Jumadal Akhirah 1444   ||   January 2023

খবর ... অতপর ...

* সৌদি গোলরক্ষক আলওয়াইসকে ফ্ল্যাট দিতে চান সাবেক মেয়র মনজুর

প্রথম আলো, ২৩ নভেম্বর ২০২২

# হুজুগে বাঙালী কি এমনি এমনি মশহুর হয়েছে?

 

* ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর

ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরে তুলে নেওয়া হয়েছে ২,৪৬০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে তিন ব্যাংকে সন্দেহজনক ঋণ ৯,৫০০ কোটি টাকা।

প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর ২০২২

# কিছুদিন আগে একটি ইসলামী ব্যাংকের বড় একজন প্রবীণ অফিসার এসেছিলেন। ভদ্রলোক মাঝে মাঝেই আসেন। কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকটির ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরীয়া পরিপালনে অনাগ্রহ এবং গতানুগতিকতার ওপর দুঃখ ও আপত্তি অনেক পুরোনো। সেদিন তিনি নতুন করে আরেকটি কথা বললেন। তা হচ্ছে, বর্তমানে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংককে টার্গেট করে দুর্নীতিতে জড়ানো হচ্ছে। মালিকানার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন চিহ্নিত মহল ইসলামী ব্যাংকগুলোকে দিয়ে একসময়ের বেসিক ব্যাংক, ফার্মার্স ব্যাংক এবং বড় বড় সরকারি ব্যাংকগুলোতে যে ধরনের ঋণ জালিয়াতি হতো সেসব করানো হচ্ছে। ভদ্রলোকের আশঙ্কা, এগুলো করার মূল উদ্দেশ্য হল, সাধারণ জনগণের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে, ইসলামী ব্যাংকগুলোও দুর্নীতিতে ভরা। তারাও অন্যান্য ব্যাংকের মতো নয়ছয়ে জড়িত। তারাও সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত টাকা অল্পসংখ্যক প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদেরকে ঋণের নামে লুটপাটের জন্য দিয়ে থাকে, যা দেখে সাধারণ জনগণের আস্থা ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকেও উঠে যাবে।

আসলে ভদ্রলোক যা চিন্তা করেছেন সে অবস্থা তো আরও আগে শুরু হয়েছে। কারণ, এদেশে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া পরিপালনে একেবারে ঢিলেঢালা হয়ে গেছে বেশ আগ থেকেই। এখন ঋণ জালিয়াতির কারণে সেই অনাস্থার ষোলোকলা পূর্ণ হল। জানি না, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমনটি হয় কি না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি ব্যাংকের মালিকানা বদলি করে ফেলা, জোরজবরদস্তি মালিক বনে যাওয়া নতুন কিছু না। যাদের একটু বয়স হয়েছে তাদের মনে থাকবে, চট্টগ্রামের একজন প্রয়াত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মতিঝিলে বন্দুক ঠেকিয়ে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে হটিয়ে মুহূর্তে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ দখল করে নেন। আর কয়েক বছর আগে একটি শিল্পগোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশের অনেকগুলো বেসরকারি ব্যাংক দখল করে নেওয়ার খবর তো সবারই জানা। বড় ধরনের লুটপাটের শুরুও সেখান থেকেই। যে ইসলামী ব্যাংকের ডিপোজিট এক লাখ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে তাদেরও কি না দৈনন্দিন গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর জন্য কয়েক শ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিতে হয়। জানি না, ওই লোকদের কথা কতটুকু ঠিক, যারা বলে থাকেন, একটি শিল্পগোষ্ঠীর নাম বলা হলেও আসলে তাদের পেছনে রয়েছে রথি-মহারথিরা, যারা সাধারণ জনগণের ব্যাংকে জমানো কষ্টার্জিত অর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে নিজের বাবার সম্পদ মনে করে। এবং তাদের প্রভুদের দেশে পাচার করছে। এখন শোনা গেল বাংলাদেশ ব্যাংক সেখানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।

আসলে কি এই হাজার হাজার কোটি টাকার ঘাপলা বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখের আড়ালেই হয়েছিল? কোনো সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি এটিকে বিশ^াস করবে বলে মানে হয় না। তাহলে তো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির যোগ্যতা ও দায়িত্বজ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। সুতরাং পর্যবেক্ষক নিয়োগ বা বিয়োগ অনেকটা লোক দেখানোই। আদালতে রিট, রুল জারি, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জানতে চাওয়া- এ সবই সাধারণ জনগণের সাময়িক ক্ষোভপ্রশমনের কৌশল বলেও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এখন যে দু-চারটি মিডিয়া এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা বলছে, যখন এসব ব্যাংকের মালিকানা রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলা হয় তখন কি তারা সরব হয়েছিল? হয়নি। কারণ, তারা জনগণের আর্থিক স্বার্থ থেকে নিজেদের কায়েমী স্বার্থ ও কল্পিত দুশমনকে চাপে ফেলার মাঝেই খুশি ছিল। তারা তখন এ বিষয়টি চিন্তা করেনি যে, এসব ব্যাংকের কোনো কোনোটির ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকেরা জড়িত থাকলেও সেগুলোর সম্পদের সিংহভাগই সাধারণ জনগণের। এ ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের। জবরদস্তি সরিয়ে দেওয়া মালিক ও ব্যবস্থাপকরা তাদের পাওনা নিয়ে তো চলেই গেছে। তো সময় মতো সোচ্চার না হয়ে এখন সবকিছু খোয়ানোর পর আওয়াজ তুললে কী হবে?

একটি কথা কেউ স্পষ্ট করে এবং বারবার বলে না, সেটা হলব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালনা পরিষদকে বলা হয় ব্যাংকের মালিক, অথচ ব্যাংক চলে একাউন্ট হোল্ডার তথা ডিপোজিটরদের টাকায়তাদের টাকার তুলনায় উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের টাকা থাকে খুবই সামান্য। কিন্তু পুরো প্রভাব চলে পরিচালনা পরিষদের। এজন্যই এ দেশের আয়তন, আবাদী ও অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংকের পরিমাণ অনেক বেশি। লুটেপুটে খাওয়ার জন্যই বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের আজ্ঞাবহ সরকার থেকে ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়ে থাকে। (তবে ব্যাংক মালিকদের সাবাই যে এমন তা নয়। বরং তাদের মধ্যে কেউ ভালোই থাকবে। কিন্তু বর্তমানে তাদের সংখ্যা যে অনেক কম তা বলাই বাহুল্য।)

মনে পড়ছে, আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘদিনের অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কথা। যখন একাধারে বিভিন্নজনকে ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়ার হিড়িক পড়ে তখন তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায়ও আমাদের কিছু লাইসেন্স দিতে হয়। অর্থাৎ যখন যে সরকার আসে সে তার লোকজনকে ব্যাংক লাইসেন্স দিয়ে প্রকারান্তরে সাধারণ জনগণের অর্থ লুটেপুটে খাওয়ার একটি সুযোগই করে দিয়ে থাকে

 

* নির্বাচনের আগে মোদির মুসলিম নীতির পুনর্লিখন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, পিছিয়ে পড়া ১৬ থেকে ১৭ কোটি মুসলমানের জন্য কাজ করবে তাঁর সরকার। এ প্রতিশ্রুতি অবাক করেছে সাধারণ মানুষ তো বটেই, তাঁর দলেরই নেতাকর্মীদের।

প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর ২০২২

# এর জন্যই হয়তো প্রবাদ তৈরি হয়েছে, ভুতের মুখে রাম নাম। (এটি আমাদের প্রবাদ নয়, বরং মোদিজি এবং তাদের ধর্ম ও দেশের প্রবাদ, সে পরিপ্রেক্ষিতেই বললাম) মোদি করবে মুসলিমদের পক্ষে কাজ! শুনেই হয়তো আঁৎকে উঠেছেন ভারতীয় মুসলিমরা। মুসলিম নামধারী কিছু দরবারি লোকদেরকে হাত করে সামনের নির্বাচনে মুসলমানদের সমর্থন নেয়ারই অপকৌশল এটি। আমরা মুসলমানরা দেশ-বিদেশে ক্ষমতাসীনদের কাছে কতভাবেই না প্রতারিত হচ্ছি।

 

* প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের ভিসা বাতিল করল জাপান

প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর ২০২২

# কারণ তো স্পষ্ট। মুখে যাই বলি, আমাদের অনেকের যে এসব দেশে গেলে আর ফিরে আসতে মনে চায় না- সেটা তো বিশ্ববাসী জানে। সুতরাং অগ্রীম সতর্কতা হিসেবেই জাপানের এ ভিসা বাতিল করা। কোথায় রাখি জাতি হিসেবে লজ্জা। অবশ্য লজ্জার কিছু অবশিষ্ট থাকলেই তো রাখার প্রশ্ন।

 

* রয়েল টিউলিপের শেয়ার তিন মাসে দাম বেড়ে তিন গুণ, কারসাজির সন্দেহ

প্রথম আলো, ২৩ নভেম্বর ২০২২

# এটি হাল আমলের শেয়ার বাজারের বৈশিষ্ট্য। কখন কোন্ শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে ফেলা হবে, হাতিয়ে নেয়া হবে সাধারণ জনগণের শত শত কোটি টাকা তা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যখন তদন্ত করে শেষ করে ততদিনে তো ওসব টাকা বহু হাত বদল হয়ে যায়।

 

* টিকিট কারসাজি : ১৫ মিনিটে বিমানের ক্ষতি ৪৪ লাখ টাকা

বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম, ২৫ নভেম্বর ২০২২

# বাংলাদেশ বিমানের জন্য এসব এখন সাধারণ বিষয়। অনলাইনে টিকিট নেই, সাধারণ ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর কাছে টিকিট নেই, কিন্তু বিমানে ঢুকলে সিট ফাঁকা। আবার অনলাইনে টিকিট নেই, কিন্তু বড় কিছু এজেন্সির হাতে পাওয়া যায় বেশি দামে। এসব দুর্নীতি এখন যাত্রীদের গা সওয়া হয়ে গেছে। এসব সরকার কা মাল দরিয়া মে ডাল -এর জ¦লন্ত নমুনা।

 

* আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রধানমন্ত্রী হওয়া দেখতে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মাহাথিরকে!

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৫ নভেম্বর ২০২২

# বিশ্বের ক্ষমতাবানদের জন্য এটি একটি উদাহরণ।

 

* এলসির নামে আত্মসাৎ ১৬ হাজার কোটি টাকা

আমাদের সময়, ২৮ নভেম্বর ২০২২

# সাধারণ জনগণ কর্তৃক ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা পাচার হওয়ার সামান্য নমুনামাত্র।

 

* ব্যাংকের টাকা মেরে দিতে দেউলিয়া হতে চান তারা

আমাদের সময়, ২৯ নভেম্বর ২০২২

# দেউলিয়া কেন প্রয়োজনে রাস্তায় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দাঁড়াবেন। তাদের কাছে টাকাই বড় কথা।

 

* ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ, পরিবহন ধর্মঘট না ডাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ইত্তেফাক, ২৮ নভেম্বর ২০২২

# সে নির্দেশ কি পালিত হয়েছে? বরং যানবাহন তো বন্ধ ছিলই; ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে ছোট ছোট গাড়িতে যাওয়া একেকজন সাধারণ মানুষকেও যুদ্ধাবস্থার মতো তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি মোবাইলের কন্টেন্টগুলোও পরিপূর্ণ চেক করা হয়েছে।

 

* সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের আলাদা হিসাব দিতে হবে না

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট, ২৭ নভেম্বর ২০২২

# এটিই তো স্বাভাবিক। হিসাব দিতে গেলেই তো সমস্যা। তাদের নামে অনুমতি ছাড়া মামলা দেওয়া যাবে না। সম্পদের আলাদা হিসাব দেওয়া লাগবে না। আর কত সুবিধা নেবেন ব্রুক্রেটরা! দেশে দেশে জনভিত্তিহীন সরকারের আমলে আমলারা এভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে থাকে। নিয়ে যায় নিজেদেরকে সকল জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। জনগণের টাকায় বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও নিজেদেরকে রাজা ভাবে এবং জনগণের সাথে প্রজার মতো আচরণ করে।

 

* ১৩ বছরে ওয়াসার এমডি তাকসিমের বেতন-ভাতা ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা

প্রথম আলো, ২৯ নভেম্বর ২০২২

# তাও বিদেশে বসেই এবং কোনো কাজ না করেই। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত একেকটি সেক্টর এমনিই কি আর ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। প্রচারমাধ্যমগুলো তাকসিমদের কথা একটু একটু বললেও তাদের খুটির জোর আসলে কোন্ জায়গায় সেটা নিয়ে কি স্পষ্ট কিছু বলে?

 

* পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা

প্রথম আলো, ২৯ নভেম্বর ২০২২

# একশ্রেণির লোকের এত বড় একটা আয়ের সোর্স কি আর সহজে বন্ধ করা যায়। ছয় হাজার কোটি থেকে বত্রিশ হাজার কোটি টাকা! এরপরে আরও...  আরও... একটা অভ্যাস হয়ে গেছে না! না হয় সেতু চালু হওয়ার পর তো কিছুদিন কোটি কোটি টাকা আয়ের হিসাব শোনানো হয়েছিল। এখন আবার আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের খবর!

 

* বড় অনিয়ম জেনেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সমকাল, ০১ ডিসেম্বর ২২

# এসব খবর যারা লেখে তাদেরকেও দরবেশ মনে হচ্ছে। শত কোটি হাজার কোটি টাকার ব্যাংক লুটপাটগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এড়িয়ে করা সম্ভব? চোরকে চলে যেতে দিয়ে তদন্ত শুরু করা তো এখন অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

 

* বিশ্বকাপের উন্মাদনায় এক মাসে ১২ মৃত্যু

তিন জেলায় তিন খুনসবচেয়ে বেশি মৃত্যু পতাকা টাঙাতে গিয়েখেলার উত্তেজনায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু৫ জেলার সংঘর্ষে আহত ২৬

প্রথম আলো, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

# শুধু খুন নয় প্রিয় দলের জয়-পরাজয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে উল্লাস করতে গিয়ে, দুর্ঘটনাজনিত কারণে আরও বহু লোকের নিহত হওয়ার খবরই তো এসেছে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে ফেলা হয়েছে যে, মনে হয় জীবনের মূল্য এতটুকুই। ভিন দেশের ক্রিড়া দলের জন্যই আমাদের জীবন উৎসর্গ। শুধু কি অতি উৎসাহী জনতাই এর জন্য দায়ী? দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো একযোগে কি সবাইকে উন্মাদ করে তোলেনি? অন্যান্য সংবাদমাধ্যম তো বটেই, দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকাটিও তাদের অনলাইনে বিগত দেড় মাস যাবৎ প্রথম চার-পাঁচটি খবর তো ফুটবল বিশ^কাপ নিয়ে প্রকাশ করেছে।

এদেশের মিডিয়াগুলো এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এমন ভাব করছে, যেন সেটি বিশে^র কোনো বেহেশতী রাষ্ট্র বা অর্থ, শিক্ষা ও সভ্যতার দিক থেকে উন্নত রাষ্ট্র আর তারা বাংলাদেশকে অনেক সম্মান দেখাচ্ছে। অনেক প্রশংসা করছে। এসব কি গণমাধ্যমগুলো শুধুই নিজেদের সস্তা রেটিং বাড়ানোর জন্য করছে না? এর চেয়ে চরম অনৈতিকতা আর কী হতে পারে? এমনিই এদেশের লোক কিছুটা নাচিয়ে বুড়ি ধরনেরতাদের জন্য ঢোলে বাড়ি দিতে থাকা এবং কিছু মানুষকে উন্মাদ বানিয়ে তোলা কোনো বিবেকবানের পরিচয় হতে পারে কি?

 

* ঘুষ নিয়ে ধরা, প্রমাণ লোপাটে টাকা গিলে ফেললেন পুলিশ

ঘটনাটি ঘটেছে ইন্ডিয়ার হরিয়ানার ফরিদাবাদে। পুলিশ অফিসারের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুভনাথ নামে এক ব্যক্তির চুরির তদন্ত করছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার মহেন্দ্র উলা। অভিযোগ, চুরির ঘটনা মেটাতে নগদ ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি।

শুভনাথের কাছে মোট ১০ হাজার রুপি দাবি করা হয়েছিল, যার মধ্যে সে অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে ছয় হাজার রুপি দেয়। বাকি টাকা নিতে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) শুভনাথের সঙ্গে দেখা করতে আসেন মহেন্দ্র।

ইত্তেফাক, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

# যদিও টাকা বিনিময় মাধ্যম। এ দিয়ে ওই বেচারা কিছু ভোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন দেখল, সে সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে তখন সরাসরি টাকাগুলোই চিবিয়ে খেয়ে মনোবাসনা কিঞ্চিত পূরণ করেছে। এটি নিয়ে এত বলাবলির কী আছে!

গ্রন্থনা : মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ খান

 

advertisement