Jumadal Ula 1428   ||   June 2007

চির সাফল্যের পথে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস

মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম

সাফল্য-প্রত্যাশী মানুষ সাফল্যের পথে সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করে এবং যে পথে দ্রুত সাফল্য অর্জিত হয় সে পথ অবলম্বন করে। তারা সাফল্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্ভাবনাগুলোকেও অবহেলা করে না। সর্বোপরি তারা গ্রহণ করে অভিজ্ঞ ও সফল মানুষের পথ-নির্দেশনা। পার্থিব সামান্য ও ক্ষণস্থায়ী সাফল্যের জন্য যখন এই নীতির প্রয়োজন হয়, তখন মানুষের চিরস্থায়ী সফলতার জন্যও এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রশ্ন হল, মানুষের সবচেয়ে বড় সফলতা কী? এ প্রশ্নের উত্তর মহান আল্লাহ নিম্নোক্ত আয়াতে প্রদান করেছেন-

فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَ اُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ.

অর্থ: যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে দাখিল করা হবে সেই সফলকাম। সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫

এই মহা সাফল্য অর্জন করা কি কঠিন? না, কঠিন নয়, বরং এটা অর্জন করা খুবই সহজ। আল্লাহ তাআলা তাঁর অপার করুণায় বান্দার জন্য জান্নাতের অধিকারী হওয়াকে সহজ করে দিয়েছেন এবং তাঁর রাসূলগণের মাধ্যমে জান্নাত লাভের পথ বাতলে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে

وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِیْمًا.

অর্থ: যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তারা অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। সূরা আহযাব, আয়াত  ৭১

তাই রাসূলের আনুগত্যের মাধ্যমে জান্নাতের অধিকারী হওয়া সম্ভব।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে এমন অনেক সহজ আমলের কথাও বলেছেন, যা সাধারণ বিবেচনায় সামান্য মনে হলেও এর মাধ্যমে মহা সাফল্য জান্নাত লাভ করা যায়। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন চল্লিশটি আমল আছে যার কোনো একটির উপর কেউ যদি সওয়াবের আশায় বিশ্বাসের সঙ্গে আমল করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। তন্মধ্যে সর্বোত্তম হল দুধ পান করার জন্য কাউকে বকরী দান করা। সহীহ বুখারী, হাদীস: ২৬৩১

এই হাদীসে সর্বোচ্চ আমলটি চিহ্নিত করা হলেও অন্যগুলোকে অনির্দিষ্ট রাখা হয়েছে, যাতে মানুষ কোনো ক্ষুদ্র আমলকেও তুচ্ছ ভেবে পরিত্যাগ না করে। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু জুরাই আলহুজাইমী রা. বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললাম, আমরা একটি বেদুঈন গোত্র, আমাদেরকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যার দ্বারা আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাত দান করবেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোনো ভালো কাজ তুচ্ছ ভেবে ছেড়ে দিও না। হোক তা কাউকে রশির একটি টুকরা দান করা বা নিজের পাত্র থেকে অন্যের পাত্রে কিছু পানি ঢেলে দেওয়া, কিংবা মুসলিম-ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা বা নিঃসঙ্গ বিষণ্ণ ব্যক্তিকে সঙ্গ দিয়ে তার বিষণ্ণতা দূর করা অথবা মূল্যহীন একটা জুতার ফিতা দান করা। সুনানে নাসায়ী-কুবরা, হাদীস ৯৬৯৪

বস্তুত আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টই সবচেয়ে বড় জিনিস। তিনি যেমন সমুদ্র পরিমাণ গোনাহ থাকা সত্ত্বেও ক্ষুদ্র একটি ভালো কাজের  উপর সন্তুষ্ট হয়ে জান্নাত দিতে পারেন, তেমনি উহুদ পাহাড়সম নেকী থাকা সত্ত্বেও একটি গোনাহের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে জাহান্নামেও নিক্ষেপ করতে পারেন।

এক হাদীসে  নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মুসাফির পথ চলতে চলতে প্রচণ্ড পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েছিল, কিছুক্ষণ পর সে একটি কূপ দেখতে পেল এবং তাতে নেমে পানি পান করে উপরে উঠে এল। এমন সময় সে দেখল যে, একটি কুকুর পিপাসায় অস্থির হয়ে সেখানে এসেছে। লোকটি ভাবল, এই প্রাণীটিও পিপাসায় আমার মতোই কষ্ট পাচ্ছে। তখন সে তার পায়ের চামড়ার মোজা খুলল এবং কূপে নেমে মোজায় পানি ভরে মোজাটি মুখে নিয়ে উপরে উঠে এল এবং কুকুরটাকে পানি পান করাল। আল্লাহ তাআলা তার এ কাজে এত সন্তুষ্ট হলেন যে, তাকে ক্ষমা করে দিলেন এবং জান্নাতে দাখিল করলেন। সহীহ বুখারী হাদীস: ২৩৬৩, সহীহ মুসলিম হাদীস: ২২৪৪

অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিপাসার যন্ত্রণায় মৃতপ্রায় একটি কুকুর একটা কূপের চারপার্শ্বে চক্কর দিচ্ছিল। কুকুরটির এ অবস্থা দেখে বনী ইসরাইলের একজন ব্যভিচারিনী নারী নিজের পায়ের মোজা খুলল এবং তা দিয়ে পানি উঠিয়ে কুকুরটাকে পান করাল, আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সে জান্নাতী হয়ে গেল। বুখারী হা. ৩৪৬৭; মুসলিম হা. ২২৪৫

অন্যদিকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন মহিলা শুধু এই জন্য জাহান্নামী হয়েছে যে, সে একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে অনাহারে হত্যা করেছিল। সে নিজেও বিড়ালটিকে কিছু খেতে দেয়নি আর তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। সহীহ বুখারী ২৩৬৫, ৩৪৮২

সুতরাং কোনো ভালো কাজের সুযোগ পেলে সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা যেমন জরুরি তেমনি মন্দ কাজ ক্ষুদ্র হলেও তা পরিহার করা জরুরি। কেননা, একটি মাত্র অপকর্ম মানুষকে জাহান্নামের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করতে পারে। অন্যদিকে একটি মাত্র ভালো কাজ মানুষকে নিয়ে যেতে পারে চির সুখের  নিবাস জান্নাতে।

আসুন হাদীসের আলোকে এরূপ কিছু নেক কাজের আলোচনা করি এবং সেগুলোর উপর আমল করে জান্নাত লাভের চেষ্টা করি।

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা

১. হযরত আবু হুরাইবা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি জান্নাতে এক ব্যক্তিকে এই জন্য আনন্দ ভোগ করতে দেখেছি যে, সে রাস্তা থেকে মুসলমানদের জন্য কষ্টদায়ক একটি বৃক্ষ কেটে ফেলেছিল। সুহীহ মুসলিম হা.২৬১৮

২. হযরত আবু শাইবা হারাবী রহ. বলেন, একদা মুয়ায রা. এক ব্যক্তির সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন মুআয রা. রাস্তা থেকে একটি পাথর সরিয়ে ফেললেন। লোকটি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করল জনাব, আপনি এটা কেন করলেন? মুআয রা. বললেন, আমি  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক পাথর সরিয়ে ফেলবে তার জন্য একটি নেকী লেখা হবে,আর যার একটি নেকী থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মুজামে কাবীর তবারানী, হাদীস ১৯৮

মসজিদ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা

৩. আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বের করে ফেলবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন। সুনানে ইবনে মাজা, হা. ৭৫৭

অসুস্থকে দেখতে যাওয়া

৪. হযরত আলী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলমান যদি সকালে কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দুআ করতে থাকে। আর যদি সন্ধ্যায় দেখতে যায় তাহলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দুআ করতে থাকে। আর জান্নাতে তার জন্য প্রচুর পরিমাণ ফল থাকবে। সে ইচ্ছামতো সেখান থেকে পেড়ে পেড়ে খাবে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস ৯৬৯

পরিশোধ সময়মতো, তাগাদা নম্রভাবে

৫. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ব্যক্তি জান্নাত লাভ করেছে এই জন্য যে, সে ঋণগ্রস্ত হলে গড়িমসি না করে সময়মতো ঋণ আদায় করে দিত, আর অন্যের নিকট ঋণ পাওনা হলে নম্রভাবে চাইত এবং মানুষের সামনে তাকে লজ্জিত করত না। মুসনাদে আহমদ, হাদীস: ৬৯৬৩

দোষত্রুটি গোপন রাখা

৬. আবু সাইদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন, কোনো মুমিন যদি অপর ভাইয়ের কোনো দোষ দেখে এবং সেটা গোপন রাখে, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। মুজামে আউসাত, তবারানী, হাদীস : ১৫০৩

বালাখানাগুলো কাদেরকে দেওয়া হবে

৭. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বালাখানা আছে, যার বাহির থেকে ভেতরের এবং ভেতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যায়। আবু মালিক আশআরী রা. জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে এই বালাখানার অধিকারী হবে ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি নরম স্বরে সুন্দরভাবে কথা বলবে, ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়াবে এবং মানুষ যখন ঘুমে বিভোর থাকে তখন নামাযে মগ্ন থাকবে সে-ই এই বালাখানার অধিকারী হবে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ৬৬১৫

হাতে ধরে জান্নাতে নেওয়া হবে

৮.আবু কাসীর সুহায়মী রহ.-এর পিতা বলেন, আমি আবু যর রা.কে বললাম, আমাকে এমন একটা আমল বলে দিন যার উপর আমল করলে বান্দা জান্নাতে দাখিল হতে পারে। আবু যর রা. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তখন তিনি বলেছেন, আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর ঈমান আনবে। আমি বললাম, ঈমানের সাথে অন্য কোনো আমল করতে হবে না কি? তিনি বললেন, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ থেকে দান করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, সে যদি দরিদ্রতার কারণে দান করতে না পারে তাহলে কী করবে? তিনি বললেন, সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজে বাঁধা দিবে। আমি বললাম, যদি সৎকাজের আদেশ দেওয়া ও অসৎকাজে বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে কী করবে? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নির্বোধ-অক্ষম ব্যক্তির কাজ করে দিবে। আমি বললাম, সে নিজেই যদি এমন অক্ষম হয় যে, সুন্দরভাবে কোনো কাজ করতে না পারে, তাহলে কী করবে? তিনি বললেন মজলুমের সাহায্য করবে। আমি বললাম, সে যদি মজলুমের সাহায্য করার শক্তি না রাখে তাহলে কী করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অন্তত মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এটুকু করলে কি জান্নাত লাভ করতে পারবে? তখন তিনি বললেন, কোনো মুসলিম যদি উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোনো একটার উপর আমল করে তবে তার হাত ধরে  জান্নাতে দাখিল করা হবে। সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস: ৩৭৩

বিপদগ্রস্ত মুমিন ভাইকে সান্ত্বনা দিলে

৯. আমর ইবনে আস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুমিন যদি কোনো বিপদগ্রস্ত মুসলিম ভাইকে সান্ত্বনা প্রদান করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তাআলা তাকে সম্মানের পোষাক পরিধান করাবেন। সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস; ১৬০১

নিরাপদে জান্নাতে যাওয়ার আমল

১০. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরত করে মদীনায় পৌঁছলেন, তখন মানুষেরা তাঁর নিকট ভিড় জমাল। আগত লোকদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমি যখন গভীর দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকালাম তখন আমার বুঝতে বাকি রইল না যে, এটা কোনো মিথ্যাবাদীর চেহারা হতে পারে না। তখন তাঁর মুখ থেকে প্রথম যে কথাগুলো শুনতে পেলাম তা এই যে, হে লোকসকল, তোমরা সালামের প্রচলন কর, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ এবং রাতে মানুষ যখন নিদ্রায় মগ্ন থাকে তখন তোমরা নামাযে নিমগ্ন থাক। (এগুলো করলে) তোমরা নিরাপদে নিশ্চিন্তে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২৩২৭২; তিরমিযী, হাদীস : ২৪৮৫

এধরনের আরো হাদীস রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার  তাওফীক দান করুন। আমীন।

 

advertisement