আলকুরআনের দৃষ্টিতে অভিশপ্ত যারা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
তিন.
আল্লাহর প্রতি যারা কুফরি করেছে তারা অভিশপ্ত
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা যাদেরকে অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন তাদের আরেক শ্রেণি হল, কুফরিতে নিমজ্জিত লোকেরা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ مَاتُوْا وَ هُمْ كُفَّارٌ اُولٰٓىِٕكَ عَلَیْهِمْ لَعْنَةُ اللّٰهِ وَ الْمَلٰٓىِٕكَةِ وَ النَّاسِ اَجْمَعِیْنَۙ۱۶۱ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ لَا یُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَ
নিশ্চয়ই যারা কুফর অবলম্বন করেছে এবং কাফের অবস্থায়ই মারা গেছে, তাদের প্রতি আল্লাহর, ফিরিশতাদের এবং সমস্ত মানুষের লানত। তারা সে লানতের মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে। তাদের থেকে শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেওয়া হবে না। -সূরা বাকারা (২) : ১৬১-১৬২
ইহুদীদের কুফরির কারণে যেমন তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তেমনি আরও যারা কুফরিতে ডুবে থাকবে, আল্লাহকে মানবে না, শেষ নবীর প্রতি ঈমান আনবে না, শেষ নবীকে স্বতঃসিদ্ধ আকীদামতে শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করবে না, ইসলামকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করবে না, চাই সে ইহুদী হোক, খ্রিস্টান হোক, হিন্দু হোক, মূর্তিপূজারী বা অন্য কোনো মতাদর্শের হোক তাদের প্রতিও আল্লাহর অভিশাপ। (দ্র. তাফসীরে তবারী ২/৫৮)
কাফেরদের প্রতি এ অভিসম্পাত দুনিয়া ও আখেরাতে অনবরত চলতে থাকবে। বিখ্যাত তাবিয়ী আবুল আলিয়া ও কাতাদা রাহ. বলেন, কিয়ামতের দিন কাফেরকে দাঁড় করানো হবে। তখন আল্লাহ তাআলা, ফিরিশতাগণ ও সকল মানুষ তাকে অভিসম্পাত করবে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৩৪৩)
চার.
ইসলামের নিআমত লাভ করার পর পুনরায় যে কুফরি গ্রহণ করেছে সে অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
كَیْفَ یَهْدِی اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ اِیْمَانِهِمْ وَ شَهِدُوْۤا اَنَّ الرَّسُوْلَ حَقٌّ وَّ جَآءَهُمُ الْبَیِّنٰتُ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ۸۶ اُولٰٓىِٕكَ جَزَآؤُهُمْ اَنَّ عَلَیْهِمْ لَعْنَةَ اللّٰهِ وَ الْمَلٰٓىِٕكَةِ وَ النَّاسِ اَجْمَعِیْنَۙ۸۷ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا ۚ لَا یُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَۙ۸۸ اِلَّا الَّذِیْنَ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَ اَصْلَحُوْا ۫ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ
আল্লাহ এমন লোকদের কীভাবে হেদায়েত দেবেন, যারা ঈমান আনার পর কুফর অবলম্বন করেছে, অথচ তারা সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, রাসূল সত্য এবং তাদের কাছে উজ্জ্বল নিদর্শনাবলিও এসেছিল। আল্লাহ এরূপ জালিমদেরকে হেদায়েত দান করেন না। এরূপ লোকদের শাস্তি এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহর, ফিরিশতাদের ও সমস্ত মানুষের লানত। তারই মধ্যে (লানতের মধ্যে) তারা সর্বদা থাকবে। তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেওয়া হবে না। অবশ্য যারা এর পরও তাওবা করবে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করবে, (তাদের জন্য) আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৮৬-৮৯
এসব আয়াত থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, যে ব্যক্তির সামনে সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর এবং হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী- একথা মানার পর পূর্বের কুফরিতে ফিরে যায়, তার উপর আল্লাহর লানত ও অভিসম্পাত। সে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বা দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসায় পড়ে এ নিআমত ত্যাগ করলেও সে আবার ফিরে আসলে আল্লাহ তার তওবা গ্রহণ করবেন; অন্যথায় সে চিরতরে জাহান্নামী হয়ে যাবে। জাহান্নামে সে অনন্তকাল শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
পাঁচ.
যে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দেয় কিন্তু গোপনে কুফরি আকীদা পোষণ করে সে অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَّ یُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِیْنَ وَ الْمُنٰفِقٰتِ وَ الْمُشْرِكِیْنَ وَ الْمُشْرِكٰتِ الظَّآنِّیْنَ بِاللّٰهِ ظَنَّ السَّوْءِ ؕ عَلَیْهِمْ دَآىِٕرَةُ السَّوْءِ ۚ وَ غَضِبَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ وَ لَعَنَهُمْ وَ اَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتْ مَصِیْرًا
যেন সেই মুনাফেক পুরুষ ও মুনাফেক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীদেরকে শাস্তি দান করেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে কু-ধারণা পোষণ করে। মন্দের কুফল তাদেরই উপর আপতিত এবং আল্লাহ তাদের প্রতি রুষ্ট, তিনি তাদেরকে নিজ রহমত থেকে বিতাড়িত করেছেন এবং তাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত করেছেন। আর তা অতি মন্দ ঠিকানা। -সূরা ফাতহ (৪৮) : ০৬
আল্লাহ তাআলার কাছে ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য এবং আখেরাতে এর সুফল পাওয়ার জন্য ইসলামকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করা জরুরি। কাফের মুশরিক যেমন সুস্পষ্টভাবে ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে অভিশপ্ত, আখেরাতে সে জাহান্নামী, তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে, ঠিক মুনাফিকও মন থেকে ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে কাফের মুশরিকদের মতোই। সেও তাদের মতো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হবে। যদিও সে প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু তার এ ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়। সে তো বরং কাফেরের চেয়েও নিকৃষ্ট এবং আল্লাহর কাছে বেশি ঘৃণিত। কারণ সে কুফরকে ঈমানের সঙ্গে মিশ্রণ করে ফেলেছে। (দ্র. তাফসীরে বায়যাবী ১/৭৭)
আজ আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা জন্মগত মুসলমান। প্রকাশ্যে নিজেকে মুসলমান হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ইসলাম নামক বৃক্ষের গোড়া কাটে। যারা ইসলামের ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত তাদের সঙ্গে সখ্য রাখে। এশ্রেণির ব্যাপারেও যথেষ্ট আশংকা রয়েছে যে, তারা মুনাফিক কি না? আল্লাহ তাদেরকে সুমতি দান করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও খাঁটি মুমিন হিসেবে কবুল করুন।
ছয়.
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে যারা কষ্ট দেয় তারা অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
اِنَّ الَّذِیْنَ یُؤْذُوْنَ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِی الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَةِ وَ اَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِیْنًا যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের উপর লানত করেছেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাকর শাস্তি। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৭
উপরের আয়াত থেকে একথা স্পষ্ট, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলকে কষ্ট দেয় সে অভিশপ্ত। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া হয় অনেকভাবে :
এক. আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনার দ্বারা।
দুই. তাঁর সঙ্গে শরীক স্থাপন করার দ্বারা।
তিন. আল্লাহর শানে যায় না- এমনসব কথা বলার দ্বারা। যেমন ইহুদীরা উযায়ের আ.-কে আল্লাহর ছেলে বলেছে। খ্রিস্টানরা ঈসা আ.-কে আল্লাহর ছেলে বলেছে। মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা সন্তান বলেছে ইত্যাদি।
চার. আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেওয়ার দ্বারা।
পাঁচ. আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম লঙ্ঘন করার দ্বারা।
ছয়. সাহাবায়ে কেরামকে কষ্ট দেওয়ার দ্বারাও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া হয়।
ইরশাদ হয়েছে-
اللهَ اللهَ فِي أَصْحَابِي،... وَمَنْ آذَاهُمْ فَقَدْ آذَانِي، وَمَنْ آذَانِي فَقَدْ آذَى اللهَ.
...যারা সাহাবীদেরকে কষ্ট দেয় তারা আমাকে কষ্ট দেয়। যারা আমাকে কষ্ট দেয় তারা আল্লাহকে কষ্ট দেয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৮৬২
সাত. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের যারা অনুগত তাদেরকে কষ্ট দেওয়ার দ্বারা। ইরশাদ হয়েছে-
وَ الَّذِیْنَ یُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ بِغَیْرِ مَا اكْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَّ اِثْمًا مُّبِیْنًا
যারা মুমিন নর-নারীদেরকে বিনা অপরাধে কষ্ট দেয়, তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৮
সাত.
কাউকে অন্যায়ভাবে যে হত্যা করে সে অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
۹۲ وَ مَنْ یَّقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهٗ جَهَنَّمُ خٰلِدًا فِیْهَا وَ غَضِبَ اللّٰهُ عَلَیْهِ وَ لَعَنَهٗ وَ اَعَدَّ لَهٗ عَذَابًا عَظِیْمًا
যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গযব নাযিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন মহাশাস্তি। -সূরা নিসা (৪) : ৯৩
আলোচ্য আয়াতে কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যার শাস্তি শিরক ও কুফরের সমতুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। এ অপরাধের ভয়াবহতা তুলে ধরার জন্য এমনটা করা হয়েছে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভয়াবহতা এভাবে তুলে ধরেছেন-
لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ قَتْلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ.
একজন মুমিনকে হত্যা করা আল্লাহর নিকট গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চেয়েও গুরুতর। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৯৫
এটা ছিল মুমিনকে হত্যার শাস্তি। অপরদিকে যিম্মিকে (মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম) হত্যা করাও অনেক বড় অপরাধ। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নিরাপত্তা নিয়ে প্রবেশকারী কোনো অমুসলিম বা যিম্মিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৬১৪
কিন্তু অত্যন্ত আফসোসের বিষয় হল, ইসলাম অমুসলিমদের রক্তের এত মূল্য দেওয়ার পরও সারা দুনিয়ার মুসলমানের রক্তের কোনো মূল্যই দেওয়া হচ্ছে না। একজন অমুসলিমকে হত্যা করা হলে চতুর্দিকে হৈচৈ পড়ে যায়। কিন্তু শতশত মুসলিমকে হত্যা করা হলেও নানা যুক্তিতে এ গুরুতর অপরাধকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। আল্লাহ তাআলা গোটা পৃথিবীতে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিন।
আট.
যে কারও প্রতি জুলুম করে সে অভিশপ্ত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
اِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا وَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْاَشْهَادُۙ۵۱ یَوْمَ لَا یَنْفَعُ الظّٰلِمِیْنَ مَعْذِرَتُهُمْ وَ لَهُمُ اللَّعْنَةُ وَ لَهُمْ سُوْٓءُ الدَّارِ
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে এবং মুমিনদেরকে পার্থিব জীবনেও সাহায্য করি এবং সেদিনও করব, যেদিন সাক্ষীগণ দাঁড়িয়ে যাবে। যেদিন জালেমদের ওজর-আপত্তি কোনো কাজে আসবে না। তাদের জন্য রয়েছে লানত এবং তাদের জন্য আছে নিকৃষ্ট নিবাস। -সূরা মুমিন (৪০) : ৫১-৫২
জুলুম অত্যন্ত ঘৃণিত জিনিস। কিন্তু আজ সারা দুনিয়ায় তা নির্দ্বিধায় চলছে। কাফের কর্তৃক মুসলিমদের প্রতি জুলুম চলছে অহর্নিশ। অনুরূপ প্রতাপশালী মুসলিম নামধারী কর্তৃক দুর্বল মুসলিমদের প্রতি জুলুমের মাত্রাও কম নয়। অথচ জুলুম কত জঘন্য কাজ। কত মারাত্মক অপরাধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এর ভয়াবহতা এভাবে তুলে ধরেছেন-
اتَّقُوا الظُّلْمَ، فَإِنّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাক। কেননা জুলম কিয়ামতের দিন বহু অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৭৮
واتَّق دَعْوةَ المظلوم، فإنها ليسَ بينَها وبينَ الله حِجابٌ.
তুমি মাজলুমের বদদুআ থেকে বেঁচে থাক। কেননা তার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে কোনো অন্তরায় নেই। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫৮৪
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর লানতের কারণসমূহ থেকে দূরে থাকার এবং তাঁর রহমত লাভ করার কাজ বেশি বেশি করার তাওফীক দান করুন।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)