বিদআত কেন পরিত্যাজ্য
বিদআত পালনে শয়তান খুশি হয়
সুন্নতের শেষফল হল হেদায়েত। তাই সুন্নত পালনে খুশি হন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর বিদআতের শেষফল গোমরাহী। তাই বিদআত পালনে খুশি হয় নফস ও শয়তান। অনুরূপভাবে বিপরীত দিক থেকেও কারো সুন্নত পালন দেখলে শয়তান নাখোশ হয় যেভাবে কারো বিদআত পালন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে নাখোশ বানিয়ে দেয়। মুসলমান এখন নিজেরা ফয়সালা করবে যে, সে কাকে খোশ রেখে কাকে বেজার করবে। কেউ যদি জেনে বুঝেও বিদআত করে এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে নাখোশ বানিয়ে শয়তানকে খুশি রাখতে চায়- সেটা তার বিষয়। কিন্তু এতটুকু নিশ্চিত যে, বিদআত ত্যাগ করা ছাড়া আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।
প্রত্যেক কাজের একটা বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাব সুন্নতের ক্ষেত্রে যেমন পাওয়া যায় বিদআতের ক্ষেত্রেও তেমন। সুন্নত পালন দ্বারা মানুষের দিল তাজা হয়। দিলে রূহানী শক্তি বৃদ্ধি পায়। আমলের শওক ও জযবা বাড়ে। দুনিয়ার মোহ কমে যায়। কবর ও আখিরাতের প্রতি মায়া বাড়ে। পক্ষান্তরে বিদআত পালনের দ্বারা মানুষের নফস তাজা হয়। দিল থেকে রূহানী শক্তি লোপ পেতে থাকে। আমলের জযবা হ্রাস পায়। দুনিয়ার মোহ বাড়ে। কবর ও আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণ তো নয়ই খালিস ইবাদত নামায রোযাও জাগতিক মোহ পূরণের উপকরণে পরিণত হয়ে যায়। বিদআতের রূহানী ক্ষতিকারক এ দিকটির প্রতি নির্দেশ করে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী বলেন, যে কোনো বিদআতকারী প্রকৃত রূহানিয়্যত অর্জন করতে পারে না।
বিদআত শয়তানের অস্ত্র। এই অস্ত্র দ্বারা শয়তান পয়গাম্বরগণের উপর প্রতিশোধ নিয়ে থাকে। যুগে যুগে শয়তান বনী আদমকে গোমরাহ করার চেষ্টা করে আসছে। শয়তানের বানানো গোমরাহীর রাজ্যকে ভেঙ্গে দিয়েছেন যুগে যুগে প্রেরিত পয়গাম্বরগণ। তাতেই শয়তান পয়গাম্বরগণের উপর ভীষণ নাখোশ। পয়গাম্বরগণের মধ্যেও বেশি নাখোশ হল আখেরী পয়গাম্বর হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর। কারণ সায়্যিদুল মুরসালিন শয়তানের নির্মিত শিরক-কুফরকে শুধু দমনই নয়; আরব উপদ্বীপ থেকে সমূলে উৎখাত করেছেন। শিরক ও কুফরের কোমর এমনভাবে ভেঙ্গে দিয়েছেন, যা সোজা করা শয়তানের পক্ষে সুকঠিন। তাছাড়া ঈমান ও আমলের চতুর্দিকে সুন্নতের প্রাচীর প্রতিষ্ঠা করে তাওহীদকে এমন কঠিনভাবে সংরক্ষিত করেছেন যা ইতোপূর্বে কোনো নবী করে যেতে পারেননি। এ সব কারণে শয়তান শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর বেশি নাখোশ। তবে তার কাছে সান্ত¡নার একটি জিনিস আছে। সেটি হল তার দীর্ঘকালীন হায়াত।
শয়তান এ সুযোগকে কাজে লাগায়। সব নবীর ইন্তেকালের পরই শয়তান বিভিন্ন কায়দায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নবীর শিক্ষাকে বিলীন করেছে। উম্মতকে তাওহীদ ও রিসালাতের পথ থেকে সরিয়ে বিদআত ও শিরকের পথে নিক্ষেপ করেছে। তার প্ররোচনায় নবীর উম্মত যখন বিদআতে লিপ্ত হয় তখন সে মানসিক তৃপ্তি বোধ করে। শয়তান তুলনামূলকভাবে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর বেশি নাখোশ বিধায় তাঁর উম্মতকে বিদআতগ্রস্ত বানিয়ে আনন্দবোধও করে তুলনামূলকভাবে বেশি। কোনো মুসলমান যখন বিদআত কর্মে লিপ্ত হয় শয়তানের তখন আনন্দের সীমা থাকে না। এভাবে সমাজ যখন বিদআতের উপর চলতে থাকে তখন সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রতিশোধের ভাষায় বলে, আমাকে আরব থেকে উৎখাত করেছ! দেখে যাও। কেমন প্রতিশোধ নিচ্ছি; কুরআন-কিতাব তোমার অথচ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে আমার ইত্যাদি।
শয়তান অভিজ্ঞ। পৃথিবীর যে কোনো মানুষের তুলনায় তার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সে অবাধ্যতা করেছে হযরত আদম আ.-এর সাথে। তারপর সকল যুগের সকল পয়গাম্বরের সাথে, সহীহ ঈমান ও আমল বিশিষ্ট সকল মুসলমানের সাথে। মানুষেরা সকলে চলে গিয়েছে বা যাচ্ছে কিন্তু শয়তান রয়ে গেছে। সে আছে ও থাকবে। অভিজ্ঞতার বিশাল পাহাড় নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। এমন অভিজ্ঞ শত্রুর হাত থেকে বাঁচা সাধারণ মুসলমানের জন্য কি খুব সহজ? সাধারণ বিচারে তার হাত থেকে বেঁচে থাকা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে স্রষ্টা মহান আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করে এবং তাঁরই নির্দেশনা অনুযায়ী নবীর পথে অটল অবিচল থাকে তবেই শয়তানের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। মুমিনদের সাথে মহান আল্লাহর খাস রহমত বিদ্যমান আছে। তাই এখনো অধিকাংশ মুমিন সুন্নতের উপর অটল রয়েছে। যদি এই রহমত না থাকত তাহলে বহু আগেই তারা বিদআতের আবর্তে দ্বীন ও ঈমান থেকে বঞ্চিত হতে বাধ্য ছিল।
শয়তান অভিজ্ঞ ও চতুর বিধায় বিদআতকে পছন্দ করে। এমনকি স্পষ্ট নাফরমানীর চেয়েও বিদআতর তার কাছে বেশি পছন্দ। কোনো মুসলমান যিনা, ব্যভিচার, খুন-খারাবী করলে সে যতটা খুশি হয় তার চেয়ে বেশি খুশি হয় সুন্নত ছেড়ে বিদআত কর্মে লিপ্ত হলে। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত সুফিয়ান সওরী স্পষ্ট বলেন-
إن البدعة أحب إلى إبليس من المعصية، فإن المعصية يتاب منها والبدعة لا يتاب منها.
‘ইবলীসের নিকট নাফরমানীর চেয়েও বিদআত বেশি প্রিয়। কারণ নাফরমানী থেকে তাওবা করার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু বিদআত থেকে তাওবা করার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।’-শাতিবী, আলইতিসাম ১/১১; ইমাম সুয়ূতী, আলআমরু বিল ইত্তিবা পৃ. ১৯
মুসলিম সমাজে বিদআত চালু করার পেছনে শয়তানের কি জঘন্য মনোবৃত্তি কার্যকর তা হাদীসে স্পর্ষ নির্দেশ করা আছে। ইরশাদ হচ্ছে-
عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إن إبليس قال أهلكتهم بالذنوب فأهلكوني بالاستغفار، فلما رأيت ذلك أهلكتهم بالأهواء فهم يحسبون أنهم مهتدون فلا يستغفرون. رواه ابن أبي عاصم.
‘হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইবলীস বলে, আমি বনী আদমকে বরবাদ করছিলাম তাদেরকে গুনাহে পতিত করার দ্বারা। আর তারা আমার সকল মেহনত বরবাদ করে দেয় ইস্তিগফার করার দ্বারা। যখন দেখলাম আমি ঠকে যাচ্ছি তখন ভিন্ন পদ্ধতি শুরু করলাম। এখন আমি তাদের বরবাদ করছি বিদআতে লিপ্ত করার দ্বারা। তারা এটিকে নেক আমল জ্ঞান করে নিজেদেরকে হিদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করছে। ফলে এখন তারা ইস্তিগফারের চিন্তাও করে না।’
বিদআত জঘন্য কাজ। কিন্তু লোকেরা একে সামান্য বিষয় মনে করে। এটাও শয়তানের কারসাজি। কাজটি সামান্য বলে দেখিয়ে তা সম্পাদনের রাস্তা তৈরি করে শয়তান। তারপর সে কাজের মাধ্যমে সে নিজের মনস্কামনা পূর্ণ করে নেয়। মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের প্রতি স্নেহশীল হয়ে এই কারসাজির কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে-
عن ابن عباس رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب الناس في حجة الوداع فقال : إن الشيطان قد يئس أن يعبد بأرضكم ولكنه رضي أن يطاع فيما سوى ذلك مما تحاقرون من أعمالكم فاحذروا، إني قد تركت فيكم ما إن اعتصمتم به فلن تضلوا أبدا كتاب الله وسنة نبيه. رواه الحاكم
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ভাষণে বলেছেন, শয়তান তোমাদের ভূখণ্ডের মূর্তিপূজা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সম্পূর্ণভাবে নিরাশ থাকে। তবে সে আশাবাদী মূর্তিপূজা ছাড়া অন্যান্য এমন বিদআত কাজ সম্পর্কে যেগুলিকে তোমরা জ্ঞান করবে সামান্য বিষয় বলে। কাজেই সাবধান! সামান্য দেখিয়ে সে যেন তোমাদেরকে বিদআতের অনুসরণ করাতে না পারে। আমি তোমাদের জন্য এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা সে জিনিস দৃঢ়ভাবে ধরে রাখ তাহলে কখনো গোমরাহ হবে না। তা হল মহান আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নত।-মুনযিরী; আতততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস : ৬৩
বিদআত আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট কাজ
গুনাহ ও নাফরমানীর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাফরমানী হল মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা। পবিত্র কুরআনের ভাষায় শিরক সবচেয়ে বড় জুলুম। আল্লাহ জাল্লা শানুহু শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। শিরক ছাড়া অন্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। শিরক ও কুফর মহান আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট বিধায় বিদআতও তাঁর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। কারণ বিদআত হল শিরকের জন্মদাতা। পৃথিবীতে যুগে যুগে যে শিরকের উৎপত্তি ঘটেছে তার সবগুলোই বিদআত থেকে সৃষ্ট। তাই বিদআতের পরিণতি হল শিরক। বিদআত সুন্নতের সংহারক, সুন্নত যা আল্লাহ জাল্লা শানুহুর অতিপ্রিয়- বিদআত তারই বিলুপ্তি সাধনকারী। বিদআত শরীয়ত বিকৃতির গোপন পথ। এই গোপন পথেই শয়তান মানুষকে শিরকের আস্তানায় নিয়ে যায়। এসব কারণে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট কাজ হল বিদআত। সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বিদআতের উপরোক্ত হাকীকত সম্পূর্ণ স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন-
عن عبد الله بن عباس رضي الله عنه قال : إن من أبغض الأمور إلى الله تعالى البدع.
আল্লাহর নিকট যেসব কাজ নিকৃষ্ট বিবেচিত তন্মধ্যে অন্যতম হল বিদআত করা।-ইমাম সুয়ূতী, আলআমরু বিল ইত্তিবা, পৃ. ১৭
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদআত সম্পর্কে সাহাবীগণের অন্তরে এই ভাবধারাই সৃষ্টি করেছেন। ফলত সাহাবীগণের সকলে বিদআতকে বেহদ মন্দ জিনিস ও অতিশয় নিকৃষ্ট কাজ বলে জ্ঞান করতেন। ইরশাদ হচ্ছে-
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنه أنه قال : صلاة السفر ركعتان، من خالف السنة كفر.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সফরের নামায হল দু রাকাত। যে সুন্নতের খেলাফ করল সে যেন কুফরী করল।-আলইতিসাম ১/১০৯
ইমাম শাতেবী বলেন, লক্ষ্যণীয় যে, সাহাবী ইবনে উমর রা. সফরে চার রাকাত বিশিষ্ট নামায দু রাকাত না পড়ে পূর্ণ চার রাকাত পড়াকে কুফরীর মতো মন্দ জিনিস বলে অভিহিত করেছেন। এ থেকে বুঝা যায়, কোনো কাজ যদি নামাযের মতো নিখুঁত ভালো জিনিসও হয় আর সেটা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরীকা মতো সম্পাদিত না হয় তাহলে সে কাজের দ্বারা সওয়াব আশা করা যায় না। বরং সেটি খেলাফে সুন্নত ও বিদআত হওয়ার কারণে সবচেয়ে মন্দ কর্ম বলেও বিবেচিত হতে পারে। গবেষকগণ বলেন, নামায তথা রুকু-সিজদা ইত্যাদি তখনই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে যখন তা সুন্নাহ অনুযায়ী হবে। সে নামাযই আল্লাহর নিকট গৃহীত যা সুন্নাহর মানদ-ে স্বীকৃত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ফরযের দুই রাকাত ফজরের ক্ষেত্রে কেউ যদি তিন বা চার রাকাত পড়ে তাহলে তার নামাযই হবে না। এখানে নামায আদায়কারী দুই রাকাত নামায বেশি পড়া সত্ত্বেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে নামায পড়তে বলেছেন সেভাবে আদায় করা হয়নি। তাছাড়া খেলাফে সুন্নতকে পছন্দ করার মধ্যে প্রকারান্তরে সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন ঘটে। এ কারণে সাহাবীগণ খেলাফে সুন্নতকে কুফরীর মতো খারাপ বলে বোধ করতেন।
খেলাফে সুন্নত কাজ ও বিদআত কাজের ব্যাপারে সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.ও অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করেছেন। নিম্নের হাদীস লক্ষ্যণীয়-
عن ابن مسعود رضي الله عنه ... قال : ولو صليتم في بيوتكم وتركتم مساجدكم تركتم سنة نبيكم ولو تركتم سنة نبيكم لكفرتم.
হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন, তোমরা যদি নিজ নিজ গৃহে নামায পড়তে থাক এবং মসজিদে আসা বাদ দাও তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নত পরিত্যাগ করলে। আর তোমাদের নিজ নবীর সুন্নত পরিত্যাগ করে তার খেলাফ কিছু করা মানে তার সাথে কুফরী করা।