ভিত্তিহীন বর্ণনা
শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখের বিশেষ নামায
বার চান্দের ফযীলত বিষয়ক প্রচলিত বেশ কিছু বইয়ে শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখের অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিনে ও রাতের বিশেষ নামাযের বর্ণনা ও তার ফযীলত উল্লেখ করা হয়েছে-
‘যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে দিনে বা রাত্রে চার রাকাত নফল নামায পড়ে, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ২১ বার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার জন্য দোযখের ৭টি দরজা বন্ধ করে দেন এবং বেহেশতের ৮টি দরজা খুলে দেন। আর সে মৃত্যুর পূর্বেই বেহেশত দেখে।
হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসের যে কোনো তারিখে দিনে বা রাতে আট রাকাত নফল নামায দুই রাকাত করে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২৫ বার সূরা ইখলাস পড়ে, সালাম ফিরাবার পর ৭০ বার... দোয়া পড়ে। তারপর ৭০ বার এই দরূদ শরীফ পাঠ করবে... তাহলে আল্লাহ পাক তার অন্তরে রহমতের ও জ্ঞানের দরজা খুলে দেবেন এবং তার ৭০টি অভাব দূর করে দেবেন।’
এগুলো সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা। জাল হাদীস বিষয়ক কিতাবেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ইবনুল জাওযী রাহ. ‘আলমাউযূআত’ কিতাবে ঈদুল ফিতরের দিনের এজাতীয় ১০০ রাকাত বিশেষ নামায ও তার ফযীলত বিষয়ক বর্ণনা উল্লেখ করার পর বলেন-
هَذَا حَدِيثٌ لَا نَشُكّ فِي وَضْعِهِ.
এ বর্ণনা জাল ও ভিত্তিহীন হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। (দ্র. আলমাউযূআত, ইবনুল জাওযী ২/১৩০-১৩২
আরো দেখুন : তানযীহুশ শারীয়াহ, ইবনে আররাক, খ. ২, পৃ. ৯৪-৯৫; আললাআলিল মাসনূআহ, সুয়ূতী, খ. ২, পৃ. ৬০-৬১; আলআসারুল মারফূআহ, আব্দুল হাই লখনবী, পৃ. ৮৬-৮৭)