খবর ... অতঃপর ...
* গায়েবি কোম্পানি হাজার কোটির আমদানি : ১২৪টির হিসাব জব্দ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
# প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীতের ভাষায় বললে—হাজার কোটি টাকা কিছুই না, রাবিশ। একদিকে ডলারের জন্য হাহাকার অন্যদিকে ভুয়া পরিচয়ে পাচার। দেশের অর্থনীতির বারোটা তো এমনিতেই বাজেনি।
* বাংলাদেশ অচিন্তনীয় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি : বিশ্বব্যাংক এমডি
মানবজমিন, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
# যদিও আমরা মুখে ও হাবভাবে এমন ভান করছি, আমাদের কোনো সমস্যাই নেই।
* সেতু নির্মাণ ও পরিকল্পনায় অসঙ্গতি তুলে ধরলেন ডিসিরা
যুগান্তর, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
# আসলে সেতু এবং পারাপার, জনগণের সুযোগ-সুবিধার চেয়েও মুখ্য বিষয় কিন্তু অন্যটি। সেটি হল, বাজেট হবে, বাজেট বাড়বে, সময় বাড়বে, টাকা আসবে এবং বিভিন্ন পকেটে টাকা যাবে। এসব সাধিত হলে পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তরই বটে।
* একসঙ্গে দুই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন তিনি!
মানবজমিন, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
# যেহেতু এটা বাংলাদেশ।
* চীনের কাছে লাদাখের ২৬ টহল পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ভারত
প্রথম আলো, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
# দেখা যাক, পরাশক্তি হয়ে ওঠা দুই দেশের লড়াই কোথায় গিয়ে গড়ায়।
* সমকামিতা অপরাধ নয়, বললেন পোপ ফ্রান্সিস
প্রথম আলো, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
# পোপ মহোদয়কে আর কী বলব? তিনি যাদের ধর্মগুরু তাদের অধিকাংশেরই যে কাহিল অবস্থা! এমন কথা না বলে তিনি আর করবেনই বা কী?
* শেয়ারের দরপতনে ১১০০ কোটি ডলার খোয়ালেন আদানি
প্রথম আলো, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
# যেমন আয় তেমন ব্যয়। এটাকে পুরোনো যুগের বাংলায় বললে বলতে হবে, যে দরে কেনা ওই দরে বেচা। টাকাগুলো এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুকূল্য পেয়ে। আদানিকে মনে করা হয় মোদির বিশেষ বন্ধু। একে একে ভারতের বিভিন্ন ব্যবসা—বাণিজ্যের পর এখন ভারতে সবচেয়ে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক এনডিটিভিও কিনে নিয়েছেন এই ব্যক্তি। এরপর এল পতনের এ খবর।
* উইঘুরদের নিয়ে এ কেমন রিপোর্ট দিল ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিল?
সম্প্রতি চীনের জিনজিয়াঙে উইঘুর মুসলিমদের জীবনযাপন পরিদর্শন করেছে ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের ৩০ জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কলার আলি রশিদ আলনাউমি।
অবাক করার বিষয় হল তারা উইঘুরদের পরিদর্শন শেষে মন্তব্য করেছেন, ‘জিনজিয়াঙের উইঘুর মুসলিমরা বেশ ভালো আছেন। ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে তাদের কোনো বাধা নেই। তারা বেশ ভালোভাবে ধর্ম উপভোগ করছেন।’
যুগান্তর, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
# ইহুদী ও ইসরায়েলের বন্ধুদের থেকে এরচেয়ে বেশি কী আশা করা যায়? আপনজন থেকে যাদের কাছে প্রিয় হচ্ছে, ইহুদী—নাসারা। তারা নিজ ভাই—বোনদের, নিজ ধর্মের লোকদের অন্যের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি কীভাবে অনুভব করবে।
* আফগান রাজস্ব সংগ্রহ ও রফতানি শক্তিশালী হয়ে উঠছে : বিশ্বব্যাংক
নয়া দিগন্ত, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
# শেষ পর্যন্ত অল্প হলেও স্বীকার করে নিল বিশ্বশক্তি।
* বিমানের পাঁচ কোটি টাকার সফটওয়্যার কাজে আসেনি
সমকাল, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩
# কিছু কাজে তো এসেছে। এ সফটওয়্যার কেনা বেচার মাধ্যমে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছু লোকের পকেট ভারি হয়েছে। একেবারে কাজে লাগেনি— তা তো বলা যাবে না। বহু জায়গাতেই দর কষাকষি, কেনাকাটাই মুখ্য থাকে। কাজ ও সেবার ভাবনা দুই নম্বরে থাকে। যেটা একটু আগে আমরা ডিসিদের মুখেও শুনতে পারলাম।
* মানহীন শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বেকার বাড়ছে : রাষ্ট্রপতি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
# যাই হোক বিদায়ের মুহূর্তে আমরা মাঝে মাঝে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের কাছ থেকেও এরকম নীতিবাক্য শুনে থাকি। এখন বিদায়ের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি মোহম্মদ আব্দুল হামীদও একটি চরম সত্য স্বীকার করে গেলেন। যিনি কিনা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা চ্যন্সেলর। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি প্রধান অভিভাবক। তিনি এটা স্বীকার করে গেছেন। যদিও এদেশের শিক্ষামন্ত্রী হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন, জোর করে মানাতে চাচ্ছেন অনেক কিছু। তা সত্ত্বেও দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আযার্চ কিন্তু বলে দিয়েছেন আসল সত্যটি।
* দেশে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২১ ব্যক্তির
বণিক বার্তা, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# কেন জানি আগের যুগের সেই ২২ পরিবারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল পুরো দেশের সিংহভাগ অর্থনীতি। সেই আবার একুশ ব্যক্তির হাতেই সম্পদের নিয়ন্ত্রণ।
* ব্যাংক খাতে বড় সংস্কার চায় আইএমএফ
পাঁচ মাসে বাস্তবায়ন করতে হবে ৬ শর্ত
যুগান্তর, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# শর্ত যত কঠিনই হোক বাস্তবায়নের ওয়াদা করে ঋণ তো নিতেই হবে। কারণ, আমরা যত বড় কথাই বলি না কেন, দেশে যে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে তাতে তো কোনো সন্দেহ নেই। এটার প্রাথমিক সমাধানই হচ্ছে আইএমএফের ঋণ। এই আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে জনগণের ওপর কত যে খড়্গ পড়বে! যেখানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের নাভিঃশ^াস দশা সেখানে ঋণের ফলে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে থাকবে।
* শিক্ষায় উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে, বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
বাংলা ট্রিবিউন, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# যেহেতু এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা তাই এখানে কিছু বলার নেই। আসলে বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে তো আমাদের রাষ্ট্রপতিই বলে দিয়েছেন। একসময় তো এমন কোনো পাবলিক পরীক্ষা যায়নি, যার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। বিশ্বের সেরা পাঁচশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে কি না— সেটাও একটা দেখার বিষয়। সাত-আট শর পরে গিয়ে কারও নাম পাওয়া যেতে পারে। যেসব দেশ হিমশিম খাচ্ছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সাত শ’র ভেতরে আছে। আমরা এর ভেতরেও নেই। এতে আসলে বলার কিছু নেই। এছাড়া এবার যে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তুলকালাম ঘটে গেল। বইয়ের মধ্যে চৌর্যবৃত্তি, ধর্মবিদ্বেষ, ইতিহাসবিকৃতিসহ যাবতীয় কাণ্ড পাওয়া গেল! দুটি বই প্রত্যাহারও করা হল। শিক্ষাবর্ষের দুই মাস ইতিমধ্যে চলে গেছে। বছর ১২ মাসে। তার মধ্যে আরও দু-তিন মাস যাবে নতুন বই আসতে। এই মাসগুলো কে ফিরিয়ে দেবে? শিক্ষার মান, অগ্রগতি ও অবনতি বোঝার জন্য আর কী কী সূচক আছে সেটা আমরা জানি না।
* আদানির সঙ্গে চুক্তি নানা প্রশ্ন
দেশের বিশিষ্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমত উল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হবে ২৫০ ডলারে। কিন্তু এখন শুনছি ৪০০ ডলারে কয়লা কিনতে হবে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এতে জনগণের বারোটা বাজাবে সরকার। আন্তর্জাতিকভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে নিরুৎসাহিত করা হলেও বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কার স্বার্থে?
মানবজমিন, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# শুধু এতটুকুই নয়, নতুন করে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ অন্যান্য সংবাদপত্রে দেখলাম, ‘ক্যাপাসিটি চার্জে আদানি নেবে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।’ বুঝতে হবে, কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে বাজেট ছিল এর চেয়ে কম। চলতি বছরের যে বাজেট চলছে তার পরিমাণ ৬ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমাদের বাজেটের প্রায় ২০ পার্সেন্ট। এটা হল, ক্যাপাসিটি চার্জ। এটা কিন্তু মূল্য নয়। মূল্য আলাদা। ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে আলাদা। বিদ্যুৎ না নেওয়া হলেও তাদেরকে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। কয়লার জন্য দিতে হবে ৪৫ শতাংশ বেশি দাম। সংকটেও অর্থ পরিশোধ করতে হবে মার্কিন ডলারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিদ্যুৎ চুক্তি ভয়াবহ ‘বৈষম্যমূলক’।
এ রিপোর্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনের (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) অনলাইন সংস্করণ থেকে নেওয়া। এমনি এমনিতেই তো জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি রাখঢাক করেননি। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আদানির সঙ্গে আলোচনা ‘প্রাইভেট’, প্রকাশ্যে আনা যাবে না’ (মানবজমিন, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। গণতন্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার দাবি করা একটি সরকারের চুক্তি জনগণ থেকে গোপন থাকবে এবং অর্থ জনগণ থেকে পরিশোধ করা হবে— এ থেকেই বোঝা যায়, ডাল মে কুচ কালা না থাকলে কি আর চুক্তি প্রাইভেট থাকে? এটি বোঝার জন্য বিশদ বর্ণনার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
* বিশ্বকে বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি : বিল গেটস
যুগান্তর, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# বিশ্বকে বদলে দেওয়ার আগে অন্তত তাদের ভাগ্য তো আগে বদলে দিচ্ছে। বিল গেটস মাইক্রোসফটের ব্যবসা থেকে যা কামিয়েছেন তো কামিয়েছেনই। এখন ভাবছেন, ফেসবুক, টুইটার তো আরও বেশি কামিয়ে ফেলছে সুতরাং তিনিও ওই ধরনের কাজ হাতে নিয়েছেন। তাদের ভাগ্য হয়তো আরও সুপ্রসন্ন হবে। কিন্তু বিবেকবান মানুষেরা কি চিন্তা করে দেখেছেন, এগুলোর প্রসারের কারণে মানব সম্পদের মাঝে বেকারত্ব তৈরি হওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সেটার আগে থেকে কোনো সমাধান করে রেখেছে। এই ধরনের প্রজেক্টগুলো বেশি অগ্রসর ও প্রসারের ফলে অসংখ্য শিক্ষিত লোক বেকারত্বের পথে যদি হাঁটতে শুরু করে তখন কী হবে পৃথিবীর?
* দুই বই প্রত্যাহার ও তিনটি সংশোধনের ঘোষণা
সমালোচনার মুখে পিছু হটল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
কমিটির তদন্ত শুরুর আগেই সিদ্ধান্ত
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ নামের বই দুটি প্রত্যাহার, তবে একই বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ সংশোধন সাপেক্ষে পড়ানো হবে।
যুগান্তর, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
# তবুও ভালো যে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, কিছুটা সংশোধিত হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে! তবে অল্প সংশোধন যথেষ্ট নয়। যে বিশাল ক্ষত তৈরি করা হয়েছে এ বছরের শিক্ষা কারিকুলামে সে সবকিছুই সংশোধন করতে হবে। যে চৌর্যবৃত্তির বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এসেছে সেগুলো সংশোধন হওয়া তো উচিতই, সেইসঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। যারা এদেশের মানুষের প্রাণের ধর্ম ইসলামের অবমাননা এবং সিলেবাসে ইসলামবিদ্বেষের উপাদান ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াটাও সময়ের দাবি।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, একদিক থেকে তো বই প্রত্যাহার করা হয়েছে আরেক দিকে দেখা যাচ্ছে, দিপু মনি মহোদয়া হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ধর্মব্যবসায়ী বলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে গালি দিচ্ছেন। এ ভদ্র মহিলাকে এমন দুঃসাহস কে দিল? নিশ্চয় সরকারের উপর মহল থেকে দেওয়ার কথা না। উপর মহল থেকে এমন আশকারা দিয়ে থাকলে তো বই প্রত্যাহার হত না। তার মুখেও লাগাম লাগানো উচিত। এ বইগুলো আর কত পৃষ্ঠার। উচিত তো ছিল বইগুলো তার দেখার পর ছাপতে দেওয়া। যার এতটুকু মুরোদ নেই, সে আবার ধর্মপ্রাণ মানুষকে হেঁটে হেঁটে গালমন্দ করেন, হুমকি-ধমকি দেন। তার মন্ত্রণালয়ের কারণে সরকার বিব্রত হয়েছে, বই প্রত্যাহার করতে হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছে। এগুলো সর্বোচ্চ মহল থেকে দেখা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে।