। এছাড়া আমার কোনো গতি নেই। বুযুর্গের জবারের মধ্যে যেহেতু পূর্ণ আব্দিয়ত ও গোলামীর বহিঃপ্রকাশ ছিল তাই আল্লাহ তাআলার রহমতের দরিয়ায় জোয়ার এসে গেল এবং তৎক্ষণাৎ গায়েবী আওয়াজ আসল, তোমার সকল ইবাদত কবুল করা হয়েছে।
বস্তুত বান্দার ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। শেখ সাদী বলেছেন, ইয়া আল্লাহ! তুমি আমার দুআ কবুল কর বা না কর আমি দুআ করেই যাব। কখনো নিরাশ হব না।