Safar 1428   ||   March 2007

পথের দিশারী হে পথিক

লেখার প্রতি যাদের আগ্রহ রয়েছে তারা জীবনে যা হবার স্বপ্ন দেখেন তা হতে হলে নাকি প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে হয়। একটা কিছু যাই হোক তাই নাকি লিখতে হয়। এভাবে লিখতে লিখতে এক সময় হওয়া যায় লেখক। তখন নাকি আর লেখককে লিখতে হয় না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার কলমই নাকি লিখে চলে। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত কলমটাকে সচল রাখা ভাবী লেখকের কর্তব্য। আলকাউসারের গত সংখ্যায় পাঠকের পাতায় আলগালিব সাহেবের চমৎকার উপদেশসুলভ এ লেখাটি পড়ে জালে আটকে পড়া মাছের মতো অতি দ্রুত কী যেন খুঁজছিলাম, অথবা কিছু খুঁজে পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার উপায় কী? চিন্তিত মনকে আরও চিন্তিত আর দুর্বল, ভাবুক হৃদয়টিকে আরও দীর্ঘ স্বপ্নের চক্করে ফেলে দিলেন! যদিও সে স্বপ্ন অকল্যাণ সাধনে নয়, তবুও তো অপেক্ষমান অসহায় মনকে প্রবোধ দেবার কিছু নেই, অন্তত আমার সাধ্যে নেই। কেননা আলাকউসারকে মনে প্রাণে ভালোবাসলেও আলকাউসার আমাকে  অথবা আমার কম্পিত কলমের এলোমেলো লেখাকে ভালোবাসে না। কারণ, যুগের চাহিদা যোগ্য থেকে যোগ্যতরের। তাহলে আমার মতো ক্ষুদে লেখকদেরকে বিদগ্ধ বিদায়ী লেখকদের স্থানে বসাবে কে? কোন দয়ালু হাত আমাদের টেনে তুলতে এগিয়ে আসবে? অথচ মহা মনিষী, প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির আসন ক্রমেই শূন্য হতে চলেছে। আর যেহেতু ভলোবাসার মানুষের কাছে মানুষ মনের গোপন কথা খুলে বলতে সামান্যও দ্বিধা করে না তাই ভালোবাসার পত্রিকাটির কাছেই মনের আকাঙ্খা ব্যক্ত করতে মনস্থ করেছি। অতএব ফেলে যেয়ো না বন্ধু! আমরা এ পথ চিনি না, ইতিপূর্বে আসিনি এ দুর্গম পথে। তাই তোমার সহায়তার অপেক্ষায়ই কিন্তু বসে থাকব। বিশ্বাস কর! আমাদের মধ্যে রয়েছে অনেক সুপ্ত প্রতিভা, আছে সুদীর্ঘ স্বপ্নের পথে নিরলস চেষ্টা। শুধু সহায়তার অভাব, আর অভাব বিজ্ঞ বিচক্ষণ সাথী সঙ্গীর, যার নির্দেশনা এ পথের পাথেয়। অবশেষে তোমাকেই বেছে নিয়েছি, বেছে নিয়েছি তোমার পরিবারকে। দূরে ঠেলে দাও  বুঝি? তবে কিন্তু ভগ্ন হৃদয় চৌচির হয়ে যাবে, আর দায়ী হবে একমাত্র তুমি।

 

মুহা. তাওহীদুল ইসলাম (ত্বাইয়িব)

জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া

 

advertisement