দরূদ ও সালাম : গুরুত্ব, ফযীলত ও আমল
দরূদের কিছু মাছূর শব্দ-বাক্য
[এই প্রবন্ধে প্রায় সব হাদীসই ‘সহীহ’ বা ‘হাসান’। কিছু বর্ণনা এমন, যেগুলোর সনদে সামান্য দুর্বলতা আছে, যা আমলযোগ্য ও বর্ণনাযোগ্য হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়।
মাওলানা সাঈদ আহমদ -যীদা মাজদুহুম- মাশাআল্লাহ সব হাদীসই হাওয়ালাসহ লিখেছেন।
যেসব কিতাবের হাওয়ালা দেখেই বোঝা যায় যে, এই কিতাব থেকে উদ্ধৃত হাদীসটি ‘সহীহ’ বা ‘হাসান’, সেসব কিতাবের কোনো হাদীস উল্লেখ করার পর আলাদাভাবে তার হুকুম বা সনদগত মান বর্ণনা করা হয়নি। আর যেসব কিতাবের হাওয়ালা দেখে এমনটা বোঝা যায় না, সেসব কিতাবের হাওয়ালায় কোনো হাদীস উদ্ধৃত হলে সেখানে ‘সহীহ’ শব্দ লিখে দেওয়া হয়েছে।
এর অর্থ হল, পারিভাষিকভাবে হাদীসটি সহীহ বা হাসান পর্যায়ের। ওরফে ‘সহীহ’ শব্দটি উভয় প্রকারের হাদীসকেই বোঝায়।
যে কয়েকটি রেওয়ায়েতের সনদে সামান্য দুর্বলতা আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে লেখা হয়েছে ‘সালিহ লিলআমাল’। অর্থাৎ এই রেওয়ায়েতটি আমলযোগ্য ও বর্ণনাযোগ্য।
-বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক]
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
দুই.
দরূদ শরীফ পড়ার বিশেষ কিছু ক্ষেত্র
দরূদ শরীফ অতীব বরকতময়, তবে খুবই সহজ ও সাধারণ একটি আমল, যা সর্বদা ও সর্বাবস্থায় করা যায়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের কোনো শর্ত নেই। মসজিদে, ঘরে, কর্মস্থলে, চলাফেরায় এমনকি যানবাহনে; সকাল-বিকাল, দিন-রাত, প্রভাত-সন্ধ্যা- সবসময় ও সবখানে আমলটি করা যায়। সালাত ও সালাম যত বেশি পড়া হবে, ততই বরকত ও কল্যাণ লাভ হবে। আমলনামায় যোগ হবে প্রভূত আজর ও পুরস্কার।
তবে বিভিন্ন হাদীসে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রের উল্লেখ রয়েছে এবং তাতে দরূদ শরীফ পড়ার বিশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তা পড়তে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। তাই ব্যাপকভাবে এবং বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ তো পড়বেই, সেইসাথে এসব ক্ষেত্রে দরূদ পড়ার প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়াই একজন মুমিনের কর্তব্য।
নিম্নে এ ধরনের কিছু ক্ষেত্র উল্লেখ করা হচ্ছে। জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে সাধারণ স্তরের যয়ীফ হাদীসও গ্রহণযোগ্য। এজন্যই আমরা এখানে এমন কিছু ক্ষেত্রেরও বর্ণনা এনেছি, যার সাথে সংশ্লিষ্ট হাদীসগুলো যয়ীফ, তবে অনেক বেশি দুর্বল নয়।
১. দুআর শুরুতে (আল্লাহর হামদের পরে) দরূদ শরীফ পড়া। এক হাদীসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন দুআ করবে, তখন প্রথমে আল্লাহর হাম্দ ও ছানা তথা আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করবে, অতঃপর আমার প্রতি দরূদ পড়বে। তারপর ইচ্ছানুযায়ী দুআ করবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪৭৮; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১২৮৪ (সহীহ)
ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এভাবে দুআ করলে তা কবুল হওয়ার অধিক আশা করা যায়। -মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, হাদীস ১৯৬৪২; মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস ৮৭৮০ (সহীহ)
২. জুমার দিন অধিক পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়া। একাধিক হাদীসে নবীজীর ইরশাদ বর্ণিত হয়েছে যে, জুমাবার হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। সুতরাং এই দিনে অধিক পরিমাণে দরূদ পড়ো। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬১৬২; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৪৭; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯১০)
৩. আযানের পর প্রথমে দরূদ শরীফ পড়বে, অতঃপর আযানের প্রসিদ্ধ দুআটি পড়বে। (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২৩)
৪. সকালে দশবার ও সন্ধ্যায় দশবার দরূদ শরীফ পড়া। একটি হাদীসে এই আমল করলে নবীজীর শাফাআত লাভের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। [দ্র. আস্সালাতুন নববিয়্যাহ, হাদীস ৬১; জিলাউল আফহাম, পৃ. ১২৩, ৪৯৫ (সহীহ)]
৫. মসজিদে প্রবেশের সময় এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দরূদ পড়া। [দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৪১৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩১৪; জিলাউল আফহাম, পৃ. ৪৪৯ (সহীহ)]
৬. যে ব্যক্তি চিন্তা-পেরেশানীর সময় অধিক পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়বে, এর বরকতে আল্লাহ তাআলা সকল পেরেশানী দূর করে দেবেন। [দ্র. জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৬২০) (সহীহ)]
৭. কোথাও নবীজীর নাম লিখলে তাঁর নামের সাথে দরূদ শরীফ লিখবে ও পড়বে। কোনো কোনো হাদীসে এর বড় ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। [দ্র. আখবারে আসফাহান, ২/৭৫; জিলাউল আফহাম, পৃ. ৪৮৫; আলকাওলুল বাদী‘, পৃ. ৩৪২, ৪৫৯-৪৬২ (সালিহ লিল আমাল)]
তাছাড়া নবীজীর নামের উল্লেখ হলে দরূদ পড়ার যে ফযীলত তা তো বলাই বাহুল্য। আর তাঁর নাম লেখাও নিঃসন্দেহে এর অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই আহলে ইলমগণ এক্ষেত্রে দরূদ লেখার ও পড়ার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন।
৮. ওযুর পর দরূদ শরীফ পড়ার কথাও কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে। অর্থাৎ প্রথমে প্রসিদ্ধ দুআটি পড়বে, তারপর দরূদ পড়বে। [দ্র. জিলাউল আফহাম, পৃ. ৫০৩; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৩৪২ (সালিহ লিলআমাল)]
৯. কোনো কিছুর কথা ভুলে গেলে বা কোনো বিষয় বিস্মৃত হলে দরূদ শরীফ পড়তে থাকবে। এর বরকতে তা স্মরণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। [দ্র. জিলাউল আফহাম, পৃ. ৫০৬; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৪২৭ (সালিহ লিলআমাল)]
১০. কোনো গোনাহ হয়ে গেলে তাওবা-ইস্তেগফার করবে। এর সাথে সাথে দরূদ শরীফও পড়বে। কারণ, হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, দরূদ শরীফের বদৌলতে গোনাহও মাফ করা হয়। [দ্র. সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১২৯৭; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯০৪; আলকাওলুল বাদী‘, পৃ. ৪২৯)]
তিন.
সালাত ও সালামের কিছু মাছূর শব্দ-বাক্য
প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত ও সালামের (দরূদ শরীফের) ফযীলতই শুধু বর্ণনা করেননি, বরং তিনি (সাহাবীগণের প্রশ্নের উত্তরে) দরূদ শরীফ কীভাবে পড়তে হবে তাও বাতলে দিয়েছেন এবং সালাত-সালামের বিভিন্ন শব্দ-বাক্য উম্মতকে শিখিয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন হাদীসে কারো পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াও (দরূদ শরীফের) অনেক শব্দ-বাক্য বর্ণিত হয়েছে।
মোটকথা, হাদীস শরীফে একদিকে দরূদ শরীফের অসাধারণ ফযীলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে; অপরদিকে বহু হাদীসে দরূদের অনেক শব্দ-বাক্যও উল্লেখিত হয়েছে। উম্মতের আলেম ও মুহাদ্দিসগণ সংশ্লিষ্ট কিতাবসমূহে উভয় প্রকারের হাদীস সংকলন করেছেন। এভাবে আমরা কুরআন-হাদীসের মাধ্যমে দরূদ শরীফের ফযীলত ও মর্যাদা, গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে যেমন জেনেছি, তেমনি খোদ হাদীস-ভাণ্ডারেই আমরা সালাত-সালামের অনেক অনেক বরকতময় শব্দ-বাক্য লাভে ধন্য হয়েছি। নিশ্চয় এ আমাদের উপর আল্লাহর বড় অনুগ্রহ।
এখানে বিভিন্ন হাদীস থেকে সালাত-সালামের কিছু শব্দ-বাক্য উল্লেখ করা হচ্ছে; যাতে পূর্বোক্ত হাদীসসমূহে দরূদ শরীফের যেসব মহান ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তা আমরা দরূদের মাছূর শব্দ-বাক্য দ্বারা অর্জন করতে পারি।
উল্লেখ্য, অন্যান্য দুআর মতোই দরূদের মাছূর শব্দমালার বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে। এসব শব্দ-বাক্যে যে ‘নূর ও বরকত’ আশা করা যায়, তা অন্য শব্দাবলিতে আশা করা যায় না। তাই হাদীসসমূহে উল্লেখিত সালাত ও সালামের শব্দ-বাক্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি।
হযরাতুল উস্তায দামাত বারাকাতুহুম ‘তাসাওউফ : তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ’ কিতাবে লেখেন- ‘যিকির ও দুআর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত ও সালাম পাঠানো; যাকে আমরা ‘দরূদ পাঠ’ করা বলে থাকি। এ দরূদের গুরুত্ব ও ফযীলত কারো অজানা নয়। কুরআন-হাদীসের আলোকে দরূদের উপর যেসব গ্রন্থাবলি রচিত হয়েছে, সেগুলোর শুধু নাম-তালিকার জন্যেও প্রয়োজন স্বতন্ত্র গ্রন্থের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দয়া-অনুগ্রহ যে, তিনি সাহাবীদের আবেদন-নিবেদনে অথবা আবেদন-নিবেদন ছাড়াই আমাদেরকে দরূদ শরীফের শব্দ-বাক্য শিখিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আফসোস! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষা এবং তাঁর শেখানো শব্দ ছেড়ে আমরা দরূদে তাজ, দরূদে মাহী, দরূদে তুনাজ্জিনা, দরূদে ফতূহাত, দরূদে শিফা, দরূদে খাইর, দরূদে তাযিয়াত, আরো নাম না জানা কত দরূদই না বানিয়েছি (!) এসব দরূদের কোনো কোনোটির কিছু শব্দ এমন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে পরিহারযোগ্য। আবার কোনোটি বর্জন করা ওয়াজিব। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো দরূদ শরীফসমূহ বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে সংরক্ষিত আছে। তাছাড়া ভিন্ন কিতাব আকারেও তা বিদ্যমান আছে ।’ -তাসাওউফ : তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ, পৃ. ১১৩-১১৪
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও আমরা শুধু সহীহ ও হাসান হাদীসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিনি; বরং সনদের দিক থেকে সাধারণ যয়ীফ, তবে শাস্ত্রীয় বিচারে আমলযোগ্য- এমন কিছু হাদীসের শব্দাবলিও উল্লেখ করেছি। এই শব্দমালা ওইসব শব্দ-বাক্য থেকে অধিক মর্যাদার দাবিদার, যা আমলযোগ্য কোনো হাদীসেই বর্ণিত হয়নি। আর এখানে সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে বর্ণিত কয়েকটি শব্দ-বাক্যও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর পরিমাণ খুব কম। সংখ্যাগরিষ্ঠ শব্দমালা মারফূ হাদীস থেকেই নেওয়া হয়েছে। সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে বর্ণিত দরূদের শব্দগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্ই তাওফীকদাতা।
দরূদ শরীফের মাছূর শব্দ-বাক্য
১. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ
عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি রহমত নাযিল করুন যেমন আপনি রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মর্যাদাবান।
ইয়া আল্লাহ! হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মর্যাদাবান। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩৭০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪০৬; জিলাউল আফহাম, পৃ. ১২ (২); আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১০৩
২. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ،وَّأَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন এবং কিয়ামত দিবসে তাঁকে সমাসীন করুন আপনার নৈকট্যপ্রাপ্ত আসনে। -আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ৪৪৮০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬৯৯১; ফাদলুস সালাত, হাদীস ৫৫; মুসনাদে বায্যার, হাদীস ২৩১৫; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১০০ (১০৭); মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৭২৫৯ (সহীহ)
৩. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّآلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى
إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ.
ইয়া আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আ.-এর উপর। এবং বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ও তাঁর পরিবাবর্গের উপর, যেমনিভাবে বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ. ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৫৮; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৯০৩; জিলাউল আফহাম, পৃ. ১৭
৪. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ، وَصَلِّ عَلٰى الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ،وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ
ইয়া আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং সকল মুমিন ও মুসলিম নর-নারীর প্রতি। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯০৩; আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৬৪০; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৩৫২
৫. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى
آلِ إِبْرَاهِيْمَ فِي الْعَالَمِيْنَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর বংশধরদের উপর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আ.-এর বংশধরদের উপর। আর বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরদের উপর, যেমনিভাবে বরকত নাযিল করেছেন সমগ্র জগতে ইবরাহীম আ.-এর বংশধরদের উপর। নিঃসন্দেহে আপনিই প্রশংসিত, মহিমান্বিত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪০৫; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪৯৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৯৫৯; জিলাউল আফহাম, পৃ. ৪ (১)
৬.اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ، وَأَزْوَاجِهٖ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْنَ، وَذُرِّيَّتِهٖٖ وَأَهْلِ بَيْتِهٖ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ
مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন এবং তাঁর স্ত্রীগণ-উম্মাহাতুল মুমিনীনের উপর, তাঁর সন্তান-সন্ততি ও নিকটাত্মীয়দের প্রতিও; যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আ.-এর পরিজনদের প্রতি। আপনি নিশ্চয়ই অতি প্রশংসনীয়, মহা মহীয়ান। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৯৮২; সুনানে কুবরা, বাইহাকী ২/১৫১; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১১৭ (সালিহ লিলআমাল)
৭.اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلَاةِ النَّافِعَةِ، صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَارْضَ عَنْهُ رِضًا لَا سَخَطَ بَعْدَهُ
হে আল্লাহ! হে এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও কল্যাণকর সালাতের পরওয়ারদেগার। আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং সন্তুষ্ট হয়ে যান তাঁর প্রতি এমনভাবে, যার পর হতে পারে না কোনো অসন্তোষ। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৪৬১৯; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নী, হাদীস ৯৬; আলমুজামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস ১৯৬; জিলাউল আফহাম, পৃ. ৪৪৪ (৩৯১) (সালিহ লিলআমাল)
৮. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ،
كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ، وَتَرَحَّمْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا تَرَحَّمْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ.
ইয়া আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেমনটি বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেমনটি নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। অনুগ্রহ নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেমনটি করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৬৪১; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১১২ (সহীহ)
৯. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا بَارَكْتَ
عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমনটি করেছেন ইবরাহীম আ.-এর পরিবারবর্গের প্রতি। আর বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি, যেমনটি নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.-এর পরিবারবর্গের প্রতি। আপনি প্রশংসিত, অতি মহীয়ান। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪০৭; জিলাউল আফহাম, পৃ. ১ ৫ (৪)
১০.اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدِنِ
النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! উম্মী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমনটি করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের প্রতি। আর বরকত নাযিল করুন উম্মী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি, যেমনটি নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.-এর পরিবারবর্গের প্রতি। আপনি প্রশংসিত, অতি মহীয়ান। -সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ৭১১; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৯৮১; জিলাউল আফহাম, পৃ. ৭ (১)
১১. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ
وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমনটি করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসনীয়, মহীয়ান। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেমনটি করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত। -সুনানে নাসায়ী, ৩/৪৮; সুনানে কুবরা (নাসায়ী), হাদীস ১২১৪; মুসনাদে বায্যার, হাদীস ৯৪২; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১৯ (৯) (সহীহ)
১২.اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَرَحْمَتَكَ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، وَأُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِيْنَ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ،
إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! আপনার দয়া ও রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, তাঁর স্ত্রীগণ-উম্মাহাতুল মুমিনীন ও সন্তানদের প্রতি, যেমন রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের প্রতি। নিঃসন্দেহে আপনি প্রশংসিত, মহীয়ান। -আলকামিল, ইবনে আদী ৩/৩৪৪; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ২৫ (১৪) (সালিহ লিলআমাল)
১৩. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ وَبَارَكْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ وَآلِ إبْرَاهِيْمَ، إنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
ইয়া আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর এবং বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর, যেমন রহমত ও বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, মহীয়ান। -আলমুদাওওয়ানাতুল কুবরা, সুহনূন, ১/১৫৯; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৪৩৪ (৩৭৬) (টীকা) (সালিহ লিলআমাল)
১৪. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّسَلِّمْ
হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন। -মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদীস ১৬৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৪১৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩১৪; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৪৪৯ (৪০২); নাতাইজুল আফকার ১/২৮৩ (সালিহ লিলআমাল)
১৫. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ
হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ করুন। -সুনানে নাসায়ী ৩/৪৯; সুনানে কুবরা (নাসায়ী), হাদীস ১২১৬ (সহীহ)
১৬. اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَبَرَكَاتِكَ عَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا جَعَلْتَهَا عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
হে আল্লাহ! আপনার রহমত ও বরকত দান করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গকে, যেরকম দান করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গকে। আপনি নিঃসন্দেহে অতি প্রশংসিত, মহীয়ান। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৮৭২৬; ফাদলুস সালাত, হাদীস ৬৫; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১৩১ (১৬৩); আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১০৪ (সহীহ)
১৭. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَأَهْلِ بَيْتِهٖ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
হে আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত। -ফাদলুস সালাত, হাদীস ৬৪; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১৩১ (১৬২); আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১০৪ (সহীহ)
১৮. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى أَهْلِ بَيْتِهٖ، وَعَلٰى أَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ
مَّجِيْدٌ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى أَهْلِ بَيْتِهٖ،وَأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ও আহলে বাইতের উপর এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানাদির উপর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের উপর এবং ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের উপর। নিঃসন্দেহে আপনি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
এবং আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ও তাঁর আহলে বাইতের উপর এবং তাঁর পত্নীবর্গ ও বংশধরের উপর, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের উপর এবং তাঁর পরিবারের উপর। নিঃসন্দেহে আপনি চিরপ্রশংসিত মহাগৌরবান্বিত। -মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, হাদীস ৩১০৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩১৭৩; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১১৪ (সহীহ)
১৯. اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ
আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক হে নবী! এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৩১
২০. اَلسَّلاَمُ عَلٰى النَّبِيِّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ
শান্তি বর্ষিত হোক নবীজীর উপর এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত। -মুয়াত্তা মালেক, তাশাহ্হুদ অধ্যায়
২১. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ، وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ وَّأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى
آلِ إبْرَاهِيْمَ، وَبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ وَّأَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إبْرَاهِيْمَ فِي الْعَالَمِيْنَ، إنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন আপনার বান্দা, আপনার রাসূল, উম্মী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির উপর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর।
এবং আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির উপর, যেমন আপনি গোটা জগতে বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের উপর ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। -আলমাজমু‘, নববী ৪/৫৪০; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১৪৯
বি. দ্র. উক্ত পাঠটি কয়েকটি হাদীস থেকে রচিত : সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩৫৮ ও ৬৩৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪০৫; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ৭১১
২২. اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ
ইয়া আল্লাহ! আপনি রহমত ও প্রশান্তি অবতীর্ণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর। -আলআযকার নাববী, পৃ. ১৭৭; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৪০০ (সালিহ লিলআমাল)
২৩.صَلّى اللهُ عَلٰى النَّبِيِّ وَسَلَّمَ
রহমত ও শান্তি অবতীর্ণ হোক নবীজীর উপর। -নাতাইজুল আফকার, ইবনে হাজার ১/২৮৩ (সহীহ)
২৪. اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، وَّبَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ وَبَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَآلِ
إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
হে আল্লাহ! আপনি রহমত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারের উপর। এবং বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। যেমন আপনি সালাত ও বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর। নিঃসন্দেহে আপনি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। -শরহু মুশকিলিল আসার, হাদীস ২২৪০; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ২৭ (১৭) (সহীহ)
২৫.اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত নাযিল করুন, যেমন রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের উপর।
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের উপর। -সুনানে কুবরা, নাসায়ী, হাদীস ৯৭৯৬; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১০২ (১১১) (সহীহ)
২৬. اَلسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، وَاغْفِرْ لَنَا وَسَهِّلْ لَنَا أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ্র প্রতি। হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি। আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ সহজ করে দিন। -ফাদলুস সালাত, হাদীস ৮২ (সালিহ লিল আমাল)
২৭. صَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ
আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৭৪৬ (সহীহ)
২৮. হযরত আবু বকর রা.-এর দরূদ-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَنَبِيِّكَ وَحَبِيْبِكَ وَأَمِيْنِكَ وَخَيْرَتِكَ وَصَفْوَتِكَ بِأَفْضَلِ مَا صَلَّيْتَ بِه عَلى أَحَدٍ مَّنْ خَلْقِكَ اَللّهُمَّ وَاجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَمُعَافَاتِكَ وَرَحْمَتِكَ عَلى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ وَخَاتَمِ النَّبِيِّيْنَ وَإِمَامِ الْمُتَّقِيْنَ مُحَمَّدٍ قَائِدِ الْخَيْرِ وَإِمَامِ الْخَيْرِ وَرَسُوْلِ الرَّحْمَةِ.
হে আল্লাহ! রহমত বর্ষণ করুন আপনার নবী ও রাসূল, প্রিয়তম ও বিশ্বস্ত, নির্বাচিত ও মনোনীত বান্দা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। এমন রহমত, যা আপনার মাখলুকের মধ্যে যে কারও উপর নাযিলকৃত রহমতের চেয়ে উত্তম। হে আল্লাহ! আপনার অবারিত রহমত, অসীম ক্ষমা, অনুগ্রহ ও বরকত দান করুন সকল রাসূলের সর্দার, সর্বশেষ নবী, মুত্তাকীদের ইমাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে, যিনি কল্যাণ সঞ্চালক, মঙ্গলের পথিকৃৎ ও রহমতের অগ্রদূত। -ইহইয়াউ উলূমুদ্দীন ৯/৪০০; ইতহাফু সাদাতিল মুত্তাকীন ১০/৩০২
২৯. (আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর দরূদ-১)
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ، وَرَحْمَتَكَ، وَبَرَكَاتِكَ عَلٰى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ، وَإِمَامِ الْمُتَّقِيْنَ، وَخَاتَمِ النَّبِيِّيْنَ، مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ، إِمَامِ الْخَيْرِ، وَقَائِدِ الْخَيْرِ، وَرَسُوْلِ الرَّحْمَةِ، اَللّٰهُمَّ ابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا، يَغْبِطُهٗ بِهِ الْأَوَّلُوْنَ وَالْآخِرُوْنَ، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
ইয়া আল্লাহ! আপনার দয়া, রহমত ও বরকতের বারিধারা বর্ষণ করুন সকল রাসূলদের সর্দার, মুত্তাকীদের ইমাম, সর্বশেষ নবী, আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যিনি ছিলেন কল্যাণের পথিকৃৎ, মঙ্গল সঞ্চালক ও রহমতের অগ্রদূত।
ইয়া আল্লাহ! তাঁকে দান করুন এমন প্রশংসিত মাকাম, যা দেখে ঈর্ষা করবে আগে-পরের সকলেই।
হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি, যেমনটি বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি সুপ্রশংসিত মহীয়ান।
হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি, যেমনটি নাযিল করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি। নিঃসন্দেহে আপনি প্রশংসনীয়, মহিমান্বিত। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৯০৬; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ৮৫৯৪; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৫২৪৫; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৫৪ (৪২); আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১২৬ (সহীহ)
৩০. (আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর দরূদ-২)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ.
ইয়া আল্লাহ, আপনি উম্মী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত বর্ষণ করুন। -আত্তারগীব ওয়াত্ তারহীব, কিওয়ামুস্ সুন্নাহ, হাদীস ১৬৫৪; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৮৮ (৮২); আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৩৭৯ (সহীহ)
৩১. (আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর দরূদ)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ؛ أًفْضَلَ مَا صَلَّيْتَ عَلٰى أَحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ أجْمَعِيْنَ.
হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত বর্ষণ করুন- এমন রহমত, যা আপনার সমস্ত মাখলুকের প্রতি আপনার নাযিলকৃত রহমতসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম। -আলই‘লাম, নুমাইরী, বর্ণনা ১৯৩ (সনদ সালিহ)
৩২. (হাসান বসরী রাহ.-এর দরূদ-১)
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَبَرَكَاتِكَ عَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا جَعَلْتَهَا عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ، وَمَغْفِرَةُ اللهِ وَرِضْوَانُهٗ، اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ مُحَمَّدًا مِّنْ أَكْرَمِ عِبَادِكَ عَلَيْكَ، وَمِنْ أَرْفَعِهِمْ عِنْدَكَ دَرَجَةً، وَأَعْظَمِهِمْ خَطَرًا، وَأَمْكَنِهِمْ عِنْدَكَ شَفَاعَةً، اَللّٰهُمَّ أَتْبِعْهُ مِنْ أُمَّتِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ مَا تَقِرُّ بِهٖ عَيْنُهٗ، وَاجْزِهٖ عَنَّا خَيْرَ مَا جَزَيْتَ نَبِيًّا عَنْ أُمَّتِهٖ، وَاجْزِ الأَنْبِيَاءَ كُلَّهُمْ خَيْراً، وَسَلَامٌ عَلٰى المُرْسَلِيْنَ وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ العَالَمِيْنَ.
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের উপর রহমত ও বরকত অবতীর্ণ করুন, যেমন তা অবতীর্ণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, গৌরবান্বিত।
হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত-বরকত, আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি অবতীর্ণ হোক।
হে আল্লাহ, আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আপনার কাছে সবচে সম্মানিত বান্দা ও সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত এবং সর্বাধিক মাহাত্ম্যের অধিকারী এবং আপনার কাছে সুপারিশে সবচে বেশি অগ্রগামীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আল্লাহ, তাঁর পরে তাঁর উম্মত ও পরিবার-পরিজনের মধ্যে দান করুন এমন বিষয়, যা দ্বারা তাঁর চক্ষু শীতল হবে। এবং আমাদের পক্ষ থেকে তাঁকে দান করুন সর্বোত্তম প্রতিদান, উম্মতের পক্ষ থেকে নবীকে আপনি যে প্রতিদান দিয়ে থাকেন।
নবীদের সকলকে আপনি দান করুন উত্তম প্রতিদান। রাসূলদের উপর বর্ষিত হোক সালাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক। -আলই‘লাম, নুমাইরী, হাদীস ৯৮; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১২২ (সহীহ)
৩৩. (হাসান বসরী রাহ.-এর দরূদ-২)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَّعَلٰى آلِهٖ وَأَصْحَابِهٖ، وَأَوْلَادِهٖ، وَأَهْلِ بَيْتِهٖ، وَذُرِّيَّتِهٖ، وَمُحِبِّيْهٖ، وَأَتْبَاعِهٖ، وَأَشْيَاعِهٖ، وَعَلَيْنَا مَعَهُمْ أَجْمَعِيْنَ، يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.
হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবার, সাথীবর্গ, সন্তানাদি, আহলে বাইত এবং তাঁর বংশধর, তাঁকে মহব্বতকারী, তাঁর অনুসরণকারী এবং তাঁর দলভুক্ত সকলের উপর। তাঁদের সাথে আমাদের সকলের উপরও- হে সকল দয়াময়ের দয়াময়! -আলই‘লাম, নুমাইরী, হাদীস ৯৯; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ১২২ (সনদ সালিহ)
৩৪. (তালহা ইবনে মুসাররিফ রাহ.-এর দরূদ-১)
سَلاَمٌ عَلٰى مُحَمَّدٍ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَلاَمٌ عَلٰى الْمُرْسَلِيْنَ، وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ.
শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি এবং সকল প্রসংশা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। -আলই‘লাম, নুমাইরী, বর্ণনা ৩৩০ (সহীহ)
৩৫. (তালহা ইবনে মুসাররিফ রাহ.-এর দরূদ-২)
أَدْعُوْ اللهَ وَأَدْعُوْ الرَّحْمٰنَ، وَأَدْعُوْكَ بِأَسْمَائِكَ الْحُسْنىٰ كُلِّهَا، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ: أَنْ تُصَلِّيَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰىآلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ،إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، وَالسَّلَامُ عَلَيْهِ وَرَحْمَةُ اللهِ.
আমি আল্লাহর কাছে দুআ করছি, রহমানের কাছে দুআ করছি, আপনার কাছে আপনার সকল সুন্দর নামের মাধ্যমে দুআ করছি। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আপনি পবিত্র। রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের উপর। নিঃসন্দেহে আপনি প্রশংসিত, গৌরবান্বিত। তাঁর উপর নাযিল হোক সালাম ও আল্লাহর রহমত। -আলই‘লাম, নুমাইরী, হাদীস ১৪১; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৩৫৫ (সহীহ)
৩৬. (আলকামা রাহ.-এর দরূদ)
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، وَصَلَّى اللهُ وَمَلَائِكَتُهٗ عَلٰى مُحَمَّدٍ.
আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক হে নবী! এবং বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত ও বরকত। আর আল্লাহ তাআলা রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর ফিরিশতাগণ রহমত বর্ষণের দুআ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। -মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, হাদীস ১৬৬৯; জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ১৩৬ (১৭৩) (সহীহ)
৩৭. (আবু জাফর বাকির রাহ.-এর দরূদ)
اَللّٰهُمَّ رَبَّ الْحِلِّ وَالْحَرَمِ، وَرَبَّ الْبَلَدِ الْحَرَامِ، وَرَبَّ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ، وَرَبَّ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ، بِحَقِّ كُلِّ آيَةٍ أَنْزَلْتَهَا فِيْ شَهْرِ رَمَضَانَ، بَلِّغْ رُوْحَ مُحَمَّدٍ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنِّيْ تَحِيَّةً وَّسَلَامًا.
হে আল্লাহ, হে হিল ও হারামের প্রতিপালক, সম্মানিত শহরের প্রতিপালক, রুকন ও মাকামে ইবরাহীমের প্রতিপালক, মাশআরে হারামের প্রতিপালক- রমযান মাসে আপনি যতগুলো নিদর্শন অবতীর্ণ করেছেন সবগুলোর ওসীলায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রূহে আপনি আমার পক্ষ থেকে শুভাশিস ও শান্তি পৌঁছে দিন। -জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৫১৬-৫১৭ (সহীহ)
৩৮. (জাফর সাদিক রাহ.-এর দরূদ)
اَللّٰهُمَّ وَأَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهٗ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهٖ فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، وَأَسْأَلُكَ بِالِاسْمِ الْأَعْظَمِ الْأَعْظَمِ الْأَعْظَمِ، الَّذِيْ إِذَا سُئِلْتَ بِهٖ كَانَ حَقًّا عَلَيْكَ أَنْ تُجِيْبَ، أَنْ تُصَلِّيَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ.
আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি- আপনার যাবতীয় নামের ওসীলা দিয়ে, যা আপনিং আপনার কিতাবে বলেছেন বা আপনার সৃষ্টির কাউকে শিখিয়েছেন অথবা আপনার কাছে অদৃশ্যের জ্ঞানে তা গুপ্ত রেখেছেন এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সুমহান সুমহান সুমহান নামের ওসীলায়, যার ওসীলায় আপনার কাছে চাওয়া হলে সাড়া দেওয়া আপনি আবশ্যক করে নিয়েছেন- আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবারের উপর শান্তি বর্ষণ করুন। -আদ্দুআ, তবারানী, হাদীস ১০৩৯; আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৪১৫
(সনদ সালিহ)
৩৯. (আইয়ুব ইবনে বাশীর রাহ.-এর দরূদ)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ، وَالسَّلَامُ عَلَيْهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ.
ইয়া আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন আপনার বান্দা, আপনার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। তাঁর উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত। -আলকাউলুল বাদী‘, পৃ. ৩৫৯ (সহীহ)
৪০. (সুফিয়ান সাওরী রাহ.-এর দরূদ)
صَلّى اللهُ وَمَلَائِكَتُهٗ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى أَنْبِيَاءِ اللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ.
আল্লাহ তাআলা রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লাহর সকল নবী ও ফিরিশতাকুলের উপর এবং তাঁর ফিরিশতাগণ তাঁদের উপর রহমত বর্ষণের দুআ করুন। -জিলাউল আফ্হাম, পৃ. ৪৮৩ (৪৩৬) (সহীহ)